midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
এক্সপোজার সংশোধনের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা পাঠানোর পর ৭ দিন পার হলেও এখনো ঘুম ভাঙ্গেনি বাংলাদেশ ব্যাংকের। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোশিয়েশন(ডিবিএ) এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোশিয়েশন নেতৃবৃন্দ গভর্নরের সাথে সাক্ষাত করার জন্য আজ চিঠি পাঠিয়েছেন।
গভর্নরের অনুমতি পেলে আগামীকাল (বুধবার) এ সাক্ষাতকার হতে পারে। ডিবিএর প্রেসিডেন্ট মোস্তাক আহমেদ সাদেক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর পুঁজির সুরক্ষা দিতে এক্সপোজার সংশোধনের বিষয়টি যে কতো জরুরী তা বুঝাতেই মুলত আমরা ওনার সাথে সাক্ষাত করতে যাচ্ছি। ওনাদের সার্কুলারটি জারি করতে ওনারা যত দেরি করবেন আমাদের রক্তক্ষরন ততো বাড়তে থাকবে। এক্সপোজার যেহেতু ঠিক হয়ে যাচ্ছে আর আমরা ডিএসইর পার্টনার নিতে হলে চীনকেই যেহেতু নেবো তাই আমাদের এ বাজারের ভবিষ্যত খুবই ভালো। সাদেক বলেন,
1 Comment
পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শেয়ারে আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানির আইপিও আবেদনের আগামী ১৬ মে থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত। গত ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিএসইসির ৬২২তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় কোম্পানিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
জানা যায়, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আইপিওর মাধ্যমে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত অর্থ কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ভবন নির্মাণ এবং আইপিও খাতে খরচ করবে।৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২.৭৯ টাকা । এছাড়া, বিগত তিন বছরের অার্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) গড় হারে হয়েছে ১.৩১ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। পুঁজিবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেড শেয়ারে আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানির আইপিও আবেদনের আগামী ৩ জুন থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে আমান কটনের ইলেকট্রনিক বিডিং সম্পন্ন হয়। বিডিংয়ে ৪০ টাকা কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়। এর মধ্যে কাট অফ প্রাইসে যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (ইআই) কাছে ১ কোটি ২৫ লাখ শেয়ার ইস্যু করা হবে। আর কাট অফ প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ৩৬ টাকায় ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করবে কোম্পানিটি। পুঁজিবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড শেয়ারে আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানির আইপিও আবেদনের আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ৯ মে পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত কাট অফ প্রাইস ৮০ টাকায় ইলিজিবল ইনভেস্টরদের (ইআই) কাছে আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করবে বসুন্ধরা পেপার। তথ্যানুসারে, বসুন্ধরা পেপার পুঁজিবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে কাট অফ প্রাইস বা ৮০ টাকা দরে ১ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছে ১২৫ কোটি টাকায় ইস্যু করা হবে। বাকি ১ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ার কাট অফ প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে ৭২ টাকা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকায় বিক্রি করা হবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিও আবেদন গ্রহণ শুরু আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ; চলবে ১৮ এপ্রিল পর্27/3/2018 পুঁজিবাজারে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে; যা চলবে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পুঁজিবাজার থেকে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি, উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি কারখানা, প্রশাসনিক ভবন, গুদাম ও গ্যারেজ ভবন নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।
২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর বিএসইসির ৬১৩তম সভায় প্রাথমিক গণ প্রস্থাবের (আইপিও) অনুমোদন পায় কোম্পানিটি। এই আইপিও অনুমোদনের ৫ মাস পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সম্মতিপত্র পেয়েছে কোম্পানিটি। ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৬২ টাকা। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১১.৬৩ টাকা। আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের জন্য (আইপিও) ২৪টি কোম্পানি আবেদন করেছে। এর মধ্যে ১১টি কোম্পানি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এবং বাকি ১৩টি কোম্পানি স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আসতে আগ্রহী। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন করে আইপিওতে আসতে আবেদনকারা কোম্পানির মধ্যে বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নতুন করে আবেদন করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলো হলো- এসটিএস হোল্ডিংস (অ্যাপোলো হাসপাতাল) ৭৫ কোটি টাকা, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ৬০ কোটি টাকা, রানার অটোমোবাইলস ১০০ কোটি টাকা, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস ৭০ কোটি টাকা, ডেল্টা হসপিটাল ৫০ কোটি টাকা, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্টিজ ৪০ কোটি টাকা,শামসুল আলামিন রিয়েল স্টেট ৮০ কোটি টাকা, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট ১৫০ কোটি টাকা, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ১৫০ কোটি টাকা, এডিএন টেলিকম ৫৭ কোটি টাকা এবং লুব-রেফ বাংলাদেশ ১৫০ কোটি টাকা তুলবে কোম্পানিগুলো। অভিহিত বা স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলো হলো- ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের ৮ কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অবশিষ্ট ১৪ কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। পুঁজিবাজারে অব্যাহত পতনের কারণে আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেশি পতন হয়েছে। তারপরও লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের বিশেষ নজর রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ১৪ কোম্পানি হলো: বে-লিজিং, বিডি ফিন্যান্স, বিআইএফসি, ফারইস্ট ফিন্যান্স, ফাস ফিন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, মাইডাস ফিন্যান্স, প্রাইম ফিন্যান্স, ফিনিক্স ফিন্যান্স, পিপলস লিজিং, প্রিমিয়ার লিজিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটেল ও উত্তরা ফিন্যান্স লিমিটেড। অন্যদিকে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইতেমধ্যে জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা ৮ কোম্পানি হলো: ডিবিএইচ, জিএফসি ফিন্যান্স, আইডিএলসি, আইপিডিসি, ইসলামিক ফিন্যান্স, লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং ও ইউনাইটেড ফিন্যান্স লিমিটেড। পুঁজিবাজারে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের মোট শেয়ারের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। পাশাপাশি প্রত্যেক পরিচালকের (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত) ২ শতাংশ শেয়ারধারণ নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। ওটিসি বিভাগ ৬৫টি কোম্পানির মধ্যে ৫৪টি কোম্পানিকে এই নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে। ১১টি কোম্পানির কোনো হদিস না থাকায় তাদের চিঠি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেসব কোম্পানি তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৩টি কোম্পানির পরিচালকদের মোট পরিশোধিত মুলধনের ৩০ শতাংশের কম শেয়ার ধারণ রয়েছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- দেশের অন্যতম বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) প্রতিষ্ঠান ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণের জন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মূলধন উত্তোলন করতে সম্প্রতি ইস্যু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে কোম্পানিটি।
ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডকে যৌথভাবে ইস্যু ব্যবস্থাপনা সেবা দিতে ১৮ মার্চ চুক্তিবদ্ধ হয় আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (আইসিএমএল) ও জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (জেসিআইএল)। আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হকের উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ডিজিকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, জেসিআইএলের প্রধান নির্বাহী দীনা আহসান ও আইসিএমএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সোহেল রহমান। ওটিসি মার্কেটকে ঢেলে সাজাতে ‘ডেভেলপিং ওটিসি মার্কেট অব ডিএসই’ সংক্রান্ত কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার বিএসইসির ৬৩৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ওটিসি মার্কেটকে ঢেলে সাজাতে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য কমিশনের নিম্নবর্নিত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। উক্ত কমিটিকে আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ-কে আহবায়ক করে কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন নির্বাহী পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মো. মাহবুবুল আলম, ও পরিচালক মো.মনসুর রহমান (সদস্য সচিব)। শেয়ারনিউজ শেয়ারবাজার উন্নয়নে যতটুকু সম্ভব, ততটুকু অবদান রাখব। এক্ষেত্রে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সদ্য জয়ী পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছেন তিনি। ইমন বলেন, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন। আমাকে যারা সহযোগিতা করেছে সবাইকে ধন্যবাদ।
এদিকে নির্বাচনে পরাজিত আহমেদ ইকবাল হাসান বলেছেন, ডিএসই নির্বাচনে সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। আমি পরাজয় মেনে নিয়েছি। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের সামনে ভোট গনণা করা হয়। নির্বাচনে ২৫৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেছে ১৯৮ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছে। এর মধ্যে বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন পেয়েছেন ১২৭টি। অপর প্রার্থী আহমদ ইকবাল হাসান পেয়েছেন ৬৯টি ভোট পেয়েছেন। সঠিক প্রক্রিয়ায় ভোট না দেওয়ায় ১টি ভোট বাতিল হয়েছে। অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ অনুষ্ঠিত কমিশনের ৬৩৫তম জরুরি সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ডিএসইর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন দেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিএসইসি জানায়, চীনের শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়াম এমন কিছু শর্ত দিয়েছে যা পরিপালন করা বাংলাদেশ শেয়ারবাজারের স্বার্থ পরিপন্থি। যে কারণে বিএসইসি এ মুহূর্ত্বে চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদন দিতে পারছে না। মূলত ডিএসইর সঙ্গে চীনা কনসোর্টিয়ামের যে শেয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এসপিএ) রয়েছে সেখানকার বেশকিছু শর্ত রয়েছে যা ডিএসইর সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ পরিপন্থি। তবে এসব শর্ত উঠিয়ে যদি ডিএসই পুনরায় সংশোধন করে আবেদন করতে পারে সেক্ষেত্রে কমিশন সে বিষয়ে বিবেচনা করবে। এক্ষেত্রে বিএসইসি’র নির্দেশনা হলো: এসিআই লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি (অধীনস্থ) প্রতিষ্ঠান এসিআই মটরস বাংলাদেশে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে যাচ্ছে। যার ফলে এসিআই মটরসের বার্ষিক ৫০০ কোটি টাকা আয় হবে। এর মাধ্যমে এসিআই লিমিটেডের প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকা আয় হবে।
সম্প্রতি এসিআই মটরস লিমিটেড কর্তৃক বাংলাদেশে ইয়ামাহার মোটরসাইকেল উৎপাদনের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এসিআই মটরস বাংলাদেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনের জন্য জাপানের কোম্পানি ইয়ামাহা মটরস কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মটরসাইকেল উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণ সিকেডি এসেম্বলিং প্রকল্প করবে। প্রতি বছর ৫০ হাজার পিস মোটরসাইকেল উৎপাদন করা হবে। প্রকল্পটি থেকে বছরে আয় হবে ৫০০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এসিআই মটরসে ৬৭.৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক এসিআই লিমিটেড। শেয়ারনিউজ পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের আইপিও আবেদন আজ ১৮ মার্চ থেকে শুরু হবে। যা চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬২৪ তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে এ অর্থ উত্তোলন করবে। উত্তোলিত টাকায় এলপিজি বোতলজাতকরণ ও ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যান্ট স্থাপন এবং আইপিও সংক্রান্ত খাতে ব্যয় করবে। গত ৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৩ টাকা। আর ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.৮৭ টাকা। এদিকে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৩৩ টাকা। একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৩.৯১ টাকা যা ৩০ জুন ২০১৭ শেষে ছিল ১৩.৮৭ টাকা। শেয়ার প্রতি কার্যকর নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৫৪ টাকা। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের এককভাবে প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ০.৭৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.০৫ টাকা। এনএভি হয়েছে ১১.২৩ টাকা এবং এনওসিএফপিএস হয়েছে ০.২২ টাকা। উল্লেখ্য, কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে এএফসি ক্যাপিট্যাল ও এশিয়ান টাইগার ক্যাপিট্যাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। শেয়ারনিউজ পুঁজিবাজারে বিদ্যমান সংকট থেকে উত্তোরণের দাবি নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে মানববন্ধন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজার স্থিতিশীলতায় অনতিবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট থেকে বেরি আসতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি),বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে একযোগে কাজ করার আহবান জানানোর পাশাপাশি ৯টি দাবি জানানো হয়। সংকট থেকে উত্তোরণের বিনিয়োগকারীদের ৯ প্রস্তাব : - পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনকে বিদ্যমান তহবিল সংকটেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগযোগ্য তহবিল সংকট কাটাতে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তারা।
অব্যাহত দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল লেনদেন শেষ হওয়ার পর ডিএসই বোর্ডরুমে জরুরি বৈঠক করেন ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা। শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক ও বিএমবিএ সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন - 'Read More' ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আগামি ৮ এপ্রিল আবেদন শুরু হবে। যা চলবে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত বছরের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬১৩তম নিয়মিত সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিও’র মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ার শুধুমাত্র অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করে ২ কোটি শেয়ার ইস্যু করা হবে। আর উত্তোলিত অর্থ দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও সংক্রান্ত খাতে ব্যবহার করা হবে। বিজনেস আওয়ার পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে আবেদন সংগ্রহ করা অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেডের আইপিও লটারির ড্র আগামী ১৩ মার্চ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তন, রমনা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২.৪৫ টাকা। এছাড়া, বিগত চার বছরের অার্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) গড় হারে হয়েছে ০. ৯১ টাকা। এদিকে প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’১৭) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শতভাগ বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং ইপিএস হয়েছে ০.৩৪ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা ছিল ৭৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ০.