midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
বাংলাদেশের জন্য ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ ঋণ অনুমোদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এক বিবৃতিতে তিনি ঋণ অনুমোদনের এ তথ্য জানান। তবে গত রাত ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিযয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
গত বছরের ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। এতে পরিমাণের কথা উল্লেখ ছিল না। পরে ১২ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তার কথা উল্লেখ করেন। অর্থমন্ত্রী গত রাতে তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এ ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেত মনসিও সায়েহ এবং মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এ ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল, তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, যাঁরা এ ঋণ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে আইএমএফ হয়তোবা আমাদের এ ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ দুর্বল, তাই আইএমএফ এ ঋণ প্রদান থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।’ বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি ডলারের যে ঋণ চেয়েছে, তার মধ্যে তিন ধরনের ঋণ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)। ইসিএফ এবং ইএফএফ থেকে পাওয়া যাবে ৩২০ কোটি ডলার। আরএসএফ থেকে পাওয়া যাবে ১৩০ কোটি ডলার। এ ঋণ পাওয়া যাবে ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে। প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে অথবা মার্চ মাসের শুরুতে পাওয়া যেতে পারে। ঋণের গড় সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে থাকছে আর্থিক খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন এবং পুরোনো আইনের সংশোধন, রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার ও কর প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণ আদায়ে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি করা, জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থাটি আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা, টাকার বিনিময় হার নির্ধারণের কাজ বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়াসহ বেশ কিছু বিষয়। ঋণ দেওয়ার শর্ত হিসেবে মোটাদাগে ব্যাংক, রাজস্ব ও জ্বালানি খাতের সংস্কার চায় আইএমএফ। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গতকালের পর্ষদের আলোচ্যসূচিতে বেশ কিছু প্রস্তাব ছিল। বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব শুরুর দিকেই আলোচনার জন্য নির্ধারিত ছিল। আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাবটি কোনো জটিল বিষয় নয়। এ প্রস্তাব পাস না হওয়ার আশঙ্কা একদমই ছিল না।’ Source: prothomalo
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |