বাংলাদেশ ব্যাংকের ২টি প্রজ্ঞাপন জারি

বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের নিয়ে অর্থমন্ত্রীর আয়োজিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণ (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা সিআরআর) এক শতাংশ কমানো এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাংকগুলোর টাকা ধার নেওয়ার সুদহার দশমিক ৭৫ শতাংশ কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত আলাদা দু’টি নির্দেশনা সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলোর আমানতের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত নগদ জমা থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা ফেরত পাবে ব্যাংকগুলো।
​
বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি ডিপার্টমেন্টের এ সার্কুলারে জানানো হয়,

 বাংলাদেশের সব তফসিলি ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের সাড়ে ছয় শতাংশ দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে এবং ন্যূনতম ছয় শতাংশ দৈনিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ জমা হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়। তবে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে সাড়ে পাঁচ শতাংশ এবং দৈনিক ভিত্তিতে ন্যূনতম পাঁচ শতাংশ নগদ জমা সংরক্ষণ করতে হবে। অর্থাৎ এখন থেকে ব্যাংকগুলোর আমানতের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে নগদ টাকা জমা রাখা (সিআরআর) হয়, সেখান থেকে এক শতাংশ কম রাখতে পারবে।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেকটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে শতকরা ৬ ভাগে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে রিভার্স রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৪ দশমিক ৭৫ ভাগে অপরিবর্তিত থাকবে। এ নির্দেশনাও ১৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
​
উল্লেখ্য, এর আগে গত রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সিআরআর এক শতাংশ কমানো হয়। ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বেসরকারি ব্যাংকে ৫০ শতাংশ সরকারি আমানত রাখার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছি তা বহাল থাকবে। সরকারি টাকার অর্ধেক বেসরকারি ব্যাংকে রাখা যাবে। অন্য সুবিধা (সিআরআর) আমি দিতে পারি না। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক গভর্নর। আমি শুধু প্রভাবিত করতে পারি। এছাড়া এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ছয় শতাংশ নগদ জমা রাখতে (সিআরআর) হয়, তা এক শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।