midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্মল-ক্যাপ বোর্ড আজ উদ্বোধন করা হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর প্যান পেসিফিক সোনার গাঁ হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি, এফসিএ স্মল-ক্যাপ বোর্ডের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, স্বল্প ও মাঝারি মূলধনী কোম্পানিগুলো এখানে লেনদেন করবে। স্মল ক্যাপিটাল বাজারের জন্য ইতোমধ্যে দেশী-বিদেশী ১০টির মতো কোম্পানি আবেদন করেছে। আগামীকাল অর্থমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর কোম্পানিগুলোর সাথে সাইনিং করা হবে। এর আগে বিএসইসির ৬৬৬ তম কমিশন সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রুলস-২০১৮ এর উপর কতিপয় পরিবর্তন ও পরিমার্জন সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কমিশন। জানা গেছে, বিএসইসির ৬৪২তম কমিশন সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রুলস-২০১৮ এর খসড়া অনুমোদিত হয়। কমিশনে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ খসড়াটির উপর জনমত যাচায়ের নিমিত্তে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। প্রাপ্ত জনমত যাচাই বাছাইপূর্বক এই রুলসের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
0 Comments
এখন থেকে পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার কম হলে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে শেয়ার ছাড়তে পারবে না কোনো কোম্পানি। এই শর্তটি নির্ধারিত মূল্যের (Fixed Price) আইপিওর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আর বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর ক্ষেত্রে ন্যুনতম মূলধন হতে হবে ১০০ কোটি টাকা। ২৯ এপ্রিল সোমবার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া আইপিওতে আসতে হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সব পরিচালকের ন্যুনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। আর সম্মিলিতভাবে থাকতে হবে ৩০ শতাংশ শেয়ার। বর্তমানে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানিতে পরিচালকদের ন্যুনতম ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে উদ্যোক্তাদের (Sponsor) ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই, তাদের জন্য আলাদা একটি ক্যাটাগরি চালু করবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, যাতে বিনিয়োগকারীরা সহজেই কোম্পানিগুলো চিনতে পারে।
অন্যদিকে এখন থেকে তালিকার বাইরে থাকা কোনো কোম্পানির মূল্যধন বৃদ্ধির (Capital Raising) জন্য বিএসইসির কোনো অনুমোদন লাগবে না। কোম্পানিগুলো তাদের মূলধন নিজেদের সিদ্ধান্তেই বাড়াতে পারবে। মূলধন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় শেয়ার ইস্যু করতে পারবে। এই শেয়ারের ওপর ৩ বছরের লক-ইন থাকবে। পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরুর দিন থেকে এই লক-ইনের মেয়াদ গণনা শুরু হবে। জানা গেছে, প্লেসমেন্ট তথা আইপিওর আগে মূলধন বাড়ানোর লক্ষ্যে শেয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে অরাজকতা ও অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএসইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে বিএসইসিকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আলোকে আজ বিএসইসি স্টেকহোল্ডারদের জরুরি বৈঠক ডেকে তাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো: সাইফুর রহমান অর্থসূচককে বলেন, স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শের আলোকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি মোঃ শাকিল রিজভী অর্থসূচককে বলেন, খুবই সফল বৈঠক হয়েছে। বিএসইসি আমাদের প্রায় সব প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন অর্থসূচককে বলেন, প্লেসমেন্ট বন্ধ ও আইপিও সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে পুঁজিবাজার সম্ভাব্য সংকট থেকে বেঁচে গেল। তিনি বলেন, এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে বাজারে কিছু ইতিবাচক বার্তা যাবে। তার কিছু প্রভাবও দেখা যাবে আশা করি। সোমবারের বৈঠকে বোনাস শেয়ারেরর ব্যাপারেও বিএসইসি কিছুটা কঠোর অবস্থানের কথা জানায়। আগামী দিনে বোনাস শেয়ার দিতে হলে আগে মূল্য সংবেদনশীল থ্য (পিএসআই) প্রকাশ করতে হবে। বৈঠকে জানানো হয়, কিছুদিনের মধ্যেই বন্ড ইস্যু সংক্রান্ত স্ট্যাম্প ডিউটির জটিলতার অবসান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আর এটি হলেই একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট কার্যক্রম শুরু করবে। http://www.arthosuchak.com পুঁজিবাজারে থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন পাওয়া কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও ) লটারির ড্র আগামী ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হবে।। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন কোম্পানিটির আইপিও লটারির ড্র সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত এজিবি কলোনীতে অনুষ্ঠিত হবে। তথ্যমতে, কোম্পানিটি ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। বাজার থেকে পুঁজি উত্তোলন করে কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি ক্রয় স্থাপনে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ভবন ও সিভলি ওয়ার্কে খরচ হবে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আইপিও ফান্ড পাওয়ার ১২ মাসের মধ্যে প্রজেক্টের কাজ শেষ করা হবে। আর আইপিও বাবদ খরচ হিসাব করা হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা হিসাব করে। শেয়ারপ্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ০৬ পয়সা। কোম্পানিটি ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৫৩ হাজার ২৪২ টাকার পণ্য বিক্রি করে কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা করেছে ৪ কোটি ১০ লাখ ১৭ হাজার টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা০২ পয়সা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬৭০তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়।গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তারা আইপিও কনসেন্ট লেটার (সম্মতি পত্র) পায়। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এমটিভি ক্যাপিটাল লিমিটেড। অর্থসূচক/ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আসছে অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য অবশ্যই প্রণোদনা থাকবে। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজারের ক্রুটি-বিচ্যূতি দূর করে শক্তিশালী বাজার গঠন করতে বাজেটেই বিস্তারিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার জাতীয় সংসদের সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ এর সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমরা সবাই জানি একটা দেশের অর্থনীতি যতই শক্তিশালী হোক তার প্রথম প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই পুঁজিবাজারে। পৃথিবীর সব দেশেই এভাবে পুঁজিবাজার আর অর্থনীতি সম্পৃক্ত থাকে। আমাদের দেশের অর্থনীতি অত্যান্ত চাঙ্গা, অত্যন্ত শক্তিশালী। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফর সঙ্গে আমি একাধিক মিটিং করেছি। সেখানেও তারা আমাদের গতিশীলতা দেখে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। মুস্তফা কামাল বলেন, আমি বিশ্বাস করি পুঁজিবাজারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে আমাদের এই এগিয়ে যাওয়া থমকে যাবে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার এখন নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেই আমি সেটাও বলবো না। পুঁজিবাজারে যে সকল সমস্যা আছে আমরা সেগুলো চিহ্নিত করেছি। সবগুলো সমস্যা এক এক করে সমাধান করব। মাননীয় স্পিকার আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে সরকার পুঁজিবাজার নিয়ে যত্নশীল। আমি নিজেও পুঁজিবাজারের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে এক-দুই দফা মিটিং করেছি। আরো মিটিং করবো। অন্যান্য আট-দশটি দেশে পুঁজিবাজার যেভাবে চলে, সেভাবে চালানোর চেষ্টা করবো। তবে যেসব জায়গায় বিচ্যুতি আছে সেগুলো আমরা অবশ্যই দূর করবো। মুস্তফা কামাল বলেন, পুঁজিবাজার আর আমাদের অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক। সুতরাং আমি আগেই বলেছি বাজেটে পূঁজিবাজারের জন্য অবশ্যই প্রণোদনা থাকবে। তবে কতটা থাকবে তা এই মূহুর্তে বলতে পারবো না। পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ভাবে চালানোর জন্য যা কিছু দরকার, বাজেটে অবশ্যই আমরা তার ব্যবস্থা করবো। শেয়ারনিউজ24 সিংহ বনাম ছাগলের বাচ্চা! অর্থমন্ত্রীর এই উক্তি নিয়ে নানান রকম আলোচনায় সয়লাব সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু কত জন উক্তিটির গভীরে প্রবেশ করেছ? অর্থ মন্ত্রী সঠিক কথাই বলেছেন। এ মুহূর্তে পুঁজিবাজারে ৫০ কোটি নয়, যদি পাঁচ লাখ কোটি টাকাও দেয়া হয় তাহলেও শেষ হয়ে যাবে। (২৫ এপ্রিল ২০১৯, ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য, সূত্র- পত্রিকা)
