midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্
সহযোগী ছাড়াই কাস্টডিয়াল সেবা প্রদানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন: সহজ হবে পুঁজিবাজারে বিদেশ10/5/2018 শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে ব্যাংকগুলোর ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্থায়ীভাবে সহযোগী প্রতিষ্ঠান (সাবসিডিয়ারি) গঠন ছাড়াই সিকিউরিটি কাস্টডিয়াল সেবা দেয়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো চলতি বছরের জুলাই থেকে সাবসিডিয়ারি গঠন না করেই সিকিউরিটিজ কাস্টডিয়াল সেবা দিতে পারবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাস্টডিয়াল সেবার মাধ্যমে মূলত ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচা ও সংরক্ষণসহ তাদের গ্রাহকদের এ সংক্রান্ত কার্যসাধন করে থাকে। এর ফলে ব্যাংকগুলো কিছু কমিশন পায়। তাই এ অব্যাহতি স্থায়ী হলে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ যেমন সহজ হবে তেমনি ব্যাংকগুলোর আলাদা সাবসিডিয়ারি গঠন করতে হবে না তাই তাদের পরিচালন ব্যয়ও কমবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে গতকাল (৮ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৭(৩) ধারার বিধান পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে ব্যাংকগুলোকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মাধ্যমে ব্যাংকের সিকিউরিটিজ কাস্টডিয়াল সেবা প্রদানের বিধান চালু করা হয়। এর আগে সাবসিডিয়ারি ছাড়াই ব্যাংকগুলো এ সেবা দিতে পারত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ বছরের ২২ জুলাই থেকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন না করেই সিকিউরিটিজ কাস্টডিয়াল সেবা দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৭(৩) ধারা অনুসারে কোনো ব্যাংক কোম্পানি স্টক-ব্রোকার, স্টক-ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসেবে বা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন হতে নিবন্ধন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এ ধরনের কোনো ব্যবসায় সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে একই আইনের ২৬ ধারায় সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করে ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের সেবা প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে। আর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বাংলাদেশে শেয়ার কিনতে চাইলে তারা সরেজমিন বাংলাদেশে আসে না। তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির কাগজ দেখে বিনিয়োগ করেন। কোনো একটি ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে তারা শেয়ার কেনেন। কিন্তু টাকাটা তার পক্ষ থেকে দেয় কোনো ব্যাংক। এটা ব্যাংকের কাস্টডিয়াল সেবা বলা হয়। এজন্য ব্যাংকগুলো কিছু কমিশনও পায়। কিন্তু ব্যাংকগুলোকে আলাদা সাবসিডিয়ারি গঠন করতে হলে ব্যাংকের খরচ বেড়ে যায়। তাই মনে হয় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কাজেই এর ফলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সহজ হবে। আর বাজারে বিনিয়োগ বাড়লে এর স্থিতিশীলতা বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা। উল্লেখ্য, গত বছর এ অব্যাহতির সম্মতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১- এর ৭ ধারার উপ-ধারা (৩) উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এ আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি নিয়ে পৃথক সাবসিডিয়ারি গঠন করতে হয়। ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজার সম্পৃক্ততা হ্রাসের উদ্দেশ্যে তথা পুঁজিবাজার কার্যক্রমকে বাণিজ্যিক ব্যাংকিং হতে পৃথক করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের আইনে এ সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীটি আনয়নের পর বিদেশে নিবন্ধিত ব্যাংকের বাংলাদেশস্থ শাখা হিসেবে কার্যরত সিটিব্যাংক এন.এ, এইচএসবিসি, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড এবং কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন- এ চারটি বিদেশি ব্যাংক সাবসিডিয়ারি গঠনের এখতিয়ার রাখে না বিধায় এ বিষয়ে তাদের প্রধান কার্যালয় তথা তদীয় নিয়ন্ত্রকের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীলতা এবং বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের আকার বিবেচনায় সাবসিডিয়ারি গঠনে প্রধান কার্যালয়ের অনাগ্রহের কথা জানিয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি প্রদানের অনুরোধ জানায়। বাংলাদেশে বৈদেশিক পোর্টফোলিও বিনিয়োগের সিংহভাগ এই বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে হয় বিধায় ওই সকল বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার স্বার্থে প্রথমপর্যায়ে সরকারের সম্মতিক্রমে ১২১ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ চারটি ব্যাংককে সিকিউরিটি কাস্টডিয়াল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ২০১৩ সালের ২২ জুলাই থেকে ব্যাংক-কোম্পানি আইনের ৭ ধারার উপ-ধারা (৩) পরিপালন হতে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ব্র্যাক ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশীয় ব্যাংকগুলোকেও এরূপ অব্যাহতি প্রদান করে। এই অব্যাহতির সময়সীমা ২০১৮ সালের ২১ জুলাই উত্তীর্ণ হবে। এ পর্যায়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও এইচএসবিসি সাবিসিডিয়ারি গঠন ব্যতিরেকে ‘সিকিউরিটি কাস্টডিয়াল সেবা’ প্রদান ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার সুযোগ প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে। অনুমিত হয়, অপরাপর ব্যাংকগুলোও সহসাই অনুরূপ আবেদন জানাবে। কাজেই বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার জন্য সরকারের কাছে বিশেষে অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে। প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো কাস্টডিয়াল সেবাপ্র্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কোনো ঋণ প্রদান করে না। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজার (শেয়ারবাজারে নিয়োগসীমা অতিক্রম) সৃষ্টির সুযোগ নেই। এ বিবেচনায় কাস্টডিয়াল সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সাবসিডিয়ারি গঠনের বাধ্যবাধকতা হতে বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংককে স্থায়ী অব্যাহতি প্রদান করার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনাযোগ্য মর্মে বলে মনে করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ১৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটি কাস্টডিয়াল সেবা প্রদান করছে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2023
Categories |