midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতকে হটিয়ে লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে বস্ত্র খাত। একইসঙ্গে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনও পিছিয়ে পড়েছে। ব্যাংকগুলোর ঋণ আমানত অনুপাত কমানোর সিদ্ধান্তের আগে ও পরে বাজারে লেনদেনে প্রভাব পড়েছে। এতে গত এক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের হার কমায় ব্যাংক খাত পিছিয়ে পড়েছে-এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিদায়ী সপ্তাহে মোট লেনদেনে বস্ত্র খাতের দখলে ছিল ১৪ শতাংশ। এ সময় খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে। আলোচিত সময়ে খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অপরদিকে ব্যাংক খাতের দখলে ছিল মাত্র ১৩ শতাংশ। আলোচিত সময়ে খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। মোট লেনদেনে নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের অংশগ্রহণ ছিল ছয় শতাংশ। খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেনে বস্ত্র খাতের দখলে ছিল ১৩ শতাংশ। ওই সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। মোট লেনদেনে ব্যাংকিং খাতের অংশগ্রহণ ছিল ১৫ শতাংশ। ওই সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৭৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। মোট লেনদেনে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ ছিল আট শতাংশ। আলোচিত সময়ে খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের লেনদেন দুই শতাংশ কমেছে। খাতটি দীর্ঘদিন লেনদেনের নেতৃত্ব দিলেও বেশ কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে। এ কারণে এবার লেনদেনে পিছিয়ে পড়েছে ব্যাংক খাত বিপরীত দিকে শীর্ষস্থান দখল করেছে বস্ত্র। খাতটির লেনদেন সপ্তাহের ব্যবধানে এক শতাংশ বেড়েছে। এদিকে ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনও কমেছে। আলোচিত সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন কমেছে দুই শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে চলতি বছরের শুরুতে ব্যাংকের লেনদেনে নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। পরবর্তী সময়ে ঋণ আমানতের রেশিও কমানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো আমানতের সুদের হার বাড়িয়েছে। এসব কারণে বাজারে ব্যাংকের শেয়ারে আগ্রহ হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। যার প্রভাব পড়েছে লেনদেনে। তবে ডিক্লেয়ারেশন শুরু করলে বোঝা যাবে ব্যাংকের লেনদেনের প্রকৃত চিত্র। এ সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এখনও ব্যাংকগুলোর ডিক্লেয়ারেশন শুরু হয়নি। ডিক্লেয়ারেশন শুরু হলে ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বোঝা যাবে। ডিএসই তথ্যমতে, বিদায়ী সপ্তাহে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও ৯ দশমিক দুই পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর পরই জ্বালানি ও বিমা খাতের পিই রেশিও’র অবস্থান। জ্বালানি খাতের পিই রেশিও ১২ দশমিক দুই পয়েন্টে এবং বিমা খাতের পিই রেশিও ১১ দশমিক ৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া বস্ত্র খাতের পিই রেশিও ২০ দশমিক তিন পয়েন্টে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের পিই রেশিও ১৮ দশমিক পাঁচ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও’র অবস্থান ছিল ৯ দশমিক চার পয়েন্টে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পিই রেশিও ছিল ১৯ দশমিক দুই পয়েন্টে। বস্ত্র খাতের পিই রেশিও ২০ দশমিক ৯ পয়েন্টে অবস্থান করেছিল। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ খাতের পিই রেশিও বেড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পিই রেশিও যতদিন ১৫ এর ঘরে অবস্থান করে ততদিন বিনিয়োগ নিরাপদ। সেই হিসেবে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও কম।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
December 2024
Categories |