midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
নতুন বছরের শুরু থেকে লেনদেনের মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় নতুন বছরের প্রথম দুই কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে লেনদেন। পাশাপাশি উভয় পুঁজিবাজারের সার্বিক মূল্যসূচকও রয়েছে ইতিবাচক অবস্থানে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা ও শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বাজারের লেনদেনে পরিবর্তনের আবাস দিচ্ছে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে বাজারে সেল প্রেসার থাকলেও নির্বাচনের পরে নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার। নতুন কোন অঘটন না ঘটলে পুঁজিবাজারের লেনদেন আরো চাঙ্গা হবে। পাশাপাশি মূল্যসূচকও রেকর্ড গড়বে। তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা৷ যা গতবছরের চেয়ে ৮৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা বা ৩৮.৪৩ শতাংশ কম ৷ ২০১৮ সালে ২৪২ কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয় ৫৫২ কোটি ০৩ লাখ টাকা৷ অপরদিকে ২০১৭ সালে ২৪৮ কার্যদিবসে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং গড়ে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা৷ নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসে (০১ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এদিকে, দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বেড়েছে লেনদেন। বুধবার দিনশেষে ডিএসইতে ৬৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় নতুন বছরে বাড়ছে সার্বিক মূল্যসূচক। ২০১৮ সালে ডিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের বছরের তুলনায় ৮৫৮ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা ১৩.৭৫ শতাংশ কমেছে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দুই কার্যদিবসে ডিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচক ১১০ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়েছে। ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এ. এম. মাজেদুর রহমান বলেন, নির্বাচনী বছর উপলক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাজার কিছুটা গতি মন্থর দেখা গেছে৷ কিন্ত তারপরও আশানুরূপ যে গতি অর্জন করার কথা ছিল তা অর্জন করতে না পারলেও দেশের পুঁজিবাজার এমন একটি মাত্রায় অবস্থান করতে পেরেছে যার ফলে বাজারে তেমন কোন সংকট দেখা দেয়নি৷ এর পুরো কৃতিত্ব পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, অর্থমন্ত্রণালয় এবং পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্রোকার এবং বিনিয়োগকারীদের৷
তিনি আরো বলেন, এ বছরে নতুন কিছু প্রোডাক্ট চালু করার কথা ছিল যেমন এসএমই এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড৷ এই বিষয়ে ডিএসই প্রযুক্তিগত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে৷ নতুন বছরের প্রারম্ভেই ডিএসই নতুন এ বিষয়গুলো চালু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷ একটি উন্নত ও কার্যকর বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা বিষয়েও ডিএসই কাজ করছে৷ নতুন বছরের বাজেটে প্রণোদনা পাওয়া সাপেক্ষে বন্ডমার্কেটও শীঘ্রই চালু করা সম্ভব৷ এছাড়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিশেষ করে একটি ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ বাজারে আনা প্রয়োজন৷ এ বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে৷ আগামী বছর আমরা এটি চালু করতে পারবো বলে দৃঢ় বিশ্বাস৷ সব চাইতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আমরা করতে পারবো কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ৷ আশা করি নতুন বছর এসব অর্জনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের এক নতুন মাত্রা যোগ হবে৷ তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, দেশের অর্থনীতির বর্তমান উন্নয়নধারা ও ডিএসই’র গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের বাস্তবায়নের আগামী দিনে দেশের পুঁজিবাজার হবে বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থল৷ সকলের সহযোগিতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবিষ্যতে এশিয়ার নেতৃস্থানীয় স্টক এক্সচেঞ্জের সারিতে পরিণত হবে৷ নতুন বছরে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে পুঁজিবাজারের টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে সামনে এগিয়ে নেয়াই হবে মূল লক্ষ্য৷ বিনিয়োগকারী দৌলতুজ্জামান বলেন, উন্নত বিশ্বে পুঁজিবাজার একটি দেশের অর্থনীতির দর্পণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ২০১৯ সালে আমাদের দেশেও এই সত্যটি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হোক- এটাই আমাদের চাওয়া। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি যে গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, পুঁজিবাজারে তার সঠিক প্রতিফলন ঘটছে না। আর এটি বোঝার জন্য শার্লক হোমস হতে হয় না। আমাদের মত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অতি সাধারণ চোখের দিব্য দৃষ্টিতেই তা ধরা পড়ছে। দৌলতুজ্জামান বলেন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা, বিশেষ করে বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে সঠিক সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে প্রচলিত আইন ও নীতিমালা পরিপালনে বদ্ধ পরিকর হওয়া; দরকার হলে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালাকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা; সর্বোপরি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শিক্ষা ও সচেতনতাই পারে ২০১৯ সালের মধ্যে আমাদের পুঁজিবাজারকে বিশ্বমানের একই কাতারে দাঁড় করাতে। নতুন বছরের শুরুতে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিনিয়োগকারী জহির স্বপন বলেন, নতুন বছরে একটি স্থিতিশীল মার্কেট দেখতে চাই। আজকের মত ১০০ পয়েন্ট উঠে যাবে বা ১০০ পয়েন্ট নেমে যাবে এরকমটা চাই না। যে সকল স্ক্ৰিপ্ট রাতারাতি আকাশে পৌঁছে যায় আবার সেভাবে মাটিতেও নেমে যায়, এইসব শেয়ার কারা বেশি বেশি কিনেছে এবং সেল করেছে সেটা যেন প্রকাশ করা হয়। শেয়ারনিউজ২৪
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
January 2025
Categories |