midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যখন বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজার ধসে পড়ছে ও কোনো প্রণোদনাই কাজ করছে না। একইসময়ে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ক্রমাগত দরপতন হচ্ছিল। বাজারে শেয়ার এর দাম ফ্রি-ফল হয়ে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী যখন দিশেহারা, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারে দর পতন ঠেকাতে বড় ধরণের ভূমিকা রেখেছে এবং বাজারে শেয়ার এর দামের ফ্রি-ফল বন্ধ হয়েছে। এতে লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
প্রধামন্ত্রীর নির্দেশনার ফলে শেয়ার এর ফ্লোর প্রাইস ঠিক করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ একটি শেয়ার এর দাম নির্দিষ্ট দাম এর নিচে নামতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যুগোপযুগী এবং সঠিক। শেয়ারবাজারে যখনি কোনো বড় ধরণের সংকট হয়েছে, তখনই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে এমন সিদ্ধান্ত দিতে দেখি। যা প্রথমে সবাই সমালোচনা করলেও পরবর্তীতে সবাই স্বীকার করে আপনার সিদ্ধান্তই সঠিক। গত বাজেটে প্রত্যেক লিস্টেড কোম্পানিকে তার রিটেইনেড আর্নিংস এবং রিজার্ভ থেকে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে আইনের মাধ্যমে বাধ্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ঠিকই বুজতে পেরেছিলেন অধিকাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বিশেষ করে ব্যাংকের উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা নিজেদের স্বার্থে এই প্রস্তাবটির চরম বিরোধিতা করেছিল। কারণ এই সব পরিচালক সবসময়ই নিজেদের স্বার্থে বোনাস শেয়ার দিতে পছন্দ করে। এতে করে তারা নিজেরা লাভবান হয় এবং বিনিয়োগকারী সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক পরিচালকদের বলেছিলেন শুধুমাত্র আপনাদের স্বার্থ দেখলে আমার হবে না, আমাকে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখতে হবে। আপনার সেই সিন্ধান্তের সুফল পেতে শুরু করেছে বিনিয়োগকারীরা। এই পর্যন্ত যে কয়টি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সবগুলোই নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা দিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি লাখ বিনিয়োগকারী কৃতজ্ঞ। গত ১৪ ও ১৫ ই জানুয়ারী শেয়ারবাজারে আস্থা এবং তারল্য সংকটের কারণে শেয়ারের প্রাইস ফ্রি-ফল হচ্ছিল এবং বাজার ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ১৬ জানুয়ারী সকালে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে নিয়ে শেয়ারবাজারে ফ্রি ফল ঠেকানোর জন্য তৎক্ষণাৎ করণীয় কয়েকটি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। তাও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে। যেখানে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেকটি ব্যাংককে শহজ শর্তে ২০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ৫ বছরের মধ্যে কোনো লস হলেও ওই প্রতিষ্ঠানকে কোনো মন্দ ঋণ সঞ্চিতি করতে হবে না। এটি ছিল অত্যন্ত একটি সঠিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের জন্য। যা ইতিপূর্বে আর কখনো হয়নি। অনেক অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা এই সিদ্ধান্তটির সমালোচনা করেছে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই টাকা নেয়ার এবং বিনিয়োগ করার ব্যাপারে তখন কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এইটা ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তারল্য সংকট নিরসনে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে সুযোগ করে দেওয়া। এটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ছিল। এরপর করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যখন ক্রমাগত শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ছিল, বিদেশী পোর্টফোলিওতে শেয়ার বিক্রির চাপ , বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মার্জিন রুল মেনে বিনিয়োগকারীর একাউন্টে ফোর্সড সেল হচ্ছিল। এসব মিলে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী যখন দিশেহারা, তখন ১৮ মার্চ মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া শেয়ারবাজার সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীকে উজ্জীবিত করেছে, ফ্রি-ফল বন্ধ হয়েছে। এরইমধ্যে যাদেরকে ২০০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে, তারা পর্যায়ক্রমে বিনিয়োগ শুরু করেছে। ব্যাংকগুলো নগদ লভ্যাংশ দেয়া শুরু করেছে এবং ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবল হতে শুরু করেছে। আমরা যারা শেয়ারবাজারের সাথে জড়িত আছি। যেমন তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকেরা, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকার-ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সবাই যদি সঠিক সময় সঠিক ভূমিকা পালন করি, তাহলে ইনশাআল্লাহ একটি স্ট্রং এবং স্ট্যাবল শেয়ারবাজার গড়ে উঠবে। তাতে উপকৃত হবে সৎ উদ্যোক্তা। যারা তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য শেয়ারবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করে এগিয়ে যেতে পারবে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নয়, এতে করে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমান হ্রাস পাবে। দেশ এবং অর্থনীতি উপকৃত হবে। মাননীয় সরকার প্রধানকে শেয়ারবাজরের ক্রাইসিস মুহূর্তে যুগান্তকারী সুপারিশ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ব্যাংক ব্যবস্থা ভালো থাকলে শেয়ারবাজার ভালো থাকবে। ব্যাংকের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ থেকে ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে হবে। দক্ষ ব্যাংক ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে হবে। দক্ষ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা টিম গড়ে তুলতে হবে। লোন দেয়ার ব্যাপারে পরিচালকদের হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিশেষ করে ব্যাংকের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্বতন্ত্র পরিচালকের দায়িত্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা। কোনো লিস্টেড কোম্পানি এবং এর পরিচালকদের ইচ্ছায় যেন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া না হয়। বর্তমানে আমরা যেটা দেখতে পাই, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালক এই প্রতিষ্ঠানের স্পনসর পরিচালকদের ইচ্ছা অনিচ্ছাই নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। তাতে করে এই স্বতন্ত্র পরিচালকরা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে না। এতে করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো সুশাসন থাকে না। সবাইকে বুঝতে হবে ব্যাংকের পরিচালকদের টাকায় ব্যাংকের পরিচালিত হয় না। ব্যাংক পরিচালিত হয় ডিপোজিটরদের টাকায়। অতএব ডিপোজিটরদের টাকা রক্ষা করার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোরভাবে বেবস্থা নিতে হবে। দেউলিয়া আইনকে যুগোপযুগী করতে হবে। ইচ্ছা কৃত ঋণ খেলাপিদের লাইফ স্টাইল হাত দিতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে খেলাপি ঋণের বিরুদ্ধে অ্যাকশন হচ্ছে, ঠিক সেইভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারাম যে পক্রিয়ার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায় করেছেন এবং মার্জার এর মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করে ডিপোজিটরদের আস্থা অর্জন করেছেন, সেভাবে অর্থমন্ত্রীকে অগ্রসর হতে অনুরোধ করবো। ব্যাংক ব্যবস্থাপনাকে যদি সুশাসনে আনা যায়, খেলাপি আদায় করা যাই এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে যদি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বন্ধ করে উদ্যোক্তাদেরকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসা যায়, তাহলে ব্যাংকও টিকে যাবে এবং শেয়ারবাজার ভালো হবে। এই মুহূর্তে মাননীয় অর্থমন্ত্রী যে কাজটি শেয়ারবাজারের স্বার্থে জরুরিভাবে করতে পারেন, সেটি হলো কোম্পানি বাই ব্যাক আইন করা। অর্থাৎ যে সকল কোম্পানির স্ট্রং রিজার্ভ আছে, গ্রোথ ভালো, ইপিএস ভালো, সেসকল কোম্পানি যে কারনেই হক বাজার যখন খারাপ থাকে, তখন কোম্পনি যদি মনে করে তার শেয়ার টি এই দামে ক্রয়-বিক্রয় ঠিক না, তখন কোম্পানি রিজার্ভ থেকে শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়ে তার শেয়ারটি বাজারে স্ট্যাবল করতে পারে এবং দরপতন ঠেকাতে পারে। এতে করে বিনিয়োগকারী উপকৃত হবে। সেই কোম্পানির উপর বিনিয়োগকারীর আস্থা অনেক বেড়ে যায়। সকল উন্নত দেশের শেয়ারবাজারে এই আইন প্রযোজ্য আছে। মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো জরুরীভাবে এই আইনটি অবিলম্বে একটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে কার্যকরী করে মহান জাতীয় সংসদে পাস করে নেয়ার। এটা শেয়ারবাজারকে স্ট্যাবল করতে অনেক সাহায্য করবে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক, বিএসইসি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, এসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স অফ বাংলাদেশ, স্টক ডিলার ও ব্রোকাররাসহ আমরা বিশেষ করে যারা শেয়ারবাজার এবং অর্থিনীতি নিয়ে কথা বলি, আমাদের যার যার অবস্থান থেকে শেয়ারবাজারকে স্ট্যাবল করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একসাথে কাজ করতে হবে। আমরা যেন গুজব না ছড়িয়ে শেয়ারবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত না করি। ইনশাআল্লাহ আমরা যদি যার যার অবস্থান থেকে একসাথে কাজ করি, তবে শেয়ারবাজার অবশ্যই স্ট্যাবল হবে এবং লাখ লাখ বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা ও অর্থিনীতি লাভবান হবে । আমি একটি স্মৃতিসারণ করতে চাই, যা না বললেই নয়। আপনারা সবাই জানেন ২০০৯-২০১০ সালে আমি যখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট ছিলাম, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার একটি সিদ্ধান্ত আমাকে এবং দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করেছিল। তাহল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন কোনো কোনো ব্যক্তি বিশেষ এর ষড়যন্ত্রে পদ্মা সেতুতে টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমাদের দৃঢ়চেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থে, সাধারণ জনগণের স্বার্থে আল্লাহর উপর ভরসা করে জনগণকে সাথে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন অনেক বুদ্ধিজীবী এবং অর্থনীতিবিদ এটাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অপরিপক্ক এবং আবেগী সিদ্ধান্ত বলেছিলেন। কিন্তু আমি সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই সিদ্ধান্তের জন্য স্বাগত জানিয়ে একটি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীর পক্ষ থেকে বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে অর্থায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। বাস্তবতা হল পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান এবং শেষ পর্যায়ে । লেখক মো: রকিবুর রহমান সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড বিজনেস আওয়ার ২৪
1 Comment
সম্প্রতি করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পুঁজিবাজারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পরযন্ত দেশের পুঁজিবাজারে অফিশিয়াল কাজের পাশাপাশি লেনদেন বন্ধ থাকবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ আগামী ২৯ মার্চ, রোবববার থেকে ২ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার পরযন্ত ৫দিন স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ রাখার জন্য নোটিস আসে। এরপর ডিএসইর পর্ষদ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে করোনা প্রতিরোধে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পরযন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এই ছুটির সাথে মিল রেখে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট ১০ দিন বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজার। অর্থসূচক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড দুই ওষুধ কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পন্ন করেছে। গতকাল সোমবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ চুক্তি অনুমোদন করেছে।ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানি দুইটি হচ্ছে- এম/এস রেনেটা অনকোলজি লিমিটেড এবং এম/এস অ্যাপেক্স ফার্মা লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী, স্কয়ার ফার্মা কোম্পানির বিদ্যমান চাহিদার তুলনায় বেশি পণ্য উৎপাদন করবে এবং নতুন পন্য বাজারজাত করবে। চুক্তি অনুযায়ী, স্কয়ার ফার্মা কোম্পানির বিদ্যমান চাহিদার তুলনায় বেশি পণ্য উৎপাদন করবে এবং নতুন পন্য বাজারজাত করবে। উল্লেখ্য, এ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ৪৯ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড আয় হয়েছে ৪ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা। ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর,১৯) কোম্পানির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৭ টাকা ৪৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ১২ পয়সা । অর্থসুচক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও ইউনিট দরের ফ্লোর প্রাইস (যে দরের নিচে নামতে পারবে না) গণনায় সংশোধনী এনেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। যাতে রবিবার (২২ মার্চ) প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর সমন্বয় (অ্যাডজাস্টেড) করা হয়েছে। এরফলে কিছু কোম্পানির দর ১০ শতাংশের উপরেও বাড়ার ঘটনা ঘটছে। একই কারনে বেশি সংখ্যক শেয়ারের দাম কমার ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৯ মার্চ বিএসইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওইদিন থেকে যেকোন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের গড় ক্লোজিং দর দিয়ে। আর ওই দরের নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না। তবে দাম বাড়ার সীমা অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু ডিএসই কর্তৃপক্ষ ওইদিন ওয়েটেড গড় দিয়ে শেয়ারের সমন্বিত দর নির্ধারন করে। যেটা আজ স্বাভাবিক গড় হিসাব করে সংশোধনী এনেছে। ওইদিন ডিএসই সর্বশেষ ৫ কার্যদিবস বিবেচনায় ওয়েটেড গড় পদ্ধতিতে অন্যসব কোম্পানির ন্যায় গ্রামীণফোনের দর নির্ধারন করে। যাতে এ কোম্পানির ওয়েটেড গড় দর দাড়াঁয় ২৩৫.৭০ টাকায়। কিন্তু স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গড় দর হয় ২৩৮.৮০ টাকা। আর এটাই আজ সংশোধনী করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। যে কারনে আজ সব কোম্পানির শেয়ারে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। স্বাভাবিক গড় পদ্ধতিতে ১৯ মার্চের আগের ৫ কার্যদিবসের ক্লোজিং দর যোগ করতে হবে। এরপরে ওই দরকে ৫ দিয়ে ভাগ করে গড় দর নির্ণয় করতে হবে। যেমন-গ্রামীনফোনের ১৯ মার্চের আগের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ১১ মার্চ ক্লোজিং দর ছিল ২৫৫.৫০ টাকা। এরপরে ১২ মার্চ ২৪৮ টাকা, ১৫ মার্চ ২৪১.২০ টাকা, ১৬ মার্চ ২২৯.৮০ টাকা ও ১৮ মার্চ ছিল ২১৯.৫০ টাকা। এই ৫ কার্যদিবসের যোগফল দাড়াঁয় ১১৯৪ টাকা। এই দর ৫ দিয়ে ভাগ দিলে গড় দর দাড়াঁয় ২৩৮.৮০ টাকা। এটাই হচ্ছে গ্রামীণফোনের গড় দর। এদিকে ডিএসইর গড় দর গণনায় পরিবর্তন আনায় বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বাড়ার ঘটনা ঘটেছে। সংশোধনীর ফলে কোম্পানিটির গড় দর ২ টাকা থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২.৬০ টাকা। আর এই দরেই শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিজনেস আওয়ারকে বলেন, গত ১৯ মার্চ সব কোম্পানির দর ওয়েটেড পদ্ধতিতে গড় করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে আজ (২২ মার্চ) স্বাভাবিক গড় করা হয়েছে। যাতে সব কোম্পানির দরে সমন্বয় করতে হয়েছে। এ কারনেই ১০ শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি, গ্রামীণফোনের শেয়ারটি সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের গড় নির্ধারিত ২৩৮.৮০ টাকার নিচে নামবে না। তবে এই দরের উপরে উঠা-নামা করতে পারেব। বিজনেস আওয়ার সম্মানিত বিনিয়োগকারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিএসইসি এর নতুন সার্কুলার অনুযায়ী বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে নতুন সার্কিট ব্রেকার রুলস করা হয়েছে। এই রুলস নিয়ে আমরা অনেকে বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছি বিশেষ করে ফ্লোর প্রাইস কত হবে সেটি নিয়ে। সকল বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য সকল শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস আমরা এখানে দিয়ে দিচ্ছি, যার নিচে দাম কমে যেতে পারবে না।
ডিএসই তে লিস্টেড সমস্ত শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস দেখতে এই PDF ফাইল ডাউনলোড করুন- যদি কোন সমস্যা মনে হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগ নম্বরঃ 09609 100 142 বিও একাউন্ট খোলার জন্য ভিজিট করুন: Open BO Account Floor Price in DSE করোনাভাইরাসের কারণে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে।
বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ৮ মার্চ থেকে দেশের শেয়ারবাজারে বড় পতন হচ্ছে। যাতে সর্বশেষ ৮ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৮১ পয়েন্ট বা ১৮ শতাংশ। এরমধ্যে ৯ মার্চ রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট বা ৬.৫২ শতাংশ পড়েছিল। এমন পতনের দিনেই শেয়ারবাজার বন্ধ করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে এই মুহূর্তে শেয়ারবাজার বন্ধ করা যৌক্তিক বলে মনে করছে না ডিএসইর পর্ষদ। গত সোমবার শেয়ারবাজারের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রী এবং ব্যাংকের মালিক ও কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে। বৈঠক শেষে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে বলে ঘোষনা দেয়। কিন্তু তারপরেও আজ শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়। এই পরিস্থিতিতে বিকালে জরুরি বৈঠকে বসে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। বৈঠকে লেনদেন সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফিলিপাইনে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন। গতকাল (১৭ মার্চ) থেকে দেশটির শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ আছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। কয়েক দিন আগে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে শেয়ারবাজারে ব্যাপক পতনের জেরে আমেরিকা, ভারত ও পাকিস্তানের শেয়ারবাজার সাময়িক লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমেরিকায় ১৫ মিনিট, ভারতে ৪৫ মিনিট এবং পাকিস্তানে ৪৫ মিটি বন্ধ করা হয়েছিল শেয়ার কেনাবেচা। বিজনেস আওয়ার বিমা খাতের কোম্পানি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হবে আগামী ১৩ এপ্রিল; যা চলবে ২০ এপ্রিল পরযন্ত।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয় কোম্পানিটিকে। বিএসইসি সূত্র জানায়, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে শেয়ার ইস্যু করবে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড। এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোম্পানিটিকে পাবলিক ইস্যু রুলসের বিবি ৩(৩)(সি) এর বিধানাবলী পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে। এছাড়া আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলিত মূলধনের ২০% অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ার ক্রয়ের ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম-এ অংশগ্রহনে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম শুরুর দিন হতে পূর্ববর্তী পঞ্চম কার্যদিবস শেষে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস,২০১৫ (সংশোধিত) বিবি ৩(৩)(সি) এর বিধানে বলা হয়েছে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ১০% অথবা ৩০ কোটি টাকা যেটি বেশি সেই পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, আইপিও পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটির নিচে হবে না। এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সকে পাবলিক ইস্যু রুলসের এই বিধান পরিপালন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। অর্থসূচক বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেছেন, এখন বাজারে যে প্রায় ৫০ টি ব্যাংক রয়েছে, সবাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনবে। কিন্তু এগুলো একসাথে কেনা হবে না। ক্রমান্বয়ে প্রতিটি ব্যাংক ওই টাকার শেয়ার কিনবে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মনিটরিং করবে। প্রতি সপ্তাহে এ নিয়ে একটি মিটিংও করা হবে।
সোমবার (১৬ মার্চ) শেয়ারবাজার ও আর্থিক খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে আগারগাঁও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মজুমদার বলেন, শেয়ারবাজার সম্পর্কিত আজকের মিটিংটা খুব ফলপ্রসূ হয়েছে। প্রতিটি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যদিও ১ মাস আগে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তখন এরকম প্রয়োজন দেখা দেয় নাই। মার্কেট তখন উঠছিল। কিন্তু এখন এর সৎ ব্যবহারের সময় এসেছে। আমাদের কাছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আছে। এখন এর ব্যবহার করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শর্ত সাপেক্ষে প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংক বুধবার থেকে এই শেয়ার কেনা শুরু করবে। তিনি বলেন, যেকোন ব্যাংক হঠাৎ করে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনবে না। বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য যখন যতটুকু প্রয়োজন, তখন সেটুকু কেনা হবে। ধারাবাহিকভাবে একটা লেভেল পর্যন্ত শেয়ার কেনা হবে। যাতে বাজারে একদিন ১ হাজার কোটি টাকার লেনদেনে হওয়ার পরেরদিন ৫০০ কোটি টাকায় নেমে না যায়। ধীরে ধীরে শেয়ার কেনার ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী এবং বিএসইসি থেকে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, তা মানা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: আসাদুল ইসলাম। এতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন ও কমিশনারগন, এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখারসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজনেস আওয়ার২৪ পুঁজিবাজার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং এই বাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও বিএসইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
আজ সোমবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সাথে বৈঠকে বসেছেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনসহ এসির বিভিন্ন কমিশনারবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত রয়েছেন। জানা গেছে, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ ঘোষণা করলেও তাতে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। উল্লেখ, গত ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে লাগামহীন দরপতন (Free Fall) হলে ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে প্রতি ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠন করার সুযোগ দিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় পার হওয়ার সত্ত্বেও এই তহবিল গঠনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দেশের পুজিঁবাজারে এরও একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাতে বাজারে বেশ বড় দরপতন হয়। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করে আলোচিত তহবিল গঠনের বিষয়টি আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেন। অর্থসুচক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিএটিবিসি শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছে PICTET LUX A/C THS KFFC (THS KINGSWAY FUND) ।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিএটিবিসি কোম্পানির ৫ লক্ষ ২৫ হাজার শেয়ার কিনবে। এই কোম্পানি আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক মার্কেটে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার কিনতে পারবে। করোনা-আতঙ্কে বিপর্যস্ত বিশ্বের পুঁজিবাজারের বড় অংশ শেষ পর্যন্ত ভয়কে জয় করেছে। এশিয়া ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এশিয়ার বাজারগুলো নিম্নমুখী হলেও ব্যাপক উত্থান হয়েছে ভারতের বাজারে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস তথা শুক্রবারে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার বড় চমক দেখিয়েছে। আগের দিনের রেকর্ড দরপতনের পর এদিন বড়সড় উল্লম্ফন ঘটেছে দেশটির বাজারে। একইদিনে প্রথমভাগে মহাবিপর্যয়ের আশংকা জাগিয়ে শেষবেলায় নাটকীয় উত্থানে শেষ হয়েছে ভারতের পুঁজিবাজারের লেনদেন। এদিন ইউরোপের প্রায় সব বাজারও ছিল উর্ধমুখী। খবর সিএনএন, রয়টার্স ও ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় পুঁজিবাজার ঘিরে ফের উদ্বেগ বাড়ছে। শুক্রবার এসব দেশে বাজার ঘুরে দাঁড়ালেও প্রবল আতঙ্কের মুখে তা কতটা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে, উর্ধমুখী ধারা কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা আছে। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক, জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন আর বিশ্ব-অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান মন্দার আশংকার প্রভাবে গত সপ্তাহের প্রায় পুরোটা সময় জুড়ে পুঁজিবাজারে ছিল প্রচণ্ড অস্থিরতা। বিশ্ববাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ছিল সোমবার (৯ মার্চ)। এদিন ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় সব বাজারে রেকর্ড দরপতন হয়। দরপতনের তীব্রতায় পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সাময়িকভাবে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পতনই ছিল বেশিরভাগ বাজারের সঙ্গী। বৃহস্পতিবার ফের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বড় দরপতন হয় এবং এটি ছিল ১৯৮৭ সালের পর সবচেয়ে তীব্র পতন। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের সব সূচক প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। শুক্রবার ভারতের বাজার ভয়াবহ পতনকে সঙ্গী করে লেনদেন শুরু হয়। মাত্র ৩৫ মিনিটের মধ্যে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকগুলো ১০ শতাংশের বেশি কমে গিয়ে সার্কিটব্রেকার অতিক্রম করে ফেলে। এতে দেশটির বাজারে ৪৫ মিনিট লেনদেন বন্ধ থাকে। এরপর লেনদেন শুরু হলে বাজার ধীরে ধীরে উর্ধমুখী হয়ে উঠে। দিনশেষে সূচক শুধু পুনরুদ্ধারই হয়নি, তা আগের দিনের অবস্থানকে ছাড়িয়ে যায়। শুক্রবার দিনশেষে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে সেনসেক্স সূচক ৩৪ হাজার ১০৩ পয়েন্টে স্থির হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৩২৫ পয়েন্ট বা প্রায় ৪ শতাংশ বেশি। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক নিফটি ৫০ একইভাবে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। শুক্রবার নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধানসূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ উপরে উঠে লেনদেন শেষ করে। ২০০৮ সালের পর এই বাজারে একদিনে সূচক আর এতটা বাড়েনি। এদিন ফ্রান্সের সিএসই ৪০ সূচক ৮ দশমিক ৩ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স সূচক ৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০ সূচক ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। করোনাভাইরাসে ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ইতালীতেও শুক্রবার সূচকের নাটকীয় উত্থান ঘটে। এদিন দেশটির প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। আগের দিন বাজারটিতে সূচক ১৭ শতাংশ কমেছিল। এর প্রেক্ষিতে দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারে শর্টসেল (নিজের কাছে শেয়ার না থাকলেও তা আগাম বিক্রির ব্যবস্থা) নিষিদ্ধ করে। আর তাতেই বেশকিছুটা সুফল আসে। এদিন অস্ট্রেলিয়ার বাজারেও উর্ধমুখী ধারা দেখা যায়। অবশ্য দেশটির বাজার এদিন ছিল ভারতের মত নাটকীয়তায় ভরা। দিনের প্রথমভাগে এখানে প্রধান মূল্যসূচক এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০ আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ কমে গেলেও দিনশেষে বাজারে ছিল হাসিমুখ। কারণ হারানো সূচক পুনরুদ্ধারের পর আরও ৪ দশমিক ৪ শতাংশ উপরে উঠে স্থির হয় ওই সূচক। শুক্রবার ভারত ছাড়া এশিয়ার অন্য দেশগুলোর বাজারে অবশ্য নিম্নমুখী ধারা ছিল। তবে সেখানেও ছিল কিছুটা স্বস্তির বাতাস। কারণ দিনের প্রথমভাগে বাজারগুলোতে সূচকের বড় পতন হলেও দিনশেষে তার অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয়। এদিন জাপানের প্রধান সূচক নিক্কি ২২৫ ইনডেক্সে ৩০ বছরের মধ্যে তীব্রতম পতন হয়। কিন্তু পরে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। দিনশেষে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ শতাংশ নিচে এসে স্থির হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারের প্রধান সূচক কেওএসপিআই শুক্রবার এক পর্যায়ে ৭ শতাংশের বেশি কমে গেলেও পরে এর অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয় এবং আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ নিচে থেকে লেনদেন শেষ করে। এদিন হংকং এর হ্যাংসেং ইনডেক্স ১ দশমিক ১ শতাংশ এবং চিনের সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পায়। বিশ্লেষকদের মতে, করোনাভাইরাস আতঙ্কের প্রথম ধাক্কা কেটে যাওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রণোদনা ঘোষণা ইত্যাদি বিষয় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)পরিচালক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদেরকে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন,’আতঙ্ক নয়,ধৈর্য ধরে সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে আমাদের’। শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। রকিবুর রহমান পুঁজিবাজারের বাণিজ্যিক ব্যাংকের উদ্যোক্তা এবং প্রধান নির্বাহীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বেশিরভাগ ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা অতীতে চড়া দামে শেয়ার বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করেছেন। এমন ঘটনাও আছে, ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার ২০০ টাকা দরে তারা বিক্রি করেছেন। এখন ওই শেয়ারের দাম ৬-৭ টাকা। তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন,শেয়ারের দাম এতটা কমে যাওয়ার ঘটনায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আপনাদের প্রাণ কী কাঁদে না? তিনি বলেন,তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তারা যদি ১ কোটি করে শেয়ার কিনেন, তাহলেই কিন্তু বাজার পরিস্থিতি অনেকটা বদলে যেতে পারে।কারণ বাজারমূলধনে ব্যাংকের অংশই সবচেয়ে বেশি। তিনি আরও বলেন,উদ্যোক্তারা শেয়ার কিনলে শেয়ারের দাম কিছুটা বাড়বে।তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যাবে। তারচেয়েও বড় কথা,তারা একটু স্বস্তি পাবেন,তাদের আস্থা বাড়বে এটা ভেবে যে উদ্যোক্তারা তাদের পাশে আছেন। ডিএসইর এই পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া বিশেষ তহবিল সুবিধা কাজে না লাগানোয় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি গত সপ্তাহে বিভিন্ন ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ওই বৈঠকে বেশিরভাগ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়ে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জবাবে তিনি জানতে চেয়েছিলেন,তারা এসব সমস্যা তাদের ফোরামে আলোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এনেছেন কি-না। তারা জানিয়েছেন,তারা তা করেননি। মোঃ রকিবুর রহমান এই প্রসঙ্গ টেনে তাদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করার মতো ঔদ্ধত্য তারা কোথায় পান? তিনি অভিযোগ করেন, যদি কোনো ব্যাংকের উদ্যোক্তা-পরিচালক বেনামে কোনো ঋণ চাইতেন অথবা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাউকে ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করতেন,তাহলে নিশ্চিতভাবেই ব্যাংকের এমডিরা তা অনুমোদন করতে এতটা বিলম্ব করতেন না। পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতার জন্য রকিবুর রহমান দুটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানান। এর একটি হচ্ছে-ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অন্যটি হচ্ছে বাই-ব্যাক আইন প্রণয়ন। তিনি বলেন,আমাদের বাজারমূলধনের ২৭ শতাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই)দখলে।তাই এই খাতের যে কোনো সমস্যা বাজারকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে। ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের অরাজকতা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,ব্যাংকিং খাতে সুশাসন না হলে শুধু পুঁজিবাজার নয়,পুরো অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাই-ব্যাক আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,কোম্পানির বাই-ব্যাক ব্যবস্থা থাকলে ভাল কোম্পানিগুলো তাদের শেয়ারের মূল্য একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে গেলে বাজার থেকে নিজের শেয়ার কিনে নিতে পারবে।এতে শেয়ারের দাম বেড়ে ওই সীমার উপরে উঠে আসবে।অন্যদিকে লাগামছাড়া পতনের ভয় থাকবে না বলে বিনিয়োগকারীরা কখনোই আস্থা হারাবেন না। অর্থসুচক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে অনুষ্ঠিত ব্যাংকগুলোর বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি হয়নি। বৈঠকে ব্যাংকগুলো একদিকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছে, অন্যদিকে তুলে ধরেছে নানা অজুহাত।
বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বৈঠক শেষে অবশ্য ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক বৈঠককে সফল হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বৈঠকে সবগুলো ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠনে আগ্রহের কথা জানিয়েছে। উল্লেখ, গত ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন (Free Fall) হলে ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তার দেওয়া ৬ দফা নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ তহবিল সুবিধা ঘোষণা করে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে এই তহবিল গঠন করা যাবে। চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারল্য সুবিধা নেওয়া যাবে। পুনঅর্থায়নযোগ্য এই তহবিলের মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এর সুদের হার ৫ শতাংশ। তহবিলের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, তা ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসাব (Exposure to Capital Market) এর বাইরে থাকবে। বিশেষ তহবিল সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংক চাইলে সরাসরি নিজে বিনিয়োগ করতে পারবে, আবার ওই তহবিল থেকে ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ঋণ দেওয়া যাবে। গত এক মাসে তহবিল গঠনের বিশেষ উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ডিএসই আলোচিত বৈঠকটি আহ্বান করে। এতে ৩০টি তফসিলি ব্যাংককের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে তাতে ২৪টি ব্যাংক সাড়া দেয়। এদের মধ্যে ৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বৈঠকে অংশ নেন। বাকী ব্যাংকগুলোর পক্ষে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা, কোম্পানি সচিব ও তার পরের স্তরের কর্মকর্তারা ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করেন। জানা গেছে, বৈঠকে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশেষ তহবিলের জন্য ৫ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তি তারা সুদের ব্যবসা করেন না। তাই তাদের পক্ষে এই সুবিধা নেওয়া সম্ভব নয়। অপরদিকে অন্য কয়েকটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশেষ তহবিল গড়তে তাদের কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে। অনেকে তাদের পর্ষদের অনাগ্রহের কথাও জানান। ডিএসইর পক্ষ থেকে তাদেরকে এসব বিষয় নিয়ে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করতে বলেন। এ ক্ষেত্রে ডিএসইর কোনো সহযোগিতা লাগলে তারা তা করতে প্রস্তুত বলে ব্যাংকারদের আশ্বস্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান। এতে এবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, শাহ-জালাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউসিবি ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সাম্প্রতিক পুঁজিবাজার পরিস্থিতি এবং ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে তফসিলি ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠকে বসবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। আগামীকাল ১১ মার্চ, বুধবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ৬ দফা নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ তহবিল সুবিধা ঘোষণা করে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে এই তহবিল গঠন করা যাবে। চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারল্য সুবিধা নেওয়া যাবে। পুনঅর্থায়নযোগ্য এই তহবিলের মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এর সুদের হার ৫ শতাংশ। তহবিলের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, তা ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসাব (Exposure to Capital Market) এর বাইরে থাকবে। বিশেষ তহবিল সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংক চাইলে সরাসরি নিজে বিনিয়োগ করতে পারবে, আবার ওই তহবিল থেকে ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ঋণ দেওয়া যাবে। কিন্তু ওই তহবিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির এক মাস হতে চললেও বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়ে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের এই ধীর গতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা বাড়িয়েছে। ঠিক এমন অবস্থায় রোববার বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পাওয়া গেলে তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। আর এই দুটি বিষয়ের প্রভাবে সোমবার পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দর পতন হয়। তার প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ তহবিল গঠন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানদের বৈঠকে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থসুচক শেয়ারবাজারের সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, 'শেয়ারবাজারে অবশ্যই আমাদের সফলতা পেতে হবে।
রোববার (৮ মার্চ) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি কেমন চলছে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে শেয়ারবাজার নিয়ে তিনি এমন কথা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, শেয়ারবাজারের সাথে আমাদের অনেক মানুষ জড়িত সুতরাং শেয়ারবাজারকে বাদ দিয়ে সরকার চিন্তা করে না। আমরা বাজারকে আমাদের সাথে দেখতে চাই, আমাদের অর্থনীতিতে দেখতে চাই। সেখানে যা যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার, ব্যবস্থা আপনারা নেন, সরকার সব ধরনের সাহায্য করবে।’ ডিএসই শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. রকিবুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, 'শেয়ারবাজারে সমস্যা রয়েছে। সমাধান হচ্ছে না। সমাধানের পথ তৈরি করুন। আমরা সমধান দেখতে চাই। সমাধান আপনার হাত দিয়েই সম্ভব। সরকার সমাধান করে দেবে না। আপনাদের সহায়তা ছাড়া সরকার শেয়ারবাজারের সমস্যা সমাধন হবে না।’ রকিবুর রহমানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকারের কাজ হবে শেয়ারবাজারকে সমৃদ্ধ করার জন্য এ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। দেশের সামস্টিক অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে তার রিফ্লেকশন যাবে শেয়ারবাজারে। এটা ডাইরেক্ট লিংক। তারপরও অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী কিন্তু শেয়ারবাজার ঠনঠন। সেটাতো হতে পারে না। সুতরাং এর কারণগুলো আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে আইন অনেক আছে। আইনগুলোতে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না সেগুলো দেখবেন। সেগুলো দেখার জন্য যারা কমিটিতে আছে তাদেরকেও আপনারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। এখন একীভূত হয়ে কাজ করলে এর সমাধান পাবেন। একীভূত না হয়ে একে অপরের সমালোচনা করলে আমরা কাজটি করতে পারবো না।’ এরপর বাজার বিষয়ে মো. রকিবুর রহমান আরো কথা বলতে চাইলে অর্থমন্ত্রী তাকে থামিয়ে দেন। সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. রকিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিজনেস আওয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যা্ংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে, যার পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আজ ৪ মার্চ, বুধবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচিত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, আলোচিত বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস (সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ) হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। আর এককভাবে শুধু লাফার্জহোলসিমের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস (Consolidated EPS) ছিল ৯৬ পয়সা। আর একক ইপিএস (Solo EPS) ছিল ৭৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সমন্বিতভাবে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য বা এনএভিপিএস ছিল ১৩ টাকা ৯৫ পয়সা। আর এককভাবে এনএভিপিএস ছিল ১১ টাকা ৮০ পয়সা। আগামী ৭ মে, বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ এপ্রিল, বুধবার। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২শতাংশ নগদ এবং ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.১৭ টাকা। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১.৮৩ টাকায়। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। আর লভ্যাংশ বিতরণে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ মার্চ। বিজনেস আওয়ার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালনা পর্ষদ সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ইবনে সিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রি’র ৬৫ শতাংশ উদ্যোক্তা শেয়ার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ইবনে সিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রি প্লাস্টিক ও পলিমার এবং পেট বোতল উৎপাদন ও বাজারজাত করবে। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের কোম্পানির ১০ কোটি টাকা রয়েছে পরিশোধিত মূলধন। ‘ইবনে সিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রি’তে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইবনে সিনা ট্রাস্ট যৌথভাবে বিনিয়োগ করবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সমূহের অনুমোদনের পর চাকপাড়া, মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুরে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হবে। ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি এবং ইবনে সিনা ট্রাস্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইবনে সিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করবে। বিজনেস আওয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একটি প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক তার সরবরাহ করবে। এ লক্ষ্যে আজ ৩ মার্চ, মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি বিআরইবির সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে।
বিবিএস ক্যাবলস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চুক্তি অনুসারে, বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড বিআরইবির ‘ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক এক্সপানশন ফর ১০০% রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন প্রজেক্ট (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল) এ ৯৪ কোটি ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৪০ টাকা মূল্যের এসিএসআর (Aluminium Conductor Steel Reinforced-ACSR) বার কনডাক্টর সরবরাহ করবে। আগামী ১৬ সপ্তাহের মধ্যে এই ক্যাবল সরবরাহ করা হবে।এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কোম্পানিটি বিআরইবির কাছ থেকে আলোচিত প্রকল্পে ক্যাবল সরবরাহ করার জন্য নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) বা প্রাথমিক সম্মতিপত্র পেয়েছিল। এনওএ অনুসারে পরবর্তী ২৮ দিনের মধ্যে ক্যাবল সরবরাহের চুক্তি করার বাধ্যবাধকতা ছিল। সে অনুসারে আজ প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে ওই চুক্তি সই হয়েছে। অর্থসুচক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেডের নতুন প্রকল্পে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ইউনিট দুটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, নতুন প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে ইলাস্টিক ও লেবেল এর নতুন ইউনিট। বেশ কিছুদিন পরীক্ষামূলক উৎপাদন সফল হওয়ার পর কোম্পানিটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেছে। নুতন ইউনিটটিতে বছরে সর্বোচ্চ ৪ কোটি পিস পণ্য উৎপাদন করা যাবে। নতুন ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম চালু হওয়ায় প্রতি মাসে কোম্পানিটির বিক্রি বাড়বে ৩৩ লাখ টাকা। আর বছরে বিক্রি বাড়বে ৪ কোটি টাকা। সানবিডি24 প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসার ঘোষণা দিয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। এরই অংশ হিসবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিজিট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আবেদন করেছে কোম্পানিটি।
রয়টার্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার দশ টাকা অভিহিত মূল্যের ৫২ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এই শেয়ারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫২৩ কোটি টাকা তুলবে রবি। আর দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি রবির পরিচালক ও কর্মীদের জন্যও কোম্পানির শেয়ার মালিক হওয়ার সুযোগ করে দেবে এই আইপিও। রবির ইস্যু-ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে দেশের অন্যতম মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।দেশে রবির সেবাগ্রহীতার সংখ্যা এখন ৪ কোটি ৭৩ লাখ, যা দেশের মোট গ্রাহক সংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ। মালয়েশিয়ার কোম্পানি আজিয়াটা রবির ৬৮.৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক। Sunbd24 পুঁজিবাজারে গতি সঞ্চারে ঘোষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তহবিল সুবিধা কাজে লাগাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে চার ব্যাংক। ইতোমধ্যে একটি ব্যাংক এই তহবিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে। বাকী ব্যাংক তিনটিও কিছু দিনের মধ্যে আবেদন করবে। এছাড়া আরও কয়েকটি ব্যাংক আলোচিত তহবিলের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য তথ্য জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। তবে এই তহবিল নিজস্ব অর্থায়নে হবে না-কি বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিয়ে গঠন করা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চলতি সপ্তাহেই্ ব্যাংকটি তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানার রূপালী ব্যাংক লিমিটেড নিজস্ব অর্থায়নে এই মুহুর্তে ৮০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে ব্যাংকটি তহবিলের আকার ২০০ কোটি টাকায় উন্নীত করবে বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। তহবিলের বাকী অর্থের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা নেওয়া হতে পারে। বেসরকারি সিটি ব্যাংক লিমিটেড ইতোমধ্যে রেপো সুবিধার আওতায় নেওয়া ৫০ কোটি টাকার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। এটি দুয়েকদিনের মধ্যে অনুমোদন পেয়ে যাবে। এছাড়াও ব্যাংকটি পর্যায়ক্রমে তাদের তহবিলের আকার বাড়াবে বলে জানা গেছে। বেসরকারি ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অর্থসুচক পুঁজিবাজারে আসছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা। কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজার থেকে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ উদ্দেশ্যে গতকাল সোমবার কোম্পানিটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন জমা দিয়েছে। রবির আইপিওতে আসার বিষয়টিকে পুঁজিবাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান। তিনি বলেন, রবির পুঁজিবাজারে আসার মধ্য দিয়ে বাজারে নতুন গতির সঞ্চার হবে। ব্যাংকে নয়-ছয় সুদ হার বাস্তবায়ন নিয়ে পুঁজিবাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। নয়-ছয় সুদ হারের কারণে ব্যাংকের মুনাফা কমার কোনো আশংকা নেই। কারণ এপ্রিল থেকে ঋণের সুদ হার যেমন কমবে, তেমনই কমছে আমানতের সুদহারও। ফলে ব্যাংকের স্প্রেড (Spread) কিন্তু একই থাকছে। আগে ঋণের বিপরীতে ১২ শতাংশ সুদ পেলেও আমানতের জন্য ৮ থেকে ৯ শতাংশ সুদ দিতে হতো। ফলে স্প্রেড ছিল ৩ থেকে ৪ শতাংশ। এখন ঋণ ও আমানত-দুটোরই সুদের হার কমায় ওই স্প্রেড একই অবস্থানে থাকবে। ফলে মুনাফা কোনো নেতিবাচক প্রভাই পড়বে না। তিনি বলেন, নয়-ছয়ের কারণে এবারের লভ্যাংশে কোনো প্রভাব পড়ারই সুযোগ নেই। কারণ নয়-ছয় বাস্তবায়নের আগেই ব্যাংকগুলো তাদের হিসাববছর শেষ করেছে। ডিসেম্বরে তাদের হিসাব ক্লোজ হয়েছে। ওই হিসাবে পাওয়া মুনাফার উপর সামনে তারা লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। তাই ভাল লভ্যাংশ আসবে বলেই মনে করেন তিনি। মোঃ রকিবুর রহমান ব্যাংকগুলোর প্রতি সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার আহ্বান জানান। এক প্রতিক্রিয়ায় অর্থসূচককে তিনি বলেন, গত মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী ৬টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর অন্যতম ছিল বাজারে ভাল শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো। ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতের ৫টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ৪টি ব্যাংকওপুঁজিবাজারে আসছে। এখন রবির মত বড় টেলিফোন অপারেটরও বাজারে আসার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটিবাজারের জন্য অনেক বড় সুখবর। তিনি আগামী দিনগুলোতে পুঁজিবাজার নিয়ে অনেক আশাবাদী বলে মন্তব্য করেন। অর্থসুচক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ তহবিল গঠনের কার্যক্রম শুরু করেছে চার বাণিজ্যিক ব্যাংক।ব্যাংক চারটি হচ্ছে-সোনালী ব্যাংক,রূপালী ব্যাংক,সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আলোচিত চার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ইতিমধ্যে বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়টি অনুমোদন করেছে।এদের মধ্যে সিটি ব্যাংক প্রক্রিয়াটি বেশ কিছু দূর এগিয়েও নিয়েছে।ব্যাংকটি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫০ কোটি টাকার রেপো সুবিধা নবায়ন করার আবেদন করেছে। এই ৫০ কোটি টাকাও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল।বাকী ১৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধাও পর্যায়ক্রমে কাজে লাগাতে পারে এই ব্যাংক। উল্লেখ,পুঁজিবাজারে তীব্র দর পতনের প্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ তহবিল সুবিধা ঘোষণা করে।এই সুবিধার আওতায় প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে।একাধিক প্রক্রিয়ায় সেই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে।২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত যে কোনো তফসিলি ব্যাংক রেপোর মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে সুদ পরিশোধ করতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ। আলোচিত তহবিলের টাকায় বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে ব্যাংকের মোট বিনিয়োগ (Capital Market Exposure) হিসাবের বাইরে রাখা হবে। পাঁচ বছর পর্যন্ত এই তহবিল সুবিধা থাকবে। এই সময়ের মধ্যে বিনিয়োগে লোকসান হলেও তার বিপরীতে সঞ্চিতি (Provision) রাখতে হবে না। তহবিলের অর্থ যাতে অপব্যবহার বা ভুল ভিনিয়োগে নষ্ট না হয় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগের জন্য একটি নীতিমালাও ঠিক করে দিয়েছে। অর্থসুচক |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2024
Categories |