midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
৫ বছরের বেশি ডিভিডেন্ড না দেওয়ার কারণে তালিকাচ্যুতির জন্য ১৪ কোম্পানিকে রি-ভিউয়ে রেখেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। আজ (বুধবার) সেই তালিকায় যুক্ত হলো বিগত ৩ বছরের বেশি সময় উৎপাদন না থাকা আরো ৩ কোম্পানি।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিভিডেন্ড ঘোষণা ও উৎপাদনে না থাকলেও হরহামেশাই ডিএসই’র রি-ভিয়ের তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে উল্লম্ফন দেখা যায়। মূলত স্বল্পমূলধনী হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারে নিয়মিত বিরতিতে কারসাজি হচ্ছে। তারা বলেন, ডিএসই’র হিট লিস্টে থাকা এ কোম্পানিগুলো যেকোন সময় তালিকাচ্যুত হতে পারে। তাই বিনিয়োগকারীদের সর্তক হয়ে বিনিয়োগ করা উচিত।
নতুন করে রি-ভিউ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া কোম্পানিগুলো হলো: মেঘনা পেট ইন্ডাষ্ট্রিজ, বিচ হ্যাচারী লিমিটেড এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড। এর আগে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার কারণে মেঘনা পেট ইন্ডাষ্ট্রিজকে রি-ভিউয়ের আওতায় আনা হয়। আজ আবার ৩ বছরের বেশি সময় ধরে উৎপাদনে না থাকায় কোম্পানিটিকে রি-ভিউতে আনা হয়েছে। অর্থাৎ মেঘনা পেট আগের ১৪ কোম্পানি এবং নতুন করে বিচ হ্যাচারী ও ইউনাইটেড এয়ার যোগ হওয়ায় মোট ১৬ কোম্পানি ডি-লিস্টিংয়ের আতঙ্কে রয়েছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা পেট ইন্ডাষ্ট্রিজ, বিচ হ্যাচারী লিমিটেড এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশন, ২০১৫ এর ৫১ (১) (সি) এই আইনের আওতায় রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। এই আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ইস্যুয়ার স্বেচ্ছায় কিংবা আদালতের নির্দেশে লিক্যুইডেশনে যায় অথবা টানা ৩ বছর ব্যবসায়িক উৎপাদন বন্ধ থাকে তাহলে সে ইস্যুয়ারকে তালিকাচ্যুত করা যেতে পারে। এর আগে ১৪ কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতির আইনে যেসব কোম্পানি ৫ বছরের বেশি সময় ধরে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না সেগুলোকে রি-ভিউ করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। কোম্পানিগুলো হলো- মেঘনা পেট ইন্ডাষ্ট্রিজ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, দুলামিয়া কটন স্পিনিং, সমতা লেদার কমপ্লেক্স, শ্যামপুর সুগার মিলস, জিলবাংলা সুগার মিলস, ইমাম বাটন ইন্ডাষ্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাষ্ট্রিজ, সাভার রিফ্যাক্টরীজ, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, জুট স্পিনার্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, সোনারগাও টেক্সটাইল এবং ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখন এই ১৪ কোম্পানি নিয়ে কোনো সমাধানে আসতে পারেনি ডিএসই কর্তৃপক্ষ। শেয়ারনিউজ24
0 Comments
এখন থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনের ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা নিতে হলে সেকেন্ডারি বাজারে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) নির্দিষ্ট অংকের বিনিয়োগ থাকতে হবে। তা না হলে কোনো ইআই তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের কোটা সুবিধা পাবেন না। আর সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের পরিমাণ কত হবে তা কমিশন প্রতিটি পাবলিক ইস্যুর সম্মতিপত্রে উল্লেখ করে দেবে। গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৮৮তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাছাড়া গতকালের আইপিওপূর্ব প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুসহ পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫-এর বেশকিছু সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সভা শেষে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি মার্কেটে বেশকিছু সংস্কার করার ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা অনুসারে সেকেন্ডারি মার্কেট-সংক্রান্ত বিষয়গুলো কমিশন এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করেছে। আর প্রাইমারি মার্কেট-সংক্রান্ত বিষয়গুলো সংস্কারের জন্য কমিশনের গঠিত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে গতকালের কমিশন সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—এখন থেকে আইপিও এবং তালিকাভুক্ত ছাড়া অন্য কোম্পানির ইকুইটি শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন ইস্যুর ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন হবে না। এ-সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের ধারা ২ডি এর অধীনে খসড়া প্রজ্ঞাপনটি অনুমোদন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এর আগে জারি করা নয়টি প্রজ্ঞাপন ও আদেশ বাতিল করা হবে এবং এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন সংশোধিত আকারে জারি করা হবে। তাছাড়া পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ এর ২০ সংশোধনী অনুমোদন করেছে কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে-- ফিক্সড প্রাইজ ও বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে কোটায় পরিবর্তন আনছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একই সাথে প্রি-আইপিও শেয়ার লেনদেন শুরুর প্রথম দিন থেকে লক-ইন গণনা করা হবে। যা পরবর্তী তিন বছর লক-ইন থাকবে। এমন ২৩টি সংশোধনি আসছে পাবলিক ইস্যু রুলসে। বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার ৬৮৮তম সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ সংশোধন করে অনুমোদন দেয় কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে কমিশন বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের (ডিএসই,সিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন, ব্রোকার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধি ইত্যাদি) এক সভা শেষে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি মার্কেটের কতিপয় সংস্কার করার ঘোষণা প্রদান করে। সে ঘোষণা অনুযায়ী সেকেন্ডারি মার্কেট সংক্রান্ত ঘোষণা কমিশন ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত করেছে। প্রাইমারি মার্কেট সংক্রান্ত ঘোষিত সংস্কারের জন্য কমিশন যে কমিটি গঠন করেছিল সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিশন নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। (ক) আইপিও এবং তালিকাভুক্ত ব্যতিত অন্যসকল কোম্পানি ইক্যুইটি শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন ইস্যুর ক্ষেত্রে কমিশনের সম্মতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আইপিও এবং তালিকাভুক্ত ব্যতিত অন্যসকল কোম্পানি ইক্যুইটি শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন ইস্যুর ক্ষেত্রে কমিশনের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে না। এ সংক্রান্ত পূর্বের জারি করা ৯টি প্রজ্ঞাপন বা আদেশ বাতিল করা হবে এবং একটি প্রজ্ঞাপন সংশোধিত আকারে জারি করা হবে। (খ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর বেশকিছু বিষয় সংশোধন করে তা অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এছাড়া সংশোধিত আইনটি শিগগিরই জনমত জরিপের জন্য প্রকাশ করা হবে। প্রস্তাবিত সংশোধনীসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো নিম্নরূপ: ০১. আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইলিজিবল ইনভেস্টর) হিসেবে কোটা সুবিধা গ্রহণ করতে হলে কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট অংকের সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে। এই বিনিয়োগ না থাকলে কোন যোগ্য বিনিয়োগকারী তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের কোটা সুবিধা পাবেন না। সেকেন্ডারি মার্কেটে এই বিনিয়োগের পরিমাণ কত হবে তা কমিশন প্রত্যেক পাবলিক ইস্যুর সম্মতিপত্রে উল্লেখ করবে। ০২. পূর্বের ইস্যুকৃত মূলধন সম্পূর্ণ ব্যবহার না করে পাবলিক ইস্যুর প্রস্তাব করা যাবে না। ০৩. অভিহিত মূল্যের পাবলিক ইস্যুর পরিমাণ কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা অথবা ইস্যুয়ারের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ যা বেশি সে পরিমাণ হতে হবে। ০৪. বুকবিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা অথবা ইস্যূয়ারের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ যা বেশি সে পরিমাণ হতে হবে। ০৫. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর শেয়অরের কোটা বিডিং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে বিক্রি না হলে সে ইস্যু বাতিল হয়ে যাবে। ০৬. স্টক এক্সচেঞ্জকে পাবলিক ইস্যুর তালিকাভুক্তির আবেদন পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পাবলিক ইস্যু রুলস বা অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন অথবা অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ডের ব্যত্যয়, যদি থাকে, উল্লেখপূর্বক তাদের মতামত কমিশনে প্রেরণ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মতামত প্রদান না করলে ধরে নেয়া হবে যে স্টক এক্সচেঞ্জের এ বিষয়ে কোন মতামত নেই। ০৭. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ বিডারদের নাম অথবা তাদের প্রাইস ডিসপ্লে করা যাবে না। ০৮. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ যোগ্য বিনিয়োগকারীদের তাদের বিডের ১০০% মূল্য যে এক্সচেঞ্জ বিডিং পরিচালনা করছে তাতে জমা দিতে হবে। ০৯. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ বিডাররা যে মূল্যে এবং যে পরিমাণ শেয়ার বিড করবেন সেই মূল্যেই সেই পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করতে হবে। ১০. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ শেয়অরের অ্যালটমেন্ট সর্বোচ্চ মূল্যস্তরে শুরু হবে এবং ক্রমান্বয়ে তা নিচের দিকে আসবে। যে মূল্যে শেয়ার শেষ হবে তা কাট অফ প্রাইস হিসাবে গণ্য হবে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই মূল্য থেকে ১০% কমে শেয়ার ক্রয় করবেন। ১১. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ যদি কাট অফ প্রাইসে একাধিক বিডারের বিড থাকে সেক্ষেত্রে যে বিডার আগে বিড দাখিল করেছেন তাকে প্রথমে শেয়ার প্রদান করা হবে। ১২. বিডিং এর চূড়ান্ত ফল, মূল্য ও বরাদ্দকৃত শেয়ারের সংখ্যাসহ যারা শেয়ার পেয়েছেন তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে এবং একই সাথে ইস্যুয়ার, ইস্যু ম্যানেজার এবং এক্সচেঞ্জের ওয়েব সাইটে তা প্রকাশ করা হবে। ১৩. অকৃতকার্য বিডারের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সর্বোচ্চ ০৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিডারকে ফেরত দিবে। ১৪. বিডিং এর পর খসড়া প্রসপেক্টাস এবং সকল কাগজপত্র প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে কমিশন সাধারণ জনগনের কাছে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন প্রদান করবে। ১৫. অভিহিত মূল্যে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৪০% থেকে কমে ৩০% হবে এবং সাধারণ জনগনের কোটা (এনআরবি ব্যতিত) ৪০% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০% হবে। ১৬. অভিহিত মূল্যের পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন সম্মিলিতভাবে ৬৫% এর কম হলে ইস্যু বাতিল হয়ে যাবে এবং আবেদন সম্মিলিতভাবে ৬৫% অথবা তার বেশি হলে কিন্তু ১০০% এর কম হলে বাকি শেয়ার আন্ডার রাইটার গ্রহণ করবে। ১৭. বুক বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৬০% থেকে কমিয়ে ৫০% এবং সাধারণ জনগনের কোটা ৩০% থেকে বাড়িয়ে ৪০% হবে। ১৮. প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত কোম্পানির সকল শেয়ারহোল্ডারদের লক ইন ৩ বছরের জন্য হবে এবং তা এক্সচেঞ্জে প্রথম ট্রেডিং এর দিন থেকে গননা করা হবে। ১৯. পাবলিক ইস্যুর আবেদনের সময় ইস্যুয়ারকে পূর্বে নগদে উত্তোলিত মূলধনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের অথবা অডিটরের সার্টিফিকেট এবং ব্যাংক স্টেমেন্ট দাখি করতে হবে। ২০.পাবলিক ইস্যুর আবেদনের সময়ে ইস্যুয়ারকে পূর্বে নগদে ব্যতিত উত্তোলিত মূলধনের ক্ষেত্রে যৌথ মূলধনী কোম্পানির রেজিস্ট্রারের সার্টিফাইড ভেন্ডর এগ্রিমেন্ট এবং সম্পদের মালিকানা সংক্রানত্ টাইটেল ডকুমেন্ট কমিশনে জমা দিতে হবে। শেয়ারনিউজ24 অবশেষে স্বস্তির মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মে) লেনদেন শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন উভয় শেয়ারবাজারে সন্তোসজনক উত্থান হয়েছে সূচকের। উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাড়িয়েছে ৫ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৯ ও ডিএসই-৩০ সূচক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ১২০৮ ও ১৮৬১ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। যা আগের দিন থেকে ৫২ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৫১ কোটি টাকার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৯টি কোম্পানির মধ্যে ২২৫টির বা ৭৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ৭০টি বা ২০ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টি বা ১৬ শতাংশ কোম্পানির। টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার। এদিন কোম্পানিটির ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে ব্র্যাক ব্যাংক। টপটেন লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রিমিয়ার ব্যাংক, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, উত্তরা ব্যাংক এবং ইস্টার্ন কেবলস। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৭২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৬০টির, কমেছে ৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দর। আজ ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। বিজনেস আওয়ার24 মঙ্গলবার (২৮ মে) স্বস্তির উত্থানে শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন। এদিন ডিএসইতে ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। ব্যাংক খাতে লেনদেন অংশ নেয়া ৭৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ব্যাংক খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ২২টির বা ৭৩ শতাংশের শেয়ার দর বেড়েছে এবং ৩টির বা ১০ শতাংশের শেয়ার দর কমেছে। শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির বা ১৭ শতাংশের।
শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২.১০ টাকা বেড়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ টাকা বেড়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১.৪০ টাকা শেয়ার দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের। এছাড়া ট্রাস্ট ব্যাংকের ১.১০ টাকা; সিটি ব্যাংকের ১ টাকা; উত্তরা ব্যাংকের ০.৯০ টাকা; ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ০.৬০ টাকা; স্ট্যান্ডার্ড, স্যোসাল ইসলামী, প্রাইম, ন্যাশনাল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, যমুনা ও ঢাকা ব্যাংকের ০.৩০ টাকা করে; আইএফআইসি ও সাউথইস্ট ব্যাংকের ০.২০ টাকা করে এবং প্রিমিয়ার, ওয়ান, আইসিবি ইসলামিক, এক্সিম, ইস্টার্ন ও এবি ব্যাংকের শেয়ার দর ০.১০ টাকা করে বেড়েছে। ৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ০.২০ টাকা এবং ইসলামী ও ব্যাংক এশিয়ার শেয়ার দর ০.১০ টাকা করে কমেছে। শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি ব্যাংকের। ব্যাংকগুলো হলো : আল আরাফাহ ইসলামী, মার্কেন্টাইল, এনসিসি, পূবালী এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। বিজনেস আওয়ার24 দেশের পুঁজিবাজারকে একটি টেকসই, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধির স্তরে উন্নীত করার জন্য বেশকিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল হাশেম। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে এসব প্রস্তাব পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে-
স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম : যে কোনো অঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম চালিকাশক্তি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বা এসএমই। ডিএসই মনে করে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির জন্য আলাদা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হলে তা একটি উদ্যোক্তাবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে পরিগণিত হবে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্বল্প মূলধনের কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে এক জায়গায় তথা নিয়ন্ত্রক সংস্থার আওতায় নিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হবে। অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) : বিভিন্ন বাজারের সঙ্গে কৌশলগত সমন্বয় সাধন এবং বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার মধ্য দিয়ে নতুন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিকেও পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সহায়তা করা সম্ভব বলে মনে করে ডিএসই। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিদেশের বিভিন্ন বাজার বিশ্লেষণ বা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রচলিত বাজার ধারণার বাইরেও এটিবি খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট রুলস- ২০১৭ এর আওতায় ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল ও ব্যাংক যৌথভাবে একটি ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠনের কাজ করছে। ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) নামে কোম্পানিটির নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। সিসিবিএলের জন্য আলাদা সফটওয়্যার নির্বাচনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে, যা তারল্য সংকট কাটাতে সহায়তা করবে। বে-মেয়াদি মিউচুয়্যাল ফান্ডের লেনদেন : বর্তমানে বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। যা রাজস্ব বৃদ্ধিতে অবদান রাখার পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বেমেয়াদি মিউচুয়্যাল ফান্ডগুলোর লেনদেনের সুযোগ তৈরি হলে তা লেনদেনে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি বিনিয়োগ ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে। ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির শাখা অফিস খোলার অনুমোদন : ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা অফিস চালু করতে চায়। দেশের আপামর জনসাধারণকে পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত করতে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শাখা অফিস চালু করা অত্যন্ত জরুরি। যা গত ২০১১ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। আইপিও প্রক্রিয়া সহজ ও ত্বরান্বিতকরণ : নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি পুঁজিবাজারে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। শিল্পোদ্যোক্তারা ২০১৮ সালে বাজার থেকে একটি মিউচুয়াল ফান্ডসহ মোট ১৪টি সিকিউরিটিজ প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে ৬০১ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি প্রিমিয়াম বাবদ ২৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা মূলধন উত্তোলন করে। এ অবস্থায় বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণে সরকারি কোম্পানি ছাড়াও বহুজাতিক ও দেশীয় ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি তালিকাভুক্তির ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ভূমিকা প্রত্যাশা করা হয় চিঠিতে। এক্সপোজার গণনা সহজ ও পুঁজিবাজার বিকাশে সহায়ক করা : প্রস্তাবনায় বলা হয়, পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণ এবং তারল্য রক্ষার্থে নিম্নলিখিত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা প্রয়োজন- ১. ব্যাংক কোম্পানি আইন- ১৯৯১ (সংশোধিত ২০১৩) এর বাধ্যবাধকতার বাইরেও নতুন করে ২০১৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলারের মাধ্যমে পুঁজিবাজার বিনিয়োগসীমা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বিতভিত্তি গণনার বিষয়টি আরোপিত হয়েছে। যার কারণে পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহের ক্ষেত্রটি অধিকতর সংকুচিত হয়েছে। এমতাবস্থায় ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬ ধারা অনুসারে এককভিত্তিতে এক্সপোজার গণনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। ২. ব্যাংক কোম্পানি আইন- ১৯৯১ (সংশোধিত ২০১৩) এর ২৬ ধারায় প্রযোজ্য সব সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য অন্তর্ভুক্ত করার বিধান আছে। এ কারণে যে সব সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য নেই তাদের অন্তর্ভুক্ত না করা অর্থাৎ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, যেমন- বন্ড, ডিবেঞ্চার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে এক্সপোজার হিসাবের বাইরে রাখা। ৩. কৌশলগত বিনিয়োগ, যা পুরো মেয়াদকাল পর্যন্ত ধারণকৃত এবং যেসব বিানিয়োগকৃত সিকিউরিটিজের কোনো লেনদেন হয় না, সেসব সিকিউরিটিজকে এক্সপোজার গণনা হতে বাদ দেয়া। ৪. পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের এক্সপোজার লিমিট গণনার ক্ষেত্রে বাজারমূল্যের ভিত্তিতে না ধরে ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে গণনা এবং ৫. ব্যাংক তার পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারিকে প্রদত্ত ঋণের যে অংশ ব্যাংক খাতে বিনিয়োগ করে তা পুঁজিবাজার এক্সপোজার হিসাবে গণনা না করে শুধুমাত্র উক্ত ঋণের যে অংশ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয় তা-ই উক্ত ব্যাংকের প্রকৃত পুঁজিবাজার এক্সপোজার হিসেবে হিসবায়ন করা। ডিএসইর কর প্রস্তাবনাসমূহ- স্টক এক্সচেঞ্জের পূর্ণ কর অব্যাহতি : ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তীত ২০১৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০১৩-২০১৪ প্রথম বছর কর অব্যাহতির হার ছিল ১০০ শতাংশ। ২০১৪-২০১৫ দ্বিতীয় বছর কর অব্যাহতির হার ছিল ৮০ শতাংশ। ২০১৫-২০১৬ তৃতীয় বছর কর অব্যাহতির হার ছিল ৬০ শতাংশ। ২০১৬-২০১৭ চতুর্থ বছর কর অব্যাহতির হার ছিল ৪০ শতাংশ এবং ২০১৭-২০১৮ পঞ্চম বছর কর অব্যাহতির হার ছিল ২০ শতাংশ। পরবর্তীতে ডিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে দ্বিতীয় বছরও (২০১৪-২০১৫) কর অব্যাহতির হার ১০০ শতাংশ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তিগত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে পরবর্তী তথা ২০১৫-২০১৬, ২০১৬-২০১৭ এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্যও ১০০ শতাংশ কর অব্যাহতি প্রয়োজন। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। পুঁজিবাজারে লেনদেনে কর হ্রাস : স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডারদের কাছ থেকে ট্রেডের উপর অর্থ আইন- ২০০৫ অনুযায়ী শূন্য দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশের পরিবর্তে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর আদায় করা হয়। যা পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ যেমন- ভারতের চেয়ে ৩ দশমিক ৮৪ গুণ বেশি। ভারতে এক্ষেত্রে কর আদায় করা হয় শূন্য দশমিক শূন্য ১৩ শতাংশ। পকিস্তানে এ কর শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আর হংকংয়ে শূন্য দশমিক শূন্য ২৭ শতাংশ। এমএমই মার্কেটে লেনদেনের ওপর উৎসে কর অব্যাহতি : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলো দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। স্বল্প মূলধনের কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করতে পারলে তাদের ঋণের বোঝা হ্রাস পাবে। কর্পোরেট প্রোফাইল বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসার প্রসার ঘটবে। কিন্তু বর্তমান আইন অনুযায়ী এসএমই মার্কেটে সিকিউরিটিজ লেনদেনের ক্ষেত্রে মূল মার্কেটের ন্যায় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক ডিএসই ট্রেকহোল্ডারদের কাছ থেকে ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স-১৯৮৪ এর আওতায় শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়। এসএমই মার্কেটের উত্তরণ ও সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করতে স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেনের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়। করমুক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়ানো : ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স- ১৯৮৪ অনুযায়ী বর্তমানে করমুক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা। কোম্পানিসমূহ তাদের কর পরবর্তী মুনাফা থেকে এ লভ্যাংশ প্রদান করে। লভ্যাংশপ্রাপকের ওপর কর আরোপের ক্ষেত্রে দ্বৈত করের উদ্ভব হয়। ফলে করমুক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়েছে। এরূপ পদক্ষেপে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হওয়াসহ পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট নিরসন হবে এবং বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে। কর্পোরেট আয়কর হারের পার্থক্য ২০ শতাংশে উন্নীত করা : আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট আয়কর হারের পার্থক্য ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া যে সব কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের কমপক্ষে ২০ শতাংশ আইপিওর মাধ্যমে হস্তান্তর করে, উক্ত কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের পরবর্তী তিন বছর আয়করের ওপর ১০ শতাংশ হারে রেয়াতের প্রস্তাব করা হয়েছে। ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার হস্তান্তরে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহার : স্ট্যাম্প ডিউটি আইন- ১৮৯৯ অনুযায়ী কোনো কোম্পানি বা অন্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থাকে শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিদান মূল্যের ১ দশমিক ৫০ শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি প্রদান করতে হয়। তবে এ আইনে কোম্পানিজ আইন- ১৯৯৪ এ সংজ্ঞায়িত স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিডেট কোম্পানির শেয়ার ও ডিবেঞ্চার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যেহেতু ডিএসইর শেয়ারগুলো ডিমেট (অজড়করণ) অবস্থায় রয়েছে, স্ট্যাম্প ডিউটি আইন- ১৮৯৯ এর ৬২ ধারা অনুযায়ী এ ডিমেট শেয়ারে স্ট্যাম্প প্রদানের কোনো সুযোগ নাই। এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন- ২০১৩ এর ১৫ ধারা অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের সব ডিমেট সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। পুঁজিবাজার উন্নয়নের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটেও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিশকিছু দিক-নির্দেশনা থাকবে। শেয়ারনিউজ24 পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যতাবাধকতা বিগত ৮ বছর ধরেই চলে এসেছে। এরপরেও তালিকাভুক্ত ৪৬ কোম্পানির পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারেনি। ৮ বছর পর এই নির্দেশনার সংযোজন, বিয়োজন করে গতকাল নতুন করে নোটিফিকেশন জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নতুন নোটিফিকেশন অনুযায়ী, ব্যর্থ ৪৬ কোম্পানির পরিচালকদের তাদের পদ ধরে রাখতে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনতে হবে। অন্যথায় ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানি রাইট ওফার, আরপিও, বোনাস শেয়ার, কোম্পানি একীভূতকরণসহ কোনো প্রকারের মূলধন উত্তোলন করতে পারবে না। এছাড়া কোনো পরিচালক যদি এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়; তাহলে এই শূন্য পদ পূরণ করতে যাদের এই ২ শতাংশ পরিমাণ শেয়ার আছে তাদের থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিচালক মনোনীত করতে হবে। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত উদ্যোক্তা পরিচালকগণ সম্মিলিতভাবে এই শেয়ারধারণে ব্যর্থ হলে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ওই কোম্পানির জন্য একটি আলাদা ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে বিএসইসি’র নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে। আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকবে দেশের পুঁজিবাজার । বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসন্ন ঈদে ৪ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকবে । এর আগে ২ জুন শবে কদরের কারনে ছুটি। তার আগের ৩১ মে ও ১ জুন যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় সরকারি বন্ধ থাকবে। স্বাভাবিকভাবে সরকারি বন্ধের সঙ্গে ওইসব দিনগুলো পুঁজিবাজারও বন্ধ থাকে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ৩ জুন সরকারি ছুটি নেই। তবে ডিএসইর পর্ষদ ৩ জুন পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ টানা ৯ দিন বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজার।
এদিকে, ঈদ-উল ফিতরের পর পুরাতন নিয়মে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে। অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০ টায় লেনদেন শুরু হয়ে বিরতিহীন ভাবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। শেয়ারনিউজ24 প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া নিউ লাইন ক্লোথিংসের শেয়ার লেনদেন সোমবার (২৭ মে) থেকে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে শুরু হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত নিউ লাইন ক্লোথিংসের ডিএসইতে ট্রেডিং কোড হচ্ছে : "NEWLINE" এবং কোম্পানি কোড হচ্ছে : ১৭৪৮২।
