midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
এখন থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনের ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা নিতে হলে সেকেন্ডারি বাজারে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) নির্দিষ্ট অংকের বিনিয়োগ থাকতে হবে। তা না হলে কোনো ইআই তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের কোটা সুবিধা পাবেন না। আর সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের পরিমাণ কত হবে তা কমিশন প্রতিটি পাবলিক ইস্যুর সম্মতিপত্রে উল্লেখ করে দেবে। গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৮৮তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাছাড়া গতকালের আইপিওপূর্ব প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুসহ পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫-এর বেশকিছু সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সভা শেষে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি মার্কেটে বেশকিছু সংস্কার করার ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা অনুসারে সেকেন্ডারি মার্কেট-সংক্রান্ত বিষয়গুলো কমিশন এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করেছে। আর প্রাইমারি মার্কেট-সংক্রান্ত বিষয়গুলো সংস্কারের জন্য কমিশনের গঠিত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে গতকালের কমিশন সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—এখন থেকে আইপিও এবং তালিকাভুক্ত ছাড়া অন্য কোম্পানির ইকুইটি শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন ইস্যুর ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন হবে না। এ-সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের ধারা ২ডি এর অধীনে খসড়া প্রজ্ঞাপনটি অনুমোদন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এর আগে জারি করা নয়টি প্রজ্ঞাপন ও আদেশ বাতিল করা হবে এবং এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন সংশোধিত আকারে জারি করা হবে। তাছাড়া পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ এর ২০ সংশোধনী অনুমোদন করেছে কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে-- (ক) আইপিও এবং তালিকাভুক্ত ব্যতিত অন্যসকল কোম্পানি ইক্যুইটি শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন ইস্যুর ক্ষেত্রে কমিশনের সম্মতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আইপিও এবং তালিকাভুক্ত ব্যতিত অন্যসকল কোম্পানি ইক্যুইটি শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন ইস্যুর ক্ষেত্রে কমিশনের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে না। এ সংক্রান্ত পূর্বের জারি করা ৯টি প্রজ্ঞাপন বা আদেশ বাতিল করা হবে এবং একটি প্রজ্ঞাপন সংশোধিত আকারে জারি করা হবে।
(খ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর বেশকিছু বিষয় সংশোধন করে তা অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এছাড়া সংশোধিত আইনটি শিগগিরই জনমত জরিপের জন্য প্রকাশ করা হবে। প্রস্তাবিত সংশোধনীসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো নিম্নরূপ: ০১. আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইলিজিবল ইনভেস্টর) হিসেবে কোটা সুবিধা গ্রহণ করতে হলে কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট অংকের সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে। এই বিনিয়োগ না থাকলে কোন যোগ্য বিনিয়োগকারী তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের কোটা সুবিধা পাবেন না। সেকেন্ডারি মার্কেটে এই বিনিয়োগের পরিমাণ কত হবে তা কমিশন প্রত্যেক পাবলিক ইস্যুর সম্মতিপত্রে উল্লেখ করবে। ০২. পূর্বের ইস্যুকৃত মূলধন সম্পূর্ণ ব্যবহার না করে পাবলিক ইস্যুর প্রস্তাব করা যাবে না। ০৩. অভিহিত মূল্যের পাবলিক ইস্যুর পরিমাণ কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা অথবা ইস্যুয়ারের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ যা বেশি সে পরিমাণ হতে হবে। ০৪. বুকবিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা অথবা ইস্যূয়ারের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ যা বেশি সে পরিমাণ হতে হবে। ০৫. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর শেয়অরের কোটা বিডিং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে বিক্রি না হলে সে ইস্যু বাতিল হয়ে যাবে। ০৬. স্টক এক্সচেঞ্জকে পাবলিক ইস্যুর তালিকাভুক্তির আবেদন পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পাবলিক ইস্যু রুলস বা অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন অথবা অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ডের ব্যত্যয়, যদি থাকে, উল্লেখপূর্বক তাদের মতামত কমিশনে প্রেরণ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মতামত প্রদান না করলে ধরে নেয়া হবে যে স্টক এক্সচেঞ্জের এ বিষয়ে কোন মতামত নেই। ০৭. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ বিডারদের নাম অথবা তাদের প্রাইস ডিসপ্লে করা যাবে না। ০৮. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ যোগ্য বিনিয়োগকারীদের তাদের বিডের ১০০% মূল্য যে এক্সচেঞ্জ বিডিং পরিচালনা করছে তাতে জমা দিতে হবে। ০৯. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ বিডাররা যে মূল্যে এবং যে পরিমাণ শেয়ার বিড করবেন সেই মূল্যেই সেই পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করতে হবে। ১০. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ শেয়অরের অ্যালটমেন্ট সর্বোচ্চ মূল্যস্তরে শুরু হবে এবং ক্রমান্বয়ে তা নিচের দিকে আসবে। যে মূল্যে শেয়ার শেষ হবে তা কাট অফ প্রাইস হিসাবে গণ্য হবে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই মূল্য থেকে ১০% কমে শেয়ার ক্রয় করবেন। ১১. বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ যদি কাট অফ প্রাইসে একাধিক বিডারের বিড থাকে সেক্ষেত্রে যে বিডার আগে বিড দাখিল করেছেন তাকে প্রথমে শেয়ার প্রদান করা হবে। ১২. বিডিং এর চূড়ান্ত ফল, মূল্য ও বরাদ্দকৃত শেয়ারের সংখ্যাসহ যারা শেয়ার পেয়েছেন তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে এবং একই সাথে ইস্যুয়ার, ইস্যু ম্যানেজার এবং এক্সচেঞ্জের ওয়েব সাইটে তা প্রকাশ করা হবে। ১৩. অকৃতকার্য বিডারের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সর্বোচ্চ ০৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিডারকে ফেরত দিবে। ১৪. বিডিং এর পর খসড়া প্রসপেক্টাস এবং সকল কাগজপত্র প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে কমিশন সাধারণ জনগনের কাছে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন প্রদান করবে। ১৫. অভিহিত মূল্যে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৪০% থেকে কমে ৩০% হবে এবং সাধারণ জনগনের কোটা (এনআরবি ব্যতিত) ৪০% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০% হবে। ১৬. অভিহিত মূল্যের পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন সম্মিলিতভাবে ৬৫% এর কম হলে ইস্যু বাতিল হয়ে যাবে এবং আবেদন সম্মিলিতভাবে ৬৫% অথবা তার বেশি হলে কিন্তু ১০০% এর কম হলে বাকি শেয়ার আন্ডার রাইটার গ্রহণ করবে। ১৭. বুক বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৬০% থেকে কমিয়ে ৫০% এবং সাধারণ জনগনের কোটা ৩০% থেকে বাড়িয়ে ৪০% হবে। ১৮. প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত কোম্পানির সকল শেয়ারহোল্ডারদের লক ইন ৩ বছরের জন্য হবে এবং তা এক্সচেঞ্জে প্রথম ট্রেডিং এর দিন থেকে গননা করা হবে। ১৯. পাবলিক ইস্যুর আবেদনের সময় ইস্যুয়ারকে পূর্বে নগদে উত্তোলিত মূলধনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের অথবা অডিটরের সার্টিফিকেট এবং ব্যাংক স্টেমেন্ট দাখি করতে হবে। ২০.পাবলিক ইস্যুর আবেদনের সময়ে ইস্যুয়ারকে পূর্বে নগদে ব্যতিত উত্তোলিত মূলধনের ক্ষেত্রে যৌথ মূলধনী কোম্পানির রেজিস্ট্রারের সার্টিফাইড ভেন্ডর এগ্রিমেন্ট এবং সম্পদের মালিকানা সংক্রানত্ টাইটেল ডকুমেন্ট কমিশনে জমা দিতে হবে। শেয়ারনিউজ24
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2024
Categories |