midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
সূচক ও লেনদেন বেড়ে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে বাজার। অধিকাংশ খাতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে আজ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ৬২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ২৫ শতাংশের দর। আজ ক্রয় চাপ বেশি ছিল ব্যাংক, আর্থিক ও বস্ত্র খাতে। তবে গতকালের ন্যায় আজও লেনদেনের প্রায় ৪৩ শতাংশ ছিল বস্ত্র ও ওষুধ খাতের দখলে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে দুটি জায়গায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। একটি হচ্ছে টার্নওভার এবং অপরটি বাজারে বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে। আবার বর্তমানে দেশের অর্থনীতির সব সূচক ইতিবাচক। পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অন্যান্যবারের চেয়ে অনেক স্থিতিশীল। এ অবস্থায় বাজারে ফিরছেন বড় বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও অনেক রাজনৈতিক নেতাও তাদের নির্বাচনী হলফনামায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন। এমনকি তারা এখনও বিনিয়োগ করছেন বলে জানা গেছে। কারণ যারা হলফনামায় পুঁজিবাজারে নিদির্ষ্ট অংকের বিনিয়োগ দেখিয়েছেন, তাদের মধ্যে কারো যদি সেই অংকে ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে তারা সেটা পূরণের চেষ্টায় রয়েছেন। তবে বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তেমন দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনের কারণে হয়ত তারা নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। তবে নির্বাচনের পরে একটি ইতিবাচক অবস্থায় তারা ফিরে আসবে। আর যদি দেশের রাজনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে আগামীতে দেশের পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে যাবে। আর এটা ঘিরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা বাড়ছে বলেও মনে করছেন তারা।
তবে কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন মন্দা থাকার পর বর্তমানে বাজার কিছুটা ভালোর দিকে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে কিছুটা সমস্যা এখনও আছে। আমাদের বাজারে একটার প্রভাব শেষ হতে না হতেই সামনে আবার আরেকটা প্রভাব চলে আসে। কারণ পুঁজিবাজারে যে সেনসেটিভ ইস্যু। তবে বর্তমানে পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের যে আন্তরিকতা তাতে আশা করা যায়, সব কিছু ছাপিয়ে বাজারের চেহারা আরও ভালোর দিকে যাবে। কেননা বড় বড় বিনিয়োগকারীরা এতদিন বাজার পর্যবেকক্ষণ করছিল। তাদের পাশাপাশি বিদেশীরা সক্রিয় হলেই বাজার পুরোপুরি উত্থানে চলে যাবে। এছাড়াও পূর্বে বাজারে যে মানি-ফ্লো ভালো ছিল। সে তুলনায় বর্তমান বাজার প্রাণহীন। তবে নির্বাচন হয়ে গেলেই বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়বে বলেও ধারনা করছেন তারা। এদিকে, আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরু থেকেই ক্রয় চাপে টানা বাড়তে থাকে সূচক। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৩৪৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২২৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮৭০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৪১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১১টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৬৮৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫২৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৯৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২২৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ০.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮৫৫ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৫৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৩৩ কোটি ৬২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক সিএসইএক্স ৭৬ পয়েন্ট বেড়েছে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৪টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৬টির, কমেছে ৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৫৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলছেন, পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা বাজার মূলধনকে বিবেচনা করেন না। যখন বাজারে পতন হয়, তখন গড় বাজার মূলধন কত হয়েছে এটিও বিবেচনা করে না। একটি নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে সূচক কমতে থাকে এবং বাজার কোনদিকে যাচ্ছে তা বুঝতে না পেরে বিনিয়োগকারীর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। সচেতন বিনিয়োগকারীর উচিৎ কোম্পানিগুলোর পূর্বের তথ্য ও উপাত্ত বিবেচনা করা। পূর্বের তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে বাজার সম্পর্কে একটি চার্ট দেখার চেষ্টা এবং শেষের কয়েক মাস বা বছরে সূচকের সঙ্গে কী কী পরিবর্তন হয়েছিল সেটাও। এটা করতে পারলে সামনে কি হতে পারে সেটা বুঝা যায়। আর বর্তমানে বাজার যে অবস্থানে রয়েছে, তা বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। আসলে বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীর মধ্যে বেশিরভাগ সময় একে অন্যের দেখাদেখি শেয়ার কেনাবেচা করার প্রবণতা দেখা যায়। পুঁজিবাজার হচ্ছে একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে যারা বিচার-বিশ্লেষণ করে শেয়ার কেনাবেচা করেন, তারাই কম-বেশি মুনাফা লাভ করতে পারেন বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |