midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রভাবে আজও উত্থান ঘটেছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে। আজ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা বেশি ছিল। লেনদেনের শুরু থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন তারা। ফলে সূচকও ইতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। তবে শুরুতে তাদের আগ্রহ অনেকটা বেশী থাকলেও পরবর্তীতে তা কিছুটা হ্রাস পেলেও শেষ পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানেই থাকে সূচক। আজ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক-আর্থিকের পাশাপাশি বস্ত্র খাতের শেয়ার বেশি কিনতে দেখা যায়। তবে সবচেয়ে ইতিবাচক ছিল ব্যাংক খাত। আজ ব্যাংক খাতে লেনদেন করা ৭৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরই বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা পতনে পুঁজিবাজারে এখন অধিকাংশ শেয়ারই বিনিয়োগযোগ্য। তাছাড়া বাজার ভালো হওয়ার মত নানা ইস্যু ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে আবার সম্প্রতি মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। বাজারের ক্রান্তিকালে পুঁজিবাজারের প্রাণ বলে খ্যাত এই ফান্ডগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধি ভবিষ্যতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কেননা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ব্যতীত বাজারে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করে থাকে না। আর মেয়াদপূর্তিতে অবসায়ন হওয়া ফান্ডগুলো যে অর্থ তুলে নিত মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সেই অর্থই ফের বিনিয়োগ হবে। কাজেই বর্তমান বাজারের তারল্য সংকট নিরসনে এ ফান্ডগুলো পুরোপুরি সক্রিয় হবে। এ বিষয়টি বুঝতে পেরেই সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন বলেও মনে করছেন তারা। এদিকে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও ব্যাকরণগতভাবে বর্তমানে পুঁজিবাজার অনুকূল থাকলেও বিনিয়োগে ভয় পাচ্ছেন কেউ কেউ। নির্বাচনী বছর হওয়ায় তারা বিনিয়োগ নিয়ে দোলাচলে রয়েছেন। তবে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না বাজারসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বাজারে এখন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। শেয়ারের দরপতন হওয়ারও তেমন কোনো কারণ নেই। মূল কারণ বিনিয়োগকারীদের মনোগত।
তবে কেউ কেউ বলছেন, স্বল্পমূলধনি কিছু কোম্পানির শেয়ারদরে হঠাৎ করে উল্লম্ফন দেখা দেয়। যদিও বর্তমানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবিষয়ে কিছুটা তৎপর। ফলশ্রুতিতে তারা দু-চারটি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত কারও আবার ট্রেড স্থগিত এবং আরও কিছু কোম্পানিকে বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে। যা বাজারের জন্য ভালো। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা যখন ব্যবস্থা নিচ্ছে, তখন শেয়ারটির দর ইতোমধ্যেই ব্যাপক বেড়ে গেছে। বলা যায়, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটিতে প্রবেশের পরই ব্যবস্থা নিচ্ছে। এতে দুর্ভাগ্যক্রমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কিন্তু যারা শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি করছে, তাদের কিছুই হচ্ছে না। কারণ তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই শেয়ার থেকে বেরিয়ে গেছে। তবে এই তদন্তটি যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থা শেয়ারদর উল্লম্ফনের দু-তিন দিনের মাথায় করে ফেলে, তাহলেই কিন্তু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন না। এদিকে, আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই সৃষ্ট ক্রয় চাপে চাপে টানা বাড়তে থাকে সূচক। বুধবার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৫০৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৯৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৬১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯১১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৭টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৮২৪ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৪৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১২৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৯০৫ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৭৩১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৯৩ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ১১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৯৪৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫২টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলছেন, আমাদের দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের ভিত্তিতে খুব কমই বিনিয়োগ করেন। তারা এ ধরনের অ্যানালাইসিসে ভরসা বা আস্থা রাখতে পারেন না। বরং বাজারের নানা গুজব বা শেয়ারের দর বৃদ্ধি তাদের বেশি আকৃষ্ট করে। ফলে তারা অধিকাংশ সময় বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই বাজার ওঠানামার জন্য বিনিয়োগকারীদের মানসিকতাকেই ৬০ শতাংশ দায়ী করা হয়। তারা যখন ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, তখন বাজার ভালো হয়। আর যখন হতাশাগ্রস্ত হন, তখন পতন নেমে আসে। দীর্ঘদিনের বাজারে চিত্রে এটাই লক্ষ্যনীয় বলেও ধারনা ওই বিশ্লেষকরদের।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2024
Categories |