জানা গেছে, আইপিও লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার ১৫ এপ্রিল শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ২৪ মার্চ লটারির মাধ্যমে কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়। কোম্পানিটির আইপিওতে ১৮ থেকে ০৩ মার্চ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য আইপিওতে ৮৯৯টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন করা হয়েছে। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের করেছে। গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৬৭তম সভায় কোম্পানিটিকে এ অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়। এজন্য প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নেয়া হয় ১০ টাকা করে। যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, কারখানা ভবন সম্প্রসারণ, মেয়াদী ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করতে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৫ টাকা। একই সময়ে পর্যন্ত কোম্পানিটির পুন:মূল্যায়নসহ নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১.৬৩ টাকা এবং পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০.৫২ টাকায়। আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স এবং সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস। বিজনেস আওয়ার24 প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের আইপিও লটারি আজ। কোম্পানিটির আইপিওতে প্রত্যাশার তুলনায় ৪৯.৬৬ গুন বেশি আবেদন জমা পড়ায় শেয়ার বরাদ্দে আজ, ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) লটারির ড্র’র আয়োজন করবে কোম্পানিটি। তবে, সাধারণ বিনিয়োগকারী কোটায় ৯৬ গুন আবেদন জমা পড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আজ, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনীতে কোম্পানিটির লটারির ড্র আয়োজিত হবে। এর আগে ২৩ এপ্রিল কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হয়, চলে ৫ মে পর্যন্ত। কোম্পানিটিকে প্রতিটি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে ১.৫ কোটি শেয়ার প্রাথিমক গণ প্রস্তাবের মাধ্যমে ইস্যু করার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১৫ কোটি টাকার পুঁজি উত্তোলন করবে। এই অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষের ইনটোরিয়র, ফিনিশিং ও আসবাবপত্র ক্রয়, জমি ক্রয় এবং আইপিও বাবদ খরচ করবে। এর মধ্যে বিভিন্ন কক্ষের ইনটেরিয়র, ফিনিশিং ও আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ খরচ হবে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা, জমি ক্রয় বাবদ খরচ হবে ২ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং আইপিও বাবদ খরচ হবে ১ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার টাকা। ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী, কোম্পানির নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ১০ টাকা ৪৮ পয়সা। বিগত ৩ বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড়ে ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। শেয়ারনিউজ24 শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির যেসব উদ্যোক্তা নিয়ম ভেঙ্গে ঘোষণা না দিয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও না জানিয়ে শেয়ার বিক্রি করে উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা কত টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে তার তথ্য খুঁজে বের করতে ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে (সিআরও) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ওইসব উদ্যোক্তা/পরিচালকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ি সকল পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিএসইসিকে অবহিত করা হবে।
আজ বুধবার ডিএসইতে অনুষ্ঠিত স্টেকহোল্ডারদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ডিএসই পরিচালকগণ। বৈঠকে ডিএসই ছাড়াও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এর নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সম্মেলনে জানানো হয়, বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের শেয়ার বিক্রি করে চলে যাওয়াতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। উদ্যোক্তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হলে অবশ্যই স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে হয় এবং কর পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু বেশ কিছু সময় ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু উদ্যোক্তা স্টক এক্সচেঞ্জকে না জানিয়ে এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে শেয়ার বিক্রি করছে। আগে না জানিয়ে উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা শেয়ার বিক্রি করতে পারলেও এখন আর সেটা সম্ভব না। কারণ এরইমধ্যে এই সমস্যারোধে বিএসইসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া আজকের বৈঠকে ডিএসই, ডিবিএ, সিএসই ও বিএমবিএ’র মধ্যে সমন্বয় তৈরী করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে আগামিতে শেয়ারবাজার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব না দিয়ে, সমন্বয় করে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। আগামিতে যেকোন বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ৪টি সংগঠনের পক্ষে একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে। এলক্ষ্যে ডিএসইর পক্ষ থেকে পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিবিএর পক্ষে শাকিল রিজভী, সিএসইর পক্ষে ছায়েদুর রহমান ও বিএমবিএর পক্ষে নাসির চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩জন করে প্রতিনিধি থাকবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিনিধি ছাড়াও চার প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। শেয়াারনিউজ24 বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানি রানার অটোমোবাইলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২১ মে মঙ্গলবার এই লেনদেন শুরু হবে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে ৪ মার্চ সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলে এজিবি কলোনিতে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হবে। আর ৩১ জানয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, আইপিওর চাঁদা গ্রহণ করে।
রানার অটোমোবাইলকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলনের জন্য প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। কোম্পানিটি ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮টি সাধারণ শেয়ারের মধ্য ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি সাধারণ শেয়ার ৭৫ টাকা মূল্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। বাকী ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৫টি সাধারণ শেয়ার ৬৭ টাকা মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীর নিকট ইস্যু করা হবে। এর আগে গত ১০ জুলাই কোম্পানিটিকে প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির বিডিং এর অনুমোদন দেয় কমিশন। আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকায় কোম্পানিটি গবেষনা ও উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংব ঋণ পরিশোধ ও প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা। আলোচ্য বছরে কোম্পানির সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভি ৪১ টাকা ৯৪ পয়সা। শেয়ারনিউজ24 শেনঝেন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) উভয়ই ইস্যুয়ার ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য ভি-নেক্সট অনলাইন প্লাটফরম বাংলাদেশে যুক্ত করেছে । গত বছর শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মিলিত কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে ডিএসইর কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির আওতায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএসই।
ডিএসই জানায়, গত ৬ মে ভি-নেক্সটে বাংলাদেশ উইন্ডো উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিদেশী বিনিয়োগের খোঁজে থাকা বাংলাদেশী কোম্পানি ও প্রকল্পগুলোর সঙ্গে চীনসহ অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীদের এ সেতুবন্ধ রচনা করেছে শেনঝেন ও ডিএসই। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, বিশেষায়িত এ প্লাটফরমে বিদেশী বিনিয়োগ গ্রহণে আগ্রহী বাংলাদেশী তালিকাভুক্ত বা তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানি কিংবা প্রকল্পগুলো তাদের সব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করবে। অনলাইন প্লাটফরমটিতে রোডশো সম্পন্ন করা যাবে। টেক্সট বা মাল্টিমিডিয়া ফরম্যাটে আর্থিক তথ্য-উপাত্তের বাইরে বিভিন্ন কোয়ালিটেটিভ বিষয়ও সেখানে উপস্থাপন করা যাবে। বিনিয়োগযোগ্য কোম্পানি বা প্রকল্পের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩৮টি দেশ অথবা অঞ্চলের বিনিয়োগকারীরা ভি-নেক্সট প্লাটফরমে নিবন্ধিত হয়েছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্লাটফরমটি দুই পক্ষের চাহিদার খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে ম্যাচিংয়ের ভিত্তিতে ইস্যুয়ার ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়। ম্যাচিংয়ের পর অ্যালার্ট পাওয়া ছাড়াও প্লাটফরম থেকে এনক্রিপটেড ডাটা আদান-প্রদান করতে পারেন এর গ্রাহকরা। রয়েছে কাস্টমাইজড ইনফরমেশন সার্চিংয়ের সুবিধাও। চীনে ১২ হাজারের বেশি যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এ প্লাটফরমের সেবা নিচ্ছেন। প্রকল্প ও পুঁজির সম্মিলন ঘটাতে ভি-নেক্সটের সাকসেস রেট প্রায় ২০ শতাংশ। ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেনঝেনে বাংলাদেশ উইন্ডো উদ্বোধনের দিন তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির ২০টি বাংলাদেশী কোম্পানি অনসাইট মিটিং ও ভি-নেক্সট প্লাটফরমে লাইভ ব্রডকাস্টের মধ্য দিয়ে তাদের রোডশো সম্পন্ন করেছে। ওই দিন একই স্থানে শেনঝেন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ যৌথভাবে আয়োজন করে দ্বিতীয় চায়না বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট কো-অপারেশন সেমিনার। তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল অর্থনীতি, দুই দেশের পুঁজিবাজারের মধ্যে সহযোগিতা, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। দুই দেশের দেড় শতাধিক তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতিনিধি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী সেমিনারে অংশ নেন। অর্থসূচক টানা সাড়ে ৩ মাস যাবত দরপতনে থাকা দেশের পুঁজিবাজার ছয় সুসংবাদে (ইস্যুতে) এখন ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করেন বিনিয়োগকারী এবং বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহজ শর্তে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ঋণ সহায়তা দেওয়া এবং আসছে বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা রাখছে সরকার। এসব সুসংবাদের ফলে পুঁজিবাজার নিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, তা দূর হবে। পাশাপাশি তারল্য সংকটও কমবে। তাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিশেয়নের প্রেসিডেন্ট ও ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকার পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, পুঁজিবাজার ভালো হবে। বাংলাদেশ মাচেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেডিসডেন্ট ছায়েদুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে এলেন, ব্যাংকগুলোর এক্সপোজার বাড়ানোর পাশাপাশি লোনগুলো রি-সিডিউল করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকের আয় বাড়বে। মুনাফাও হবে। এতে একদিকে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সক্ষমতাও বাড়বে। পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারবে। এছাড়া আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসছে। তাতে আমি মনে করি, আগামীতে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিনিয়োগকারী আব্দুর রাজ্জাক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এক্সপোজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার যে সারক্যুলার জারি করেছে তার ফলে ব্যাংকগুলো নতুন করে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের সক্ষমতা পেল। ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করলে পুঁজিবাজার এমনিতে ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ ব্যাংকিং সেক্টর পুঁজিবাজারে মোট বাজার মূলধনের ৩০ শতাংশ অবদান রাখে। আব্দুর রাজ্জাকের মতই সাড়ে ২৮ লাখ অ্যাকাউন্টধারীর সবারই প্রত্যাশা, পুঁজিবাজার রোববার (২০ মে) থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটারি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মিলে ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৫৬৪টি বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট রয়েছে। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে চলা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের অন্তত ৬০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দুই বাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের ৩০ হাজার আর সিএসইর বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৩১ হাজার কোটি টাকা। দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলের রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন বিনিয়োগকারীরা। তারপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একগুচ্ছ প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়। আর সেগুলো এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে। উদ্যোগগুলো হচ্ছে-ব্যাংকের বিনিয়োগের সক্ষমতা বৃদ্ধির বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ, যা দৈনন্দিন লেনদেনে প্রভাব ফেলে না তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসাবে ধরা হবে না, বিদ্যমান নিয়মে ব্যাংকগুলোর আদায় করা মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসাবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিং-এর ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। সমন্বিত পদ্ধতিতে ব্যাংক ও তার সাবসিডিয়ারি মিলে বিনিয়োগ করতে পারে ৫০ শতাংশ। ১৬ মে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের করম একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারে এখন থেকে সাধারণ শেয়ার, প্রেফারেন্স শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার, বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হবে না। আইসিবির সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রণোদনা প্যাকেজের সুদ ও আসলসহ আদায় করা ৮৫৬ কোটি টাকা পুনর্ব্যবহারের জন্য আইসিবিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তহবিলটির মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। আইপিও, প্লেসমেন্ট বন্ধ স্টেকহোল্ডারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত আইপিও আবেদন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ সংশোধন হওয়ার আগ পর্যন্ত চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে আইপিও সংক্রান্ত নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। তবে এরই মধ্যে যেসব কোম্পানির আইপিও আবেদন জমা পড়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে। একই সঙ্গে বিএসইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ৩০ এপ্রিল থেকে অ-তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির মূলধন উত্তোলন সংক্রান্ত কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। তবে এরই মধ্যে যেসব অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মূলধন উত্তোলনের (ক্যাপিটাল রাইজিং) আবেদন জমা পড়ে আছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে। লক-ইনের সময় বৃদ্ধি নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপ কমাতে লক-ইনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এজন্য নিয়মে পরিবর্তন এনে লেনদেনের প্রথম দিন থেকে লক-ইন গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে প্রসপেক্টাস ইস্যুর তারিখ থেকে লক-ইন গণনা করা হত। এ পরিবর্তনের ফলে ভিএফএস থ্রেড ডাইং, এমএল ডাইং, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস, কাট্টালি টেক্সটাইল, এসএস স্টিল, স্কয়ার নিট কম্পোজিট ও জেনেক্স ইনফোসিসের লক-ইনের সময় বেড়েছে। ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে কঠোর প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও), প্লেসমেন্ট, আইপিও-পরবর্তী বোনাস শেয়ার এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের এককভাবে ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত বিদ্যমান নোটিফিকেশনের একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যেসব কোম্পানিতে ২ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই তাদের কোটা পূরণ করতে হবে। এছাড়াও আসছে বাজেটে থাকছে বিশেষ প্রণোদনা। শেয়ারনিউজ24 সমস্যার গভীরে না গেলে পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করা যাবে না বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. রকিবুর রহমান। তার মতে, বাজারের গভীর সমস্যা হলো-বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট। এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) যারা বাজারের সঙ্গে জড়িত, তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজগুলো করতে হবে। তাহলেই আস্থার সংকট কেটে যাবে।
বুধবার বার্তা২৪.কমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা, ডিসক্লোজার বেসিসে নতুন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) দেওয়া বন্ধ করা এবং আইপিও দেওয়ার আগে কোম্পানির প্রসপেক্টাসকে পুনরায় অডিট করা। তিনি বলেন, আইপিও অনুমোদনের আগে কারখানা পরিদর্শন করতে হবে। যারা আইপিও আনছে তাদের ক্রেডিবিলিটি দেখতে হবে। তারপর আইপিও অনুমোদন দিতে হবে। মিডওয়ে সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মোঃ রকিবুর রহমান আরও বলেন, পৃথিবীর সব দেশের নিয়ম হচ্ছে-আইপিও অনুমোদন দেয় স্টক এক্সচেঞ্জ। তারা এ কারণে দেয় যে স্টক এক্সচেঞ্জ অনুমোদন দেওয়ার পর কোনো ভুল করলে তাদের বিরুদ্ধে কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে উল্টো নিয়ম, আইপিওর অনুমোদন দেয় কমিশন। আর তাও ডিসক্লোজার বেসিসে। ডিসক্লোজার বেসিসে আইপিও অনুমোদন দেওয়ার পর সেখানে যদি মিথ্যা তথ্য পাওয়া যায়, ভুল ভ্রান্তি পাওয়া যায়, তাহলে কমিশন জাজ হয়ে সেটি কীভাবে মূল্যায়ন করবে? তাই অমি মনে করি, আইপিও অনুমোদনের ক্ষমতা এক্সচেঞ্জের হাতে দেওয়া উচিত। স্টক এক্সচেঞ্জ অত্যন্ত সততার সঙ্গে এক্সপার্ট টিমের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে দেখে আইপিওর অনুমোদন দেবে। তিনি মনে করেন, বর্তমান সময়ে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি। ডিএসইর সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার বিক্রি করবে; তাতে আমার কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু উদ্যোক্তারা যখন শেয়ার বিক্রি করে, তখন যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে। দেখতে হবে, উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগতভাবে ২ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিতভাব ৩০ শতাংশ শেয়ার আছে কি না? যদি থাকে, তাহলে এক্সচেঞ্জ তার ক্লিয়ারেন্স দেবে। তারপর উদ্যোক্তারা স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার বিক্রির জন্য ঘোষণা দেবে। ঘোষণা দেওয়ার ১৫ দিন পর থেকে উদ্যোক্তারা শেয়ার বিক্রি করবে। কারণ, বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দিতে হবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা যে উদ্যোক্তাদের দেখে শেয়ার কিনেছিল, সেই উদ্যোক্তারা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। এখন তারা শেয়ার রাখবে কি না-সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আর স্পন্সররা অব্যশই ব্লক মার্কেটে শেয়ার বিক্রি করে। এটাকে পাবলিক মার্কেটে বিক্রি করা যাবে না। নিয়ম অনুসারে তাদের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করতে হবে। মোঃ রকিবুর রহমান বলেন, যে সব কোম্পানি ৩০ শতাংশ ও ২ শতাংশ শেয়ারহোল্ড করে না সেসব কোম্পানিতে রিএনফোর্সমেন্টে যেতে হবে। প্রয়োজনে তাদের চিহিৃত করতে নতুন একটি ক্যাটাগরি করতে হবে। তার নাম হতে পারে ‘এম’ ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরির শেয়ার লোন মার্জিন পাবে না। কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ করতে পারবে না। বোনাস ও রাইট শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। তাদের যদি কোনো মাদার প্রতিষ্ঠান থাকে, তাহলে তাদের ব্যাংক লোনও বন্ধ করে দিতে হবে। তাদের কিছু কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে। যাতে তারা অন্যদের মতই সমাজে সুযোগ সুবিধা না পায়। আমার মনে হয়, এমনটা সম্ভব হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। সৌজন্যেঃ বার্তা২৪ পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটানোসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সচিবালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে।ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে চলমান এই বৈঠকে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আজকের বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বাজারে গতিশীলতা ফেরানো।এটি করার জন্য বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে হবে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রক্ষণশীল অবস্থান আর কিছু বিধিনিষেধের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে ব্যাংকের বিনিয়োগের সুযোগ সংকুচিত হয়ে আছে। স্টেকহোল্ডারদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বিস্তারিত আসছে…………….. পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর প্রথম দিন থেকে লক-ইন(বিক্রয়যোগ্য) দিন গণনা শুরু হবে। আজ বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এই তালিকায় পড়েছে নতুন লেনদেন শুরু হওয়া কয়েকটি কোম্পানিও। কোম্পানিগুলো হলো-ভিএফএস থ্রেড ডাইং, এম.এল ডাইং, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস, কাট্টালি টেক্সটাইল, এস.এস স্টিল ও জেনেক্স ইনফোসিস। এর আগে প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করন প্রকাশের দিন থেকে লক-ইন গণনা করা হতো। তবে লক-ইন এর মেয়াদ আগের ন্যায় উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ও ১০ শতাংশ বা এর বেশি শেয়ারধারীদের জন্য ৩ বছর ও বাকিদের জন্য ১ বছর প্রযোজ্য। যা কমিশন শীঘ্রই পরিবর্তন করে, সবার জন্য ৩ বছর লক-ইন করতে যাচ্ছে। শেয়ারনিউজ; প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) স্থির মূল্য এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতি, প্লেসমেন্ট, আইপিও পরবর্তী সময়ে বোনাস শেয়ার ইস্যু ও দুই শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত বিধিমালা ও নোটিফিকেশন সংশোধনে দুই টি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বিএসইসির ৬৮৫তম সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সূত্র মতে, দুটি কমিটি একটির প্রধান করা হয়েছে নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে। অন্যটির প্রধান করা হয়েছে নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলামকে। ফরহাদ আহমেদ: এই কমিটির সদস্য হলেন ছয়জন। অন্যদের মধ্যে আছেন সদস্য সচিব উপ পরিচালক শেখ লুৎফর কবির। সদস্যরা হলেন, নির্বাহী পরিচালক রুকসানা চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, রিপন কুমার দেবনাথ, মো. মনসুর রহমান। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হবে- প্রাইভেট অফারের মাধ্যমে মূলধন উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিএসইসির অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন হবে না সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিমালা, নোটিফিকেশন বাতিল বা পরিবর্তন সংক্রান্ত খসড়া আদেশ তৈরী ও নীতিমালা প্রনয়ন। আইপিও আকার,কোটা, যোগ্য বিনিয়োগকারী,লক ইন পরিয়ড ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়ে গৃহিত সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু)রুলস,২০১৫ এর প্রয়োজনীয় সংশোধনের খসড়া তৈরী করবে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আদেশ বা নোটিফিকেশন পরিবর্তন সংক্রান্ত কাজ। মো. আনোয়ারুল ইসলাম: এই কমিটির সদস্য হলেন চার জন। অন্যদের মধ্যে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন-উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। বাকী সদস্যরা হলেন- পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ, মো. মনসুর রহমান। এই কমিটির কাজ হবে- এই কমিটির কাজ হবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোনাস শেয়ার ঘোষনার নতুন শর্ত সংযোজন, মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের প্রক্রিয়ার সংশোধন। উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন সংক্রান্ত নোটিফিকেশনের প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আদেশ বা নোটিফিকেশন পরিবর্তন সংক্রান্ত কাজ করা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিদ্যমান আইনে এখনো যেসব কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়েছে; কিন্তু কোম্পানির ইস্যুকৃত শেয়ারের লক ইন (যা এখনও উম্মুক্ত হয় নাই) পিরিয়ড প্রসপেক্টাস ইস্যুর তারিখের পরিবর্তে ট্রেডিং শুরুর তারিখ থেকে গণনা শুরু হবে। এটি আজকের দিন থেকে গণনা শুরু হবে। শেয়ারনিউজ; ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে প্রনোধনার ৮৫৬ কোটি টাকা আবারো পুঁজিবাজারে আসছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে রোববার পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেনে উল্লম্ফন হয়েছে। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ১০৮ পয়েন্ট। অপরদিকে, পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মূল্যসূচকে বেড়েছে ২০৪ পয়েন্ট।
এর আগে বৃহস্পতিবার তিনটি শর্ত দিয়ে পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রণোদনা স্কিমের ৮৬৫ কোটি টাকা আইসিবির মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারের জন্য সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। অর্থ বিভাগের ওই সম্মতিপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান পুঁজিবাজারে লেনদেনে নিম্নগতির ধারা প্রতিরোধে প্রণোদনা প্যাকেজের সুদ ও আসলসহ আদায়কৃত ৮৫৬ কোটি টাকা পুনর্ব্যবহারের সম্মতি দেয়া হলো। আইসিবির মাধ্যমে এ তহবিলের অর্থ বিতরণ করা হবে। বিতরণকৃত ঋণের সুবিধাভোগী ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের তালিকা তৈরিসহ আরও বড় পরিসরে তারল্য জোগানের সম্ভাব্যতা নির্ধারণ ও তহবিলের দেখভাল করবে বিদ্যমান কমিটি। তহবিলটির মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে গত ৩ মে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের মো. মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া জানান, আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে। তার ওই ঘোষণায় বৃহস্পতিবারই মন্দা কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেরার ইঙ্গিত দেয় পুঁজিবাজার। পতনের ধারা কাটিয়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ১০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য আইসিবিকে তহবিল প্রদানে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়ায় রোববার (৫ মে) পুঁজিবাজারে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। ডিএসই’র বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯২টির, দর কমেছে ৩৮টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় ডিএসইতে ১৫ কোটি ৬৬ লাখ ১ হাজার ৭৫৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময় ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১০৮.১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫৩৯৪ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে। এ সময় শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্যসূচক ডিএসইএস বেড়েছে ১৫.৬৩ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ৩১.০৮ পয়েন্ট। দিন শেষে ডিএসইতে ৫৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে ৪৭৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৬০ কোটি টাকা। প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের চাঁদা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। আগামীকাল (৬ মে) কোম্পানিটির চাঁদা সংগ্রহ সময় শেষ হবে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হয়। ইস্যু ম্যানেজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটিকে প্রতিটি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে ১.৫ কোটি শেয়ার প্রাথিমক গণ প্রস্তাবের মাধ্যমে ইস্যু করার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী, কোম্পানির নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ১০ টাকা ৪৮ পয়সা। বিগত ৩ বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড়ে ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |