midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
শিহাব আলম খান: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংসদে “সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের” শীর্ষক বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। স্বাধীনতার পর এবারই সর্ববৃহৎ ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। পুঁজিবাজার ইস্যুতেও প্রত্যক্ষ বিভিন্ন প্রনোধণা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি পুঁজিবাজারের পরোক্ষ ভাবে প্রভাব ফেলবে এমন আরো অনেক প্রনোধণা রয়েছে।
১। লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা বৃদ্ধিঃ করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এই সুবিধা যারা নিয়মিত ট্যাক্স প্রদান করেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। যারা ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেনা তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে উপকৃত হবেন না। তাদের লভ্যাংশ আয়ের উপর ১৫% করে কর কাটার বিধানে কোন পরিবর্তন আসেনি। ২। অনিবাসী কোম্পানির লভ্যাংশ আয়ে দ্বৈতকর প্রত্যাহারঃ অনিবাসী কোম্পানির লভ্যাংশ আয়ের উপর একাধিকবার করারোপ রোধ করার বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে অনিবাসী কোম্পানির লভ্যাংশ আয়ের উপর একাধিকবার করারোপ হবে না। এখানে উল্লেখ্য যে, নিবাসী কোম্পানির লভ্যাংশ আয়ের ওপর একাধিকবার করারোপ রোধ করার বিধান গত বছর কার্যকর করা হয়েছিল। দ্বৈতকর প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে, যারা আগে দ্বৈতকর দিত তারা সুবিধা পাবে। তবে যাদের দ্বৈতকর দিতে হত না, তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে কোন সুবিধা পাবেন না। আর যারা ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেনা তাদের আগের মতই লভ্যাংশ আয়ের উপর ১৫% করে কর দিতে হবে। ৩। বোনাস লভ্যাংশের উপর কর আরোপঃ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করলে সেই লভ্যাশের উপর কোম্পানিকে ১৫% কর দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে কোম্পানিগুলো বেশি বেশি নগদ লভ্যাংশ দিতে অনুপ্রাণিত হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ফলে কোম্পানি ট্যাক্স এড়ানোর জন্য যদি বোনাস লভ্যাংশ না দেয় এবং একই সাথে নগদ লভ্যাংশ না বাড়ায় সেই ক্ষেত্রে লভ্যাংশ (বোনাস+নগদ) কমানোর কারনে শেয়ারের দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া যে কোন ধরনের ট্যাক্স কোম্পানির আয় কমিয়ে দিবে যার জন্য বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে কোম্পানি বেশি নগদ লভ্যাংশ দিলে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবে। ৪। রিটেইন আর্নিংস এবং রিজার্ভের উপর কর আরোপঃ কোনো বছরে কোম্পানির রিটেইনড আর্নিংস এবং রিজার্ভের সমষ্টি তার পরিশোধিত মূলধনের ৫০% এর বেশি হলে বাড়তি অংশের উপর ১৫% কর দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে কোম্পানিগুলো বেশি বেশি নগদ লভ্যাংশ দিতে অনুপ্রাণিত হবে রিটেইনড আর্নিংস এবং রিজার্ভের উপর ট্যাক্স এড়ানোর জন্য যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভাল। তবে যেই সকল কোম্পানির রিটেইনড আর্নিংস এবং রিজার্ভের সমষ্টি তার পরিশোধিত মূলধনের থেকে অনেক বড় তাদেরকে বড় অংকের ট্যাক্স দিতে হবে যার কারনে কোম্পানির আয় এবং সম্পদ কমে আসবে যার নেতিবাচক প্রভাব শেয়ারের দামে পড়বে। আর অনেক ভাল কোম্পানি সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারনের জন্য রিজার্ভ বড় করে এবং সেই টাকা বিভিন্ন প্রজেক্টে বিনিয়োগ করে। ভাল কোম্পানিগুলো রিজার্ভ থেকে ব্যবসা সম্প্রসারন করার কারনে তাদের আয়ও বৃদ্ধি পায় যার সুফল বিনিয়োগকারীরাও পেয়ে থাকেন যেহেতু শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পায় আয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে। বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির আর্থিক অবস্থা এবং শেয়ারের দাম দেখলেও আমরা সেটা দেখতে পাই। এখন কোম্পানিগুলো যদি রিজার্ভ ভেঙ্গে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে দেয় অথবা রিজার্ভ বড় থাকার কারনে ট্যাক্স দিতে হয় তাহলে কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকটা তৈরি হবে যার ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীরাই হবে। ৫। টেক্সটাইল খাতে রপ্তানি প্রণোদনাঃ প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে চারটি খাত (ওভেন, নিট, সোয়েটার ও টেক্সটাইল) ৪% হারে প্রণোদনা পাচ্ছে সেগুলোর বাইরে থাকা অন্য সব খাতকে ১% হারে প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এজন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৬। বীমার ব্যবহার বৃদ্ধিঃ কৃষকদের জন্য পাইলট প্রকল্প হিসাবে শস্য বীমা এবং গবাদিপশু বীমা চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের গ্রুপ বীমার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ৭। আবাসান খাতে কালো টাকা বিনিয়োগে কর হ্রাস এবং জমি, ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে ডিউটি এবং ফি কমানোঃ আবাসান খাত তথা প্লট ও ফ্ল্যাটে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুযোগ আগে থেকেই ছিল। তবে কালো টাকা বিনিয়োগে করহার বেশি ছিল যা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া আবাসান খাতে স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ৮। আইটি এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতে শুল্ক হ্রাস-বৃদ্ধিঃ স্মার্ট ফোনের আমদানিতে শুল্ক ১০% থেকে বৃদ্ধি করে ২৫% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বাইরে আইসিটি খাতের বিভিন্ন উপকরন আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে অথবা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫% থেকে বৃদ্ধি করে ১০% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমের মোবাইল কল রেট এবং মোবাইল সিমের মাধ্যমে ব্যবহৃত ইন্টারনেটের দাম বাড়তে পারে। ৯। চামড়া ও পাদুকা শিল্পের উপকরণ আমদানিতে শুল্ক হ্রাসঃ চামড়া ও পাদুকা শিল্পের উপকরণ আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ১০। ঔষধ শিল্পে প্রণোদনা এবং শুল্ক হ্রাসঃ ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। মেডিক্যাল গ্যাস প্রস্তুতকারী কাঁচামালের উপর ডিউটি ২০% থেকে কমিয়ে ১০% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া তামাকজাত পন্যে ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রস্তাব এসেছে। মোটরসাইকেল আমদানি নিরুৎসাহিত করে দেশীয় মোটরসাইকেল উৎপাদন উৎসাহিত করতে উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণের শুল্ক বিবেচনা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পুরো ব্যাপারটা আরও বিস্তারিত উদাহরনসহ বুঝার জন্য ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন। ভিডিওটিতে বাজেটের অন্যান্য পয়েন্ট এবং কিছু ক্রিটিকাল ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। Written By:Shihab Alam Khan Youtube Channel Link:www.youtube.com/financeschool শেয়ারনিউজ24
0 Comments
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যতাবাধকতা প্রদান করা হয়। এর পর কেটে গেছে ৮ বছর, কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে নতুন করে বিক্রয় করেছে তারা। কিন্তু ৮ বছর পর এই নির্দেশনার সংযোজন, বিয়োজন করে নতুন করে নোটিফিকেশন জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এবার উদ্যোক্তা পরিচালকদের নতুন করে ছাড়া দেওয়া হবে না বলে হুসিয়ার করেছে বিএসইসি। পাশাপাশি উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ব্লকে নতুন করে মডিউল তৈরি করেছে সেন্ট্রাল ডিপোজিটারী বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।
নতুন নোটিফিকেশন জারি হওয়ায় ও সিডিবিএলের তৎপরতার কারণে ঘোষণা ছাড়াতো উদ্যোক্তা পরিচালকরা শেয়ার বিক্রয় করতে পারবে না। বরং যেসকল উদ্যোক্তাদের নূন্যতম শেয়ার ২ শতাংশ ও সম্মিলতি ৩০ শতাংশের নিচে রয়েছে তাদের পর্ষদে থাকতে নতুন করে শেয়ার কিনতে হবে। নতুন নোটিফিকেশন অনুযায়ী, ব্যর্থ ৪৬ কোম্পানির পরিচালকদের তাদের পদ ধরে রাখতে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনতে হবে। অন্যথায় ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানি রাইট ওফার, আরপিও, বোনাস শেয়ার, কোম্পানি একীভূতকরণসহ কোনো প্রকারের মূলধন উত্তোলন করতে পারবে না। এছাড়া কোনো পরিচালক যদি এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়; তাহলে এই শূন্য পদ পূরণ করতে যাদের এই ২ শতাংশ পরিমাণ শেয়ার আছে তাদের থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিচালক মনোনীত করতে হবে। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত উদ্যোক্তা পরিচালকগণ সম্মিলিতভাবে এই শেয়ারধারণে ব্যর্থ হলে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ওই কোম্পানির জন্য একটি আলাদা ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে বিএসইসি’র নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে। এদিকে তালিকাভুক্ত ৪৬ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে কম শেয়ার রয়েছে ইনটেক লিমিটেডের। এ কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ মাত্র ৩.৯৭ শতাংশ। ইনটেক লিমিটেডের পরিচালকদের আরো ২৬.০৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ কোম্পানির মোট ৩ কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ২২৬টি শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ পদ ধরে রাখতে হলে কিংবা শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে ইনটেক লিমিটেডের পরিচালকদের আরো ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৯১৫টি শেয়ার কিনতে হবে। বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার দর ৩৫ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইনটেক লিমিটেডের পরিচালকদের শেয়ার কেনার পেছনে ব্যয় করতে হবে প্রায় ২৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে ফাইন ফুডস লিমিটেড। এ কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ মাত্র ৫.০৯ শতাংশ। ফাইন ফুডস কোম্পানির পরিচালকদের আরো ২৪.৯১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ কোম্পানির মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৮টি শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ পদ ধরে রাখতে হলে কিংবা শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে ফাইন ফুডস লিমিটেডকে আরো ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ৯০০টি শেয়ার কিনতে হবে।বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার দর ৪২ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এক্ষেত্রে ফাইন ফুডস লিমিটেডের পরিচালকদের শেয়ার কেনার পেছনে ব্যয় করতে হবে প্রায় ১৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ফ্যামিলিটেক্স বিডি’র পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ মাত্র ৪.০২ শতাংশ। কোম্পানির পরিচালকদের আরো ২৫.৯৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ কোম্পানির মোট ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৮টি শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ পদ ধরে রাখতে হলে কিংবা শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে ফ্যামিলিটেক্স পরিচালকদের আরো ৯ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ৮৭০টি শেয়ার কিনতে হবে।বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার দর ৪ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার কেনার পেছনে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, এ কোম্পানির পরিচালকরা শেয়ার কিনবেনতো দূরের কথা উল্টো শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে গেছেন। যে কারণে কোম্পানির শেয়ার দর তলানিতে পড়ে রয়েছে। আজ এই খবরে কোম্পানির শেয়ার দর ১০ পয়সা বাড়লেও সামনে এর ভবিষ্যত পুরোই অন্ধকার। উল্লেখিত কোম্পানি ছাড়াও ইউনাইটে এয়ারওয়েজ(বিডি) লিমিটেড (৪.১৬%), ফু-ওয়াং সিরামিক (৫.৩৩%), ফু-ওয়াং ফুডস (৫.৩৬%), আইএফআইসি ব্যাংক (৮.৩৩%), অগ্নি সিস্টেমস (৯.৩৯%), সুহৃদ ইন্ডাষ্ট্রিজ (৯.৯৯%), একটিভ ফাইন (১২.০৪%), বেক্সিমকো ফার্মা (১৩.১৯%), ফাস ফাইন্যান্স (১৩.২০%), জেনারেশন নেক্সট (১৩.৮২%), বিজিআইসি (১৪.৮৯%), নর্দার্ন জুট (১৫.২৭%), আলহাজ্ব টেক্সটাইল (১৬.৮১%), মিথুন নিটিং (১৭.২০%), পিপলস ইন্স্যুরেন্স (১৭.৭৯%), ডেল্টা স্পিনার্স (১৮%), বারাকা পাওয়ার (১৮.০১%), মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স (১৮.০৭%), এপেক্স ফুটওয়্যার (১৯.৪২%), বেক্সিমকো লিমিটেড (২০.১৫%), এ্যাপোলো ইষ্পাত কমপ্লেক্স (২০.২৪%), অলিম্পিক এক্সেসরিজ (২০.৬৮%), উত্তরা ব্যাংক (২০.৮৮%), দুলামিয়া কটন (২১.০৪%), ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক (২১.৬২%), সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল (২২.১৪%), সালভো কেমিক্যাল (২২.১৪%), বিডিকম অনলাইন (২৩.১০%), পিপলস লিজিং (২৩.২১%), জাহিন স্পিনিং (২৩.৯৪%), কে অ্যান্ড কিউ (২৪.০৬%), ফার্মা এইডস (২৪.২২%), সেন্ট্রাল ফার্মা (২৫.৮৯%), অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ (২৭.৭৭%), বিডি থাই (২৮.২৩%), বে-লিজিং (২৮.২৬%), ম্যাকসন স্পিনিং (২৮.৩৭%), আফতাব অটোমোবাইলস (২৮.৪২%), এমারেল্ড অয়েল (২৮.৪২%), স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক (২৮.৫০%), পপুলার লাইফ (২৮.৯২%), তাল্লু স্পিনিং (২৯.০৪%) এবং কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড (২৯.৮৮%) কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ ৩০ শতাংশের নিচে রয়েছে। শেয়ারনিউজ24 প্লেসমেন্ট শেয়ার লক-ইনে ভিন্ন প্রস্তাব: রিজার্ভ ট্যাক্স নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ বিএসইসি18/6/2019 গৃহিত প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) সংশোধনীর বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা দিয়েছেন স্টেকহোল্ডাররা। এরমধ্যে শুধুমাত্র প্লেসমেন্ট শেয়ারে লক-ইন এর মেয়াদ নিয়ে স্টেকহোল্ডাররা ভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছেন। এই শেয়ারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের (ডিবিএ) পক্ষে ৩ বছরের লক-ইন প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পক্ষে ২ বছর বা তালিকাভুক্তির পরে ২টি বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত লক-ইন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে, বাজেটে রিজার্ভের উপর ট্যাক্স প্রস্তাব নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান।
আজ সোমবার (১৭ জুন) কমিশনের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা এই প্রস্তাব করেছেন। এর আগে ২৯ মে কমিশনের ৬৮৮তম সভায় আইপিও সংশোধনীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনমত জরিপের জন্য প্রকাশ করা হয়। যার জন্য ১৭ জুন সর্বশেষ সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে, বাজেটে ঘোষিত কোম্পানির রিজার্ভের উপর ট্যাক্স নিয়ে আলোচনা হয়। যা যৌক্তিক হয়নি বলে স্টেকহোল্ডাররা মনে করেন। তাই বিষয়টি পূণঃবিবেচনার জন্য করণীয় পদক্ষেপ নিতে কমিশনকে আহবান করেন স্টেকহোল্ডাররা।বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন জানিয়েছেন, রিজার্ভের উপর ট্যাক্সের বিষয়টি প্রস্তাব করা হয়েছে। বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। এটি পূণঃবিবেচনার সুযোগ আছে। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে আলোচনা করব। এছাড়া বিষয়টি সমাধানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করবে। তাই বাজেটে রিজার্ভের উপর ট্যাক্স প্রস্তাব নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। স্টেকহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আইপিও সংশোধনীর বিষয়ে আশা করি আপনারা সম্মিলিতভাবে বাজারের জন্য ভালো এমন কিছু প্রস্তাব করেছেন। এছাড়া এরইমধ্যে আরও কিছু প্রস্তাবনা জমা পড়েছে। কমিশন সব কিছু যাছাই-বাছাই করে বাজারের জন্য যা ভালো হবে, সেই সিদ্ধান্তই নেবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম. খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে, সঠিক দিক নির্দেশনা এবং কর্মপ্রচেষ্টায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট শেয়ারবাজারবান্ধব হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান।
রবিবার (১৬ জুন) ডিএসইর প্রধান কার্যালয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডিএসইর চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল হাশেম, পরিচালক রকিবুর রহমান, পরিচালক শরীফ আতিউর রহমান এবং পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী উপস্থিত ছিলেন। কেএএম মাজেদুর রহমান বলেন, ২০১৯-২০অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব। তবে পুঁজিবাজারকে আরও বেশি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাজেটে আরও ৫ প্রণোদনার দাবি জানিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। রোরবার ডিএসইর কনফারেন্সেস কক্ষে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন এই দাবি তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান।
দাবি গুলো হচ্ছে- এসএমই মার্কেটের লেনদেনের ওপর উৎসে কর অব্যাহতি, স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে ট্রেজারি বিল এবং বন্ডের লেনদেনের ওপর কর অব্যাহতির বিষয়ে সুস্পষ্টকরন, তালিকাভুক্ত-অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ করা, ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরিবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে কর অব্যাহতি, স্টক এক্এক্সচেঞ্জের ট্রেক হোল্ডারদের নিকট হতে উৎসে কর সংগ্রহের হার হ্রাস করার প্রস্তাব করে ডিএসই। সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, বাজেটে যে সব প্রণোদনা হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভব। তবে আরও কিছু প্রণোদনা প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন,পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে সারা বিশ্বে নীতি-সমর্থন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পর্কৃতার মাধ্যমে সরকারের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকে, ঘোষিত বাজেটে সে ধরণের ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে রুগ্ন কোম্পানিকে ভাল কোম্পানি কতৃক একত্রীকরন/অধিভূক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এ পক্রিয়ায় পুঁজিবাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে এবং আরো গতিশীল হবে। এছাড়া ঘোষিত বাজেটে নগদ লভ্যাংশের পরিবর্তে বোনাস লভ্যাংশের উপর ১৫% হারে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে রিটেইনড আর্নিংস বা রিজার্ভ যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তবে বাড়তি রিজার্ভের উপর ১৫ শতাংশ হারে করের প্রস্তাব করা হয়েছে । যা কোম্পানিগুলোকে নগদ লভ্যাংশ প্রদানে উৎসাহিত করবে বলে আমরা আশা করছি । তিনি বলেন, বাজেটে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য লভ্যাংশ আয়ের দ্বৈত কর তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাজারে একটি ইতিবাচক প্রভাব পরবে । তিনি বলেন, এবারের বাজেটে অপ্রদর্শিত আয় নির্দিষ্ট করে প্রদান সাপেক্ষে বৈধকরণের বিধান রাখা হয়েছে। যা ফ্ল্যাট, জমি কেনা এবং ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করা যাবে। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়নি। পাচার রোধ করা ও বিনিয়োগের স্বার্থে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা প্রশ্নে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দেয়া সাপেক্ষে পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। শেয়ারনিউজ24 বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৮ মিনিটে জাতীয় সংসদে -
সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’- শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি। অর্থমন্ত্রীর লেখিত বাজেট বক্তব্য হবহু তুলে ধরা হলো- শেয়ারবাজারে সুশাসন: একটি শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার। একটি দেশের অর্থনীতি যত শক্তিশালী সেই দেশের পুঁজিবাজারটিও স্বাভাবিক নিয়মেই শক্তিশালী থাকবে। আমরা যেমন চাই আমাদের দেশের জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনীতি। ঠিক তেমনিভাবেই আমরা দেখতে চাই একটি বিকেশিত পুঁজিবাজার। শিল্প বিনিয়োগে দীঘমেয়াদি ঋণ স্বল্পমেয়াদি আমানতের বিপরীতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদানের প্রবণতা লক্ষনীয়, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে দেখা যায় না। এতে ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হয়। আর তাতে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এবং ঋণ গ্রহীতারা। আমরা পুঁজিবাজার হতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সংগ্রহের ঋণগ্রহীতাদের উৎসাহ প্রদানে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রণোদনা স্কীমের আওতায় ৮৫৬ কোটি টাকা আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুন:ব্যবহারের জন্য ছাড় করা হয়েছে। আগ্রহী বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পূর্বে এ বাজার সম্পর্কে পরিপালন নিশ্চিত করার জন্য নজরদারি জোরদার করা হবে। এই বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য অনেক প্রণোদনা থাকছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসূহের জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিভিডেন্ড আয় করমুক্ত থাকবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার হতে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ডের উপর দ্বৈত কর পরিহার করা হবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। পুঁজিবাজারে কোনো রুগ্ন কোম্পানিকে যদি কোনো আর্থিক দিক থেকে সবল কোম্পানি আত্মীকরণ করতে চায় সেটা বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে দরকষাকষির মাধ্যমে কিছুটা বিনিয়োগ সুবিধা দিয়ে হলেও এ কাজটা করা গেলে পুঁজিবাজার অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আসবে বলে আমরা মনে করি। এ প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়বে এবং স্থিতিশীলও থাকবে। পুঁজিবাজার প্রণোদনা: কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীগণ কোম্পানি থেকে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রাপ্তির প্রত্যাশা করেন। সে বিবেচনায় ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান পঁজিবাজারে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি ও পুঁজিবাজারে শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরিবর্তে স্টক ডিভিডেন্ড তথ্য বোনাস শেয়ার বিতরণের প্রবণতা কোম্পানিসমূহের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। এতে বিনিয়োগকারীগণ তাদের প্রত্যাশিত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্টক ডিভিডেন্ডের পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য কোন কোম্পানি স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে উক্ত স্টক ডিভিডেন্ডের উপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান প্রস্তাব করেছি। কোম্পানির অর্জিত মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারগণ তথা বিনিয়োগকারীদেরকে ডিভিডেন্ড দেয়ার পরিবর্তে রিটেইন্ড আর্নিংস বা বিভিন্ন ধরনের রিজার্ভ হিসাবে রেখে দেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এতে প্রত্যাশিত ডিভিডেন্ড প্রাপ্তি থেকে বিনিয়োগকারীগণ বঞ্চিত হচ্ছেন এবং পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ ধরনের প্রবণতা রোধ করা প্রয়োজন। এ জন্য কোনো কোম্পানির কোন আয় বছরে রিটেইন্ড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার উপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান প্রস্তাব করছি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীগণকে প্রণোদনা প্রদান এবং পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হাতে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি হতে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। নিবাসী কোম্পানির ডিভিডেন্ড আয়ের উপর একাধিকবার করারোপণ (Multilayer taxation on dividend) রোধ করার বিধান গতবছর কার্যকর করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহী করার জন্য এ বছর নিবাসী ও অনিবাসী সকল কোম্পানির ক্ষেত্রে এ বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব করছি। এর ফলে, নিবাসী কোম্পানির পাশাপাশি অনিবাসী কোম্পানির ডিভিডেন্ড আয়ের উপরও একাধিকবার করারোপণ হবে না। শেয়ারনিউজ24 একটি শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য শেয়ারবাজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের দেশের শেয়ারবাজারে আমরা সুশাসন দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয়ে দ্বৈত কর পরিহার করা হবে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫৬ কোটি টাকার আবর্তনশীল অনুদান অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের প্রতারণা রোধে কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ প্রস্তাব করেছেন।
বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানি থেকে নগদ লভ্যাংশ প্রাপ্তির প্রত্যাশা করে। নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ফলে শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি ও শেয়ারবাজার শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু নগদ এর পরিবর্তে বোনাস শেয়ার বিতরণের প্রবণতা কোম্পানিসমূহের মধ্যে লক্ষ করা যায়। এতে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রত্যাশিত লভ্যাংশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বোনাস লভ্যাংশের উপর কোম্পানিগুলোর জন্য ১৫ শতাংশ কর প্রদানের প্রস্তাব করেছেন। এদিকে কোম্পানির অর্জিত মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদেরকে বঞ্চিত করে সংরক্ষিত আয় হিসাবে রেখে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যা শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ধরনের প্রবণতা রোধে কোম্পানির কোনো আয় বছরে সংরক্ষিত আয়, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে, অতিরিক্ত অংশের উপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদান করতে হবে। বিজনেস আওয়ার২৪ ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য লভ্যাংশের ক্ষেত্রে প্রণোদনার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ প্রস্তাব করেছেন।
অর্থমন্ত্রী, বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছেন। এছাড়া ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছেন। একইসঙ্গে তালিকাভুক্ত দেশী ও বিদেশীসহ সকল কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর পরিহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন। এদিকে শেয়ারবাজারের কোন রুগ্ন কোম্পানিকে শক্তিশালী কোম্পানির মাধ্যমে আত্মীকরন করার বিষয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। প্রয়োজনে দরকষাকষির মাধ্যমে কিছুটা বিনিয়োগ সুবিধা দিয়ে হলেও এ কাজের বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেয়ারবাজার শক্তিশালী অবস্থানে আসবে বলে তিনি মনে করেন। বিজনেস আওয়ার২৪ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ১৪ দফা দাবি পেশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। বুধবার বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ.কে.এম মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে পুঁজিবাজারে যে মহাপতন শুরু হয়েছিল তা ক্রমান্বয়ে সিরিজ পতনের মাধ্যমে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এই সময়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। তাই মাঝে মধ্যে বাজার সামান্য স্থিতিশীল হলেও সম্পূর্ণ স্থিতিশীল আচরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতায় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ নিম্নলিখিত ১৪ দফা দাবিসমূহ বাস্তবায়নের আহবান জানাচ্ছে। ০১. ইস্যুমূল্যের নিচে অবস্থান করা শেয়ারগুলো নিজ নিজ কোম্পানি/কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে ইস্যুমূল্যে শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে। ০২. প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারের লকইন পিরিয়ড ৫ বছর করতে হবে। ০৩. পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধিতে আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধির জন্য সহজশর্তে অর্থাৎ ৩% সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে যা আইসিবি, বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের মাধ্যমে ৫% হারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লোন হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। ০৪. অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা শর্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। কারণ এই অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ না দিলে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাবে যা কখনো ফেরত আসবে না। ০৫. পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০১৫ বাতিল করতে হবে এবং সকল ধরণের আইপিও ৩ বছরের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। ভবিষ্যতে আইপিওতে কোনো প্রকার প্রিমিয়াম দেওয়া যাবে না। ০৬. জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেট বলতে কোনো মার্কেট থাকতে পারবে না। তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানিকে কমপক্ষে ১০% হারে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে। রাইট শেয়ার এবং বোনাস শেয়ার দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। ০৭. বিডিং প্রক্রিয়ায় ইলিজিবল ইনভেস্টরদের সক্ষমতা ও যোগ্যতা যাচাই করতে হবে এবং বিডিং প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত শেয়ারের লকইন পিরিয়ড ২ বছর করতে হবে। ০৮. সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটা ৮০% করতে হবে। ০৯. ২ সিসি আইনের বাস্তবায়ন করতে যেসকল কোম্পানির উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে ২% এবং সম্মিলিতভাবে ৩০% শেয়ার নেই, ঐসকল উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ১০. পুঁজিবাজারের প্রাণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে সক্রিয় হতে বাধ্য করতে হবে এবং প্রত্যেক ফান্ডের ন্যূনতম ৮০% অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে কমপক্ষে ১০% নগদ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে। ১১. জীবন বীমা খাতের বিপুল পরিমাণ অলস এবং সঞ্চিত অর্থের ৪০% পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করতে হবে। ১২. জানুয়ারি ২০১১ হতে জুন,২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ করতে হবে। ১৩. খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৪. জীবন বাঁচাতে এবং ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার মামলা প্রত্যাহার এবং পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে। শেয়ারনিউজ24 পুঁজিবাজার উন্নয়নে বেশ কিছু প্রণোদনা থাকবে বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন। এদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ডিএসই। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বড় দাবি ছিল তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন কোম্পানির মধ্যে করপোরেট কর হারের ১৫ শতাংশ ব্যবধান তৈরি করা। এর বাইরে লেনদেনের ওপর ধার্য অগ্রিম করহার কমানো, এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কয়েক বছরের কর অবকাশ সুবিধা, বন্ড বাজারের উন্নয়নে কর প্রতিবন্ধকতা দূর করার পাশাপাশি কর সুবিধা প্রদান এবং পাঁচ বছরের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান এ বিষয়ে বলেছেন, এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন বাজেটে পুঁজিবাজারবান্ধব বেশ কিছু প্রণোদনা থাকবে। আমরাও আশা করছি বাজারের উন্নয়নে বাজেটে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিএসইসির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রস্তাবও অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য একগুচ্ছ প্রণোদনা থাকছে। একদিকে যেমন বিনিয়োগকারীদের কর ছাড় দেওয়া হবে, অন্যদিকে কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও কর ছাড় দেওয়া হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বর্তমানে বার্ষিক ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশে কোনো কর দিতে হয় না। এটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে কোম্পানির ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নভাবে করপোরেট করে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে কোম্পানিগুলো শেয়ারধারীদের দুই ধরনের লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। এগুলো হলো বোনাস লভ্যাংশ ও নগদ লভ্যাংশ। সরকার কোম্পানিগুলোকে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণায় উৎসাহিত করতে চায়। এ জন্য যেসব কোম্পানি নগদ লভ্যাংশ দেবে, সেসব কোম্পানিকে কিছুটা কর ছাড় দেওয়া হতে পারে। এখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হয়। এদিকে খরায় থাকা বন্ড মার্কেটকে চাঙা করতেও বাজেটে প্রণোদনা থাকছে। বন্ড তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বন্ড ছাড়লে নিবন্ধন ফিসহ যাবতীয় খরচ কমানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নামমাত্র খরচে বন্ড তালিকাভুক্ত করা যাবে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি করপোরেট বন্ড আছে। এটি ইসলামী ব্যাংকের আইবিবিএল মুদারাবা বন্ড। এটিই শুধু লেনদেন হয়। এ ছাড়া ২২১টি ট্রেজারি বন্ড আছে। এই বন্ডগুলো লেনদেন হয় না। শেয়ারনিউজ24 দেশের পুঁজিবাজারে আজ (১৩ জুন) থেকে শেয়ার লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে সদ্য আইপিও’র মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। লেনদেন শুরু একদিন আগে কোম্পানিটি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২.০৮ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ’১৯) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪৭ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৪৮ টাকা্। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.০১ টাকা বা ২.০৮ শতাংশ। আর আইপিও পরবর্তী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.৩২ টাকা।
এই সময়ে কোম্পানির কর পরবর্তী মোট মুনাফা হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ৩ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মুনাফা কমেছে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এদিকে, নয় মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.২২ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.২২ টাকা্। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস অপরিবর্তীত রয়েছে। আর আইপিও পরবর্তী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.৮৩ টাকা। এই সময়ে কোম্পানির কর পরবর্তী মোট মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মুনাফা কমেছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া আলোচিত সময় কোম্পানির আইপিও পূববর্তী শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮.২৭ টাকা। আইপিও পরবর্তী পরে যা দাঁড়িয়েছে ২২.৪৬ টাকা। উল্লেখ্য, এন ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হল-“SILCOPHL”। ডিএসইতে কোম্পানির কোড-18495 আর সিএসইতে কোম্পানি কোড- 13035। আসন্ন বাজেট ঘোষণার আগে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে ইতিবাচক হচ্ছে। সূচকের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে লেনদেনও বাড়ছে। বিনিয়োগকারীরা ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠছেন। ফলে বাড়ছে শেয়ারের দর। ঈদের আগে আগের দুই কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এর মাধ্যমে ঈদের পর লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা পেয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার আগে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকে পুঁজিবাজার। ফলে শেষ ৬ কার্যদিবসেই দেশের পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মেলে, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানো, আইপিও এবং প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধ, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রিতে কড়াকড়ি আরোপের কারণে বাজারে চাঙাভাব ফিরে এসেছে। এ ছাড়া বাজেটে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে অর্থমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন। সম্প্রতি যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে সামনে বাজার আরও ভালো হবে। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়শনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেনের সময় নির্ধারণ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। আগামী ১৩ জুন, বৃহস্পতিবার দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে একযোগে লেনদেন শুরু করবে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া শেয়ার ৭ মে শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে জমা হয়েছে। এর আগে ১০ এপ্রিল লটারির মাধ্যমে কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়।
কোম্পানিটির আইপিওতে গত ৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৬৯তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। কোম্পানির প্রসপেক্টাস সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ৩ কোটি শেয়ার ছেড়ে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এ জন্য প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নেয়া হয়েছে ১০ টাকা। কারখানা ভবন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ডেলিভারী ভ্যান ক্রয় ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করার জন্য কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে। কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫.৪১ টাকা। ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ওয়েটেড অ্যাভারেজ ইপিএস) হয়েছে ১.৪৬ টাকা। উল্লেখ্য, আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোসেস লিমিটেড, ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং সিটিজেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। শেয়ারনিউজ24 পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৭ কোম্পানিতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। আবার এই ৪৭ কোম্পানির ১৬৮ জন পরিচালকের ব্যক্তিগতভাবে ২ শতাংশ শেয়ার নেই। ন্যুনতম শেয়ার না থাকায় ৪৭ কোম্পানির ১৬৮ জন পরিচালকরা বিপাকে পড়ছেন। ন্যুনতম শেয়ার না থাকায় ১৬৮ জন্য উদ্যোক্তা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালকের পদ হারাতে বসেছেন। জানা গেছে, সিকিউরিটিজ আইন অনুসারে প্রত্যেক কোম্পানিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ এবং পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ন্যূনতম শেয়ার ধারণের বাধ্যবাদকতা মানছে না শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৭টি কোম্পানি। এসব কোম্পানিতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশের কম। এর মধ্যে কোনো কোম্পানিতে মাত্র ১ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তাদের। বাকি ৯৯ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অথচ এই স্বল্প পরিমাণ শেয়ার দিয়ে উদ্যোক্তারা পুরো কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। অর্থাৎ তারাই এই কোম্পানির মালিক। ফলে এসব কোম্পানি দেউলিয়া হলেও উদ্যোক্তারা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। এ কারণে ওই কোম্পানির প্রতি মালিকপক্ষের দায়বদ্ধতা কম। আইন লঙ্ঘন করে কয়েকটি কোম্পানি আবার রাইট শেয়ারও ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে অস্থিরতার পর টনক নড়েছে বিএসইসির। এরপর কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হল।
কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএসইসি। তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানিতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকলে ওই কোম্পানির কোনো উদ্যোক্তা বা পরিচালক এখন থেকে শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। এমনকি কোনো শেয়ার হস্তান্তর বা ঋণ নেয়ার জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধকও রাখতে পারবেন না। পাশাপাশি কোনো কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠান কোনো কোম্পানির ২ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারণ করলে সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান ওই কোম্পানির পরিচালক পদের জন্য একজন ব্যক্তিকে মনোনীত করতে পারবে। এ ছাড়াও ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থতায় কোনো পরিচালকের পদ শূন্য হলে শূন্য হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন- এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে শূন্য পদে পরিচালক নিয়োগ দেবে। আর ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদা ক্যাটাগরি চালু করা হবে। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র জানায়, ৪৭টি কোম্পানিতে উদ্যোক্তাদের ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে ডেল্টা স্পিনার্স। এ কোম্পানির ২৮ জন পরিচালকের মধ্যে ২৫ জনের ২ শতাংশ শেয়ার নেই। কোম্পানিটির উদ্যোক্তাদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ১৮ শতাংশ। আবদুল আউয়াল মিন্টুর মালিকানাধীন দুলামিয়া কটনের ১২ পরিচালকের মধ্যে ৯ জনের ২ শতাংশ শেয়ার নেই। এ ছাড়াও ন্যূনতম শেয়ার ছাড়া যেসব কোম্পানিতে বেশি পরিচালক রয়েছেন, পিপলস লিজিংয়ে ১৮, কে অ্যান্ড কিউতে ১১, এর মধ্যে নর্দান জুটেক্সে ৮ জন, মিথুন নিটিংয়ে ৬ জন, পিপলস ইন্স্যুরেন্সে ৫ জন, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৬, উত্তরা ব্যাংকে ৫, ফুয়াং ফুডে ৩, ম্যাকসন্স স্পিনিং ৬, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৮, তাল্লু স্পিনিংয়ে ৫, কনফিডেন্টস সিমেন্টে ৩, পিপলস ইন্স্যুরেন্সে ৫, ইনটেক অনলাইনে ৮, ফুয়াং সিরামিক ৪, অ্যাপোলো ইস্পাতে ৩ এবং বেলিজিংয়ের ৫ জন পরিচালকের ২ শতাংশ শেয়ার নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আইন অনুসারে শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক। আর শেয়ার না থাকলে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তিনি বলেন, শেয়ার কম থাকলে পরিচালকদের দায় কম থাকে। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজারে সমস্যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট। এই সংকট কাটাতে আইনকানুনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার। ডিএসইর পরিচালক মো. রকিবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, যারা শেয়ার ছাড়া কোম্পানির মালিকানা ধরে রেখেছেন, তাদের বিএসইসির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ থেকে সহায়তা করা হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি কাজ করার জন্য এরই মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিতভাবে একটি প্লাটফর্মে মিলিত হয়েছে। এ প্লাটফর্ম বাজারের উন্নয়নে কাজ করবে। এর মধ্যে শেয়ার ধারণের বিষয়টি অন্যতম একটি ইস্যু। তিনি বলেন, এর আগে বেশকিছু কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করে শেয়ার বিক্রি করেছে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিজনেস আওয়ার24 পবিত্র রমজান মাসের অধিকাংশ দিন দেশের পুঁজিবাজার দরপতনের ধারায় থাকলেও ঈদের আগের শেষ তিন কার্যদিবসে বড় উত্থানের দেখা মিলেছে। বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখীতা ঈদের পরও অব্যাহত থাকবে- এমনটাই প্রত্যাশা করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০১০ সালে ধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় গঠিত বিশেষ তহবিল পুনঃবিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়তে সংশোধন করা হয়েছে এক্সপোজার। বাজেটে বড় কিছু প্রত্যাশা করছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা।
পাশাপাশি নতুন আইপিও আবেদন নেয়া বন্ধ করা হয়েছে। প্লেসমেন্ট শেয়ারে তিন বছর লকইন (বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা) রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তারা বলছেন, তিন মাসের বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে। সম্প্রতি টানা দরপতনে পুঁজিবাজারের সূচক যেভাবে পড়েছে, তাতে যে কোনো সময় ঘুরে দাঁড়ানোই স্বাভাবিক বিষয়। পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2024
Categories |