midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানি। এগুলো হলো: আরগণ ডেনিমস, এপেক্স ফুটওয়্যার, দ্যা ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যাল, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, বিএসআরএম স্টীল, বিএসআরএম লিমিটেড, ইভেন্স টেক্সটাইল, নর্দার্ণ জুট, বিডি অটোকার্স এবং ডোরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড। নিম্নে কোম্পানিগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো:
আরগণ ডেনিমস: আরগণ ডেনিমস লিমিটেড ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে।আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.১৮ টাকা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৬.৫৬ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। এজিএমের সময় ও স্থান পরে জানানো হবে বলে কোম্পানি পক্ষ থেকে জানানো হয়। এপেক্স ফুটওয়্যার: এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১.৫৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭.২১ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৪৪.৪২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএপপিএস) হয়েছে ৮১.৫৫ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১৪ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএসআরএম স্টীল লিমিটেড: কোম্পানিটি ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ও ১০ শতাংশ ক্যাশ সহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.২৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময় ছিল ৪.৯৮ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৭.৪৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২.৯০ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩ ডিসেম্বর সকার সাড়ে ৯টায় স্মরণীকা কমিউনিটি সেন্টার, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ২১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএসআরএম লিমিটেড: কোম্পানিটি ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ও ১০ শতাংশ ক্যাশ সহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২.৯৫ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময় ছিল ৩.৫৩ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৬৩.৭০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৭.৩৯ টাকা ঋনাত্নক। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় স্মরণীকা কমিউনিটি সেন্টার, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ২১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্যা ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড: কোম্পানিটি ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ স্টক এবং ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫.৯২ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময় ছিল ৮.২৩ টাকা (রিস্টেটেড)। এছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৩.২১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬.৭৬ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২২ নভেম্বর সকার সাড়ে ৯টায় ইম্মানুলস কনভেনশন সেন্টার, সিমান্ত স্কয়ার, ধানমন্ডি, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ২২ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। ডোরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ডোরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। ক্যাশ ডিভিডেন্ড কোম্পানির স্পন্সর ও পরিচালকেরা নিবেন না। শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা ক্যাশ ডিভিডেন্ড পাবেন। জানা যায়, সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৭.৮৫ টাকা, শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ১০.৮৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৪০.৩৪ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৩ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় ট্রাস্ট মিলনায়তন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১৮ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড: কোম্পানিটি ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ স্টক এবং ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.০১ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৮.৯৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২.৩৯ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৭ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় কোম্পানির ফ্যাক্টরী প্রাঙ্গণে, গাজীপুর অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১৭ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। বিডি অটোকার্স লিমিটেড: কোম্পানিটি ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ স্টক ও ৩ শতাংশ ক্যাশ সহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৫২ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময় ছিল ০.৯৫ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪.৩০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২.০৯ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ নভেম্বর সকাল ১১টায় ১১০ তেজগাঁও, ঢাকায়, অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১৮ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেড: কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নো ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.১৬ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪.৪৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ২.৮৫ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। এজিএমের সময় ও স্থান পরে জানানো হবে বলে কোম্পানি পক্ষ থেকে জানানো হয়। নর্দার্ণ জুট: কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নো ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৭.১৫ টাকা, শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৫৭.০৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ৩৪.৭০ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৪ নভেম্বর, রাওয়া কনভেনশন হল, মহাখালী, ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১৪ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। শেয়ারবাজারনিউজ/
0 Comments
পুঁজিবাজার চাঙ্গা করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাষ্টায়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) জন্য ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। উক্ত বন্ডে করা বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিনিয়োগ পুঁজিবাজার এক্সপোজারে অন্তর্ভুক্তি থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আইসিবির সাত বছর মেয়াদি ২ হাজার কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের অর্থ স্থিতিশীল ও দক্ষ বাজার গঠন, প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ, উন্নত ও টেকসই বন্ড বাজার উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। তাই এ বন্ডে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকে একক গ্রাহক ঋণসীমা ও পুঁজিবাজার এক্সপোজারে অন্তর্ভুক্তি থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেছে আইসিবি। বন্ডে বিনিয়োগ হওয়ায় একক গ্রাহক ঋণসীমার বিষয়টি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অন্যদিকে ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার থেকে অব্যাহতি দিতে চাইলে এ বিষয়ে সরকারের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। গভর্নরের অনুমোদনক্রমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুসারে, চলতি বছরের এপ্রিলে আইসিবির পর্ষদ ২ হাজার কোটি টাকার সাত বছর মেয়াদি পূর্ণ অবসায়নযোগ্য সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়। কুপন বিয়ারিং নন-কনভার্টেবল এ বন্ডটি সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদনসাপেক্ষে ইস্যু করা হবে বলে জানানো হয়। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যুকৃত এ বন্ড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে না। বন্ডটির ফেস ভ্যালু ও ইস্যু ভ্যালু ইউনিটপ্রতি ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিবিনিয়োগকারী ন্যূনতম ১ কোটি টাকায় একটি বন্ড কিনতে পারবে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি বন্ড ৫ কোটি টাকায় কিনতে পারবে। দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সাত বছর মেয়াদি এ বন্ডের সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ শতাংশ। তবে বিলম্বিত অবসায়নের ক্ষেত্রে বার্ষিক অতিরিক্ত ২ শতাংশ হারে সুদ প্রযোজ্য হবে। হস্তান্তরযোগ্য এ বন্ডের সুদ ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত জুলাই মাসে আইসিবিকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য এ বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে। আইসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যমান আইন অনুসারে বন্ডে বিনিয়োগ করলে সেটি ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসীমার বিষয়টি মাথায় রেখে অনেক ব্যাংকই আইসিবির বন্ডে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে না। এ কারণে ব্যাংকগুলো যাতে নির্দ্বিধায় বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে, সেজন্য আইসিবির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বন্ডে বিনিয়োগকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য না করার আবেদন করা হয়েছিল। আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারকে সমর্থন দিতে আইসিবির তারল্য প্রয়োজন। এ কারণেই বন্ডটি ইস্যুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে উত্সাহিত করতে এ বন্ডে তাদের বিনিয়োগকে সব ধরনের এক্সপোজারের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়ার একটি আবেদন আইসিবির পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। আমি জেনেছি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টিতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আশা করছি, সব ধরনের অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে আমাদের অ্যারেঞ্জার সপ্তাহ দুই-একের মধ্যেই আইসিবির হাতে ২ হাজার কোটি টাকার তহবিল তুলে দিতে পারবে, যেখান থেকে বিনিয়োগ করে আইসিবি পুঁজািবাজারকে একটি ভালো সাপোর্ট দিতে পারবে। প্রসঙ্গত, হঠাত্ই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা একক গ্রাহক ঋণসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে গত বছরের শেষ প্রান্তিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আইসিবি থেকে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার আমানত প্রত্যাহার করে নেয়। এ অর্থ ফেরত দিতে গিয়ে আইসিবিকে তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে হয়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। এতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যায়। বাজার সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন বর্তমান উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে। এর সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যরা চীনা কনসোর্টিয়াম থেকে পাওয়া অর্থও পুঁজিবাজারে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করলে বাজার আরো স্থিতিশীল হবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারনিউজ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দ্যা ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ স্টক এবং ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫.৯২ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময় ছিল ৮.২৩ টাকা (রিস্টেটেড)। এছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৩.২১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬.৭৬ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২২ নভেম্বর সকার সাড়ে ৯টায় ইম্মানুলস কনভেনশন সেন্টার, সিমান্ত স্কয়ার, ধানমন্ডি, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ২২ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। শেয়ারবাজারনিউজ/ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসআরএম লিমিটেড ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ও ১০ শতাংশ ক্যাশ সহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২.৯৫ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময় ছিল ৩.৫৩ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৬৩.৭০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৭.৩৯ টাকা ঋনাত্নক। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় স্মরণীকা কমিউনিটি সেন্টার, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ২১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। শেয়ারবাজারনিউজ/ পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিডি অটোকার্স লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আজ অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিডি অটোকার্সের বোর্ড সভা ২৬ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৪ টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৮ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ডের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/ পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা ঔষধ ও রসায়ন খাতের সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানির লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হওয়ার পরেই দুই স্টক এক্সচেঞ্জ লেনদেনের তারিখ চূড়ান্ত করবে। এর আগে কোম্পানির লটারির ড্র গত ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার কিনতে ২৫.৭৮ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার কিনতে মোট ৭৭২ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীর আবেদন পড়েছে ৪৮.৯৮ গুণ, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আবেদন ২০.৫০ গুণ এবং প্রবাসীদের আবেদন পড়েছে ১২.৫২ গুণ। গত ২৯ জুলাই থেকে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হয়েছিল। যা চলে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিএসইসির ৬৪৭তম কমিশন সভায় সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে ইস্যু করবে কোম্পানিটি। আইপিও এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, কারখানার ভবন নির্মাণ, ঋণ পরিশোধ এবং গণ প্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৬ টাকা ৪৮ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা শূন্য ৩ পয়সা। উল্লেখ, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। শেয়ারবাজারনিউজ/ চলতি সপ্তাহে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স: বিমা খাতের এ কোম্পানির এজিএম আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স টাওয়ারের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ও ১৫ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা এজিএমে অনুমোদন করবে শেয়ারহোল্ডাররা। প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স: বিমা খাতের এ কোম্পানির এজিএম আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় বিআইএএম অডিটোরিয়াম, নিউ ইস্কাটন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা এজিএমে অনুমোদন করবে শেয়ারহোল্ডাররা। মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স: বিমা খাতের এ কোম্পানির এজিএম আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তিযোদ্বা স্মৃতি অডিটোরিয়াম, আইডিইবি, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা এজিএমে অনুমোদন করবে শেয়ারহোল্ডাররা। পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স: বিমা খাতের এ কোম্পানির এজিএম আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় কোম্পানি নিজস্ব ভবন, বাংলামটর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা এজিএমে অনুমোদন করবে শেয়ারহোল্ডাররা। শেয়ারবাজারনিউজ প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন শেষে লটারির তারিখ নির্ধারণ করেছে বস্ত্রখাতের কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড। আগামী ৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার, ইনস্টিটিউট, রমনা, ঢাকায় এ কোম্পানির আইপিও লটারি অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ কোম্পানির আইপিও আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। গত ২৬ জুন কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেডকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি ৪০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৩৪ কোটি টাকা তোলার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানিটি কারখানার ভবন নির্মান, কর্মচারীদের ডরমেটরি ভবন নির্মাণ, নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ২০.৪৮ টাকা। আর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯৪ টাকা। উল্লেখ, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এনআরবি ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রভাবে আজও উত্থান ঘটেছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে। আজ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা বেশি ছিল। লেনদেনের শুরু থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন তারা। ফলে সূচকও ইতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। তবে শুরুতে তাদের আগ্রহ অনেকটা বেশী থাকলেও পরবর্তীতে তা কিছুটা হ্রাস পেলেও শেষ পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানেই থাকে সূচক। আজ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক-আর্থিকের পাশাপাশি বস্ত্র খাতের শেয়ার বেশি কিনতে দেখা যায়। তবে সবচেয়ে ইতিবাচক ছিল ব্যাংক খাত। আজ ব্যাংক খাতে লেনদেন করা ৭৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরই বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা পতনে পুঁজিবাজারে এখন অধিকাংশ শেয়ারই বিনিয়োগযোগ্য। তাছাড়া বাজার ভালো হওয়ার মত নানা ইস্যু ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে আবার সম্প্রতি মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। বাজারের ক্রান্তিকালে পুঁজিবাজারের প্রাণ বলে খ্যাত এই ফান্ডগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধি ভবিষ্যতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কেননা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ব্যতীত বাজারে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করে থাকে না। আর মেয়াদপূর্তিতে অবসায়ন হওয়া ফান্ডগুলো যে অর্থ তুলে নিত মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সেই অর্থই ফের বিনিয়োগ হবে। কাজেই বর্তমান বাজারের তারল্য সংকট নিরসনে এ ফান্ডগুলো পুরোপুরি সক্রিয় হবে। এ বিষয়টি বুঝতে পেরেই সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন বলেও মনে করছেন তারা। এদিকে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও ব্যাকরণগতভাবে বর্তমানে পুঁজিবাজার অনুকূল থাকলেও বিনিয়োগে ভয় পাচ্ছেন কেউ কেউ। নির্বাচনী বছর হওয়ায় তারা বিনিয়োগ নিয়ে দোলাচলে রয়েছেন। তবে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না বাজারসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বাজারে এখন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। শেয়ারের দরপতন হওয়ারও তেমন কোনো কারণ নেই। মূল কারণ বিনিয়োগকারীদের মনোগত।
তবে কেউ কেউ বলছেন, স্বল্পমূলধনি কিছু কোম্পানির শেয়ারদরে হঠাৎ করে উল্লম্ফন দেখা দেয়। যদিও বর্তমানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবিষয়ে কিছুটা তৎপর। ফলশ্রুতিতে তারা দু-চারটি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত কারও আবার ট্রেড স্থগিত এবং আরও কিছু কোম্পানিকে বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে। যা বাজারের জন্য ভালো। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা যখন ব্যবস্থা নিচ্ছে, তখন শেয়ারটির দর ইতোমধ্যেই ব্যাপক বেড়ে গেছে। বলা যায়, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটিতে প্রবেশের পরই ব্যবস্থা নিচ্ছে। এতে দুর্ভাগ্যক্রমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কিন্তু যারা শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি করছে, তাদের কিছুই হচ্ছে না। কারণ তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই শেয়ার থেকে বেরিয়ে গেছে। তবে এই তদন্তটি যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থা শেয়ারদর উল্লম্ফনের দু-তিন দিনের মাথায় করে ফেলে, তাহলেই কিন্তু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন না। এদিকে, আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই সৃষ্ট ক্রয় চাপে চাপে টানা বাড়তে থাকে সূচক। বুধবার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৫০৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৯৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৬১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯১১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৭টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৮২৪ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৪৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১২৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৯০৫ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৭৩১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৯৩ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ১১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৯৪৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫২টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলছেন, আমাদের দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের ভিত্তিতে খুব কমই বিনিয়োগ করেন। তারা এ ধরনের অ্যানালাইসিসে ভরসা বা আস্থা রাখতে পারেন না। বরং বাজারের নানা গুজব বা শেয়ারের দর বৃদ্ধি তাদের বেশি আকৃষ্ট করে। ফলে তারা অধিকাংশ সময় বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই বাজার ওঠানামার জন্য বিনিয়োগকারীদের মানসিকতাকেই ৬০ শতাংশ দায়ী করা হয়। তারা যখন ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, তখন বাজার ভালো হয়। আর যখন হতাশাগ্রস্ত হন, তখন পতন নেমে আসে। দীর্ঘদিনের বাজারে চিত্রে এটাই লক্ষ্যনীয় বলেও ধারনা ওই বিশ্লেষকরদের। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জুন ক্লোজিং ১৮৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৩০ জুন, ২০১৮ অর্থবছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলোর পর্ষদ সভা অনুষ্ঠান করার সময় এসে গেছে। কেননা সামনে জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলো তাদের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। সে প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিনের লোকসানের মাত্রা কিছুটা সমন্বয়ের আশায় বিনিয়োগকারীর কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ডের উপর আস্থা রাখছে।
সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর ১২(৩এ) এবং ১৩নং ধারায় বলা হয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অর্থবছর শেষ হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরী করতে হবে এবং ১৪ দিনের মধ্যে তা উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ও কমিশনে জমা দিতে হবে। সেই হিসেবে বার্ষিক প্রতিবেদনের সাথে সাথে ডিভিডেন্ডের ঘোষণাও আসতে পারে। শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হওয়া জুন ক্লোজিং হওয়া (ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং বহুজাতিক কোম্পানি বাদে) কোম্পানির সংখ্যা রয়েছে ১৯৬টি। এর মধ্যে ডিভিডেন্ড ঘোষণা দিয়েছে ৮ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিভিউশন, ড্রাগণ সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং, কেডিএস এক্সসরিজ, মেঘনা সিমেন্ট, এ্যাপেক্স ট্যানারী, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপওর্য়াড, পেনিনসুলা চিটাগাং, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড শেয়াহোল্ডারদের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বাকী ১৮৯টি কোম্পানি আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, দিনের পর দিন লোকসানের মধ্যে থেকে বিনিয়োগকারীর অনেকটাই হতাশাগ্রস্থ হয়েছে পড়েছে। রাস্তায় আন্দোলন করেও পুঁজি বাঁচাতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। এমনকি নীতিনির্ধারণীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না তারা। ফলে তাদের এখন ভরসা করতে হচ্ছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ওপর। এগুলো থেকে ডিভিডেন্ড পেলে ক্ষতির মাত্রা কিছুটা সমন্বয় হবে বলে মনে করছেন তারা। ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, সিমেন্ট খাতে থাকা ৭ কোম্পানি মধ্যে মেঘনা সিমেন্ট ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর হাইডেলবার্গ সিমেন্ট এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডে হিসাব বছর শেষ ৩১ ডিসেম্বর হবে। অতএব এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ৪ কোম্পানি। এগুলো হলো- আরামিট সিমেন্ট, কনফিডেন্স সিমেন্ট, এমআই সিমেন্ট এবং প্রিমিয়াম সিমেন্ট লিমিটেড। সিরামিক খাতে থাকা ৫ কোম্পানির মধ্যে আরএকে সিরামিকের হিসাব বছর শেষ ৩১ ডিসেম্বর হবে। এ খাতেও ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ৪ কোম্পানি। এগুলো হলো- ফু-ওয়াং সিরামিক, মুন্নু সিরামিক, শাইন পুকুর সিরামিক এবং স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লিমিটেড। প্রকৌশল খাতে থাকা ৩৬ কোম্পানির মধ্যে কেডিএস এক্সসরিজ এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপওর্য়াড শেয়াহোল্ডারদের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর সিঙ্গার বিডির হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। অতএব এ খাতে থাকা ৩৩ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা বাকী রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- আফতাব অটোমোবাইল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, এ্যাপোলো ইস্পাত, এটলাস বাংলাদেশ, আজিজ পাইপস, বিবিএস, বিবিএস ক্যাবলস, বিডি অটোকার্স, বিডি ল্যাম্পস, বিডি থাই, বেঙ্গল উন্ডসোর, বিএসআরএম স্টীল, বিএসআরএম লিমিটেড, দেশবন্ধু পলিমার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, গোল্ডেন সন, ইফাদ অটোস, কে অ্যান্ড কিউ, মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, নাভানা সিএনজি, ন্যাশনাল পলিমার, ন্যাশনাল টিউবস, অলেম্পিক এক্সসরিজ, কাশেম ডাইসেল, রংপুর ফাউন্ডিং, রেকিট বেনকিজার, আরএসআরএম স্টিল, এস আলম কোল্ড রোল্ড, সুহৃদ ইন্ডান্ডিজ এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড। খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে থাকা ১৭ কোম্পানির মধ্যে একমাত্র বিট্রিশ আমেরিকান টোবাকো বাদে সব কোম্পানি হিসাব বছর শেষ জুন মাসে। বিট্রিশ আমেরিকান টোবাকোর হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। অতএব এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ১৬ কোম্পানি। এগুলো হলো- এএমসিএল(প্রাণ), এপেক্স ফুডস, বঙ্গজ, বিচ হ্যাচারী, এমারাল্ড অয়েল, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং ফুড, জেমিনী সী ফুড, গোল্ডেন হাভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল টি, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আরডি ফুড, শ্যামপুর সুগার এবং জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে থাকা ১৯ কোম্পানির মধ্যে একমাত্র ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন শেয়াহোল্ডারদের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর লিনডে বিডির হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। অতএব এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ১৭ কোম্পানির। এগুলো হলো- বারাকা পাওয়ার, বিডি ওয়েল্ডিং, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ডেসকো, ডোরিন পওায়ার, ইস্টার্ন লুবিকেন্টস, জিবিবি পাওয়ার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন , যমুনা অয়েল, খুলনা পাওয়ার, এমজেএল বিডি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্না অয়েল, পাওয়ার গ্রীড, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। বিবিধ খাতের ১৩ কোম্পানির মধ্যে বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ বাদে বাকী সব কোম্পানি জুন ক্লোজং। বার্জার পেইন্টে হিসাব বছর শেষ ৩১ মার্চ। অতএব এ খাতের ডিভিডেন্ড ঘোষণা বাকী ১২ কোম্পানি হলো- আমান ফিড, আরামিট লিমিটেড, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জিকিউ বলপেন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভ্যান ব্যাগ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, সিনো বাংলা ইন্ডস্ট্রিজ, এসকে ট্রিমস এবং উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরি লিমিটেড। ওষুধ খাতের ২৯ কোম্পানির মধ্যে গ্ল্যাক্সেস্মিথক্লিন বাংলাদেশ, ম্যারিকো এবং রেকিট বেনকিজারের বাদে বাকী ২৬ কোম্পানির হিসাব বছর শেষ ৩০ জুন। এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী থাকা কোম্পানিগুলো হলো- এসিআই লিমিটেড, এসিআই ফরমুলেশন, একমি ল্যাম, একটিভ ফাইন কেমিক্যাল, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, এএফসি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, এ্যাম্বি ফার্মা, বিকন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, সেন্টাল ফার্মাসিটিক্যাল, ফার কেমিক্যাল, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, ইবনে সিনা, ইমাম বাটন, জেএমআই সিরিঞ্জ, কেয়া কসমেটিকস, কহিনূর কেমিক্যাল, লিবরা ইনফিউশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, ফার্মা এইডস, রেনেটা, সালভো কেমিক্যাল, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এবং ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেড। বস্ত্র খাতের ৫২ কোম্পানির মধ্যে একমাত্র ড্রাগণ সোয়েটার ২০১৭-১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। অতএব এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ৫১ কোম্পানি। এগুলো হলো- আমান কটন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আনলিমা ইয়ান, এ্যাপেক্স স্পিনিং, আরগণ ডেনিমস, সিএনএ টেক্সটাইল, ঢাকা ডাইং, ডেল্টা স্পিনিং, দেশ গামেন্টস, দুলামিয়া কটন, এনভয় টেক্সটাইল, ইভিন্স টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্সটাইল, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, জেনারেসন নেক্সট ফ্যাশন, হামিদ ফেব্রিকস, এইচআর টেক্সটাইল, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, মতিন স্পিনিং, মেট্রো স্পিনিং, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস, মিথুন নিটিং, এমএল ডাইং, নূরানী ডাইং, প্যাসিফিক ডেনিমস, প্রাইম টেক্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, রহিম টেক্সটাইল, রিজেন্ট টেক্সটাইল, আরএন স্পিনিং, সাফকোং স্পিনিং, সায়হাম কটন, সায়হাম টেক্সটাইল, শাশা ডেনিমস, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সিমট্রেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্কয়ার টেক্সটাইল, স্টাইল ক্রাফট, তাল্লু স্পিনিং, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, তুং হাই নিটিং, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, জাহিন স্পিনিং এবং জাহিন টেক্সটাইল লিমিটেড। চামড়া খাতের ৬ কোম্পানির মধ্যে একমাত্র এপেক্স ট্যানারী ২০১৭-১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর বাটা সুর হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। অতএব এ খাতে ৪ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- এ্যাপেক্স ফুট, ফরচুন সুজ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার এবং সমতা লেদার কমপেক্স লিমিটেড। টেলিকমিকেশন খাতের গ্রামীণফোনের হিসাব বছর শেষ ৩১ ডিসেম্বর। আর বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭-১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে। সেবা ও আবসন খাতের ৪ কোম্পানির মধ্যে ইস্টার্ন হাউজিং ২০১৭-১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। অতএব এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ৩ কোম্পানির। এগুলো হলো- সাইফ পাওয়ার টেক, শমরিতা হসপিটাল এবং সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড। ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৪ কোম্পানির মধ্যে পেনিনসুলা চিটাগাং ২০১৭-১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। অতএব এ খাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাকী আছে ৩ কোম্পানির। এগুলো হলো- বিডি সার্ভিস, ইউনিট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েস লিমিটেড। এছাড়া আইটি খাতের আমরা নেটওর্য়াক, আমরা টেকনোলজি, অগ্নি সিস্টেমস, বিডিকম অনলাইন, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, ইনটেক অনলাইন, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওর্য়াক এবং আইটি কনসালট্যান্টস লিমিটেড। জুট খাতের জুট স্পিনিং, নদার্ণ জুট এবং সোনালী আঁশ লিমিটেড। পেপার ও প্রিন্টিং খাতের বসুন্ধরা পেপার মিলস, হাক্কানী পাল্প এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের হিসাব বছর শেষ ৩০ জুন। আর এ সব কোম্পানির ভাল ডিভিডেন্ড দিবে বলে আশায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারাবাজারনিউজ/ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানির লেনদেনের স্থগিতাদেশ আরও ১৫ দিন বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলো হচ্ছে মুন্নু স্টাফলার্স, বিডি অটোকার্স এবং লিগ্যাসি ফুটওয়ার লিমিটেড। গতকাল বিএসইসির নিয়মিত কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগামীকাল ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এসব নির্দেশনা কার্যকর হবে। এই নির্দেশনা উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরআগে কোম্পানিগুলোর লেনদেন গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ৩০ কার্যদিবসের জন্য স্থগিত করেছিল কমিশন। বিএসইসি এসব কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। ওই সময় ৫ কোম্পানিকে স্পটে দেওয়া হয়েছিল। কোম্পানিগুলো হচ্ছে-মুন্নু সিরামিক, আজিজ পাইপ, স্টাইল ক্রাফট, ড্রাগন সোয়েটার এবং কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড। এরমধ্যে কয়েকদিন আগে ড্রাগন সোয়েটারকে লেনদেনের অনুমতি দিয়েছে কমিশন। ওই সময় ২ কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কোম্পানিগুলো হচ্ছে-লিগ্যাসি ফুটওয়ার এবং বিডি অটোকারস। এসব কোম্পানির শেয়ার দর দীর্ঘ দিন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। শেয়ারবাজারনিউজ/ ব্যাংক বহির্ভুত আইডিএলসি সেরা ১০ ব্যাংকের তালিকা তৈরি করেছে। রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই), মুনাফা, ঋণ প্রবৃদ্ধি, আমানত প্রবৃদ্ধি, আয় প্রতি খরচ (রিস্ক টু ইনকাম), খরচে ঝুঁকি (কস্ট অব রিস্ক) সূচক পর্যালোচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আর এদের সঙ্গে তুলনায় আইডিএলসিও যে অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছে তাই দেখানো হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত আইডিএলসি’র মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। তালিকাটি প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০১৮ বছরের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়েছে। সেরা ১০ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক। রিটার্ন অন ইক্যুইটি: মোট ইক্যুইটি থেকে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে আইডিএলসি’র। তাদের আরওই ১৭.৭ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। তাদের আরওই ১৭.৬ শতাংশ। এছাড়া পূবালী ব্যাংকের আরওই ১৭.৪ শতাংশ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১৬.৩ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১২.৪ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ১১.৮ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ১১.৩ শতাংশ, সিটি ব্যাংকের ১০.৭ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের ৮.৩ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৬.৫ শতাংশ এবং প্রাইম ব্যাংকের আরওই ৬.৪ শতাংশ। কর পরবর্তী প্রকৃত মুনাফা: মুনাফায় সেবার উপরে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। তাদের কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা ৩৩ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ব্র্যাক ব্যাংক ২৫০ কোটি টাকা, পূবালী ব্যাংক ২২০ কোটি টাকা, ডাচ বাংলা ১৬০ কোটি টাকা, সিটি ব্যাংক ১৪০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংক ১৩০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ১৩০ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়া ১২০ কোটি টাকা, ইউনাইটেড কমর্সিয়াল ব্যাংক ১১০ কোটি টাকা, আইডিএলসি ১১০ কোটি টাকা এবং প্রাইম ব্যাংক ৮০ কোটি টাকা। ঋণ প্রবৃদ্ধি: এখানে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে সিটি ব্যাংক। তাদের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৩.২ শতাংশ। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক ১০.৩ শতাংশ, আইডিএলসি ১০.৩ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংক ৯.৯ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক ৯.৪ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংক ৭.১ শতাংশ, ডাচ বাংলা ৬.৫ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক ৬.২ শতাংশ, পূবালী ব্যাংক ৫.৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া ৪.১ শতাংশ এবং প্রাইম ব্যাংক ০.৯ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। আমানতে প্রবৃদ্ধি: এখানেও সবার উপরে সিটি ব্যাংক। তাদের আমানত সংগ্রহে ১৯.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ইস্টার্ন ব্যাংক ১৭.৩ শতাংশ, আইডিএলসি ১০.৩ শতাংশ, পূবালী ব্যাংক ৭.৭ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংক ৬.৯ শতাংশ, ডাচ বাংলা ৬.৭ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক ৬.২ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক ৫.১ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংক ৪.৮ শতাংশ আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে প্রাইম ব্যাংকের আমানতে কোন প্রবৃদ্ধি ঘটেনি। এছাড়া ব্যাংক এশিয়ার আমানতে প্রবৃদ্ধি ০.৪ শতাংশ কমেছে। আয় প্রতি খরচ (রিস্ক টু ইনকাম): আয় প্রতি খরচ সবচেয়ে কম করেছে আইডিএলসি। তাদের মোট মুনাফা করতে ৩৮.৮ শতাংশ খরচ হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক এশিয়া ৪০.১ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংক ৪৪.৮ শতাংশ, পূবালী ব্যাংক ৪৭ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক ৪৭.১ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক ৫২.১ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংক ৬০ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক ৬০.১ শতাংশ, সিটি ব্যাংক ৬৩.১ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংক ৬৪.৫ শতাংশ এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক ৭৫.৬ শতাংশ খরচ হয়েছে। কস্ট অব রিস্ক: কোম্পানির সকল প্রকার ঝুঁকি খরচে বিবেচনা করে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। এখানে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ঝুঁকি সবচেয়ে কম। তাদের ঝুঁকি ০.৫ শতাংশ ঋণাত্মক রয়েছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ব্র্যাক ব্যাংক ০.৪ শতাংশ, পূবালী ব্যাংক ০.৫ শতাংশ, সিটি ব্যাংক ০.৬ শতাংশ, আইডিএলসি ০.৬ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক ০.৬ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক ০.৯ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক ০.৯ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংক ১ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংক ১.৪ শতাংশ এবং ব্যাংক এশিয়া ১.৪ শতাংশ কস্ট অব রিস্ক রয়ছে। সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা এম.