midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
করোনা-আতঙ্কে বিপর্যস্ত বিশ্বের পুঁজিবাজারের বড় অংশ শেষ পর্যন্ত ভয়কে জয় করেছে। এশিয়া ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এশিয়ার বাজারগুলো নিম্নমুখী হলেও ব্যাপক উত্থান হয়েছে ভারতের বাজারে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস তথা শুক্রবারে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার বড় চমক দেখিয়েছে। আগের দিনের রেকর্ড দরপতনের পর এদিন বড়সড় উল্লম্ফন ঘটেছে দেশটির বাজারে। একইদিনে প্রথমভাগে মহাবিপর্যয়ের আশংকা জাগিয়ে শেষবেলায় নাটকীয় উত্থানে শেষ হয়েছে ভারতের পুঁজিবাজারের লেনদেন। এদিন ইউরোপের প্রায় সব বাজারও ছিল উর্ধমুখী। খবর সিএনএন, রয়টার্স ও ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় পুঁজিবাজার ঘিরে ফের উদ্বেগ বাড়ছে। শুক্রবার এসব দেশে বাজার ঘুরে দাঁড়ালেও প্রবল আতঙ্কের মুখে তা কতটা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে, উর্ধমুখী ধারা কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা আছে। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক, জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন আর বিশ্ব-অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান মন্দার আশংকার প্রভাবে গত সপ্তাহের প্রায় পুরোটা সময় জুড়ে পুঁজিবাজারে ছিল প্রচণ্ড অস্থিরতা। বিশ্ববাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ছিল সোমবার (৯ মার্চ)। এদিন ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় সব বাজারে রেকর্ড দরপতন হয়। দরপতনের তীব্রতায় পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সাময়িকভাবে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পতনই ছিল বেশিরভাগ বাজারের সঙ্গী। বৃহস্পতিবার ফের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বড় দরপতন হয় এবং এটি ছিল ১৯৮৭ সালের পর সবচেয়ে তীব্র পতন। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের সব সূচক প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। শুক্রবার ভারতের বাজার ভয়াবহ পতনকে সঙ্গী করে লেনদেন শুরু হয়। মাত্র ৩৫ মিনিটের মধ্যে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকগুলো ১০ শতাংশের বেশি কমে গিয়ে সার্কিটব্রেকার অতিক্রম করে ফেলে। এতে দেশটির বাজারে ৪৫ মিনিট লেনদেন বন্ধ থাকে। এরপর লেনদেন শুরু হলে বাজার ধীরে ধীরে উর্ধমুখী হয়ে উঠে। দিনশেষে সূচক শুধু পুনরুদ্ধারই হয়নি, তা আগের দিনের অবস্থানকে ছাড়িয়ে যায়। শুক্রবার দিনশেষে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে সেনসেক্স সূচক ৩৪ হাজার ১০৩ পয়েন্টে স্থির হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৩২৫ পয়েন্ট বা প্রায় ৪ শতাংশ বেশি। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক নিফটি ৫০ একইভাবে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। শুক্রবার নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধানসূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ উপরে উঠে লেনদেন শেষ করে। ২০০৮ সালের পর এই বাজারে একদিনে সূচক আর এতটা বাড়েনি। এদিন ফ্রান্সের সিএসই ৪০ সূচক ৮ দশমিক ৩ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স সূচক ৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০ সূচক ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। করোনাভাইরাসে ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ইতালীতেও শুক্রবার সূচকের নাটকীয় উত্থান ঘটে। এদিন দেশটির প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। আগের দিন বাজারটিতে সূচক ১৭ শতাংশ কমেছিল। এর প্রেক্ষিতে দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারে শর্টসেল (নিজের কাছে শেয়ার না থাকলেও তা আগাম বিক্রির ব্যবস্থা) নিষিদ্ধ করে। আর তাতেই বেশকিছুটা সুফল আসে। এদিন অস্ট্রেলিয়ার বাজারেও উর্ধমুখী ধারা দেখা যায়। অবশ্য দেশটির বাজার এদিন ছিল ভারতের মত নাটকীয়তায় ভরা। দিনের প্রথমভাগে এখানে প্রধান মূল্যসূচক এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০ আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ কমে গেলেও দিনশেষে বাজারে ছিল হাসিমুখ। কারণ হারানো সূচক পুনরুদ্ধারের পর আরও ৪ দশমিক ৪ শতাংশ উপরে উঠে স্থির হয় ওই সূচক। শুক্রবার ভারত ছাড়া এশিয়ার অন্য দেশগুলোর বাজারে অবশ্য নিম্নমুখী ধারা ছিল। তবে সেখানেও ছিল কিছুটা স্বস্তির বাতাস। কারণ দিনের প্রথমভাগে বাজারগুলোতে সূচকের বড় পতন হলেও দিনশেষে তার অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয়। এদিন জাপানের প্রধান সূচক নিক্কি ২২৫ ইনডেক্সে ৩০ বছরের মধ্যে তীব্রতম পতন হয়। কিন্তু পরে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। দিনশেষে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ শতাংশ নিচে এসে স্থির হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারের প্রধান সূচক কেওএসপিআই শুক্রবার এক পর্যায়ে ৭ শতাংশের বেশি কমে গেলেও পরে এর অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয় এবং আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ নিচে থেকে লেনদেন শেষ করে। এদিন হংকং এর হ্যাংসেং ইনডেক্স ১ দশমিক ১ শতাংশ এবং চিনের সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পায়। বিশ্লেষকদের মতে, করোনাভাইরাস আতঙ্কের প্রথম ধাক্কা কেটে যাওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রণোদনা ঘোষণা ইত্যাদি বিষয় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
December 2024
Categories |