## সর্বদা বলা হয় পুঁজি বাজার ঝুঁকিপূর্ণ, বুঝে শুনে বিনিয়োগ করুন। কিন্তু কথাটি আমরা কতটুকু মানি? এটি যে সিগারেটের প্যাকেটের উপর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিষয়ক লেখার মত। ধূমপানের কারনে ক্যান্সার হয় কিন্তু কেউই সেই দিকে মনোযোগ দেয় না। ## ১ লা জানুয়ারি হতে মাত্র কয়েকদিনে যখন বাজার টানা ৬০০/৭০০ পয়েন্ট বাড়তে দেখা গেল তখন মানুষের চোখে মুখে যত আনন্দ ছিল এখন যখন মাস ব্যাপী সময় নিয়ে সমপরিমান ইনডেক্স হ্রাস পেয়েছে, তখন সেই সব মানুষের চোখে মুখে ব্যাথার তীব্রতা অনেক বেশী। কিন্তু কেন? ## সিংহ সারাদিন দৌড়ে বেড়ায় না, যেমনটি করে ছাগলের বাচ্চা। শিকারের আগে সিংহ চুপ করে বসে থাকে আর চোখ রাখে তার শিকারের উপর। পক্ষান্তরে ছাগলের বাচ্ছা তিরিং বিরিং করে লাফিয়ে চলে কোন দিকে লক্ষ্য না রেখেই। ## সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে আপনার আচরণ কেমন? আগে নিজের কাছে প্রশ্ন করেন। একটু সহজ করেই বলি। যখনই ফেসবুকে কেউ আইটেম দেয় তখন আপনারা ইনবক্সে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। কিন্তু আপনি যদি বাজারে টিকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে শিখতে হবে, জানতে হবে। বাঁচতে হলে, জানতে হবে। ## Buenos Aires Stock Exchange এর Merval Index গত দিন ১,১৮০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে যা তোমাদের ডিএসইএক্স ইনডেক্স ২ মাস ধরেও হ্রাস পায়নি। এখন কি তাহলে তারা কান্নাকাটি করে সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে। না, কখনোই না। ইদানিং ইন্ডিয়ার BSE Sensex নিয়ে অনেক বেশী কথা হচ্ছে অথচ সেটিও গতদিন ৩২৩ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। বিজ্ঞ জ্ঞানীরা এখন কি বলবে? প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জ(৫,৫৬৫) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(৫,২৬৬) এর ইনডেক্স এর মান খুব কাছকাছি তার মানে তো এই নয় যে ঢাকা প্যারিসের সমতুল্য! তাহলে ইন্ডিয়ার বাজার ৩৯ হাজারে গিয়েছে, এটি নিয়ে এতো হা হুতাশ কেন? ## “হোয়াট গোজ আপ, মাস্ট কাম ডাউন” আর “হোয়াট গোজ ডাউন অ্যান্ড সারভাইভ, মাস্ট কাম আপ এগেইন”— স্পেকুলেটিভ বাজারে এ দুটি মন্ত্র খুবই শক্তিশালী। বাজারকে যারা বিশ্লেষণী চোখে দেখেন, তাদের একটি বড় অংশই বিশ্বাস করেন “নাথিং নিউ আন্ডার দ্য সেইম সান”। প্রায় সবাই বিশ্বাস করেন “হিস্টোরি টেন্ডস টু রিপিট।” আমরাও দেখছি, সফল কর্মকৌশলের পুনরাবৃত্তি শত শত বছর ধরে মুনাফার মেশিন হিসেবে কাজ করে। ## বাজারে দুটি পক্ষ রয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ দুটি পক্ষের মধ্যে এক পক্ষ সিংহ অপরটি ছাগলের বাচ্চা। এ দুটোকে এক করা সম্ভব নয়। হয় পুঁজিবাজার নিজ থেকে ভালো হবে, না হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা তো অবশ্যই নিতে হবে, সেই সাথে বিনিয়োগকারীদেরকেও বুজতে হবে সে আগুনে হাত দিচ্ছে নাকি বরফে হাত দিচ্ছি। নিজের টাকা বিনিয়োগের আগে নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিনিয়োগের পরে যারা অন্যকে দোষারোপ করে এবং অন্যের কাছে আইটেম খুঁজে বেড়ায় তারা সারা জীবন ছাগলের বাচ্চা হয়েই ঘুরে বেড়াবে এবং সিংহের খাবারে পরিণত হবে। ## তাহলে এটি থেকে পরিত্রানের উপায় কি? উপায় খুব সহজ। বাজার নিয়ে একটি উদাহরন দিচ্ছি: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ইনডেক্স ছিল ৫,২৩৪ এবং মার্কেট ক্যাপিটালাইজেসন ছিল ৩৭৮৮৩৪ কোটি। পক্ষান্তরে ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মার্কেট ইনডেক্স ছিল ৫,২৪০ এবং মার্কেট ক্যাপিটালাইজেসন ছিল ৩৮৯২৮৪ কোটি। অর্থাৎ ইনডেক্স একই জায়গায় থাকলেও বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে সমস্যাটি কোথায়? এতো হা-হুতাশ কেন? যারা মনে করে আজকে কিনে আগামীকাল প্রফিট করবো, যেমন ২০১০ সালে করেছিলাম, তারা আসলে শুধু ছাগলের বাচ্চা নয়, ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। ## আস্থা রাখেন নিজের উপর। এই খারপ বাজারেও গত এক সপ্তাহে ( ১১ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল সময়ে) বেশ কিছু শেয়ারে সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাপিটাল গেইন করেছে বিনিয়োগকারীরা। এখন নিশ্চয়ই বলতে চাইবেন যে উক্ত সময়ে বেশ কিছু শেয়ারে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লোকসান করেছে বিনিয়োগকারীরা। এটি নিয়ে কেন কথা হচ্ছে না? কারন আপনি যুদ্ধ করতে এসেছেন। যুদ্ধে শুধু মাত্র বিজয়ীর নামে ফুলের মালা গাঁথা হয়। তুমি কেন সিংহের গতিবিধি আগে থেকে বুঝতে পারবে না, তুমি কেন ভালো ভাবে বিনিয়োগ শিক্ষায় দিক্ষিত হবে না। সবাই রেডি মেড জিনিস পেতে পছন্দ করে। তাদের ক্ষুধা অনেক বেশী আর একারনেই দিন শেষে তারা ব্যবহৃত হয় সিংহের ক্ষুধা নিবৃত্তের কাজে। ধরা পরে ইনবক্স কিংবা পেইড পার্টির কাছে। ## পরিশেষে একটি উপদেশ দিয়ে আজকের লেখা শেষ করতে চাই। Bull and bear can make profit, only pigs are slaughtered. এখন নিজেকেই নিজে প্রশ্ন কর, তোমার অবস্থান কোথায়? ছাগল কখনোই সিংহের বন্ধু হয় না। হয়তো তোমাকে এখনো খায় নি কারন তার হাতে পর্যাপ্ত শিকার রয়েছে। কিন্তু কে বলতে পারে যে পরের বার তোমার দিকে তার নজর যাবে না? ## নিজেকে প্রশিক্ষিত কর আর যুদ্ধে হারিয়ে দাও সিংহকে নতুবা সিংহরা হুঙ্কার দিয়ে যাবে বারংবার.... - শমরিতা শমি শেয়ারনিউজ24 অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে আবারও বৈঠক ডেকেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এবার বৈঠক হবে ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ এবং শীর্ষ ২০ ব্রোকারকে নিয়ে। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএসইসির পক্ষ থেকে আমন্ত্রিতদের বৈঠকের আলোচ্য সূচি না জানানো হলেও সংশ্নিষ্টরা জানান, পুঁজিবাজারের চলতি দরপতন নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হবে। বরাবরের মতো দরপতনের কারণ খোঁজা হবে। পাশাপাশি দরপতন বন্ধে করণীয় নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হবে। টানা ১৩তম সপ্তাহে দরপতনের প্রেক্ষাপটে আজকের এ বৈঠক হতে যাচ্ছে বলে সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন। বৈঠকে ২০ ব্রোকারেজ হাউসের সিইওরা ছাড়াও ডিবিএর সভাপতি শাকিল রিজভী, সহসভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন ও রিচার্ড ডি রোজারিও অংশ নেবেন। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি দরপতন দীর্ঘ পতনের রেকর্ড গড়েছে। ২০০৪ সালের পর থেকে গত ১৫ বছরে টানা সর্বোচ্চ ১১ সপ্তাহ দরপতন হয়েছিল ২০০৮ সালের জুন থেকে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। ওই দরপতনে তৎকালীন প্রধান মূল্য সূচক ডিএসই জেনারেল (ডিজেন) ৪৯২ পয়েন্ট বা সাড়ে ১৫ শতাংশ কমেছিল। চলতি দরপতনে এখনকার মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৪৫ পয়েন্ট বা সাড়ে ১২ শতাংশ। জানতে চাইলে ডিবিএর সভাপতি বলেন, চলতি দরপতনের কারণ অনেক। একদিকে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বাজার টানা কয়েক সপ্তাহ বেড়েছিল। এ সুযোগে অনেকে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিয়েছেন, যা পরে বিনিয়োগ হয়নি। এরপর ব্যাংকের সুদহার হঠাৎ করে বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারবিমুখ করে। কিছু কোম্পানি ভালো ব্যবসা করতে না পারায় ভালো লভ্যাংশও দিতে পারেনি। এরও নেতিবাচক প্রভাব আছে। ডিবিএ সভাপতি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে একের পর এক আইপিও বাজারে এসেছে। সমস্যা এটা নয়, সমস্যা হলো- কোম্পানিগুলো আইপিও প্রক্রিয়ায় যত শেয়ার বিক্রি করেছিল, তার কয়েকগুণ বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায়। লক-ইন সময় শেষ হতেই প্লেসমেন্ট হোল্ডাররা তাদের শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। এতে ক্রমাগত তারল্য সংকট তৈরি হচ্ছে। নতুন বিনিয়োগকারী বা বিনিয়োগ আসছে না, কিন্তু বাজার থেকে টাকা চলে যাচ্ছে। এটাকেই বাজারের প্রধান সংকট বলে মনে হচ্ছে। এর সমাধান না হলে বাজার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আশা দেখছেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেয়ারনিউজ24 পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫০ প্রতিষ্ঠান। রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবারও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশকিছু কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছিল। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এক্সিম ব্যাংকের বোর্ড সভা ২৫ এপ্রিল, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হতে পারে। পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফেরানো এবং এই বাজারের উন্নয়নে আসন্ন জাতীয় বাজেটে বেশ কিছু আর্থিক প্রণোদনা থাকবে। সব প্রণোদনাই হবে মূলত কর সংক্রান্ত। সোমবার পুঁজিবাজার ইস্যুতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এই আশ্বাস দিয়েছেন।
বিএসইসিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, কমিশনার প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা ও বিচারপতি কামালুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। এর মধ্যে কিছু বিষয়ের প্রতিফলন আগামী অর্থবছরের বাজেটেই থাকবে। বাজারকে আরও শক্তিশালী করা, এর ব্যাপ্তি বাড়ানো, আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে এই বাজারে সম্পৃক্ত করা, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুবিধা ইত্যাদি বিবেচনা করে বাজেটে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর-ছাড় দেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে লভ্যাংশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আগাম আয়কর (Advance Income Tax-AIT) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হতে পারে। উল্লেখ, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া কক্সবাজারে অবস্থিত পাঁচ তারকা মানের রয়েল টিউলিপ ফ্রাঞ্চাইজ সি পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’র আইপি আবেদন মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু। যা চলবে ৬ মে পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সিেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৭৬তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। জানা গেছে, সি পার্ল শেয়ারবাজারে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এ জন্য প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনযোগ্য ১৫ কোটি টাকার মধ্যে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ২৭ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে হোটেলের ১৫৭টি রুমের আসবাবপত্র ক্রয় ও ফিনিশিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া ২ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে জমি ক্রয় ও ১ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে আইপিও ব্যয় নির্বাহ করা হবে। সি পার্লের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। যা শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হিসাবে হয়েছে ০.৬৭ টাকা। কোম্পানিটিতে ২০১৮ সালের ৩০ জুন নিট শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০.৪৮ টাকা। আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ২২ এপ্রিল সোমবার লেনদেন বন্ধ থাকবে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আগামী ২২ এপ্রিল পবিত্র শবে বরাত। আর এদিন দেশের সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এরই অংশ হিসেব দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেও বন্ধ থাকবে। আগামী ২৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট খুলতে টিআইএন বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর)।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের সিনিয়র তথ্য অফিসার সৈয়দ এ মু মেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন যে পদ্ধতিতে বিও খোলা যায়, সামনেও সেই একই পদ্ধতিতে বিও খোলার সুযোগ থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, এনবিআরের চেয়ারম্যান স্টক এক্সচেঞ্জের নির্বাহী পরিচালককে জিজ্ঞাসা করেছিল শেয়ারবাজারে বিও অ্যাকাউন্ট খোলায় জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক কিনা? সেই বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রে লেখা হয় শেয়ারবাজারে বিও অ্যাকাউন্ট করতে বিনিয়োগকারীদের টিআইএন বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে। যা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, প্রাক-বাজেট আলোচনায় টিআইএন নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। আজ এনবিআর তা পরিষ্কার করে দিয়েছে। এটি নিয়ে বাজারে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। যা কারো কাম্য ছিল না। বিষয়টি পরিষ্কার করায় এনবিআরকে ডিএসইর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ইনফিনিটি টেকনোলজি ইন্টারন্যাশনালের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদন বাতিল করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা গত ১৯ মার্চ বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. ফারুক হোসাইন সাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ইনফিনিটি টেকনোলজি ও ইস্যু ম্যানেজার আইআইডিএফসি ক্যাপিটালকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, আবেদন করলেই যে আইপিও অনুমোদন পাওয়া যায় না, ইনফিনিটি টেকনোলজির মাধ্যমে বিএসইসি সেটা প্রমাণ করল। বাজারের স্বার্থে বিএসইসির এমন উদ্যোগ স্বাগত জানানোর মতো। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা। এর আগে ২০১৮ সালের মে মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সভায় ইনফিনিটি টেকনোলজির আইপিও বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়। যা পরবর্তীতে বিএসইসিকে লিখিতভাবে জানানো হয়। শেয়ারবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে গত বছরের ১২ এপ্রিল ইনফিনিটি টেকনোলজির আইপিও আবেদন করে আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল। তবে এই পক্রিয়া চলমান থাকাকালীন সময়েই চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ৯ কোটি টাকার বোনাস শেয়ার ইস্যু করার জন্য বিএসইসিতে আবেদন করা হয়। যা পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ এর ৩(২)(সি) লংঘন। যে কারনে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ড্রাফট প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, আইপিও আবেদনের আগে ইনফিনিটি টেকনোলজি থেকে ৩ দফায় প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ১০ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করা হয়। যা কোম্পানিটির আইপিও বাতিলের মাধ্যমে আটকে গেল। বর্তমানে ইনফিনিটি টেকনোলজিতে ৩০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। এরমধ্যে প্লেসমেন্টে ইস্যুর পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। যারমধ্যে ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ১ কোটি টাকার, ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার ও একই বছরের ১৬ এপ্রিল ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হয়েছিল। https://businesshour24.com/mobile/article/36914 পুঁজিবাজারে আসতে চায় নতুন প্রজন্মের ব্যাংক সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেড। পুঁজিবাজারে আসার জন্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকটিকে পুঁজিবাজারে আনতে রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
সূত্র মতে, ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ চুক্তি করেছে। চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেছে এসবিএসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোঃ গোলাম ফারুক এবং আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিঃ এর সিইও (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ সোহেল রহমান। জানা গেছে, ব্যাংকটি ফিক্সট প্রাইস পদ্ধতিতে বাজারে আসতে চায়। ব্যাংকটি আইপিও’র মাধ্যমে বাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা তুলতে চায়। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। উল্লেখ, ২০১৩ সালে চালু হওয়া সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৫৬৫ কোটি টাকা। শেয়ারনিউজ24 গত কয়েকদিন যাবত ধারাবাহীকভাবে সূচক কমছে পুঁজিবাজারের। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে লেনদেনও। এই অবস্থায় বাজারে গুজব চলছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) শেয়ার বিক্রির প্রভাবে এমন হচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে ভিন্ন কথা।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য একটি তহবিলে চেয়ে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাজার পতনের পেছনে অন্যতম কারণ হলো বিনিয়োগকারী আস্থহীনতা। এমন্ত অবস্থায় বাজারকে সাপোর্ট দেয়ার বিকল্প নেই। এই জন্য ফান্ড প্রয়োজন। বাজারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি ফান্ড চেয়েছে আইসিবি। শেয়ারনিউজ24 |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2024
Categories |