১৭ টাকা। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২.৭৯ টাকা। যা ৩০ জুন, ২০১৭ শেষে ছিল ১২.৪৫ টাকা। এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৬২ টাকা। শেয়ারনিউজ সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের লেনদেন আগামীকাল ১৩ মার্চ, মঙ্গলবার শুরু হবে। ওইদিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটি “এন” ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করবে। ডিএসইতে কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হবে “QUEENSOTH”। আর ডিএসই কোম্পানি কোড হবে ১৭৪৭৬।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির লটারিতে বরাদ্দ প্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গ্রহণ করা হয়। তার আগে গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নিয়মিত কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। আইপিও’র মাধ্যমে, কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয় ১ টাকা ৪২ পয়সা। এসময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৬ টাকা ২০ পয়সা। অর্থসূচক সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের লেনদেন আগামী ১৩ মার্চ, মঙ্গলবার শুরু হবে। ওইদিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটি “এন” ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হবে “QUEENSOUTH”। আর ডিএসই কোম্পানি কোড হবে ১৭৪৭৬।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির লটারিতে বরাদ্দ প্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটি লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গ্রহণ করা হয়। তার আগে গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নিয়মিত কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। জাহিন স্পিনিং লিমিটেডের রাইট শেয়ার অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যাণ্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বুধবার কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটি ১ টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১ টি রাইট শেয়ার অর্থাৎ ১:১ অনুপাতে ইস্যু করতে পারবে। ৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টি সাধারণ শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে বাজারে ছাড়ার অনুমোদন পেয়েছে।
৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা বাজার থেকে উত্তোলন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ, চলতি মূলধন এবং আংশিক ঋণ প্ররিশোধ করবে। রাইটস শেয়ার ডকুমেন্ট (৩০ জুন,২০১৭) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ১ টাকা ৩৯ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১৪ টাকা শূন্য ৭ পয়সা। উল্লেখ, উক্ত রাইটস শেয়ার ইস্যুর ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে জিএসপি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড। অর্থসূচক বেশ কয়েকটি সরকারি কোম্পানির শেয়ার অফলোডের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। গতকাল বরিশালে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সম্মেলনের আয়োজন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমির হোসেন আমু বলেন, পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুবিধাজনক মাধ্যম। ব্যবসা পরিচালনার জন্য এখান থেকে কম খরচ ও ঝুঁকিমুক্তভাবে সহজ শর্তে অর্থ উত্তোলন করা যায়। পুঁজিবাজারের অর্থায়নে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সম্প্রসারণেও পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বেশ কয়েকটি সরকারি কোম্পানির শেয়ার অফলোডের প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পুঁজিবাজার দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার ইঙ্গিত বহন করে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার হিসেবে শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পাঠানো চিঠির জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ডিএসই। আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে জবাব পাঠানো হবে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকালে ডিএসইর নিয়মিত পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৌশলগত অংশীদারসংক্রান্ত কোনো এজেন্ডা না থাকলেও এ বিষয়ে বিএসইসির ব্যাখ্যা তলবের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চিঠির জবাব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে আবেদন সংগ্রহ করা ওষুধ ও রসায়ন খাতের অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেডের আইপিও লটারির ড্র আগামী ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানির আইপিও লটারীর ড্র আগামী ১৩ মার্চ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তন, রমনা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। পুৃঁজিবাজারের তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া কুইন সাউথের শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বেনিশিফিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি, বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়ার জন্য ১ ফেব্রুয়ারি লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। আর ৭ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬২ গুণ এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৯৭ হাজার আবেদন জমা পড়ে। |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
November 2024
Categories |