midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান পুঁজিবাজারবান্ধব মুদ্রানীতি প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে করিমের কাছে অনুরোধ রেখেছেন, আসন্ন মুদ্রানীতিতে যেন মুদ্রাবাজারের পাশাপাশি পুঁজিবাজারকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। মুদ্রানীতিতে যাতে এমন কোনো উপাদান না থাকে যা পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকর হয়।
"অনেকদিন পর পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরে এসেছে। পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির স্বার্থে এটি ধরে রাখতে হব। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো ভুলে অথবা মুদ্রানীতির কারণে এই আস্থায় চিঁড় ধরলে তা হবে দুঃখজনক ও আত্মঘাতী। তাই এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে যথেষ্ট সতর্ক ও যত্নবান থাকতে হবে।" আজ সোমবার দুপুরে সিঙ্গাপুর থেকে অর্থসূচককে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই আহ্বান ও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ, চলতি মাসেই আগামি ৬ মাসের (জানুয়ারি’১৯-জুন’১৯) জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে প্রথম মুদ্রানীতি। তাই অন্য যে কোনো বারের মুদ্রানীতির চেয়ে এবারের মুদ্রানীতির প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। অন্যদিকে এই মুদ্রানীতিকে ঘিরে একইসঙ্গে আশা ও উদ্বেগ ঘুরে বেড়াচ্ছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে মুদ্রানীতির সঙ্গে পুঁজিবাজারের সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করলেও বাস্তবে পুঁজিবাজারে এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। কারণ বাজারে মুদ্রার সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগযোগ্য তহবিল বেড়ে যায়। অন্যদিকে বাজারে মুদ্রার সরবরাহ কম হলে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট দেখা দেয়। মুদ্রানীতির মাধ্যমে বাজারে মুদ্রার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সাধারণত প্রতি বছরই মুদ্রানীতির ঠিক আগে আগে স্নায়ুর চাপে পড়ে পুঁজিবাজার। অনেক বিনিয়োগকারী কিছু সময়ের জন্য সাইডলাইনে চলে যান। তারা ঘোষিত মুদ্রানীতি পর্যবেক্ষণ করে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। অন্যদিকে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি বাড়তি ফায়দা নিতে মুদ্রানীতিকে সামনে রেখে নানা গুজব রটিয়ে অনেক সময় বাজারে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করে। পুরো বিষয়গুলোই উঠে এসেছে রকিবুর রহমানের বক্তব্যে। অর্থসূচককে মোঃ রকিবুর রহমান বলেন, গভর্নর সাহেব একাধিকবার বলেছেন, এসএমই ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোর তেমন কোনো সমস্যা নেই। এসব ঋণ সহজে খেলাপি হয় না। বড় ঋণ নিয়েই যত সমস্যা। এ সমস্যা এড়াতে বড় ঋণ না নিয়ে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহে প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে, সে অনুসারে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, বড় ঋণ ব্যাংক থেকে নয়, পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলো স্বল্প মেয়াদী আমানত নিয়ে দীর্ঘময়োদী ঋণ দেয় বলে এই ধরনের অর্থায়ন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকি এড়াতে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদেরকে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারমুখী করতে হবে। তাতে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি কমবে, আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো হবে; অন্যদিকে পুঁজিবাজারের ব্যাপ্তি ও গভীরতা বাড়বে। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। ডিএসই’র সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মুদ্রানীতিকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যক্তি বাজারে গুজব ও আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের উচিত তাতে বিভ্রান্ত না হওয়া। এসব ব্যক্তি সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত সংশ্লিষ্টদের। মোঃ রকিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ গণনার পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে তা বাস্তবসম্মত করা। শেয়ারের বাজারমূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যে ব্যাংকের এক্সপোজার গণনা, কোনো কোম্পানির শেয়ারে কৌশলগত বিনিয়োগ, তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানিতে বিনিয়োগ এবং বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদির বিনিয়োগকে এক্সপোজারের বাইরে রাখা। তাতে বাজার তার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে। কৃতজ্ঞতায় অর্থসূচক
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |