midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
নানামুখী চাপ সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত কৌশলগত মালিকানা ইস্যুতে সর্বোচ্চ দর হাঁকা শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামকেই চূড়ান্ত করার পক্ষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তিন দিন ধরেই এ ইস্যুতে সরগরম ডিএসই। এ নিয়ে দফায় দফায় এক্সচেঞ্জটির সদস্য ও ম্যানেজমেন্টের মধ্যে আলোচনাও চলছে। কিন্তু কোনোভাবেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সর্বনিম্ন দরপ্রস্তাবকারী ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়ার (এনএসই) কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত মালিকানা দিতে নারাজ তারা। ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় পর্ষদ সভার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে ডিএসই। স্টক এক্সচেঞ্জ, শেয়ারহোল্ডার ও সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নিয়মানুসারে সর্বোচ্চ দর হাঁকা কনসোর্টিয়ামকেই কৌশলগত বিনিয়োগকারী করতে ঐক্যবদ্ধ ডিএসইর সদস্যরা। তারা বলছেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে সর্বনিম্ন দরপ্রস্তাবকারীকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বেছে নিলে তা একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হবে। এতে ডিএসইর ২৫০ জন শেয়ারধারী সদস্য বঞ্চিত হবেন। আর্থিক, কারিগরি ও কৌশলগত দিক বিবেচনায় এনএসইর তুলনায় শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়ামকেই এগিয়ে রাখছেন তারা। (বিস্তারিত পড়ুন 'Read More') এনএসই কনসোর্টিয়ামের ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব ও ডিএসইর পর্ষদে দুজন পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের পরিপন্থী। এনএসই সরাসরি শেয়ার কেনার বদলে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এনএসই স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগে একমত নন তারা। এনএসই কনসোর্টিয়ামে ইকুইটি পার্টনার হিসেবে থাকা ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স পরিচালিত প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড ফ্রন্টিয়ার ফান্ড বাংলাদেশ এলএলপির বিনিয়োগের বিষয়টি অনিশ্চিত। ফ্রন্টিয়ার ফান্ড তাদের জন্য নির্ধারিত ৩ শতাংশ শেয়ার কিনতে না পারলে এনএসই নিজে কিংবা ডিএসইর কাছে গ্রহণযোগ্য অন্য কোনো কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে সেটি বিক্রির কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে আসার পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিওর মাধ্যমে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করার প্রস্তাবটি আইন পরিপন্থী। কারণ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর ডিএসইকে আইপিওতে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কৌশলগত বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে শেয়ার বিক্রি করতে হলে অন্য কোনো কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছেই বিক্রি করতে হবে।
কারিগরি সহায়তাসংক্রান্ত প্রস্তাবে শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর ট্রেডিং ও সার্ভিল্যান্স সিস্টেমের আধুনিকায়ন, বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট (বিপিএম) সিস্টেম কনসাল্টিং প্ল্যান, বন্ড টেন্ডার সিস্টেমের জন্য কনসাল্টিং সার্ভিস, ইনফরমেশন ডিসক্লোজার সিস্টেম কনসাল্টিং প্ল্যান, ডাটা সেন্টার ও কো-লোকেশনের জন্য কনসাল্টিং সার্ভিস প্ল্যান, এফডিইপি প্রযুক্তি স্থানান্তর পরিকল্পনা, ফিন্যান্সিয়াল ক্লাউড টেকনোলজি স্থানান্তর পরিকল্পনা করার কথা বলা হয়েছে। এসব কারিগরি প্রযুক্তির জন্য ১০ বছরের লাইসেন্স এবং তিন বছরের ট্রেনিং ও কনসাল্টিং সার্ভিস সম্পূর্ণ ফ্রি দেবে শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়াম। তাছাড়া এর বাইরে তারা বেশকিছু পণ্য ও বাজার উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেবে। অন্যদিকে এনএসই কনসোর্টিয়াম তাদের কারিগরি সহায়তাসংক্রান্ত প্রস্তাবে বলেছে, ফিউচার ও অপশনস, এসএমই, ইটিএফ, বন্ড কারেন্সি ডেরিভেটিভস ইত্যাদি পণ্য প্রচলন, গভর্ন্যান্স ও রেগুলেটরি উন্নয়ন, টেকনোলজি সার্ভিস ও কানেক্টিভিটি এনওডব্লিউ, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম, কো-লোকেশন, সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা, শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যক্রম, ইনডেক্স ও ডাটা বিজনেস, ক্লিয়ারিং করপোরেশন প্রতিষ্ঠা, কেওয়াইসি ও ই-গভর্ন্যান্স উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এজন্য তারা ডিএসইর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথাও বলছে। এগুলোর জন্য ডিএসইর সঙ্গে একটি বিজনেস চুক্তি করতে চায়, যা নির্দিষ্ট ফির মাধ্যমে দেয়া হবে। ডিএসইর মতে, এনএসই প্রস্তাবিত কারিগরি সহায়তার মধ্যে বেশকিছু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিজেরাই শুরু করেছে। বিপরীতে শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়ামের বিনামূল্যে কারিগরি সহায়তার প্রস্তাব অনেক বেশি আকর্ষণীয়; যা দেশের পুঁজিবাজারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে তারা মনে করছেন। দরপ্রস্তাবে পিছিয়ে পড়ে এনএসইর তত্পরতা: দরপ্রস্তাবে প্রতিদ্বন্দ্বী শেনঝেন-সাংহাইয়ের কাছে পিছিয়ে পড়ে ডিএসইর কৌশলগত মালিকানা নিশ্চিত করতে গত রোবরার থেকেই তত্পর হয়ে ওঠে এনএসই। এদিন তারা বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এনএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিক্রম মুকুন্দ লিময়ে, ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্যাট্রিক ব্রামার ও তার স্থানীয় অংশীদার খালিদ কাদির সাক্ষাত্ করে তাদের প্রস্তাবের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। ডিএসইর এমডির সঙ্গে সাক্ষাত্ করেও প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। তবে ডিএসইর পক্ষ থেকে সার্বিক দিক বিবেচনায় শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়াকেই চূড়ান্ত করার বিষয়ে তাদের অবগত করা হয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শেনঝেন-সাংহাই: এদিকে সর্বোচ্চ দরপ্রস্তাবকারী শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়াম সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষাপটে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান না হলেও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনবোধে কূটনৈতিক চ্যানেলে বিষয়টি তারা আলাপ-আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।কনসোর্টিয়ামের ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব ও ডিএসইর পর্ষদে দুজন পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের পরিপন্থী। এনএসই সরাসরি শেয়ার কেনার বদলে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এনএসই স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগে একমত নন তারা। এনএসই কনসোর্টিয়ামে ইকুইটি পার্টনার হিসেবে থাকা ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স পরিচালিত প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড ফ্রন্টিয়ার ফান্ড বাংলাদেশ এলএলপির বিনিয়োগের বিষয়টি অনিশ্চিত। ফ্রন্টিয়ার ফান্ড তাদের জন্য নির্ধারিত ৩ শতাংশ শেয়ার কিনতে না পারলে এনএসই নিজে কিংবা ডিএসইর কাছে গ্রহণযোগ্য অন্য কোনো কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে সেটি বিক্রির কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে আসার পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিওর মাধ্যমে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করার প্রস্তাবটি আইন পরিপন্থী। কারণ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর ডিএসইকে আইপিওতে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কৌশলগত বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে শেয়ার বিক্রি করতে হলে অন্য কোনো কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছেই বিক্রি করতে হবে। কারিগরি সহায়তাসংক্রান্ত প্রস্তাবে শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর ট্রেডিং ও সার্ভিল্যান্স সিস্টেমের আধুনিকায়ন, বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট (বিপিএম) সিস্টেম কনসাল্টিং প্ল্যান, বন্ড টেন্ডার সিস্টেমের জন্য কনসাল্টিং সার্ভিস, ইনফরমেশন ডিসক্লোজার সিস্টেম কনসাল্টিং প্ল্যান, ডাটা সেন্টার ও কো-লোকেশনের জন্য কনসাল্টিং সার্ভিস প্ল্যান, এফডিইপি প্রযুক্তি স্থানান্তর পরিকল্পনা, ফিন্যান্সিয়াল ক্লাউড টেকনোলজি স্থানান্তর পরিকল্পনা করার কথা বলা হয়েছে। এসব কারিগরি প্রযুক্তির জন্য ১০ বছরের লাইসেন্স এবং তিন বছরের ট্রেনিং ও কনসাল্টিং সার্ভিস সম্পূর্ণ ফ্রি দেবে শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়াম। তাছাড়া এর বাইরে তারা বেশকিছু পণ্য ও বাজার উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেবে। অন্যদিকে এনএসই কনসোর্টিয়াম তাদের কারিগরি সহায়তাসংক্রান্ত প্রস্তাবে বলেছে, ফিউচার ও অপশনস, এসএমই, ইটিএফ, বন্ড কারেন্সি ডেরিভেটিভস ইত্যাদি পণ্য প্রচলন, গভর্ন্যান্স ও রেগুলেটরি উন্নয়ন, টেকনোলজি সার্ভিস ও কানেক্টিভিটি এনওডব্লিউ, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম, কো-লোকেশন, সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা, শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যক্রম, ইনডেক্স ও ডাটা বিজনেস, ক্লিয়ারিং করপোরেশন প্রতিষ্ঠা, কেওয়াইসি ও ই-গভর্ন্যান্স উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এজন্য তারা ডিএসইর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথাও বলছে। এগুলোর জন্য ডিএসইর সঙ্গে একটি বিজনেস চুক্তি করতে চায়, যা নির্দিষ্ট ফির মাধ্যমে দেয়া হবে। ডিএসইর মতে, এনএসই প্রস্তাবিত কারিগরি সহায়তার মধ্যে বেশকিছু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিজেরাই শুরু করেছে। বিপরীতে শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়ামের বিনামূল্যে কারিগরি সহায়তার প্রস্তাব অনেক বেশি আকর্ষণীয়; যা দেশের পুঁজিবাজারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে তারা মনে করছেন। দরপ্রস্তাবে পিছিয়ে পড়ে এনএসইর তত্পরতা: দরপ্রস্তাবে প্রতিদ্বন্দ্বী শেনঝেন-সাংহাইয়ের কাছে পিছিয়ে পড়ে ডিএসইর কৌশলগত মালিকানা নিশ্চিত করতে গত রোবরার থেকেই তত্পর হয়ে ওঠে এনএসই। এদিন তারা বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এনএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিক্রম মুকুন্দ লিময়ে, ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্যাট্রিক ব্রামার ও তার স্থানীয় অংশীদার খালিদ কাদির সাক্ষাত্ করে তাদের প্রস্তাবের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। ডিএসইর এমডির সঙ্গে সাক্ষাত্ করেও প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। তবে ডিএসইর পক্ষ থেকে সার্বিক দিক বিবেচনায় শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়াকেই চূড়ান্ত করার বিষয়ে তাদের অবগত করা হয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শেনঝেন-সাংহাই: এদিকে সর্বোচ্চ দরপ্রস্তাবকারী শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়াম সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষাপটে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান না হলেও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনবোধে কূটনৈতিক চ্যানেলে বিষয়টি তারা আলাপ-আলোচনা করবে বলে জানা গেছে। এনএসই কনসোর্টিয়ামের ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব ও ডিএসইর পর্ষদে দুজন পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের পরিপন্থী। এনএসই সরাসরি শেয়ার কেনার বদলে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এনএসই স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগে একমত নন তারা। এনএসই কনসোর্টিয়ামে ইকুইটি পার্টনার হিসেবে থাকা ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স পরিচালিত প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড ফ্রন্টিয়ার ফান্ড বাংলাদেশ এলএলপির বিনিয়োগের বিষয়টি অনিশ্চিত। ফ্রন্টিয়ার ফান্ড তাদের জন্য নির্ধারিত ৩ শতাংশ শেয়ার কিনতে না পারলে এনএসই নিজে কিংবা ডিএসইর কাছে গ্রহণযোগ্য অন্য কোনো কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে সেটি বিক্রির কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে আসার পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিওর মাধ্যমে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করার প্রস্তাবটি আইন পরিপন্থী। কারণ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর ডিএসইকে আইপিওতে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কৌশলগত বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে শেয়ার বিক্রি করতে হলে অন্য কোনো কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছেই বিক্রি করতে হবে। কারিগরি সহায়তাসংক্রান্ত প্রস্তাবে শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর ট্রেডিং ও সার্ভিল্যান্স সিস্টেমের আধুনিকায়ন, বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট (বিপিএম) সিস্টেম কনসাল্টিং প্ল্যান, বন্ড টেন্ডার সিস্টেমের জন্য কনসাল্টিং সার্ভিস, ইনফরমেশন ডিসক্লোজার সিস্টেম কনসাল্টিং প্ল্যান, ডাটা সেন্টার ও কো-লোকেশনের জন্য কনসাল্টিং সার্ভিস প্ল্যান, এফডিইপি প্রযুক্তি স্থানান্তর পরিকল্পনা, ফিন্যান্সিয়াল ক্লাউড টেকনোলজি স্থানান্তর পরিকল্পনা করার কথা বলা হয়েছে। এসব কারিগরি প্রযুক্তির জন্য ১০ বছরের লাইসেন্স এবং তিন বছরের ট্রেনিং ও কনসাল্টিং সার্ভিস সম্পূর্ণ ফ্রি দেবে শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়াম। তাছাড়া এর বাইরে তারা বেশকিছু পণ্য ও বাজার উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেবে। অন্যদিকে এনএসই কনসোর্টিয়াম তাদের কারিগরি সহায়তাসংক্রান্ত প্রস্তাবে বলেছে, ফিউচার ও অপশনস, এসএমই, ইটিএফ, বন্ড কারেন্সি ডেরিভেটিভস ইত্যাদি পণ্য প্রচলন, গভর্ন্যান্স ও রেগুলেটরি উন্নয়ন, টেকনোলজি সার্ভিস ও কানেক্টিভিটি এনওডব্লিউ, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম, কো-লোকেশন, সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা, শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যক্রম, ইনডেক্স ও ডাটা বিজনেস, ক্লিয়ারিং করপোরেশন প্রতিষ্ঠা, কেওয়াইসি ও ই-গভর্ন্যান্স উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এজন্য তারা ডিএসইর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথাও বলছে। এগুলোর জন্য ডিএসইর সঙ্গে একটি বিজনেস চুক্তি করতে চায়, যা নির্দিষ্ট ফির মাধ্যমে দেয়া হবে। ডিএসইর মতে, এনএসই প্রস্তাবিত কারিগরি সহায়তার মধ্যে বেশকিছু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিজেরাই শুরু করেছে। বিপরীতে শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়ামের বিনামূল্যে কারিগরি সহায়তার প্রস্তাব অনেক বেশি আকর্ষণীয়; যা দেশের পুঁজিবাজারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে তারা মনে করছেন। দরপ্রস্তাবে পিছিয়ে পড়ে এনএসইর তত্পরতা: দরপ্রস্তাবে প্রতিদ্বন্দ্বী শেনঝেন-সাংহাইয়ের কাছে পিছিয়ে পড়ে ডিএসইর কৌশলগত মালিকানা নিশ্চিত করতে গত রোবরার থেকেই তত্পর হয়ে ওঠে এনএসই। এদিন তারা বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এনএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিক্রম মুকুন্দ লিময়ে, ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্যাট্রিক ব্রামার ও তার স্থানীয় অংশীদার খালিদ কাদির সাক্ষাত্ করে তাদের প্রস্তাবের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। ডিএসইর এমডির সঙ্গে সাক্ষাত্ করেও প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। তবে ডিএসইর পক্ষ থেকে সার্বিক দিক বিবেচনায় শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়াকেই চূড়ান্ত করার বিষয়ে তাদের অবগত করা হয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শেনঝেন-সাংহাই: এদিকে সর্বোচ্চ দরপ্রস্তাবকারী শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়াম সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষাপটে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান না হলেও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনবোধে কূটনৈতিক চ্যানেলে বিষয়টি তারা আলাপ-আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2024
Categories |