midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
সোমবার প্রায় ৩১ পয়েন্ট সূচক কমেছে। কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। হঠাৎ শেয়ারবাজারের এমন পতনে তিনটি কারণকে দায়ী করছেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুদ্রানীতি। আগামী ১৮ জুন বিকেল ৩টায় নতুন এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণে নতুন মুদ্রানীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমা তুলে দিয়ে করিডর প্রথার আওতায় তা বাজারভিত্তিক করা, বাজারে অর্থের জোগান নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির অপারেটিং টার্গেট হিসেবে সুদকে বিবেচনায় নেয়া, টাকা ও ডলারের একক বিনিময় হার চালু করা এবং রিজার্ভের প্রকৃত হিসাবায়নের ঘোষণা দেয়া হবে এবারের মুদ্রানীতির প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমা তুলে দিয়ে করিডর প্রথার আওতায় তা বাজারভিত্তিক করার বিষয়টি শেয়ারবাজারের জন্য একটি দুসংবাদ হতে পারে। কারণ সুদ হার বৃদ্ধি পেলে শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ কমে যাবে। বর্তমানে এমনিতেই শেয়ারবাজার তারল্য সংকটের মুখে রয়েছে। নতুন মুদ্রানীতির ফলে যদি সুদ হার বৃদ্ধি পায়, তাহলে শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট আরও বৃদ্ধি পাবে-এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। যার ফলে আগামী ১৮ তারিখের মুদ্রানীতি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাজারে হঠাৎ বড় পতন অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ শেয়ারনিউজকে বলেন, সুদহার বৃদ্ধি ফেলে সব সময়েইতো শেয়ারবাজারকে প্রভাবিত করে। যদি এবারের মুদ্রানীতিতে সুদহার বৃদ্ধি পায় তাহলে তা শেয়ারবাজারের উপর কিছুটা হয়তো প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা ফ্লোর প্রাইস। ফ্লোর প্রাইসের কারণে বিনিয়োগকারীরা এডজাস্ট করতে পারছে না। তাই ফ্লোর প্রাইস বাতিল করার পরামর্শ দেন শেয়ারবাজারের এই প্রবীণ বিশ্লেষক। সুদহারের পাশাপাশি রিজার্ভ সাশ্রয়ে নেয়া পদক্ষেপ অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেয়া হবে এবারের মুদ্রানীতিতে।। গতকাল রোববার নতুন মুদ্রানীতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে চূড়ান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে নতুন মুদ্রানীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারা। এছাড়াও, জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর এডজাস্টম্যান্টের সময় এসেছে। যার কারণে শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে এডজাস্ট করছে। এতে করে শেয়ারবাজার থেকে তারল্য কিছুটা কমছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। আবার সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। যার কারণে বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা কোরবানীর উদ্দেশ্যে অর্থ তুলছে। এতে করেও বাজারের তারল্য কিছুটা কমছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এই তিন কারণেই মুলত শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তবে বাজারের যা পতন হওয়ার হয়েছে, আর তেমন পতন হওয়ার আশঙ্কা নেই-এমন আশাবাদও ব্যক্ত করছেন তাঁরা। Source: sharenews24
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
February 2025
Categories |