midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে অনুষ্ঠিত ব্যাংকগুলোর বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি হয়নি। বৈঠকে ব্যাংকগুলো একদিকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছে, অন্যদিকে তুলে ধরেছে নানা অজুহাত।
বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বৈঠক শেষে অবশ্য ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক বৈঠককে সফল হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বৈঠকে সবগুলো ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠনে আগ্রহের কথা জানিয়েছে। উল্লেখ, গত ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন (Free Fall) হলে ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তার দেওয়া ৬ দফা নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ তহবিল সুবিধা ঘোষণা করে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে এই তহবিল গঠন করা যাবে। চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারল্য সুবিধা নেওয়া যাবে। পুনঅর্থায়নযোগ্য এই তহবিলের মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এর সুদের হার ৫ শতাংশ। তহবিলের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, তা ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসাব (Exposure to Capital Market) এর বাইরে থাকবে। বিশেষ তহবিল সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংক চাইলে সরাসরি নিজে বিনিয়োগ করতে পারবে, আবার ওই তহবিল থেকে ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ঋণ দেওয়া যাবে। গত এক মাসে তহবিল গঠনের বিশেষ উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ডিএসই আলোচিত বৈঠকটি আহ্বান করে। এতে ৩০টি তফসিলি ব্যাংককের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে তাতে ২৪টি ব্যাংক সাড়া দেয়। এদের মধ্যে ৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বৈঠকে অংশ নেন। বাকী ব্যাংকগুলোর পক্ষে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা, কোম্পানি সচিব ও তার পরের স্তরের কর্মকর্তারা ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করেন। জানা গেছে, বৈঠকে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশেষ তহবিলের জন্য ৫ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তি তারা সুদের ব্যবসা করেন না। তাই তাদের পক্ষে এই সুবিধা নেওয়া সম্ভব নয়। অপরদিকে অন্য কয়েকটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশেষ তহবিল গড়তে তাদের কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে। অনেকে তাদের পর্ষদের অনাগ্রহের কথাও জানান। ডিএসইর পক্ষ থেকে তাদেরকে এসব বিষয় নিয়ে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করতে বলেন। এ ক্ষেত্রে ডিএসইর কোনো সহযোগিতা লাগলে তারা তা করতে প্রস্তুত বলে ব্যাংকারদের আশ্বস্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান। এতে এবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, শাহ-জালাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউসিবি ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
May 2023
Categories |