midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্স্যুরেন্স খাতের কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে নোংরা কারসাজির আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিতর্কিত এক সমবায় কর্মকর্তা এবং চতুর্থ প্রন্মের একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ বহুল আলোচিত দুষ্ট গোষ্ঠি ডেল্টা লাইফের শেয়ার নিয়েও কারসাজি শুরু করেছেন বলে বাজার সংশ্লিষ্টদের খবর। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডেল্টা লাইফের ৫ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়। আর এর সবই কেনাবেচা হয় সার্কিটব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায়। শেয়ারটির দাম ১২৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে ১৪২ টাকায় উঠে যায়। কোনো মূল্য অফার না করে দিনের শুরুতেই সার্কিটব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায় শেয়ার কেনার বিষয়টি আগ্রাসী ক্রয় (Aggressive Buy) এর পর্যায়ে পড়ে, যা সিকিউরিটিজ আইনের লংঘন। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কিন্তু শাস্তি যারা দেবে সেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠছে। এ ধরনের এগ্রেসিভ কেনাবেচা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সার্ভিল্যান্স সিস্টেমে ধরা পড়ার কথা। এই সিস্টেম সব ধরনের অস্বাভাবিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক অ্যালার্ট দিয়ে থাকে। কিন্তু সোমবারের অস্বাভাবিক লেনদেনের পরও বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেই জানা গেছে। আর এ কারণে দ্বিতীয় দিনেও ডেল্টা লাইফের শেয়ারে একই চিত্র দেখা যায়। ডেল্টা লাইফের শেয়ার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই অস্বাভাবিকতা চলছে। তবে তা মোটা দাগে ধরা পড়ে গতকাল সোমবার (২৮ জুন)। এদিন কোম্পানিটির ১ কোটি ৯ লাখ শেয়ার কেনাবেচা হয়; আর তার সবই হয় দিনের সর্বোচ্চ দাম ১২৯ টাকা ১০ পয়সা দরে। এই শেয়ারের সিংহভাগই বিক্রি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আইসিবি। একটি জাতীয় পত্রিকার খবর অনুসারে, সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল খায়ের হিরো এবং তার অনুসারীরা লেনদেন হওয়া এ শেয়ারের সিংহভাগ কিনেছেন। সংবাদপত্রটির কাছে ৩০/৩৫ লাখ শেয়ার কেনার কথা হিরো স্বীকারও করেছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, হিরো হয়তো নিজ নামে এই শেয়ার কিনেছেন। এর বাইরে বেনামে তার অ্যাকাউন্ট আছে এবং তিনি আরও অনেকের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন। সেসব অ্যাকাউন্টে কেনা শেয়ারের পরিমাণ হতে পারে আরও অনেক বেশি। এদিকে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের বিরুদ্ধেও ডেল্টা লাইফের শেয়ারে সংশ্লিষ্টতা আছে বলে জানা গেছে। গত কয়েক মাস ধরে বীমা খাতের শেয়ার নিয়ে যে অরাজকতা চলছে তার পেছনে হিরো, তমাল ,ক্রিকেটার সাকিব, মিজানসহ কিছু নাম ব্যাপকভাবে আলোচিত পুঁজিবাজারে। এমনকি পারভেজ তমালের নিজ ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার মূল্যের ‘অস্বাভাবিকতা’ বিষয়টিও পুঁজিবাজারে ব্যাপকভাবে আলোচিত। গত মার্চ মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির শেয়ারের দাম মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে প্রায় ৩ গুণ বেড়ে ১০ টাকা থেকে ৩৮ টাকায় উন্নীত হয়। অথচ তখনো ইবিএল, সিটি ব্যাংক, এমটিবি, ব্যাংক এশিয়ার মতো পুরনো ও পরীক্ষিত ব্যাংকের শেয়ারের দাম ছিল ২০ টাকার নিচে। অন্যদিকে এনআরবিসি শুধু অ-পরীক্ষিতই নয়, নানা কেলেঙ্কারির দোষে দুষ্ট। ব্যাংকটিতে ঋণ অনিয়মসহ নানা অনিয়মের কারণে এনআরবিসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হয়। পারভেজ তমাল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকটির দৃশ্যমান কিছু উন্নতি বাস্তব অবস্থা বুঝার জন্য আরো সময় প্রয়োজন বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকদের মতে, কোনো ধরনের কারসাজি ছাড়া সদ্য বাজারে আসা একটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম এমন অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারার কথা নয়। আর এই কারসাজির সাথে পত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। কারণ মালিক পক্ষের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া বড় পেইড-আপ ক্যাপিটালের কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো সম্ভব নয়। ডেল্টা লাইফ ও এনআরবিসি ইস্যুতে বক্তব্য জানার জন্য কয়েক দফায় পারভেজ তমালকে ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তার মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠানোর পরও তিনি সাড়া দেননি। SOURCE: arthosuchak
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
January 2025
Categories |