এল ডাইংয়ের লেনদেন আগামীকাল ১৭ সেপ্টেম্বর, সোমবার শুরু হবে। ওইদিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটি ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করবে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ডিএসইতে কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হবে “MLDYING”। আর কোম্পানি কোড হবে ১৭৪৭৯। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। গত ৯ আগস্ট কোম্পানির লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। তার আগে ৮ জুলাই থেকে চাঁদা গ্রহণ শুরু হয়; যা চলে গত ১৯ জুলাই পর্যন্ত। কোম্পানিটি গত ১০ জুন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে আইপিও এর জন্য সম্মতিপত্র পায়। এর আগে গত ১৫ মে এমএল ডাইংয়ের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে ইস্যু প্রস্তাব অনুমোদন দেয় কমিশন। আইপিও এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয় এবং স্থাপনের পাশাপাশি আইপিওতে খরচ করবে। ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু হয়েছে ২৩ টাকা ৭১ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি ভারিত গড় হারে আয় হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পূণর্মূল্যায়ন করেনি। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ও রূপালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। অর্থসূচক/ পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানি। এগুলো হলো: ইভেন্স টেক্সটাইল, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, নর্দার্ণ জুট, ইস্টার্ণ হাউজিং, ডোরিন পাওয়ার, আরগন ডেনিমস এবং এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের বোর্ড সভা ১৭ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। ইস্টার্ণ হাউজিংয়ের বোর্ড সভা ১৭ সেপ্টেম্বর, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ডের ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে। ডোরিন পাওয়ারের বোর্ড সভা ২০ সেপ্টেম্বর, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। ইভেন্স টেক্সটাইলের বোর্ড সভা ২০ সেপ্টেম্বর, বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। আরগন ডেনিমসের বোর্ড সভা ২০ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। এপেক্স ফুটওয়্যারের বোর্ড সভা ২০ সেপ্টেম্বর, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। নর্দার্ণ জুটের বোর্ড সভা ২৩ সেপ্টেম্বর, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২৫তম রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পুঁজিবাজার নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম. এ. মান্নান, অর্থ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো: আসাদুল ইসলাম পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। নিম্নে ছবির মাধ্যমে তাদের বাণীগুলো তুলে ধরা হলো:
চীনের সেনঝেন ও শানহাই এই দুই স্টক এক্সচেঞ্জের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হওয়ার মধ্য দিয়ে ট্রেকহোল্ডাররা যে পরিমাণ অর্থ পাবে তা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলেই ব্যাপক কর ছাড় দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) রজতজয়ন্তী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, সিকিউরিটিজ কমিশনের বয়স ২৫ বছর। ইতোমধ্যে আমার দু’টি বিপর্যয় পর্যবেক্ষণ করেছি। এই ধস আমরা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। তবে ২০১৮ সালে আমরা এখন তৃপ্তিবোধ করতে পারি। এই তৃপ্তিবোধের কারণ হলো আমাদের সিকিউরিটিজ মার্কেটটি সত্যিকার অর্থে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং এর অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, এরই মধ্যে চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল গেইন টেক্স মওকুফের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ওই অর্থ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের শর্তে কর সুবিধা দেওয়া হবে। এতে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ গেইন টেক্স চার্জ করা হবে। স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের দু’টি স্টক মার্কেট ইতোমধ্যে ঠিক করেছি। এদের কাছে শেয়ার বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা যখনই আমাদের কাছে দেবেন, আমরা তখনই সেক্ষেত্রে কর ব্যাপক হারে হ্রাস করে দেব। সেটাকে আমরা ৫ শতাংশে করে দেব। কিন্তু শর্ত যে টাকা পেলেন তা আগামী ৩ বছরের জন্য সিকিউরিটিজ মার্কেটে রাখবেন। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হচ্ছে সিকিউরিটিজ মার্কেটকে শক্তিশালী করা এবং একটি আকর্ষণীয় মার্কেট হিসেবে সকলের সামনে তুলে ধরা। আজ থেকেই এ ঘোষণা কার্যকর হবে। এর জন্য সব কাগজপত্র তৈরি হয়ে আছে বলেও জানান তিনি। পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানি। এগুলো হলো: ইভেন্স টেক্সটাইল, আরগন ডেনিমস এবং এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইভেন্স টেক্সটাইলের বোর্ড সভা ২০ সেপ্টেম্বর, বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। আরগন ডেনিমসের বোর্ড সভা ২০ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। এপেক্স ফুটওয়্যারের বোর্ড সভা ২০ সেপ্টেম্বর, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ লেনদেন ৩০ মিনিট লেনদেন বেশি হবে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলবে লেনদেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার থেকে লেনদেন আগের মতোই সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ২৫ বছর রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী আসবেন। আর এ কারণে কাল উভয় স্টক একচেঞ্জে আধা ঘন্টা লেনদেনে বেশি হবে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/ মিডওয়ে সিকিউরিটিজের আইপিও ফলাফল পেতে ক্লিক করুন:
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনকারী ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালসের আইপিও লটারির ড্র সম্পন্ন হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে লটারীর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আজ (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট, কাকরাইল, ঢাকা এ কোম্পানির আইপিও লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে কোম্পানির আইপিও আবেদন গত ৯ আগষ্ট থেকে শুরু হয়। যা চলে ১৬ আগষ্ট পর্যন্ত। গত বছরের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬১৩ তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে এ অর্থ উত্তোলন করবে। উত্তোলিত টাকায় অবকাঠামো নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও সংক্রান্ত খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন ২০১৬ হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৬২ টাকা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১.৬৩ টাকা। উল্লেখ্য, কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে এএফসি ক্যাপিট্যাল, ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইসরি লি:। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর রজত জয়ন্তী (প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর উপলক্ষে) উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বিএসইসি কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেইমে সপ্তাহব্যপী এ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সংসদ সদস্যগণ, সিনিয়র সচিব, সচিব, উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শিক্ষকবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদল, স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএলসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন। সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনাসভা ও স্মৃতিচারণ, বিএসইসি পরিবারের পুনর্মিলনী, কর্পোরেট গর্ভনেন্স বিষয়ক সেমিনার। এছাড়াও রজত জয়ন্তী উপলক্ষে ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলেও জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর ধীরে ধীরে হলেও কমিশন আজ একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। প্রথম শ্রেণীর নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে (আইওএসসিও এ ক্যাটাগরি রেগুলেটর) আজ পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে রেগুলেশন ও সুশাসন নিশ্চিত করছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম। প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। নির্ধারত তারিখ অনুযায়ী আগামীকাল (১১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট, কাকরাইল, ঢাকাতে এ কোম্পানির আইপিও লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিওতে ৩৪ গুণের বেশি আবেদন জমা হয়েছে। ইন্দো-বাংলা পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটির আইপিওতে ৩৪.২৪ গুণ বেশি টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৮ কোটি ৪২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস) ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার এবং ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস ব্যতীত) ১৩৫ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার। উত্তোলনযোগ্য অর্থ দিয়ে কোম্পানিটির কারখানা, প্রশাসনিক ভবন, গুদাম ও গ্যারেজ ভবন নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিওতে ব্যবহার করা হবে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.২১ টাকা। আর ২০১৭ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাড়িয়েছে ১২.৮৪ টাকায়। আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড। আগামীকাল রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এন ক্যাটাগরির আওতায় লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড। নিম্নে কোম্পানিটির শেয়ারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:
ISSUE DATE: 27.05.2018 IPO OFFER: 2,20, 00,000 SHARES (সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য বরাদ্দ ১,১০,০০,০০০ শেয়ার আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরার জন্য বরাদ্দ বাকী ১,১০,০০,০০০ শেয়ার) TRADEABLE SHARE (লেনদেনযোগ্য শেয়ার); 1ST DAY ( বাজারে আসার প্রথম দিন ): 1,10,00,000 SHARES (PUBLIC) 55,00,000 SHARES (INSTITUTIONS) [ উল্লেখ্য লেনদেনের প্রথম দিনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্ত IPO শেয়ারের ৫০% অর্থাৎ ৫৫,০০,০০০ শেয়ার লেনদেনযোগ্য ] ★★ বাজারে আসার প্রথম দিন লেনদেন করা যাবে ১,৬৫,০০,০০০ শেয়ার। ★ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২য় অংশ ২৭,৫০,০০০ শেয়ার এর লক খুলবে আগামী ২৭.১১.২০১৮ ইং তারিখে।[ প্রসপেক্টাস ইস্যু তারিখ হতে IPO প্রাপ্ত ১,১০,০০,০০০ শেয়ারের ২৫%, ৬ মাস পর্যন্ত লক ইন থাকবে] ***প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৩য় অংশ ২৭,৫০,০০০ শেয়ার এর লক খুলবে আগামী ২৭.০২.২০১৯ ইং তারিখে।[ প্রসপেক্টাস ইস্যু তারিখ হতে IPO প্রাপ্ত ১,১০,০০,০০০ শেয়ারের বাকী ২৫%, ৯ মাস পর্যন্ত লক ইন থাকবে ] SHARE HOLDING(POST IPO/IPO আসার পর): DIRECTORS OR SPONSOR : 49.18 % INSTITUTION : 12.99 % GENERAL PUBLIC : 37.83 % PLACEMENT SHARE: প্লেসমেন্ট শেয়ার ২,১০,০৫,০০০ এর লক খুলবে আগামী ২৭.০৫.২০১৯ ইং তারিখে। * ব্যবসার প্রকৃতিঃThread & DYEING * COMPETITORS COMPANY:কোম্পানী তার প্রসপেক্টাসে প্রতিযোগী হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করেছে তা নিম্নে চিত্রে দেখানো হলো। * IPO অর্থ ২২,০০,০০,০০০ টাকা যে উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হবে ; ১. মেশিনারী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় : ৮০.৬৪% ২.ব্যাংক ঋণ পরিশোধ (আংশিক) : ১১.৪১% ৩. IPO খরচ : ৭.৯৫% ** মেশিনারী ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সময়ঃ IPO অর্থ প্রাপ্তির দিন হতে পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে। **ব্যাংক ঋণ পরিশোধের (আংশিক) সম্ভাব্য সময়: IPO অর্থ প্রাপ্তির দিন হতে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে। মন্তব্যঃ এই কোম্পানির IPO অর্থের সুফল পেতে কোম্পানী এবং তার বিনিয়োগকারীদের ১৮ মাস অর্থাৎ ২০২০ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। * বোনাস শেয়ার বিক্রয় সংক্রান্ত শিথিলকরণ নতুন লক ইন বিধি [ ১০% বা তার অধিক ( যা পূর্বে ৫% ছিল) শেয়ারধারণকারী কোম্পানীর চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর পুঁজিবাজারে আসার পর তাদের বোনাস শেয়ার প্রসপেক্টাস ইস্যু তারিখ হতে দুই(২) বৎসর পর্যন্ত লক ইন থাকবে] :::: এই কোম্পানীর চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর এর মধ্যে যাদের ১০% বা তার অধিক শেয়ার রয়েছে মোট ৩৪.৫৪% (১৬.২৪+১৮.৩০);তাদের ৪,১৬,৬৪,৮০০ শেয়ার এর মধ্যে ২,৯২,৬১,৩০০ শেয়ারের উপর প্রাপ্ত বোনাস বিক্রি করতে ঘোষণা দিতে হবে।বাকী ১,২৪,০৩,০০০ শেয়ারের উপর প্রাপ্ত বোনাস বিক্রি করতে ঘোষণা দিতে হবে না।*** ****SOURCE: COMPANY PROSPECTUS এডমিন: IPO SUCCESS GROUP & PAGE পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমন ও অবকাশ খাতের কোম্পানি পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আজ অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পেনিনসুলা চিটাগাংযের বোর্ড সভা ৬ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ডের ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/ |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2024
Categories |