midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
বিকল্প বাজার ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের ১১ কোম্পানি। আর্থিক অবস্থা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি মূল মার্কেট ফেরার যোগ্যতা অর্জন করে কিছু কোম্পানি ইতোমধ্যে বিএসইসিতে আবেদন করেছে। কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেলেই মূল মার্কেট লেনদেন করতে পারবে এসব কোম্পানি। জানা গেছে, ওটিসি মার্কেট থেকে বের হয়ে আসার জন্য আবেদন করেছে ‘সোনালী পেপার’। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি মূল মার্কেট ফেরার প্রত্যাশায় রয়েছে। এর আগে মূল মার্কেটে লেনদেন করার জন্য আবেদন করেছে ‘নিলয় সিমেন্ট’। যদিও প্রতিষ্ঠানটি এখনও মূল মার্কেটে ফিরতে পারেনি। অথচ এরপরে আবেদন করে সম্প্রতি মূল মার্কেটে ফিরেছে ‘আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ’। এই তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছেÑমনোস্পোল পেপার, লেক্সকো লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং, রহমান কেমিক্যাল, তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, এপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং, মুন্নু ফ্যাব্রিকস ও ঢাকা ফিশারিজ। জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। যে কারণে কোম্পানিগুলো এখন মূল মার্কেটে ফিরতে চায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মকর্তারা জানান, ওটিসি থেকে বের হতে কোম্পানিগুলোকে আইন অনুযায়ী মূলত কয়েক বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। কেননা, কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক অবস্থা ধারাবাহিক ভালো দেখলেই নিয়ন্ত্রক মূল মার্কেটে ফেরার অনুমতি দেবে। কোম্পানিগুলোর গতিবিধি বলছে তারা মূল মার্কেটে ফেরার জন্যই পূর্বপ্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্তমানে ডিমেট পদ্ধতিতে লেনদেন হচ্ছে ওটিসি মার্কেটে থাকা এসব কোম্পানির শেয়ার। সূত্রমতে, মূল মার্কেটে ফিরতে যেসব শর্ত পরিপালন করতে হবে, সেগুলো পূরণে করার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কোম্পানিগুলো। এসব কোম্পানির মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি কয়েক বছর ধরে নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে এসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘ডিএসই ও বিএসইসিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ মার্কেটের উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কারণ এখানে লেনদেন করা তুলনামূলকভাবে কষ্টসাধ্য। কোম্পানিগুলোকে কীভাবে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনা যায় বা লেনদেন কীভাবে সহজ করা যায়, সে পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’ অন্যদিকে ওটিসির কোম্পানিগুলো মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষের গাফিলাতি রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মূল মার্কেটে আসার পরিকল্পনায় থাকা একটি কোম্পানির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনতে যতটুকু সময়ের প্রয়োজন হয়, বিএসইসি কর্তৃপক্ষ এর চেয়ে বেশি সময়ক্ষেপণ করে। যে কারণে মূল মার্কেটে ফিরে আসতে চেয়েও ব্যর্থ হচ্ছে অনেক কোম্পানি।’ তবে এ অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন বিএসইসি’র মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো সব শর্ত পূরণ করতে পারলে মূল মার্কেটে ফিরতে বাধা নেই। প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিএসইসতে আবেদন করা বিডি মনোস্পুল পেপার ২০১৫ সালে এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা লাভ করে। পরের বছর প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৮১ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান শেয়ারপ্রতি সম্পদ রয়েছে ৬৬ টাকা ২১ পয়সা। অন্য কোম্পানির নিলয় সিমেন্টের বর্তমান শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১১ টাকা। তবে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় সন্তোষজনক হলেও বর্তমানে শেয়ারপ্রতি তিন টাকা ১৫ পয়সা লোকসান দেখা যাচ্ছে। গত তিন বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়েছে যথাক্রমে ১১ শতাংশ ক্যাশ, ১২ শতাংশ ক্যাশ এবং পাঁচ শতাংশ ক্যাশ। অন্যদিকে সোনালী পেপারের গত ২০১৪ সালে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক দশমিক ৬০ টাকা, ২০১৫ সালে হয়েছে এক দশমিক ৬১ টাকা। সর্বশেষ বছর প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দাঁড়ায় এক টাকা ৬৭ পয়সা। গত তিন বছর ধরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়েছে ১০ শতাংশ করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা দাঁড়িয়ে দুই কোটি ২৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে পেপার প্রসেসিংয়ের গত তিন বছরের মধ্যে ২০১৪ সালে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে দুই দশমিক শূন্য আট টাকা এবং ২০১৬ সালে ইপিএস হয়েছে সাত দশমিক ২৮ টাকা। এ তিন বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ করে স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান মুনাফা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা জানা যায়নি। সূত্রমতে, তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগেরই আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2024
Categories |