midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
দেশের পুঁজিবাজারে নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএস-৩০। ব্যবসায়িক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বাজার মূলধন ও গড় লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত ৩০টি কোম্পানি এ সূচকে স্থান পায়। এ কারণে ডিএস-৩০ সূচকে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বেশি আকর্ষণ থাকে বিনিয়োগকারীদের। ভালো রিটার্নের আশায় দেশী বিনিয়োগকারীরা যেমন এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চান, তেমনি বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও সেখানে বিনিয়োগে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ডিএস-৩০ সূচকে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ বছরে কেমন রিটার্ন এসেছে তার একটি পর্যালোচনা করেছে বণিক বার্তা। কোম্পানিগুলোর হিস্টোরিক্যাল প্রাইস রিটার্ন (এইচপিআর) বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে ওষুধ খাতের কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারে, ৫২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। বিকনের পরেই সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে বস্ত্র খাতের প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং বিদ্যুৎ খাতের ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (ইউপিজিডিসিএল)। কোম্পানি দুটির শেয়ারে রিটার্নের পরিমাণ যথাক্রমে ৩৩৩ দশমিক ৯০ ও ২৩২ দশমিক ৩০ শতাংশ।
অন্যদিকে ডিএস-৩০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত হলেও গত পাঁচ বছরে ঋণাত্মক রিটার্ন এসেছে এমন কোম্পানিও রয়েছে। এ তালিকায় আছে সিমেন্ট খাতের লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, জ্বালানি খাতের তিতাস গ্যাস ও ইস্পাত খাতের বিএসআরএম লিমিটেডের নাম। এছাড়া অলিম্পিক ও ইফাদ অটোজের শেয়ারেও বিনিয়োগের বিপরীতে ঋণাত্মক রিটার্ন এসেছে গত পাঁচ বছরে। কোনো কোম্পানির শেয়ারের রিটার্ন সাধারণত কোম্পানিটির ব্যবসায়িক ও আর্থিক পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে। অবশ্য মাঝেমধ্যে ব্যবসায়িক ও আর্থিক পারফরম্যান্স ভালো হলেও যৌক্তিক রিটার্ন আসে না। আবার এর বিপরীত চিত্রও দেখা যায়। অনেক সময় ব্যবসায়িক ও আর্থিক পারফরম্যান্স খারাপ থাকা কোম্পানির শেয়ারেও অস্বাভাবিক রিটার্ন আসে। এসব কারণে রিটার্নের যৌক্তিকতা নিয়ে নানা সময় প্রশ্ন তুুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। ডিএস-৩০ সূচকের কোম্পানিগুলোর মধ্যে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি ৫২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ এসেছে ওষুধ খাতের কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারে। যদিও রিটার্নের এমন উচ্চহারকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন না বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এবাদুল করিম এমপি। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে আমাদের আর্থিক পারফরম্যান্স ও লভ্যাংশ প্রদানের হার বিবেচনায় নিয়ে এত বেশি রিটার্ন আসার কথা নয়। এক্ষেত্রে কোনো দুষ্টচক্র কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। রিটার্ন আমরাও প্রত্যাশা করি, কিন্তু সেটি যৌক্তিক হতে হবে। বরাবরই আমাদের প্রচেষ্টা থাকে কোম্পানির আর্থিক ও ব্যবসায়িক পারফরম্যান্সে উন্নতি করার। কিন্তু শেয়ারদর বাড়া কিংবা কমার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এটি বিনিয়োগকারী ও বাজারের ওপর নির্ভর করে। বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবসায়িক ও আর্থিক পারফরম্যান্স পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির বিক্রি ছিল ২০৫ কোটি টাকা। এরপর প্রতি বছরই কোম্পানিটির ধারাবাহিক বিক্রয় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৪৬৪ কোটি টাকা। একইভাবে ২০১৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা ২০১৯ হিসাব বছরে এসে ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটি গড়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রিটার্ন এসেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারে। কোম্পানিটির ব্যবসায়িক ও আর্থিক পারফরম্যান্স পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রির পরিমাণ ছিল ২৯৩ কোটি টাকা, যা ২০১৯ হিসাব বছরে এসে ৫৬৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর ২০১৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি টাকা, যা ২০১৯ হিসাব বছরে এসে ৪১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরে গড়ে স্টক ও নগদ মিলিয়ে ১৬ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। তৃতীয় সর্বোচ্চ রিটার্ন আসা বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইউপিজিডিসিএলের রাজস্ব আয় ২০১৬ হিসাব বছরে ছিল ৫৭৬ কোটি টাকা, যা সর্বশেষ ২০২০ হিসাব বছরে এসে ১ হাজার ৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর ২০১৬ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৪১৭ কোটি টাকা, যা ২০২০ হিসাব বছর শেষে ছিল ৬০৭ কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটি স্টক ও নগদ মিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের গড়ে ১২৬ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। ইউনাইটেড পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দীন হাসান রশিদ বণিক বার্তাকে বলেন, পরিচালন ও আর্থিক দক্ষতার মাধ্যমে ইউপিজিডিসিএল ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমাদের লক্ষ্যই থাকে শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোচ্চ রিটার্ন দেয়া। সম্প্রতি আমরা ৪১৫ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ৫৩৫ কোটি টাকায় অধিগ্রহণ করেছি, যেখানে কেন্দ্র দুটির নগদ সঞ্চিতিই ছিল ৫১৫ কোটি টাকা। এক্ষেত্রেও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থের বিষয়টি আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। কর অবকাশসহ ১৪ বছরের মেয়াদ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি ইউপিজিডিসিএলের অ্যাসেট পোর্টফোলিওতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শেয়ারহোল্ডার এবং পুঁজিবাজার আমাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে শেয়ারের যৌক্তিক মূল্যায়ন করবে বলেই আমার প্রত্যাশা। ডিএস-৩০ সূচকে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গত পাঁচ বছরে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইবিএলে ১২৮ দশমিক ২০, সিমেন্ট খাতের কনফিডেন্স সিমেন্টের শেয়ারে ১০৮, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ারে ১০৩ দশমিক ৬০, সিটি ব্যাংকের শেয়ারে ৮৮ দশমিক ৬০, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে ৮৬ দশমিক ৪০, ওষুধ খাতের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারে ৮৫ দশমিক ২০ এবং ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারে ৮০ দশমিক ৯০ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। একই সময়ে টেলিযোগাযোগ খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ারে ৭৩ দশমিক ২০, ওষুধ খাতের রেনাটা লিমিটেডের শেয়ারে ৬৭ দশমিক ৮০, ব্যাংকবহির্ভূত শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্সের শেয়ারে ৬৬ দশমিক ৫০, ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদক বহুজাতিক কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশের শেয়ারে ৬৬ দশমিক ১০ শতাংশ, বিদ্যুৎ খাতের সামিট পাওয়ারের শেয়ারে ৬৩ দশমিক ৬০, পূবালী ব্যাংকের শেয়ারে ৫৯ দশমিক ৬০, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের শেয়ারে ৩৮, এনবিএলের শেয়ারে ৩১ দশমিক ৭০, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারে ৩১ দশমিক ৪০, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারে ২১ দশমিক ৮০, রাষ্ট্রায়ত্ত পদ্মা অয়েলের শেয়ারে ২০ দশমিক ৫০, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারে ১৭ এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। গত পাঁচ বছরে ঋণাত্মক রিটার্নও এসেছে বর্তমানে ডিএস-৩০ সূচকে থাকা পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে। অর্থাৎ এ কোম্পানিগুলোতে এ সময়ে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীদের লোকসান গুনতে হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৯ শতাংশ ঋণাত্মক রিটার্ন এসেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারে। সিমেন্ট খাতের এ বহুজাতিক কোম্পানির ব্যবসা ও আর্থিক পারফরম্যান্স পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ হিসাব বছরে লাফার্জ হোলসিমের বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৯৬ কোটি টাকা, যা সর্বশেষ ২০১৯ হিসাব বছর শেষে ১ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর ২০১৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ২২৯ কোটি টাকা। ২০১৯ হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ১৭৪ কোটি টাকায়। গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটি গড়ে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ ঋণাত্মক রিটার্ন হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তিতাস গ্যাসে। রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাসের ২০১৫ হিসাব বছরে রাজস্ব আয় ছিল ৮ হাজার ২৭১ কোটি টাকা, যা ২০১৯ হিসাব বছরে এসে ১৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৮৮৮ কোটি টাকা, যা ২০১৯ হিসাব বছরে ৪৬৪ কোটি টাকা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটি গড়ে বিনিয়োগকারীদের ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে ইফাদ অটোজের শেয়ারে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ, অলিম্পিক লিমিটেডের শেয়ারে ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং বিএসআরএম লিমিটেডের শেয়ারে ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণাত্মক রিটার্ন এসেছে। ইস্পাত খাতের কোম্পানি বিএসআরএম লিমিটেডের ২০১৫ হিসাব বছরে ৭৮০ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছিল। ২০১৯ হিসাব বছর শেষে এটি ৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আর ২০১৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ৮৩ কোটি টাকা, যা ২০১৯ হিসাব বছরে এসে ১৮৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটি স্টক ও নগদ মিলিয়ে গড়ে ১৯ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। জানতে চাইলে বিএসআরএম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ এবং হিসাব) ও কোম্পানি সচিব শেখর রঞ্জন কর বণিক বার্তাকে বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজার এখনো পরিণত হয়ে উঠতে পারেনি। এখানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের পরিবর্তে স্বল্প সময়ে ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এ কারণে প্রায়ই দেখা যায় যে কোম্পানি আর্থিক ও ব্যবসায়িক পারফরম্যান্স নেতিবাচক হওয়ার সত্ত্বেও কোনো কারণ ছাড়া দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে। অন্যদিকে ধারাবাহিক ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রবৃদ্ধি করা সত্ত্বেও আমাদের শেয়ারের দাম কমে গেছে। এটি আমাদের পারফরম্যান্সের মোটেও যৌক্তিক প্রতিফলন নয়। ২০১৩ সালে এসঅ্যান্ডপি ডাও জোনসের সহায়তায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স এবং নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ চালু করা হয়। ডিএস-৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বেশকিছু মানদণ্ড পূরণ করতে হয়। এক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফ্রি-ফ্লোট বাজার মূলধন ৫০ কোটি টাকার বেশি থাকতে হবে। সূচক সমন্বয়ের তারিখের আগে ন্যূনতম তিন মাস কোম্পানিগুলোর গড়ে দৈনিক ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হতে হবে। অবশ্য সূচকে নির্ধারিত কোম্পানির সংখ্যা ঠিক রাখতে দৈনিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকার কম থাকলেও সেটি বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে কোম্পানির গড়ে দৈনিক ৩০ লাখ টাকার লেনদেন থাকতে হবে। ডিএস-৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে কোম্পানিগুলোকে আর্থিক সক্ষমতার মানদণ্ডেও উত্তীর্ণ হতে হয়। এক্ষেত্রে সূচক সমন্বয়ের তারিখের আগের ১২ মাস কোম্পানির নিট আয় ধনাত্মক থাকতে হবে। ছয় মাস পরপর এসব মানদণ্ড বিবেচনা করে ডিএস-৩০ সূচক সমন্বয় করা হয়। যেসব কোম্পানি এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারে তারা সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর যারা পূরণ করতে পারে না তারা সূচক থেকে ছিটকে যায়। এ অবস্থায় যথাসম্ভব বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দূরদর্শিতার সঙ্গে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে মৌলভিত্তির শেয়ার হলেও সেটির যৌক্তিক মূল্য কত সেটি একজন বিনিয়োগকারীকে জানতে হবে। তাছাড়া খাতভিত্তিক ব্যবসার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কতটুকু সেটি অনুধাবন করার সক্ষমতা থাকা চাই। তাছাড়া বিনিয়োগের আগে কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও কত এবং সেটি কতটুকু বিনিয়োগযোগ্য অবস্থায় রয়েছে সেটি দেখে নেয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, আপনি যে দরে শেয়ার কিনছেন সেটি যৌক্তিক কিনা এবং সেখান থেকে আপনার প্রত্যাশিত রিটার্ন আসবে কিনা সেটি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। গত পাঁচ বছরে যেসব কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এর আগে হয়তো একটা সময় পর্যন্ত সেগুলোর দাম কম ছিল। আবার একই সময়ে যে শেয়ারগুলোর দাম কমেছে এক সময় হয়তো সেটি বেশি ছিল। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে শেয়ারদরে ওঠা-নামা থাকবেই। ফলে একটি কোম্পানিতে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগে কী হারে লভ্যাংশ আয় আসছে সেটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ধারাবাহিক ব্যবসা ও আর্থিক প্রবৃদ্ধির কারণেই কিন্তু মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরামর্শ দেয়া হয়। এর সঙ্গে বোনাস হিসেবে মূলধনি মুনাফার বিষয়টি তো রয়েছেই। পরিণত বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা অর্জনে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ শিক্ষা আহরণের বিষয়ে জোর দেন তিনি। Source: bonikbarta.net
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |