midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মার্জিন ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)কে শক্তিশালী করতে বিএসইসি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে এই ফান্ড চেয়েছে। পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নের বিশেষ তহবিল বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য স্বল্প সুদে আইসিবিকে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং ঋণে জর্জরিত ব্রোকারেজহাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এই চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, আইসিবিসহ অন্যান্য বাজার মধ্যস্থতাকারী তথা মার্চেন্ট ব্যাংকার, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলারের মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করাসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের অনুরোধ করা হলো। এ তহবিলের ব্যবস্থাপক হিসেবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করবে। সুত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে উল্লেখিত তহবিলে ৩ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ সুদে ১০ বছর মেয়াদী ঋণ প্রদান করবে। এ ফান্ডের বিনিয়োগের সুদের হার হবে ৪ শতাংশ যার ১ শতাংশ সিংকিং ফান্ডে জমা থাকবে। ফান্ডের মাধ্যমে উত্তেলিত অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংকার, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলার কতৃক ইস্যুকৃত কর্পোরেট বন্ড/ডেট সিকিউরিটিজে (যার কুপন হার হবে ৬ থেকে ৭ শতাংশ) বিনিয়োগ করা হবে। এ ফান্ড গঠন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে তারল্য ও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সরকারের রজস্ব আহরণ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। সুত্র মতে, চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১১ সাল থেকে পুঁজিবাজারের সার্বিক মূল্যসূচক ও লেনদেনে নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তীতে কোভিড ১৯ মহামারীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের মধ্যস্থতাকারি প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। উল্লেখ, পুুঁজিবাজার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারসমূহ তাদের মক্কেলদের পোর্টফোলিওতে সংরক্ষিত সিকিউরিটিজ জামানত রেখে সিকিউরিজের বাজারমূল্যের উপর ঋণ প্রদান করে থাকে। পরবর্তীতে সিকিউরিটিজ বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ার কারণে মক্কলদের ইক্যুইটি ঋণাত্মক হয়ে যায়। যার ফলে বর্তমানে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণাত্মক ইকুইটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ১২ হাজার কোটি টাকা। ঋনাত্বক ইকুইটির কারণে পুুঁজিবাজারের তারল্য সংকোচনের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের বিনিয়োগ সক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে স্বচ্ছ ও জবাদিহিতাপূর্ণ পুজিবাজার নিশ্চিতের লক্ষ্য কমিশন সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম উন্নতকরন, প্রাথমিক গণ প্রস্তাব অনুমোদনে ও সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ সুবিধাভোগী ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, বাজার মধ্যস্থতাকারী ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির উদ্যোগসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলশ্রুতিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন সূচকে অনেকটা স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পুঁজিবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতার কারণে সরকারের মালিকানাধীন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর মূূলধন ঘাটতিসহ আর্থিক ও পরিচালনা সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ও সংস্কারের জন্য সরকার ইতিমধ্যে পরামর্শক নিয়োগসহ বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে আইসিবির আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মূলধন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে স্বল্প সুদে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই আর্থিক খাত সৃষ্টির জন্য বর্তমান মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজার সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মুদ্রাবাজারের উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই ও জবাবদিহিতামূলক পু্ঁজিবাজার নিশ্চিতকরণের আ্পনার তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য। Source: Arthosuchak
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |