midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
বেনিফিশারি অ্যাকাউন্টস হোল্ডার বা বিও হিসাবধারীর মৃত্যুর পর তার হিসাবে রক্ষিত শেয়ারের মালিকানা পাবে নমিনি। যদি হিসাব খোলার সময় কাউকে নমিনি হিসেবে মনোনীত করা না হয়, সেক্ষেত্রে আইনানুগ যোগ্য উত্তরাধিকারীরা শেয়ারের মালিকানা পাবে। বিও হিসাবধারীর মৃত্যুর পরে তার হিসাবে রক্ষিত শেয়ারের মালিকানার বিষয়ে সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিকিউরিটিজ আইনানুসারে বিও হিসাবধারীর মৃত্যুর পরে তার হিসাবে রক্ষিত শেয়ারের মালিকানা নমিনিই পাওয়ার কথা। একইভাবে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে হিসাবধারীর মৃত্যুর পর ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ পাবে নমিনি। সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কিন্তু ২০১৬ সালের এপ্রিলে হাইকোর্টের এক রায়ে নমিনি নয়, বরং উত্তরাধিকারীরা টাকা পাবে এবং নমিনির কাজ একজন ট্রাস্টির মতো হবে বলে উল্লেখ করা হয়। মূলত ঘটনার সূত্রপাত হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক শহীদুল হক চৌধুরীর মৃত্যুর পর। মারা যাওয়ার আগে ২০১৪ সালে তিনি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি নমিনি হিসেবে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম দেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর প্রথম স্ত্রীর ছেলেরা সঞ্চয়পত্রের টাকার ভাগ দাবি করে। এ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে গেলে নিম্ন আদালত প্রথম স্ত্রীর ছেলেদের দাবি নাকচ করে নমিনির পক্ষে রায় দেন। ছেলেরা তখন এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি নাঈমা হায়দারের বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় নাকচ করে ছেলেদের পক্ষে রায় দেন। অবশ্য পরে আপিল বিভাগের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়টি স্থগিত করা হয়। এদিকে, আদালতের এ ধরনের রায়ের পর অনেক ব্যাংক নতুন হিসাব খোলার সময় নমিনিকে টাকা নাও দেয়া হতে পারে, এ মর্মে অঙ্গীকারনামা নেয়া শুরু করে। তবে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল জারি করা এক সার্কুলারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট করে দেয় যে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে ব্যাংকে তার রেখে যাওয়া টাকা তার নমিনিই (মনোনীত ব্যক্তি) পাবে। উপরিউক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে বিও হিসাবধারী কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার হিসাবে রক্ষিত শেয়ারের মালিকানা নমিনির কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে করণীয় জানতে চাওয়া হয়। ডিএসই ও বিএমবিএর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি বিষয়টি পর্যালোচনা করে ৬৬১তম কমিশন সভায় বিও হিসাবে রক্ষিত শেয়ার নমিনির অনুকূলে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিও হিসাব খোলার সময় হিসাবধারী কাউকে নমিনি হিসেবে মনোনীত করে থাকলে বিও হিসাবধারীর মৃত্যুর পর নমিনি বিও হিসাবে রক্ষিত শেয়ার পাবে। তবে যদি বিও হিসাব খোলার সময় কাউকে নমিনি হিসেবে মনোনীত করা না হয়, এক্ষেত্রে বিও হিসাবধারীর মৃত্যুর পর আদালত কর্তৃক ইস্যু করা ওয়ারিশান সনদ অনুসারে উত্তরাধিকারীরা মৃত ব্যক্তির বিও হিসাবে রক্ষিত শেয়ার পাবে। বিএসইসির এ সিদ্ধান্ত ২৩ অক্টোবর চিঠির মাধ্যমে ডিএসই, সিডিবিএল ও বিএমবিএকে জানানো হয়েছে। বিএসইসির একজন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে বিও হিসাবধারীর মৃত্যুর পর তার হিসাবে থাকা শেয়ার নমিনিই পাবে। কিন্তু ২০১৬ সালে আদালতের রায়ের বিষয়টি তুলে ধরে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান নমিনির কাছে শেয়ার হস্তান্তর করা থেকে বিরত থাকে। আমাদের কাছে এমন বেশকিছু অভিযোগ আসতে থাকে। তাছাড়া এ বিষয়ে করণীয় জানতে চেয়ে ডিএসই ও বিএমবিএর পক্ষ থেকেও চিঠি পাঠানো হয়। এসব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন সম্প্রতি নমিনির কাছেই শেয়ার হস্তান্তরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কিছুটা আইনি জটিলতা ছিল। আমরা এ বিষয়ে বিএসইসিকে চিঠিও দিয়েছিলাম। সম্প্রতি কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে কোনো বিও হিসাবধারী মারা গেলে তার নমিনির কাছে শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়টি সহজ হবে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
February 2025
Categories |