midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ ধারণ না করায় পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ২০ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ নতুন করে পুনর্গঠন করছে পুঁজিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছে কমিশন। র্তমানে এসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ২ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ এসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই।
কোম্পানিগুলো হলো- ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, নর্দান জুট, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ফার্মা এইড, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, স্যালভো কেমিক্যালস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, কে অ্যান্ড কিউ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, অগ্নি সিস্টেম, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, অ্যাপোলো ইস্পাত, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ফ্যামিলিটেক্স, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফু-ওয়াং সিরামিকস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন ও ইমাম বাটন। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিএসইসির তথ্য মতে, চলতি বছরের মে মাসে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত- উল-ইসলাম যেসব কোম্পানিতে উদ্যোক্তা-পরিচারলকদের ন্যূনতম শেয়ার ৩০ শতাংশ নেই, সেই কোম্পানিগুলোকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। গত ২৯ জুলাই ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকায় প্রায় অর্ধশত কোম্পানিকে দুমাসের আল্টিমেটাম দেয় কমিশন। এরপর এক দফা সময় বাড়িয়ে তা ৩০ নভেম্বর করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই ২০টি কোম্পানি শেয়ার ধারণ করতে পারেনি। বরং এসব কোম্পানির মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি আরও এক থেকে দুই বছর সময় চেয়েছেন। কমিশন তাদের এই প্রস্তাব বাতিল করে কোম্পানিগুলোর পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে দেশের পুঁজিবাজারে মহাধসের আগে উদ্যোক্তা-পরিচালকরা উচ্চ দামে শেয়ার বিক্রি করে চলে যান। সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। শেয়ার বিক্রি করে চলে যাওয়ার পরও তাদের বেশিরভাগই নামমাত্র শেয়ার নিয়ে দাপটের সঙ্গে বসতেন পরিচালনা পর্ষদে। এরপর পর্যাপ্ত শেয়ার না থাকায় কোম্পানি পরিচালনায় তাদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, মালিকানার অংশ কম থাকায় উদ্যোক্তা-পরিচালকরা যেনতেনভাবে কোম্পানি পরিচালনা করেন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এসব আলোচনা আমলে নিয়ে ২০১১ সালে পর্ষদে থাকার শর্ত হিসেবে পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে দুই শতাংশ আর সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে বিএসইসি। কিন্তু এ নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান বেশ কয়েকটি কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক। শুরুতে আদেশটি আদালতে স্থগিত হলেও, শেষ পর্যন্ত রায় যায় বিএসইসির পক্ষেই। কিন্তু তৎকালীন সময়ে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে রহস্যজনকভাবে নিরব ছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর পর বর্তমান কমিশন আবারও এই উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্থাটির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, যেসব কোম্পানি শেয়ার ধারণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি তাদের আর সময় দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট সময় পরে কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে। Source : arthosuchak
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
December 2024
Categories |