midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
ইনিশিয়াল পাবলিক অফারে (আইপিও) কোটা সুবিধার মেয়াদ ফের বাড়ানো হবে কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। এ কোটা সুবিধা বহাল রাখার ক্ষেত্রে অমত নেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনেরও (বিএসইসি)। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোটার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত একটি সুপারিশ প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিএসইসি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা ২০১২ সাল থেকে আইপিওতে কোটা সুবিধা ভোগ করে আসছেন। পাঁচ দফা বাড়ানোর পর এর সর্বশেষ সময়সীমা গত ৩১ ডিসেম্বর (২০১৭) শেষ হয়েছে। কোটার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চাই বিনিয়োগকারীদের কোটা সুবিধা অব্যাহত থাকুক। কিন্তু এর জন্য অর্থ মন্ত্রণালের অনুমতি প্রয়োজন রয়েছে। ইতোমধ্যে এ কোটার মেয়াদ পঞ্চমবার বাড়ানো হয়েছে। শেষবার সময়সীমা বাড়ানোর সময় সেখান থেকে বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে আর মেয়াদ বাড়ানো হবে না। তাই বিষয়টি নির্ভর করছে মন্ত্রণালয়ের ওপর।’ একই বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে আইপিও কোটার মেয়াদ ছয় মাস বৃদ্ধির সুপারিশ করেছি। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলেই কেবল কোটার মেয়াদ বাড়বে।’ উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিকতা রোধ, স্থিতিশীলতা ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষায় ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বে বিশেষ সুবিধা দিতে ২০১২ সালের ৫ মার্চ স্কিম ঘোষণা করে। মিউচুয়াল ফান্ড ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের মতো নির্ধারিত কোটার মতো এ স্কিমে মার্জিন ঋণ হিসাব ও নন-মার্জিন হিসাব (বিও) উভয় ক্ষেত্রে চিহ্নিত ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর জন্য ২০১২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ইস্যু হওয়া সব পাবলিক ইস্যুতে ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এর মেয়াদ পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হয়েছে। প্রথমবার ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ মাস সময়ে ২০ শতাংশ কোটায় আবেদনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত আবেদনকারীর তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়া হয় কমিশনে। এতে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৮০ জন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীকে কোটা সুবিধার আওতায় নেওয়া হয়। তালিকায় রয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২০৪ ব্রোকারেজ হাউজের সাত লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৩ জন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ১০৩টি ব্রোকারেজ হাউজের এক লাখ ৫৪ হাজার ২৭৭ জন এবং ২৫ মার্চেন্ট ব্যাংকের ৩৯ হাজার ১২০ জন। প্রসঙ্গত, পাবলিক ইস্যু রুলস-২০১৫ অনুযায়ী, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আইপিও ক্ষেত্রে ইলিজেবল ইনভেস্টরদের (মার্চেন্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, স্টক ডিলার, ইন্স্যুরেন্স, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও অলটারনেটিভ বিনিয়োগ ফান্ড প্রভৃতি) জন্য ৫০ শতাংশ। যার মধ্যে ১০ শতাংশ মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য বিনিয়োগকারী ৪০ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য ৫০ শতাংশ। এতে ১০ শতাংশ নন-বাংলাদেশি ও ৪০ শতাংশ অন্যান্য। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলিজেবল বিনিয়োগকারীর জন্য ৬০ শতাংশ কোটা রয়েছে। যাতে ১০ শতাংশ মিউচুয়াল ফান্ড ও ৫০ শতাংশ অন্যান্য। আর সাধারণ বিনিয়েগকারীর জন্য ৪০ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ নন-বাংলাদেশি ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য বিনিয়োগকারী। বিশেষ স্কিমের আওতায় সাধারণ বিনিয়োগকারীর কোটা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ২০ শতাংশ কোটা সুবিধা পেয়ে থাকে। Share Biz News
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |