midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিসের সাথে বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। চুক্তি অনুযায়ী জেনেক্স ইনফোসিস মোবাইল ডিভাইস ব্যবসা করবে।ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, কোম্পানিটি সারাদেশে বাংলালিংকের সেলস এবং সার্ভিস পয়েন্টে মোবাইল সেবা পৌঁছে দিতে এই চুক্তি করেছে। কোম্পানিটি গ্রাহকদের সুবিধার্থে সারাদেশে মোবাইল ব্রান্ড, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, আনুসঙ্গিক এবং শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেবে বাংলালিংকের মাধ্যমে।
কোম্পানিটি আশা করছে মোবাইল ডিভাইস ব্যবসার মাধ্যমে বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে।
0 Comments
দেশের সিমেন্ট শিল্পের জন্য একটি সুখবর দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান আগাম আয়কর (Advance Income Tax-AIT) ২ শতাংশ কমানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর ফলে প্রচণ্ড আর্থিক চাপে থাকা সিমেন্ট খাত একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পাবে। এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ অগ্রীম আয় কর বা এআইটি দিতে হয়, যা সমন্বয়যোগ্য নয়। এটি ২ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছে এনবিআর। গত ১৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তাতে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত চাওয়া হয়েছে। আর তার জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে কোনো পরামর্শ বা কারো যৌক্তিক কোনো আপত্তি থাকলে এনবিআর তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করবে। তা না হলে এটি প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে। উল্লেখ, সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই ৫ শতাংশ এইআইটি প্রযোজ্য ছিল। তবে ওই কর কোম্পানির বার্ষিক করের সঙ্গে সমন্বয়েরও সুযোগ ছিল। কিন্তু চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যমান করটিকে অসমন্বয়যোগ্য বা চুড়ান্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে গত কয়েক মাস ধরে দেশের বাজারে নির্মাণ উপকরণের চাহিদা কমে গেছে। এই বিপরীতমুখী দুটি বিষয় প্রচণ্ড চাপে ফেলে দেয় সিমেন্ট শিল্পকে। কোম্পানিগুলোর মুনাফায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সবগুলো কোম্পানির মুনাফা কমে যায়। ছোট কোম্পানিগুলোর অবস্থা হয়ে উঠে নাজুক। এগুলোর কোনো কোনোটি লোকসানের কবলে পড়ে। দেশের পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতের ৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সবগুলো কোম্পানির পারফরম্যান্সই ছিল আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে খারাপ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) প্রেসিডেন্ট ও এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের (ক্রাউন সিমেন্ট) ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর কবির গত ১ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিমেন্ট শিল্পের নাজুক অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি এই খাতের কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রীম আয় কর বা এআইটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার দাবি জানান। এর প্রেক্ষিতে এনবিআর বিষয়টি পর্যালোচনা করে ২ শতাংশ কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের (ক্রাউন সিমেন্ট) ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর কবির প্রজ্ঞাপনটির বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় অর্থসূচককে বলেন, সিমেন্ট শিল্পের নাজুক অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা ৫ শতাংশ অগ্রীম আয় করের পুরোটাই প্রত্যাহার চেয়েছিলাম। এনবিআর এটি ২ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে বুঝা যাচ্ছে এনবিআর এবং সরকার সিমেন্ট শিল্পের গুরুত্ব এবং বর্তমান সংকটের বিষয়টি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। এ জন্য আমরা তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তবে এই শিল্পে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ২ শতাংশ অগ্রীম আয় কর প্রত্যাহার মোটেও পর্যাপ্ত নয়। কারণ ৩ শতাংশ অগ্রীম আয় কর চুড়ান্ত দায় কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। তাছাড়া বিষয়টি আয়করের দর্শন পরিপন্থী। এটি বিশ্বে প্রচলিত আয়কর আইনের সঙ্গে, এমনকি বাংলাদেশের আইনের সঙ্গেও অসঙ্গতিপূর্ণ। ব্যবসার লাভ-লোকসান নিরুপন হওয়ার আগে আয় কর দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই আইনসঙ্গত হতে পারে না। তাই আমরা পুরো অগ্রীম আয়কর প্রত্যাহারে আবারও দাবি জানাই। আইটি খাতের কোম্পানি এডিএন টেলিকমের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সিডিবিএলের মাধ্যমে কোম্পানিটির লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারেীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর কোম্পানিটির লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কোম্পানিটি ৪ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ সম্পন্ন করেছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আইপিওতে শেয়ারের ইস্যু মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ২৭ টাকা। সূত্র মতে, কোম্পানির অর্থ উত্তোলনের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইস্যু মূল্য নির্ধারণের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের বিডিং এর অনুমোদন প্রদান করা হয়েছিল। যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিং এর মাধ্যমে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার ৩০ টাকায় প্রান্ত-মূল্য নির্ধারণ করে। সে অনুযায়ী ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার সাধারণ শেয়ার ৩০ টাকা মূল্যে যোগ্য বিনিয়োগকারী ও ২৭ টাকা মূল্যে (আট-অফ মূল্য থেকে ১০ শতাংশ বাট্টায়) ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি সাধারণ শেয়ার সাধারণ বিরিয়োগকারীর (অনিবাসী বাংলাদেশীসহ) নিকট ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। পুঁজিবাজার থেকে এডিএন টেলিকম ৫৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার ৩০ টাকা দরে বিক্রি করে ৩৫ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হবে। বাকি ২১ কোটি ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯৮২ টাকা সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ার ২৭ টাকা দরে বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে কোম্পানিটি ভৌত কাঠামো উন্নয়ন, ডাটা সেন্টার স্থাপন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১৩ পয়সা এবং ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। শেয়ারপ্রতি বেসিক মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সমন্বিত মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। অপরদিকে কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরের সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮০ পয়সা এবং বেসিক শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। অর্থসূচক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বাটা সু’র পরিচালনা পর্ষদ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’১৯) ৯ মাসের ব্যবসায়ে সফলতার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২৫ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২৪.০৬ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬০.৬৭ টাকা। লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ জানুয়ারি। বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুবিধার্থে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে বিও হিসাব খোলাসহ আটটি সেবা চালু হতে যাচ্ছে খুব শিঘ্রই। এই সেবাগুলো বিনিয়োগকারীরা বিনা মূল্যে পাবেন।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসই) ৭১০তম কমিশন সভায় বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের আবেদনের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত বিষয়টি আজকের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বিনিয়োগকারীরা বিও হিসাব খোলার পাশাপাশি, বিও হিসাবে লিংক অ্যাকাউন্ট খোলা, বিনিয়োগকারীদের নাম পরিবর্তন, ব্যাংক হিসাব পরিবর্তন, ব্যাংকের নাম পরিবর্তন, মোবাইল নম্বর পরিবর্তন, বিও হিসাব বন্ধ এবং মার্জিন বিও থেকে নন-মার্জন বা নন-মার্জিন থেকে বিওতে রূপান্তরের তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন। উল্লেখিত সেবাগুলো খুব শিঘ্রই চালু হবে এবং বিনিয়োগকারীরা তা বিনামূল্যে পাবে। এছাড়াও বিও হিসাবের সিকিউরিটিজ ডেবিট ও ক্রেডিট হওয়া সংক্রান্ত সেবা এসএমএস সার্ভিস বর্তমানে চালু আছে তাও অব্যাহত থাকবে। এই নতুন এসএস সেবা চালু হলে বিও হিসাব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয়ে তথ্য হিসাবধারীরা জানতে পারবেন। তবে উক্ত সেবা পাওয়ার জন্য বিও হিসাবে নিজের মোবাইল নম্বর দেওয়া খুবই জরুরি। তাই সকল বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের নিরাপত্তার স্বার্থে বিও হিসাবে সঠিক মোবাইল নম্বর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেহেতু বর্তমানে বহু কোম্পানি দেশের প্রচলিত পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে নগদ লভ্যাংশ প্রেরণ করে থাকে, তাই সঠিক ব্যাংক হিসাব নম্বর বিও হিসাবে থাকা জরুরি। অন্যাথায় বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পেতে ভোগান্তির শিকার হতে পারেন। এছাড়া বর্তমানে অনেক কোম্পানি ই-মেইলের মাধ্যমে এজিএমের নোটিস ও বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠায়, তাই একই সাথে সম্মানিত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে সঠিক মোবাইল নম্বর, ব্যাংক হিসাব এবং ই-মেইল (যদি থাকে) সন্নিবেশিত করতে অনুরোধ জানানো হবে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উভয় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া রিং সাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে জানা যায়।
সূত্র মতে, আগামী বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে একসাথে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হবে। এরআগে, বিদ্যমান দুটি আইনের সাংঘর্ষিক অবস্থার কারণে রিং শাইনের শেয়ার লেনদেন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তবে এই জটিলতা সৃষ্টি করেছে খোদ কোম্পানিটি। রিং শাইন টেক্সটাইল গত ২০ নভেম্বর সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। বিদ্যমান আইন অনুসারে, লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার পরবর্তী লেনদেন দিবসে সার্কিট ব্রেকার বা শেয়ারের মূল্য পরিবর্তনের সীমা থাকে না। এ হিসেবে রিং শাইনের শেয়ার লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে সার্কিট ব্রেকার থাকার কথা নয়। কিন্তু সম্প্রতি জারি করা বিএসইসির একটি নির্দেশনা অনুসারে, আইপিও পরবর্তী প্রথম লেনদেনের দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। আইন এই জটিলতার প্রেক্ষিতে ডিএসই রিং শাইনের শেয়ার লেনদেনের জটিলতা তুলে ধরে বিএসইসির কাছে গাইডলাইন চাইলে তারা একটি গাইডলাইন দিয়েছে। জানা গেছে, বিএসইসি ডিএসইকে জানিয়েছে সার্কিটব্রেকার সংক্রান্ত ইস্যুতে তাদের সর্বশেষ নির্দেশনাটিই বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থাৎ লেনদেন শুরুর প্রথম দিন থেকেই রিং শাইনের শেয়ারে সার্কিট ব্রেকার থাকবে। উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর, বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। এর আগে গত ১ অক্টোবর রিং সাইনের আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রাতিষ্ঠানিক বা যোগ্য বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ মোট ৬৬০ শতাংশ আবেদন করেছিল। এরমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বা যোগ্য বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৫০০ কোটি টাকার আবেদন করেছেন। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকদের জন্য বরাদ্দের থেকে ৫৫৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি আবেদন করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইপিওতে আবেদন সংগ্রহ করা হয়। কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য আইপিওতে ৬৪৫টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন করা হয়েছে। ওইসব বিনিয়োগকারীরা বরাদ্দকৃত ৭৫ কোটি টাকার বিপরীতে ৪৯৪ কোটি ৭৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে কনসেন্ট লেটার পায় কোম্পানিটি। তার পরেই কোম্পানিটি তাদের আইপিও আবেদন শুরুর তারিখ আগামী ২৫ আগস্ট নির্ধারণ করেন। এরআগে বিএসইসির ৬৭৯তম কমিশন সভায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। রিং সাইন টেক্সটাইল শেয়ারবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৬ পয়সা এবং পুনমূল্যায়ন ব্যতিত শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১৭ পয়সা। এবং আইপিও লাটারির সাম্ভব্য তারিখ আগামী ১লা অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং সিএপিএম এডভাইজরি লিমিটেড। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের রাইট শেয়ার আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির রাইট আবেদন শুরু হয়েছে ৮ ডিসেম্বের, রোববার থেকে। চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।এর আগে গত ১ অক্টোবর কোম্পানিটির রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
জানা গেছে,কোম্পানিটির ৩:৪ ( অর্থাৎ৩টি রাইট শেয়ার দিবে ৪টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে) হারে রাইট ইস্যু করবে। অভিহিত মূল্যে এই শেয়ার কিনতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। রাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৩৪২টি শেয়ার ইস্যু করবে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা তুলবে। রাইটের মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ডিস্ট্রিবিউশন চ্যালেন এবং ঋণ পরিশোধ করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছে ব্যানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টেমন্ট এবং আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজেমন্ট লিমিটেড। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২ টাকা ৯৬ পয়সা পুঁজিবাজারের জন্য স্বল্প সুদে বিশেষ তহবিল সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব আরও একধাপ এগিয়েছে। আজ ৪ ডিসেম্বর, বুধবার প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারদের (ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত তহবিলের একটি রূপরেখা অর্থমন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রস্তাবনা অনুসারে, আলোচিত তহবিলের আকার হতে পারে ১০ হাজার কোটি টাকা। তহবিলের মেয়াদ হবে ৬ বছর। প্রস্তাবিত সুদের হার ৩ শতাংশ। প্রথম ২ বছর হবে গ্রেস পিরিয়ড। এ সময়ে তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে না। পরবর্তী চার বছরে তা সুদ-আসলে ফেরত দেওয়া হবে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, শুধু সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগের জন্য এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। আর এই সুবিধা ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লেখ, পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটানো ও এখানে গতি ফেরানোর লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সঙ্গে গত ২০ নভেম্বর নেতৃস্থানীয় ৭ জন ব্রোকার বৈঠক করেন। তারা হচ্ছেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস, সিটি ব্রোকারেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আফফান ইউসুফ ও এআইবিএল ক্যাপিটালের পরিচালক মোঃ রেজাউর রহমান। বৈঠকে ব্রোকাররা বাজারে তারল্য বাড়াতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার প্রস্তাব দিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বিস্তারিত ও লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়ার আহ্বান জানান। তার প্রেক্ষিতেই আজ তাদের পক্ষ থেকে আলোচিত প্রস্তাবনাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান অর্থসূচককে প্রস্তাবনা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সরকার পুঁজিবাজারে গতি ফেরানোর বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক। আমরা মনে করি, প্রস্তাবিত তহবিলটি অনুমোদন পেলে বাজারের তারল্য সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। বাজার গতিশীল হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) বিধিমালা, ২০১৯ অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির ৭০৯তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। সূত্র মতে, কিছু সংশোধন সাপেক্ষে এ বিধিমালা অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। বিধিমালার উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে, সকল প্রকার অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ (যেমন: অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, যেকোনো প্রকার বন্ড, ডিবেঞ্চার, সুকুক, বে-মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, ইত্যাদি) নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে এই বোর্ডে লেনদেনের জন্য অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে। এছাড়া সকল প্রকার তালিকাচ্যুত সিকিউরিটিজ নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই বোর্ডে লেনদেনের জন্য অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে। এই বোর্ডে শুধুমাত্র অজড় (ডিম্যাটেরিয়ালাইজড) আকারে সিকিউরিটিজ লেনদেন সম্পন্ন হবে। এবং বিদ্যমান ওটিসি প্লাটফরমের সিকিউরিটিজসমূহ নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই বোর্ডে লেনদেনের জন্য অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে। Brac Bank has retained the highest credit rating of Moody’s Investor Service, Ba3, for the third consecutive year since 2017.
It is the only Bangladeshi bank with the rating which is equivalent to sovereign rating of Bangladesh as per Moody’s affirmation on November 21, the bank said in a statement yesterday. “According to Moody’s, the affirmation of Brac Bank’s rating reflects the bank’s strength in the SME segment that has led to superior asset quality and profitability when compared to its rated peers in Bangladesh,” according to the statement. The bank is also less vulnerable to asset risks arising from corporate credit exposures, because of the high proportion of SME loans in its portfolio, it said. The bank’s SME segment constituted 45 percent of its total loans as on September 30, 2019, the statement added. “Good governance, compliance, ethics and transparency are the pillars of our business model,” said Selim RF Hussain, CEO of Brac Bank. “And credit rating by international credit rating agencies, highest investment by overseas investors, highest market capitalisation and consecutive recognitions from SAFA, ICAB and ICMAB bear testimony to our good governance and robust financial strength and image in global setting.” “This unique achievement came as a result of our continuous efforts towards improving and maintaining industry above capital base, better asset quality, good governance and superior liquidity position,” he added. The Daily Star |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |