midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
বন্ড ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারের বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছেন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। দেশের শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে বুধবার (১৭ নভেম্বর) অর্থসংবাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। এসময় তিনি বলেন, বন্ড ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারের বাইরে রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছি। বন্ডের প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে- এটা ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারের মধ্যে পড়ে গেছে। পৃথিবীতে বন্ডের মাধ্যমেই সব উন্নয়ন হয়। দেশের আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে বন্ডের ভূমিকা সর্বাধিক। ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারের কারণে আমরা বন্ড মার্কেট বড় করতে পারছি না। মন্ত্রণালয় এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছি যাতে বন্ডকে ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারের বাইরে রাখে। না হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে না।
অর্থসংবাদকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বন্ড মার্কেট সম্প্রসারণ করা। বন্ড ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থা করা। আমাদের দেশে বিনিয়োগকারীরা ইক্যুইটি নিয়ে ট্রেড করে। তাই আমরা চাই তারা বড় আকারে ট্রেড করুক। অলরেডি সরকারি একটি ট্রেজারি বন্ড নিয়ে আসছি, সামনে অন্যগুলোও চলে আসবে। আর ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ডও আসবে, তখন ওইগুলো ট্রেড করেও বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। তখন বাজারে লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে, কারণ ইক্যুইটি মার্কেট তো ইচ্ছামত বড় করা যায় না। আশা করি ভালো একটা মার্কেট পাবো। আমি বন্ডকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। বন্ড নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বন্ডকে ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার লিমিটের বাইরে রাখলে অবশ্যই মার্কেটে পজিটিভ প্রভাব পড়বে। একটা মিটিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল- পারপেচুয়াল বন্ড ট্রেড শুরু করলে সেটা মার্কেট এক্সপোজার লিমিটের বাইরে থাকবে। কিন্তু এখনো এটা ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেন নাই, আশা করি বাংলাদেশ ব্যাংক খুব দ্রুতই এটা করবেন। আইনি কোন বাধা নেই, এটা আমাদের নিজস্ব ব্যাপার। বন্ড সম্প্রসারণ করতে পারলে রাষ্ট্রের উন্নয়ন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্ডের সম্প্রসারণ হলে আমাদের দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটানো সম্ভব হবে, অর্থনীতিকে আরও বড় করা যাবে। দেশের উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দেওয়া যাবে। সেই সাথে বিনিয়োগকারীও লাভবান হবেন। দেশের রাজস্বের ওপর চাপ কমে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রের উন্নয়ন হবে। পুঁজিবাজারের প্রয়োজনে গঠিত বিশেষ ফান্ড নিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, গতকাল বোর্ড মিটিং ছিল, বিশেষ ফান্ডের ব্যবহার গতকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে। সে বিষয়ে কোন নির্দেশনা দিতে চাই না। এ বিশেষ ফান্ডের সিইও এবং চেয়ারম্যান আছেন তারাই জানাবেন। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে রোড শো করেছে। এই রোড শো এর ফলাফল দেশের শেয়ারবাজার পেয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যে পরিবর্তিত বাংলাদেশ, সে তথ্য অনেক দেশই জানেন না। এজন্য ইমেজ বিল্ডিংয়ের জন্য রোড শো করা হচ্ছে। দেশে যদি ইনভেস্টমেন্ট, পার্টনারশিপ, বিজনেস, ইকোনোমিক অ্যাক্টিভিটিস বাড়াতে না পারি, তাহলে কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট বড় হবে না। ক্যাপিটাল মার্কেট অর্থনীতির একটা বড় অংশ। এর সাথে অর্থনীতির প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের একটি যোগসূত্র আছে। এ বাজার খুবই স্পর্শকাতর। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে শেয়ারবাজার টেকসই হবে। এজন্য দেশ-বিদেশে বাজারের সম্প্রসারণ, প্রোডাক্ট সম্প্রসারণ, সুনাম বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কিং বাড়ানো এবং সহযোগিতার মনোভাব সকল দেশে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বাংলাদেশি অধ্যুষিত হওয়ায় এসব দেশ থেকে আমরা আশানুরুপ সাড়া পেয়েছি।’ তিনি বলেন, রোড শোতে মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন। দেশি-বিদেশি ইনভেস্টর, যারা আমাদের প্রেজেন্টেশনের পর উৎসাহী হয়ে উঠেছে, ফান্ড ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে কথা বলেছে, কিভাবে কি করা যায়, কিসে তাদের উৎসাহ, কোথায় তাদের ফান্ড আছে, এসব তথ্য বিনিময় হয়েছে। সেখানে রিটেইলার পর্যায়ে অনেক ইনভেস্টমেন্ট আসা শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা তো বড় বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলছি, এগুলো আসতে হয়তো আগামী ৬ মাস বা এক বছর সময় লাগবে। কিন্তু আমরা শুরু না করলে রেজাল্ট কখনোই পেতাম না। এবার আমরা রেজাল্ট পাওয়া শুরু করবো। রিটেইল শুরু হয়ে গেছে। হোলসেলগুলো পেতে একটু সময় লাগবে। রোড শো চলাকালে শেয়ারবাজারে সূচকের সংশোধন নিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সমস্যা একটা। আমাদের দরকার ইনভেস্টর, কিন্তু আমাদের ডে ট্রেডারের সংখ্যা বেশি হয়ে যাচ্ছে। ডে ট্রেডিং করে রেগুলার প্রফিট টেকিংয়ের প্রবণতায় শেয়ারবাজারের জন্য অনেক সময় নেতিবাচক হয়। এখানে ইনভেস্ট করতে হয় ধৈর্যসহ লংটার্মের (লম্বা সময়ের) জন্য। কোনদিন দাম কমবে, কোনদিন বাড়বে। কমার দিন শেয়ার কিনবে, দর বৃদ্ধির দিন শেয়ার বিক্রি করবে- এটাই বৈশিষ্ট্য হওয়ার কথা। যার হাতে যে শেয়ার থাকবে সেটা প্রতিদিন দাম বাড়বে আর প্রতিদিন লাভ করবে, এটাতো পৃথিবীর কোথাও সম্ভব না। কিন্তু এটাই আমাদের অনেক বিনিয়োগকারীর বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে। নিজেদের পোর্টফোলিওর দাম কমলে কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব রেগে যায়, আবার দাম বৃদ্ধি পেলে খুঁশি হয়। কিন্তু পৃথিবীতে সারাজীবন কোন জিনিসের দাম বাড়তেই থাকে না। এটা কমবেও, বাড়বেও এবং সেটিই স্বাভাবিক। এই জিনিসটা সবাইকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও পারছি না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান আরও বলেন, অনেকে নিজেদের বিনিয়োগের ভুলের জন্য অন্যকে দোষারোপ করতে থাকেন। অন্যরা লাভ করছে, আমি পারছি না। দোষ দিচ্ছি আরেকজনকে। এগুলো সমস্যা। বুঝতে হবে যে, আমার বিনিয়োগ আমার সিদ্ধান্ত। সেটার জন্য আরেকজনকে দোষারোপ করবো কেন? ডেইলি লাভ করবো কেন? পৃথিবীর কোন ইকোনোমিতেই দৈনিক লাভ করা সম্ভব না, কোন ক্যাপিটাল মার্কেটে হয় না। এগুলো বুঝতে হবে। বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্যশীল হতে হবে, একটু লংটার্মের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রফিট টেকিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কেউ কেউ প্যানিকড্ হয়ে গেছে। সামনে বাজার বড় হলে সংশোধন আরও বেশি হবে। আশা করি বিনিয়োগকারীরা প্যানিকড্ হবেন না। আর রেগুলার লাভ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। Source: orthosongbad
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
January 2025
Categories |