midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুলস ৩(৫) এর কার্যকারিতা আরো দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনটির কার্যকারিতা আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। বুধবার ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশনের ৬৭০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আর কমিশনের এ সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে আগামী দুই বছর ঋণ পরিশোধের চাপে থাকছেন না বিনিয়োগকারীরা। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুলস ৩ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, যখনই ইক্যুইটি ক্লায়েন্টের মার্জিন অ্যাকাউন্ট ডেবিট ব্যালেন্সের ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে আসে তখন হাউজগুলো ঋণ সমন্বয়ের জন্য ক্লায়েন্টকে অবহিত করবে। যাতে কোনোভাবেই ইক্যুইটি মার্জিন ঋণের ১৫০ শতাংশের কম না হয়। হাউজ কর্তৃপক্ষের ক্লায়েন্টের প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠির ৩ দিনের মধ্যে নগদ অর্থ কিংবা মার্জিনেবল সিকিউরিটিজ দিয়ে অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয় করবে। যে পর্যন্ত ইক্যুইটি সন্তোষজনক অবস্থায় না আসে সে পর্যন্ত ক্লায়েন্টের লেনদেন বন্ধ থাকবে। ধরা যাক, কোনো বিনিয়োগকারীর ১ লাখ টাকা ডিপোজিটের বিপরীতে আরও ১ লাখ টাকা মার্জিন লোন সুবিধাসহ মোট ২ লাখ টাকার শেয়ারে কিনেছে। বাজার মন্দার কারণে তার বর্তমান শেয়ারের মূল্য ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে তার ইক্যুইটির ডেবিট ব্যালেন্সের ১৫০ শতাংশের নিচে চলে এসেছে। মার্জিন রুলসের উল্লেখিত ধারা অনুযায়ী হাউজ কর্তৃপক্ষ তাকে চিঠির মাধ্যমে অতিরিক্ত ঋণ পরিশোধের চাপ প্রয়োগ করার পাশাপাশি লেনদেন বন্ধ করে দেবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ হাউজের বেঁধে দেয়া সময় মতো বিনিয়োগকারীরা ঋণ পরিশোধ বা সমন্বয় না করে তাহলে তাদের পোর্টফলিওতে থাকা শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি (ফোর্সসেল) করে তাদের পাওনা বুঝে নিতে পারবেন। কিন্তু বাজার মন্দাবাজার পরিস্থিতিতে এ আইন বহাল থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা নি:স্ব হয়ে যাবেন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সামগ্রিক পুঁজিবাজারে। এ কারণে এ আইনটি এখন পর্যন্ত কয়েক দফায় স্থগিত করে রেখেছে বিএসইসি। সর্বপ্রথম ২০১৩ সালের ৪ মার্চ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে মাইনাসে থাকা পোর্টফলিও পুনর্বিন্যাস এবং ১৯৯৯ সালের মার্জিন রুলসের ৩(৫) ধারা স্থগিত করার দাবি জানানো হয়। তাই ওই বছরের ৯ এপ্রিল বিএসইসির ৪৭৫তম সভায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ, পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আবেদনের প্রেক্ষিতে মার্জিন রুলস,১৯৯৯ এর রুলস ৩(৫) এর কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। অর্থাৎ যেসব বিনিয়োগকারীর পোর্টফলিওর ইক্যুইটিতে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত মাইনাস রয়েছে বা মার্জিন লোন তার ইক্যুইটির ডেবিট ব্যালেন্সের ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে তাদের ঋণ পরিশোধের চাপ স্থগিত করে লেনদেনের সুযোগ করে দেয়া হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত এই আইনটির কার্যকারিতা বন্ধ করে আসছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শেয়ারনিউজ
2 Comments
আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শেয়াবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। কোম্পানিগুলো হলো- জাহিন ইন্ডাস্ট্রিজ, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, অগ্নি সিস্টেমস, আমান কটন ফাইবার্স, বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম, জাহিন স্পিনিং লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জাহিন ইন্ডাস্ট্রিজ: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২৬ ডিসেম্বর, সকাল ৯টায় পুরাতন রিহাবিলিটি সেন্টার, মনিপুর, গাজীপুর অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। আল-হাজ্ব টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২৬ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় আর্মি গ্লোব ক্লাব, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। অগ্নি সিস্টেমস: আইটি খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২৬ ডিসেম্বর, সকাল ১০টায় স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টার, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। আমান কটন ফাইবার্স: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২৬ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে, শেরপুর, গাজীপুর অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম: প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২৬ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১১টায় ট্রাস্ট মিলনায়তন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত সাড়ে ৭ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এর আগে সকাল ১১টায় কোম্পানির বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্টিত হবে। জাহিন স্পিনিং: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২৬ ডিসেম্বর, সকাল ১০টায় সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টার, ধানমন্ডি, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এর আগে সকাল ৯টায় কোম্পানির বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। শেয়ারবাজারনিউজ/ আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। কোম্পানিগুলো হলো- সালভো কেমিক্যাল, এনভয় টেক্সটাইল, স্কয়ার টেক্সটাইল, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, আনলিমা ইর্য়ান ডাইং, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিভিউশন, ন্যাশনাল পলিমার, এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস, এপেক্স ফুডস, নুরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, ফরচুন সুজ, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফু-ওয়াং সিরামিক এবং ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সালভো কেমিক্যাল: ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় এজিবি কলোনী কমিউনিটি সেন্টার, মতিঝিল, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এনভয় টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১০টায় সামারাই কনভেনশন সেন্টার, পান্থপথ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ স্টকসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। স্কয়ার টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় ঢাকা ক্লাব, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টকসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল: ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা ক্লাব, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৩৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৭ শতাংশ স্টকসহ মোট ৪৩ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। আনলিমা ইর্য়ান ডাইং: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস: ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় কোম্পানির কর্পোরেট অফিসে, চিটাগাং অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিভিউশন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১০টায় অফিসার্স ক্লাব, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। ন্যাশনাল পলিমার: বিবিধ খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ৯টায় ফখরুদ্দিন অ্যান্ড সন্সস কমিউনিটি সেন্টার, গাজীপুর অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ৯টায় স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টার, গুলশান-১ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এপেক্স ফুডস: খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টার, গুলশান-১ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। নুরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় দ্য পেনিনসুলা চিটাগাংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২ শতাংশ ক্যাশ ও ১১ শতাংশ স্টকসহ মোট ১৩ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এর আগে সকাল ১০টায় কোম্পানিটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। ফরচুন সুজ: চামড়া খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল ক্লাব, বরিশালে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কোম্পানিটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ: খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১০টায় কোম্পানির ব্যাটারী ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে, নারায়ণগঞ্জ অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৪৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড: প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ৯টায় নভোদয় কনভেনশন সেন্টার, মোহাম্মদপুর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ: বিবিধ খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১০টায় হোটেল সী সেল, উত্তরা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ: বিবিধ খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১১টায় কেবিজি টাওয়ার, মালিবাগ চৌধুরীপারা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কোম্পানিটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। ফু-ওয়াং সিরামিক: সিরামিক খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ৯টায় স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টার, গুলশান-১ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। ওয়াটা কেমিক্যাল: ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১০টায় ফার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, পুরানো পল্টন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৩০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। শেয়ারাবাজারনিউজ/ আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়ার জন্য জেনেক্স ইনফোসিসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র আগামী ২০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ওই দিন কোম্পানিটির আইপিও লটারির ড্র সকাল সাড়ে ১০টায়, অডিটরিয়াম অব ইনস্টিটিউশন ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইবি), রমনা, ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। কোম্পানিটির আইপিওতে ৩৫.৭৫ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ ২০ কোটি টাকার বিপরীতে কোম্পানিটির আইপিওতে ৭১৫ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে দেশী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৬৩ কোটি ৬৬ লাখ ৫ হাজার টাকার, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৬ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৮ কোটি ৮০ হাজার টাকার, ইলিজিবল ইনভেস্টরদের (এমএফ ও সিআইএস কাছ থেকে ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকার এবং ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ ও সিআইএস ব্যতীত) ১৫২ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার। গত ০৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৫৬তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন করা হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এজন্য প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩.৯৬ টাকা। জেনেক্স ইনফোসিসের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসহ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.০২ টাকা। আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড। আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১১ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। কোম্পানিগুলো হলো- শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ইফাদ অটোস, বসুন্ধরা পেপার মিলস, জিপিএইচ ইস্পাত, শাশা ডেনিমস, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রিমিয়াম সিমেন্ট, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, আমান ফিড, কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৯ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় ডিওএইচ বাড়িধারা কনভেনশন সেন্টার, বাড়িধারা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। ইফাদ অটোস: প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৯ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় সামারাই কনভেনশন সেন্টার, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২২ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ স্টকসহ মোট ৩২ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। বসুন্ধরা পেপার মিলস: পেপার ও প্রিন্টিং খাতের এ কোম্পানির এজিএম ১৯ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশস সেন্টার, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। জিপিএইচ ইস্পাত: প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানির এজিএম ১৯ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। শাশা ডেনিমস: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম ১৯ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রাস্ট মিলনায়তন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৭ শতাংশ স্টকসহ মোট ২২ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ: খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের এ কোম্পানির এজিএম ১৯ ডিসেম্বর, সকাল ৯টায় কোম্পানির ফ্যাক্টরী প্রাঙ্গনে, গাজীপুর অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। প্রিমিয়াম সিমেন্ট: সিমেন্ট খাতের এ কোম্পানির এজিএম ১৯ ডিসেম্বর, দুপুর ৩টায় চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। সোনারগাঁও টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম ১৯ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় বরিশাল ক্লাব, বরিশাল অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত নো ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। হা-ওয়েল টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম ১৯ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টার, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১৭ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। আমান ফিড: বিবিধ খাতের এ কোম্পানির এজিএম ১৯ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১১টায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে, সিরাজগঞ্জ অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। কাট্টালি টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম ১৯ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় ভাট্রিয়ারি গ্লোব অ্যান্ড কান্টটিরি ক্লাব, চিটাগাং অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এর আগে সকাল ১০টায় কোম্পানিটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। শেয়ারবাজারনিউজ/ আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। কোম্পানিগুলো হলো- সায়হাম টেক্সটাইল, সায়হাম কটন মিলস, দেশ গার্মেন্টস, আরামিট লিমিটেড, আরামিট সিমেন্ট, ন্যাশনাল টিউবস, এমএল ডাইং লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সায়হাম টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৮ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে, সায়হামনগর, হবিগঞ্জ অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। সায়হাম কটন মিলস: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৮ ডিসেম্বর, দুপুর সাড়ে ১২টায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে,সায়হাম নগর হবিগঞ্জ অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। দেশ গার্মেন্টস: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৮ ডিসেম্বর, সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে আইডিইবি ভবন, কাকরাইল, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টকডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। আরামিট লিমিটেড: বিবিধ খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৮ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। আরামিট সিমেন্ট: সিমেন্ট খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৮ ডিসেম্বর, দুপুর ১২টায় চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত নো ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। ন্যাশনাল টিউবস: প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৮ ডিসেম্বর, দুপুর ১১টায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে, টঙ্গী, গাজীপুর অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। এমএল ডাইং: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিরএজিএম আজ ১৮ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১১টায় তিপান হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, বালুকা, ময়মনসিংহঅনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২০ শতাংশ ক্যাশডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। শেয়ারবাজারনিউজ/ আজ অনুষ্ঠিতহতে যাচ্ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। কোম্পানিগুলো হলো- মেট্রো স্পিনিং, স্টাইল ক্রাফট, আরএসআরএম স্টীল এবং বিডিকম অনলাইন লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মেট্রো স্পিনিং: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৭ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ৯টায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে,আশুলিয়া, সাভার, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্যঘোষিত ২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। স্টাইল ক্রাফট: বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৭ ডিসেম্বর, বিকেল ৩টায় স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টার, গুলশান-১,ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৪১০ শতাংশস্টক ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। আরএসআরএম স্টীল: প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৭ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় কোম্পানির শাহিন গ্লোব অ্যান্ড কান্টটিরিক্লাব চিটাগাং অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদন করা হবে। বিডিকম অনলাইন: আইটি খাতের এ কোম্পানির এজিএম আজ ১৭ ডিসেম্বর, সকাল ১১টায় কোম্পানির এমম কনভেনশন সেন্টার, ধানমন্ডিঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৭ শতাংশক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টকসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে অনুমোদনকরা হবে। শেয়ারবাজারনিউজ/ বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এস্কয়ার নিট কম্পোজিটের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। যা চলবে ২০ জানুয়ারী পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার কোম্পানিটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে আইপিও এর সম্মতিপত্র পেয়েছে। আর আগে গত ২৭ নভেম্বর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৩ টি সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যু করার অনুমোদন দেয় কমিশন। কোম্পানির ১ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫০১ টি সাধারণ শেয়ার ৪০ টাকা মূল্যে (প্রান্ত সীমা মূল্য থেকে ১০ শতাংশ বাট্টায়) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট বিক্রি করা হবে। এছাড়া বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৩টি শেয়ারের মধ্যে ২ কোটি ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩২টি শেয়ার ৪৫ টাকা মূল্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এর আগে গত ৯ জুলাই সোমবার থেকে এই নিলাম শুরু হয়ে চলে ১২ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নিলামে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৪৫ টাকায়। গত ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিএসইসির কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে শেয়ার দর নির্ধারণের জন্য বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। জানা গেছে, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেড আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। আর উত্তোলিত এ টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ১০০ কোটি ৪২ লাখ টাকা দিয়ে ভবন নির্মাণ, ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা দিয়ে ইয়ার্ন ডাইং মেশিন ক্রয়, ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা দিয়ে ওয়াশিং প্লান্ট মেশিন ক্রয় ও বাকি ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আইপিও বাবদ খরচে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এস্কয়ার নিট কম্পোজিটের প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ছিল ২০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ছিল ১০০ কোটি টাকা উল্লেখ্য, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আর ২০১৫ সালে পাবলিক লিমিটেড নামে অন্তভূক্ত হয়। ১৭ বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে অনেক আন্তর্জাতিক সনদ অর্জন করেছে। এরমধ্যে একর্ড, এনএবিএল, সিজিএস, ব্যুরো ভেরিটাস, বিএসসিআই, অর্গানিক এক্সচেঞ্জ থেকে সনদ অর্জন করেছে। কোম্পানিটির মূল পণ্য হচ্ছে পল শার্ট, বেসিক টি-শার্ট এবং ফ্যান্সি শার্ট। কোম্পানির পণ্যগুলো রপ্তানি করা হয় জার্মানি, লন্ডন, ফ্রান্স, নরওয়ে, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, স্পেন তারকি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, চায়না, ভারত ইত্যাদি দেশগুলোতে। ৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৫২ টাকা। শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৪৫.৮৩ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিডে। আর রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। যদিও মাঝে কয়েক দিন পুঁজিবাজারের সূচকগুলো ইতিবাচক ছিল কিন্তু হঠাৎ করেই সৃষ্ট ৫ দিনের টানা পতনে নাজেহাল অবস্থা। নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো থাকার পরও এমন পতনে কিছুটা শঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা। যদিও বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, অধিকাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ডিসেম্বরে কিছুটা প্রফিট সংগ্রহ করতে চায়। এ সময় শেয়ার কেনার প্রবণতা কম থাকে। ফলে ডিসেম্বরে বাজার কিছুটা ধীরগতিতে চলে। এছাড়া ডিসেম্বরে এক্সপোজারের ব্যাপারটি থাকার কারণে প্রাতিষ্ঠানিকরা হয়তো কিছুটা ধীরগতিতে চলে। তবে উত্তম দরে ভালো শেয়ার পেলে ঠিকই কিনে রাখে। তাদের লক্ষ্য থাকে কেনার সময় লাভ করা, বিক্রয়ের সময় নয়। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর আচরণ প্রাতিষ্ঠানিকদের থেকে আলাদা। কারণ তারা যে শেয়ারের দর বাড়ে সেদিকে ঝোঁকেন। আর প্রাতিষ্ঠানিকরা কী পরিমাণ প্রফিট করবে তা বছর শেষে একটি পরিকল্পনাও করে রাখে। এ কারণে হয়তো কিছুটা ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
কেউ কেউ বলছেন, ডিসেম্বর মাসে কোনো নতুন লোন দেওয়া হয় না, শুধু সমন্বয় করা হয়। আর একটি বিষয় হচ্ছে, ব্যাংকে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত আর্নিং যা থাকে, তা থেকে শেষ প্রান্তিকে কিছু ব্যাংক অসম্ভব ভালো করে। কারণ এখন তারা বিক্রয় প্রবণতায় চলে গেছে। এছাড়া অনেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর ফান্ড ডিসেম্বরে হাফ ইয়ারলি। হাফ ইয়ারলির মুনাফার ওপরই জুন ক্লোজিংয়ের জন্য শেয়ার কিনবে। আর ৩১ ডিসেম্বর বন্ধের দিন। জানুয়ারির ১ তারিখে অধিকাংশ ব্যাংকের আন-অফিসিয়াল রিপোর্ট পেয়ে যাবে। আর এটি বাজারকে কিছুটা উন্নত করবে। এছাড়া ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। এরপরে অবশ্যই পুঁজিবাজার ভালো হবে। কারণ সারা দেশের বিনিয়োগকারীরা নির্বাচন নিয়ে কিছুটা দ্বিধাদন্দ্বে রয়েছে। কাজেই সকলের সংশয় কাটানো নির্বাচন পুঁজিবাজারের জন্য একটি সম্ভাবনাময় দিক হবে বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা। এদিকে, আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে শেষ হয় লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও দেড় ঘন্টা পর বিক্রয় চাপে টানা নামতে থাকে সূচক। মাঝে একবার ঘুঁড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বাজার। বুধবার লেনদেন শেষে সূচক কিছুটা কমলেও বেড়েছেবেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫২৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২১০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮৪২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩টির, কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৮৭ কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫২৭৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২১৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ০.৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮৪৮ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮৩ কোটি ৪৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ২ পয়েন্ট কমেছে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৩টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৯৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলছেন, পুঁজিবাজারে তিন ধরনের লাভের কারণে বিনিয়োগকারী আসে। ডিভিডেন্ড, ক্যাপিটাল গেইন এবং ইন্টারেস্ট। এখানে মূলত লাভ হচ্ছে দুই ধরনের ডিভিডেন্ড ও ক্যাপিটাল গেইন। আর এখানে এক শতাংশেরও কম বিনিয়োগকারী ডিভিডেন্ড গেইনের জন্য আসে। বেশিরভাগই আসে ক্যাপিটাল গেইনের জন্য। অর্থাৎ এ মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। অতি দ্রুত লাভের আসায় বিনিয়োগ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। কারণ পুঁজিবাজার হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জায়গা। স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগের জায়গা নয়। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে লাভ কম হলেও ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। তাছাড়া বিনিয়োগকারীর আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে তারা বাজার সম্পর্কে ভালো করে না বুঝে এবং অন্যের কথা শুনে বা গুজবে বিনিয়োগ করে, ফলে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন বলেও ধারনা তাদের। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানি “জেড” ক্যাটাগরির বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে আসছে। আগের অর্থবছরে লভ্যাংশ ঘোষণার না করার কারণে কোম্পানিগুলোকে “জেড” ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়া হয়। সমাপ্ত ৩০ জুন, ২০১৮ অর্থবছরে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করার কারণে কোম্পানিগুলো ক্যাটাগরি পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: বঙ্গজ লিমিটেড, ইষ্টার্ণ ক্যাবল, হাক্কানি পাল্প, কেঅ্যান্ডকিউ, সুহৃদ ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বঙ্গজ ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ১০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এজিএমের পর কোম্পানির ঘোষিত ১৫ শতাংশ বোনাস বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছালে বঙ্গজ লিমিটেড “জেড” ক্যাটাগরি থেকে “এ” ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে। ইষ্টার্ণ ক্যাবল ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৬ জানুয়ারি,২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এজিএমের পর কোম্পানির ঘোষিত ১০ শতাংশ বোনাস বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছালে ইষ্টার্ণ ক্যাবল লিমিটেড “জেড” ক্যাটাগরি থেকে “এ” ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে। হাক্কানি পাল্প ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৩ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এজিএমের পর কোম্পানির ঘোষিত ৩ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছানোর পর হাক্কানি পাল্পকে “জেড” ক্যাটাগরি থেকে “বি” ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হবে। কেঅ্যান্ডকিউ ৩০জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এজিএমের পর কোম্পানির ঘোষিত ৫ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছানোর পর কেঅ্যান্ডকিউ লিমিটেডকে “জেড” ক্যাটাগরি থেকে “বি” ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হবে। সুহৃদ ইন্ডাষ্ট্রিজ ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এজিএমের পর কোম্পানির ঘোষিত ১০ শতাংশ বোনাস বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছালে সুহৃদ ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড “জেড” ক্যাটাগরি থেকে “এ” ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে। স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড ৩০জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এজিএমের পর কোম্পানির ঘোষিত ২ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌছানোর পর স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক “জেড” ক্যাটাগরি থেকে “বি” ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হবে। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের পর রেকিট বেনকিজারকেও কিনতে যাচ্ছে ইউনিলিভার- এমন গুঞ্জন উঠেছে দেশের শেয়ারবাজারে। বহুজাতিক কোম্পানিটির মালিকানা বদল নিয়ে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতেই দেশের শেয়ারবাজারে রেকিটের শেয়ারদর লাগামহীন।
গত ৮ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনে মালিকানা বদলের গুঞ্জনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে রেকিট বেনকিজারের দর প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছিল। কিছুটা বিরতি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে দর বাড়তে শুরু করেছে। সর্বশেষ তিন দিনে ৩৩১ টাকা দর বেড়ে শেয়ারটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে; শতকরা হিসেবে বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। রোববার সর্বশেষ দুই হাজার ৪৩৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার। বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ আরেক বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার কিনে নিলে শেয়ারটির দর আরও বাড়বে- এমন ধারণা শেয়ারবাজার-সংশ্নিষ্টদের। ফলে এখন যাদের কাছে এর শেয়ার রয়েছে, তারা বর্তমানের বাড়তি দামেও ছাড়তে রাজি নন। এতে শেয়ারটির ক্ষেত্রে বিক্রেতাশূন্য অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেকিট বেনকিজারের কোম্পানি সচিব নাজমুল আরেফিন জানান, এ বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে শেয়ারদর বাড়তে পারে এমন অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্যও কোম্পানির কাছে নেই। যোগাযোগ করা হলে ইউনিলিভার তার জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান ইমপ্যাক্ট পিআরের মাধ্যমে জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়। ইউনিভার ও রেকটি বেনকিজার সূত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না মিললেও শেয়ারবাজার ও অর্থনীতিবিষয়ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে রেকিট বেনকিজার কেনাবেচার বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। রেকিটের ব্যবসা কিনে নিতে যাচ্ছে ইউনিলিভার- এমন খবর প্রথম প্রকাশ করে শেয়ারবাজারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ ও বিশ্নেষণবিষয়ক গণমাধ্যম 'সিকিং আলফা'। এর প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিকবিষয়ক গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্নেষক ডেভিট জেকশন। সিকিং আলফার ওয়েবসাইটে গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ইউনিলিভার রেকিট বেনকিজারের গৃহস্থালি স্বাস্থ্য সুরক্ষা (হোম হাইজেনিক) পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকেন্দ্রিক ব্যবসা কেনার আলোচনা শুরু করেছে। এই অধিগ্রহণের সম্ভাব্য মূল্য হবে দুই হাজার ১৯০ কোটি ইউরো বা আড়াই হাজার কোটি ডলার। তবে ওই খবরে এ বিষয়ে রেকিট বা ইউনিলিভার সংশ্নিষ্ট কারও বক্তব্য ছিল না। এ তথ্যের সত্যতাও কেউ নিশ্চিত করেনি। খবরটিতে বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের রেকিটের ব্যবসা অধিগ্রহণ বিষয়ে পৃথক কোনো তথ্য ছিল না। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে আরও জানা গেছে, সর্বশেষ খবরটি প্রকাশের আগে গত বছর রেকিট বেনকিজার ইস্যুতে অপর একটি খবর ছিল। ওই খবরে বলা হয়েছিল, রেকিট তার খাদ্যপণ্য ব্র্যান্ড (ফুড ইউনিট) বিক্রি করার উদ্যোগ নিলে ইউনিলিভার তা সোয়া দুই বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব করে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাককোরমিক অ্যান্ড কো সর্বোচ্চ ৪২০ কোটি ডলার প্রস্তাব করে তা কিনে নেয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সিকিং আলফায় এ খবর প্রকাশের পর লন্ডনের শেয়ারবাজারে রেকিট বেনকিজার গ্রুপের শেয়ারদর ছয় হাজার ৪৫৬ ব্রিটিশ পাউন্ড থেকে হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরের চার সপ্তাহে শেয়ারটির দর ১০ শতাংশ বেড়ে সাত হাজার ১৫৫ পাউন্ড ছাড়ায়। দেশের শেয়ারবাজারের অবশ্য গত কয়েকদিন থেকে উল্লম্ম্ফন দেখা যাচ্ছে। গত ৮ নভেম্বর থেকে শেয়ারটির দর বাড়ছে। ওইদিন শেয়ারটি সর্বনিম্ন ১ হাজার ৬৯১ টাকায় কেনাবেচা হয়। পরের ১৪ কার্যদিবসে শেয়ারপ্রতি দর ৮৪০ টাকা বা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে ২৮ নভেম্বর দুই হাজার ৫৩০ টাকায় উন্নীত হয়। এর মধ্যে ২০ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত টানা পাঁচ কার্যদিবস শেয়ারটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়। ছিল বিক্রেতাশূন্য অবস্থায়। এরপর টানা দর হারিয়ে গত ৫ ডিসেম্বর শেয়ারটির দর দুই হাজার ৮২ টাকায় নামে। এরপর আবার বাড়তে শুরু করেছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আজ রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত এজিএমে ৩০জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে।
এজিএমে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খানের সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. লতিফ খান, পরিচালক আঞ্জুমান আজিজ খান, পরিচালক জাফর উম্মিদ খান, পরিচালক মো. ফরিদ খান, পরিচালক ফয়সাল করিম খান, পরিচালক আজিজা আজিজ খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেঃ জেঃ (অবঃ) ইঞ্জিঃ আবদুল ওয়াদুদ, পরিচালক ফারুক আহমেদ সিদ্দীকী, পরিচালক হেলাল উদ্দীন আহমেদ, পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান খান এবং ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার এন্ড কোম্পানী সেক্রেটারি স্বপন কুমার পাল এফসিএ সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। উল্লেখ্য, সামিট পাওয়ার লিমিটেড দেশের বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় ট্রিপল ‘এ’ রেটিং প্রাপ্ত এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সামিট গ্রুপ মোট ১,৯৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করছে। সামিট পাওয়ার সম্প্রতি গাজীপুরের কড্ডায় মোট ৪৪৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে। সামিট গ্রুপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৩ সাল থেকে টানা পাঁচবার সেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের স্বীকৃতি পেয়েছে। শেয়ারবাজারনিউজ/ স্টাফ রিপোর্টার : রবিবার, ০৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে পুঁজিবাজারে ৬ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। সভায় ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরের জন্য সুপারিশকৃত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হতে পারে বলে জানা গেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড: সামিট পাওয়ার লিমিটেডের এজিএম সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইন্সটিউট কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করে। যা এজিএমে বিনিয়োগকারীদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হতে পারে। কে এন্ড কিউ: কে এন্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এজিএম সকাল ১০টায় রাজধানীর বীর উত্তম সি.আর দত্ত রোডের হোটেল সুন্দরবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। যা এজিএমে বিনিয়োগকারীদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। আফতাব অটোমোবাইল: আফতাব অটোমোবাইল লিমিটেডের এজিএম সকাল সাড়ে ৯ টায় বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করে। যা এজিএমে বিনিয়োগকারীদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে। নাভানা সিএনজি লিমিটেড: নাভানা সিএনজি লিমিটেডের এজিএম সকাল ১১টায় বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করে। যা এজিএমে বিনিয়োগকারীদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হতে পারে। ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক: ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের এজিএম সকাল ১১ টায় রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডের আইভি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরে ১ শতাংশ ক্যাশ ও ৪ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ সুপারিশ করে। যা এজিএমে বিনিয়োগকারীদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হতে পারে। খুলনা পাওয়ার: খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের এজিএম বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইন্সটিউট কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরে ৩০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ সুপারিশ করে। যা এজিএমে বিনিয়োগকারীদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হতে পারে। নভেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগের মাসে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশিদের শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ তথা লেনদেন কমেছে। তবে তা সত্ত্বেও নভেম্বরের বিদেশী বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের ধরন বাজার স্থিতিশীলতার নিরিখে বেশ ইতিবাচক। কারণ এ সময়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার পরিমাণ বেড়েছে। অন্যদিকে শেয়ার বিক্রি যথেষ্ট পরিমাণে কমেছে। মূলত বিক্রি বেশি পরিমাণে কমে যাওয়াতেই লেনদেন কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, গত নভেম্বর মাসে বিদেশিরা মোট ৬৭০ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। অক্টোবর মাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৬৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে বিদেশিদের শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৯৬ কোটি টাকা। গত মাসে বিদেশিরা শেয়ার কিনেছে ৩২৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫১ টাকার। অক্টোবরে বিদেশিরা শেয়ার কিনেছিল ২৮২ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫৩ টাকার। সেই হিসেবে নভেম্বরে আগের মাসের চেয়ে ৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা মূল্যের বেশি শেয়ার কিনেছেন। অন্যদিকে নভেম্বর মাসে বিদেশিরা ৩৪৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার বিক্রি করেছেন। অক্টোবর মাসে তারা শেয়ার বিক্রি করেছিল ৪৮৪ কোটি ১৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার। সেই হিসেবে নভেম্বরে আগের মাসের চেয়ে ১৩৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার কম শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশীরা। শেয়ার ক্রয় যতটা বেড়েছে, বিক্রির পরিমাণ তার চেয়ে বেশি কমে যাওয়ায় মোট লেনদেন কমেছে ৯৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সূচক ও লেনদেন বেড়ে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে বাজার। অধিকাংশ খাতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে আজ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ৬২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ২৫ শতাংশের দর। আজ ক্রয় চাপ বেশি ছিল ব্যাংক, আর্থিক ও বস্ত্র খাতে। তবে গতকালের ন্যায় আজও লেনদেনের প্রায় ৪৩ শতাংশ ছিল বস্ত্র ও ওষুধ খাতের দখলে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে দুটি জায়গায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। একটি হচ্ছে টার্নওভার এবং অপরটি বাজারে বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে। আবার বর্তমানে দেশের অর্থনীতির সব সূচক ইতিবাচক। পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অন্যান্যবারের চেয়ে অনেক স্থিতিশীল। এ অবস্থায় বাজারে ফিরছেন বড় বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও অনেক রাজনৈতিক নেতাও তাদের নির্বাচনী হলফনামায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন। এমনকি তারা এখনও বিনিয়োগ করছেন বলে জানা গেছে। কারণ যারা হলফনামায় পুঁজিবাজারে নিদির্ষ্ট অংকের বিনিয়োগ দেখিয়েছেন, তাদের মধ্যে কারো যদি সেই অংকে ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে তারা সেটা পূরণের চেষ্টায় রয়েছেন। তবে বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তেমন দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনের কারণে হয়ত তারা নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। তবে নির্বাচনের পরে একটি ইতিবাচক অবস্থায় তারা ফিরে আসবে। আর যদি দেশের রাজনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে আগামীতে দেশের পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে যাবে। আর এটা ঘিরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা বাড়ছে বলেও মনে করছেন তারা।
তবে কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন মন্দা থাকার পর বর্তমানে বাজার কিছুটা ভালোর দিকে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে কিছুটা সমস্যা এখনও আছে। আমাদের বাজারে একটার প্রভাব শেষ হতে না হতেই সামনে আবার আরেকটা প্রভাব চলে আসে। কারণ পুঁজিবাজারে যে সেনসেটিভ ইস্যু। তবে বর্তমানে পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের যে আন্তরিকতা তাতে আশা করা যায়, সব কিছু ছাপিয়ে বাজারের চেহারা আরও ভালোর দিকে যাবে। কেননা বড় বড় বিনিয়োগকারীরা এতদিন বাজার পর্যবেকক্ষণ করছিল। তাদের পাশাপাশি বিদেশীরা সক্রিয় হলেই বাজার পুরোপুরি উত্থানে চলে যাবে। এছাড়াও পূর্বে বাজারে যে মানি-ফ্লো ভালো ছিল। সে তুলনায় বর্তমান বাজার প্রাণহীন। তবে নির্বাচন হয়ে গেলেই বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়বে বলেও ধারনা করছেন তারা। এদিকে, আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরু থেকেই ক্রয় চাপে টানা বাড়তে থাকে সূচক। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৩৪৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২২৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮৭০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৪১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১১টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৬৮৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫২৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৯৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২২৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ০.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮৫৫ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৫৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৩৩ কোটি ৬২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক সিএসইএক্স ৭৬ পয়েন্ট বেড়েছে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৪টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৬টির, কমেছে ৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৫৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলছেন, পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা বাজার মূলধনকে বিবেচনা করেন না। যখন বাজারে পতন হয়, তখন গড় বাজার মূলধন কত হয়েছে এটিও বিবেচনা করে না। একটি নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে সূচক কমতে থাকে এবং বাজার কোনদিকে যাচ্ছে তা বুঝতে না পেরে বিনিয়োগকারীর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। সচেতন বিনিয়োগকারীর উচিৎ কোম্পানিগুলোর পূর্বের তথ্য ও উপাত্ত বিবেচনা করা। পূর্বের তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে বাজার সম্পর্কে একটি চার্ট দেখার চেষ্টা এবং শেষের কয়েক মাস বা বছরে সূচকের সঙ্গে কী কী পরিবর্তন হয়েছিল সেটাও। এটা করতে পারলে সামনে কি হতে পারে সেটা বুঝা যায়। আর বর্তমানে বাজার যে অবস্থানে রয়েছে, তা বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। আসলে বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীর মধ্যে বেশিরভাগ সময় একে অন্যের দেখাদেখি শেয়ার কেনাবেচা করার প্রবণতা দেখা যায়। পুঁজিবাজার হচ্ছে একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে যারা বিচার-বিশ্লেষণ করে শেয়ার কেনাবেচা করেন, তারাই কম-বেশি মুনাফা লাভ করতে পারেন বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা। বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জুট খাতের কোম্পানি সোনালী আঁশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১.৭১ টাকা। একই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২৫.৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫১.৬৪ টাকা। এর আগের বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১.৬৫ টাকা। ওই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২৫.১৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩১.০৬ টাকা। ঘোষিত ডিভিডেন্ড অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগামী ৩১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় বীর উত্তম এ তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকে উৎসাহিত করতে আরও কর ছাড় দিয়েছে সরকার। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এ খাতের উৎসে কর কমানো হয়েছিল। দুই মাসের মাথায় জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আবারও বড় ধরনের কর প্রণোদনা দেওয়া হলো।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, শতভাগ পোশাক শিল্পের জন্য এবার পরিবহন ব্যয়, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, সিকিউরিটি সার্ভিস, ল্যাবরেটরি টেস্টসহ নানা সেবায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে আদেশ জারি করে তা কার্যকর করেছে। এ ছাড়া পোশাক খাতের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিলের ওপর ভ্যাট পরিশোধের নিয়ম আরও শিথিল ও সহজ করা হয়। এনবিআর বলেছে, এসব সেবার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের ফলে পোশাক খাতের খরচ আরও কমবে, বাড়বে রফতানি আয়। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়বে। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতে সেবায় ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে হয়রানি ও এ খাতের খরচ কমবে। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে পোশাক খাতের উৎসে কর ১ শতাংশ কমিয়ে দশমিক ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে এ খাতের করপোরেট কর ১৫ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ এবং যারা সবুজ শিল্প স্থাপন করবে, তাদের করপোরেট কর ১২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। দেশের মোট রফতানি আয়ের শতকরা ৮০ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে। গত অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয় ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এ খাতের প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশ। বিকেএমইএর সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, জাতীয় রফতানি নীতিমালায় পোশাক খাতের সব সেবায় ভ্যাট অব্যাহতির কথা বলা আছে। তারপরও বেশ কয়েকটি খাতে ভ্যাট আরোপ ছিল। পোশাক মালিকরা দীর্ঘসময় ধরে ওইসব সেবা থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। বিলম্বে হলেও সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। এক ভ্যাট কমিশনার বলেন, এসব সেবা থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়ার ফলে পোশাক খাতের উৎপাদন খরচ কমবে। এতে সামগ্রিকভাবে রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। জানা যায়, আগে পোশাক মালিকরা বন্দর থেকে ফ্যাক্টরিতে মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্য পরিবহনের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতেন। এখন থেকে পরিবহন ব্যয়ে কোনো ভ্যাট দিতে হবে না। ফলে পোশাক খাতের পরিবহন ব্যয় কমবে। আগে পোশাক কারখানায় ইন্টারনেট ব্যবহার, অনলাইনসহ যে কোনো তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। এনবিআর বলেছে, এখন থেকে পোশাক খাতে ব্যবহূত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে কোনো ধরনের ভ্যাট দিতে হবে না। পোশাক পণ্য তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দেশ-বিদেশ থেকে কিনে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করতে হয়। এ পরীক্ষার জন্য পোশাক মালিকদের ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হতো। গতকাল এনবিআরের অদেশে বলা হয়েছে, ল্যাবরেটরিতে যে কোনো কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য মালিকদের এখন আর ভ্যাট দিতে হবে না। অনেক কারখানা মালিক শ্রমিকদের বিনোদনের জন্য খরচ করে থাকেন। এতদিন বিনোদনের জন্য ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল। এখন থেকে পোশাক খাতের যে কোনো ধরনের বিনোদনকে ভ্যাটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পোশাক মালিকরা তাদের শ্রমিকদের কল্যাণে পোশাক-পরিচ্ছদ, জুতা, প্যান্ট ইত্যাদি সরবরাহ করে থাকেন। আগে এসব পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। এখন আর দিতে হবে না। অনেক পোশাক মালিক সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করে থাকেন। এ নিরাপত্তা সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল। এনবিআরের নতুন আদেশে এ সেবার ওপর পুরোপুরি ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়েছে। কোনো পোশাক প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে হলে জোগানদারের বিলের বিপরীতে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। এখন জোগানদার সেবায় কোনো ভ্যাট লাগবে না। বর্তমানে পোশাক কারখানায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি (ওয়াসা সেবা) ইত্যাদি সেবা বাবদ যে বিল হয় তার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ সুবিধা রয়েছে। তবে এ সুবিধা পেতে বেশ জটিলতা ও হয়রানি পোহাতে হয়। এনবিআরের অধীনে প্রত্যর্পণ অধিদপ্তরের (ডেডো) মাধ্যমে এ সুবিধা ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু এ সুবিধা নিতে হলে রফতানিকারকদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। গতকাল এনবিআর যে নিয়ম করেছে, তাতে বলা হয়েছে- রফতানিকারকরা সরাসরি এ সুবিধা পাবেন। এর জন্য ডেডো দপ্তরে যেতে হবে না।-সূত্র-সমকাল আজকাল অনেকেই শেয়ারে অর্থ বিনিয়োগ করছেন। আবার অনেকে শেয়ার বাজারকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচনা করেন। না বুঝে অর্থ বিনিয়োগ করার কারণে অনেকই পড়তে হচ্ছে বিপদে। শেয়ার বাজার মূলত একটি লাভজনক বিনিয়োগ খাত, যদি আপনি সঠিক নিয়মে বিনিয়োগ করতে পারেন। শেয়ার কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত যা আপনার বিনিয়োগকে নিরাপদ রাখবে। এই বিষয়গুলো মনে রাখলে দীর্ঘমেয়াদী ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হবে।
১। কেমন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চান আপনি কেমন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চান, সেটি আগে নির্ধারণ করুন। একেক শেয়ারের বৈশিষ্ট্য একেকরকম। সাধারণত শেয়ারের গ্রোথ ভ্যালু অথবা লভ্যাংশ আয় (শেয়ার থেকে নির্দিষ্ট হারে যে আয় পাওয়া যায়) দেখে শেয়ার বিবেচনা করা হয়। এই ক্ষেত্রে উচ্চ আয় সম্পন্ন একটি কোম্পানি পছন্দ করুন। এবং তার সাথে অন্যান্য কোম্পানির তুলনা করুন। এতে শেয়ার বাজারের আয়ের সার্বিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এছাড়া শেয়ার মূল্য আয়(price earings) অনুপাত দেখতে পারেন। একটি কোম্পানির শেয়ার মূল্য অনুপাত যত বেশি সেই কোম্পানিটি তত ভালো। আবার অতিরিক্ত শেয়ার মূল্য আয় বেশি হওয়া কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ তারা তাদের সর্বোচ্চ আয়টি করে ফেলেছে, এরচেয়ে বেশি আয় করা তাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। ২। কী পরিমাণ ঝুঁকি গ্রহণ করতে পারবেন শেয়ারে বিনিয়োগ করার আগে সিদ্ধান্ত নিন কেমন ঝুঁকি আপনি গ্রহণ করতে চান। আপনি কী ঝুঁকি কম নিতে চান নাকি অধিক ঝুঁকি গ্রহণ করে বেশি আয় করতে চান- এই সিদ্ধান্ত আগে গ্রহণ করুন। বড় কোম্পানি মানে কম ঝুঁকি নয়। আগে বাজার বিশ্লেষণ করুন তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। ৩। প্রতিষ্ঠানকে জানুন আপনি যে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন, সেটি সম্পর্কে জানুন। তাদের ব্যবসার প্রকৃতি, প্রোডাক্ট, বাজারে সুনাম সম্পর্কে জেনে নিন। বাজারে তাদের পণ্যের চাহিদা কেমন, কারা তাদের প্রতিযোগী সে সম্পর্কে জেনে নিন। এই কাজটি করতে সাহায্য করবে খবরের কাগজ এবং স্টক এক্সচেঞ্জ। এমনকি কোম্পানিটি কারা পরিচালনা করছে সেটি সম্পর্কে ধারণা রাখুন। ৪। স্টক এক্সচেঞ্জে চোখ রাখুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কয়েক মাস পর পর কোম্পানির আর্নিং রিপোর্ট প্রদান করে। সেটি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন। এছাড়া গত তিন-চার বছরের কোম্পানির শেয়ারে ট্র্যাক রেকর্ড দেখতে পারেন। এটিও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। ৫। লভ্যাংশের হার দেখুন যে শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চান, সেই কোম্পানির অতীত শেয়ারে লভ্যাংশ হার দেখে নিন। পূর্বে তারা স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কিনা সেটা লক্ষ্য করুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন তারা বর্তমান শেয়ারে লভ্যাংশ প্রদান করবে কিনা। ৬। সংরক্ষিত আয় বিবেচনা করুন কোম্পানির সংরক্ষিত আয় (Retained earnings ) বিবেচনা করুন। যে কোম্পানির সংরক্ষিত আয় যত বেশি সেই কোম্পানি তত ভালো। ৭। পোর্টফোলিও তৈরি করুন একটি দক্ষ পোর্টফোলিও তৈরি করার চেষ্টা করুন। একটি শেয়ারে বিনিয়োগ না করে, কয়েকটি শেয়ারে বিনিয়োগ করুন। যেমন- এক লক্ষ টাকা দিয়ে একটি শেয়ার না কিনে সে টাকা দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি শেয়ার ক্রয় করুন। এতে আপনার ঝুঁকি কয়েকটি শেয়ারে ভাগ হয়ে যাবে। অর্থাৎ যে কোনো একটি কোম্পানির শেয়ারের দর-পতন ঘটলে অপর কোম্পানির শেয়ারে লাভ দ্বারা ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে ফেলা সম্ভব। আপনার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ থাকলে কয়েকটি শেয়ারে একসাথে বিনিয়োগ করুন। ৮। ইপিএস এবং সিপিএস বিবেচনা করুন ইপিএস(Earnings Per Share) এবং সিপিএস(Cash flow Per Share) বিবেচনা করুন। শেয়ারে ইপিএস এবং সিপিএস যদি ইতিবাচক হয় তবে সেখানে বিনিয়োগ করুন। ৯। দক্ষ ব্যক্তির পরামর্শ গ্রহণ করুন শেয়ারে বিনিয়োগের আগে অভিজ্ঞ কারো সাথে পরামর্শ করে নিন। হুট করে না বুঝে বিনিয়োগ করলে ক্ষতি সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুঝে শুনে বাজার বিশ্লেষণ করে তারপর বিনিয়োগ করুন। সূত্র: মর্ডানঘানা.কম এবং টাফনিকেল.কম |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
January 2025
Categories |