midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
দেশে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যাংক রয়েছে। তারপরও এ খাতে আসছে নতুন একাধিক ব্যাংক। এ অবস্থায় টিকে থাকতে বেশ কিছুদিন ধরে মার্জার (একীভূতকরণ) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে শরিয়াহভিত্তিক চার ব্যাংক। এ ব্যাংকগুলোর সিংহভাগ শেয়ার এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকায় মার্জার প্রক্রিয়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে গ্রুপটি। গ্রুপটির হাত ধরে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের মতো আরও একটি শক্তিশালী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে তা এখনই নয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে এ উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মার্জার এখন সময়ের দাবি। যারা আগে শুরু করবেন, তারা এগিয়ে থাকবেন। সেক্ষেত্রে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো দিয়ে শুরু হলে পরে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও উৎসাহ দেখাবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) পরিচালিত এক গবেষণা জরিপে দেশের ৭২ শতাংশ ব্যাংক কর্মকর্তারা ব্যাংক মার্জার বা কমানোর পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) ছাড়া বাকি চারটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক মার্জার করার চিন্তা করছেন উদ্যোক্তা গ্রুপটি। এ প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন ব্যাংকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ার বিজকে বলেন, দেশে ব্যাংকের সংখ্যা অতিরিক্ত, করপোরেট ট্যাক্স বেশি। অন্যদিকে পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় পরিচালন ব্যয়ও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে আয় বাড়ানোর জন্য চট্টগ্রামভিত্তিক গ্রুপটি চারটি ব্যাংক মার্জার করা হতে পারে। তবে এখনই তা সম্ভব হচ্ছে না। ধীরে ধীরে এ কাজটি সম্পাদন করা হবে বলে জানান তিনি। যদিও এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকরা। তবে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু শেয়ার বিজকে বলেন, আমরা ব্যাংকগুলোতে কেবল বিনিয়োগ করেছি। আপাতত মার্জ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ব্যাংকগুলোতে পেশাদার পর্ষদ আছে। তারা যখন যে পদক্ষেপ নিতে হয়, তা যথাযথভাবে নেবেন। এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সঙ্গে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাতে মার্জার ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি শেয়ার বিজকে বলেন, শরিয়াহ বা সাধারণ খাতের কোনো ব্যাংকের জন্যই মার্জারে আইনি কোনো বাধা নেই। এটা উদ্যোক্তা বা শেয়ারহোল্ডারদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। যেহেতু শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মালিক প্রায় একই শিল্প গ্রুপের, সেহেতু এক ছাদের নিচে ব্যাংকগুলো এলে কোনো ক্ষতি দেখছি না। এর ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতেও কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না বরং ভালো হবে। অন্যদিকে কর্মসংস্থান তৈরিতেও কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন বিশিষ্ট এই ব্যাংকার। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে দেশের ব্যাংকিং জগতে ক্যামেলস রেটিংয়ের জনক হিসেবে পরিচিত মুরশিদ কুলি খান শেয়ার বিজকে বলেন, তুলনামূলক এত ব্যাংক বিশ্বের কোথাও নেই। এমন পরিস্থিতিতে কিছু ব্যাংক মার্জার হলে, তা হবে যথার্থ উদ্যোগ। তবে ব্যাংকের আকার বাড়লে ব্যাংকারদের দক্ষতাও বাড়াতে হবে। এর ফলে নন-পারফর্মিং লোন কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ ডেপুটি গভর্নর। জানা গেছে, গ্রুপটি শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত এসআইবিএল, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। গ্রুপটি অর্থাৎ ব্যাংক তিনটির অধিকাংশ শেয়ার ধারণকারীরা অতি সহজেই মার্জার করতে পারবে। তবে শরিয়াহভিত্তিক আরেক ব্যাংক ইউনিয়ন ব্যাংক মার্জার করা কঠিন হয়ে যাবে। চতুর্থ প্রজšে§র এ ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। বড় শেয়ারহোল্ডাররা চাইলে ব্যাংকটি উল্লিখিত তিনটি ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাকুইজেশন করতে পারেন। চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী যদি এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাহলে দেশে শরিয়াহ মোতাবেক স্বতন্ত্র ব্যাংক থাকবে চারটি। সেগুলো হলোÑইসলামী ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কিনে নিয়ম মেনে ব্যাংকটির পর্ষদে বসতে পারে চট্টগ্রামের ওই শিল্প গ্রুপটি। পরে চারটি ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে মার্জার করে নিতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। জানা গেছে, দিন দিন ইসলামী ব্যাংকগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সুদভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের পরিবর্তে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ের প্রতি মানুষের বাড়ছে আগ্রহ। অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মুনাফাও বেশি। বিভিন্ন সময় বিশ্বব্যাপী দুই হাজার ১০০টির মতো ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো ইসলামী ব্যাংক দেউলিয়া বা বন্ধ হয়নি। এসব দিক বিবেচনা করে এস আলম ইসলামী ব্যাংকিংয়ে বেশি আগ্রহী হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রুপটির সঙ্গে যুক্ত এমন কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ার বিজকে বলেন, একাধিক ব্যবসায়িক মুনাফা নয়, সমাজ উন্নয়ন ও মানবতার সেবায় ব্যাপক ভূমিকা রাখতে চান সাইফুল আলম মাসুদ। ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের নানা সামাজিক কার্যক্রম চলছে। এসব কার্যক্রম দেশব্যাপী প্রসারিত করতে গ্রুপটির কর্ণধাররা ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। পরিচালন ব্যয় কমাতে মার্জারের প্রতি গ্রুপটির উদ্যোক্তাদের বেশ আগ্রহও আছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যাংকার ও পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, একীভূতকরণ সব সময় খারাপ হয় না। এর ইতিবাচক দিকগুলো দেখতে হবে। বিশ্বায়নের অংশ হতে হলে কয়েকটি ব্যাংককে মার্জারে যেতে হবে। Share Biz News
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |