midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়। পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে এর প্রভাব বাড়তে থাকে। বাংলাদেশেও মন্দার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি কমে যায় রেমিট্যান্স প্রবাহ। টান পড়ে রিজার্ভেও। এমন বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও সুখবর দেয় দেশের ব্যাংক খাত। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টিই গত বছর মুনাফা করেছে। এর মধ্যে ২১টির মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে, কমেছে ১২টির। লোকসানে রয়েছে দুটি ব্যাংক।
২০২২ সালে ৩৩টি ব্যাংক কর-পরবর্তী প্রকৃত মুনাফা করেছে প্রায় সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা (৯৪৪৬ কোটি)। এর মধ্যে ২৮টি ব্যাংক তাদের শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা টাকার অঙ্কে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট মুনাফার তিন ভাগের এক ভাগ নগদ লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকগুলো। ডিএসই’র তথ্য মতে, ৩৩ ব্যাংকের মধ্যে চারটি ব্যাংক মূলধনকে শক্তিশালী করতে শুধু বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। একটি ব্যাংক কোনো বোনাস শেয়ার কিংবা নগদ লভ্যাংশ কিছুই দেবে না। যে ২৮টি ব্যাংক লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাদের মধ্যে ২০টি নগদ লভ্যাংশের সঙ্গে বোনাস শেয়ারও দেবে। বাকিরা শুধু নগদ লভ্যাংশ দেবে, বোনাস শেয়ার দেবে না। এদিকে, শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তিনটি ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- রূপালী, আইসিবি ইসলামী ও ন্যাশনাল ব্যাংক। এর মধ্যে রূপালী ব্যাংক ২০২২ সালে মাত্র ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক লোকসানে রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খাতের মুনাফা বেড়েছে মূলত ডলার বিক্রি থেকে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বছরজুড়ে অস্থিতিশীল ছিল মুদ্রা বাজার। টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলার ও পাউন্ডসহ বৈদেশিক মুদ্রার দাম বেড়েছে। এগুলো বিক্রি করে ব্যাংকগুলো মুনাফা করেছে। কিন্তু তাদের প্রকৃত ব্যবসা বাড়েনি। তবে, যেভাবেই হোক ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বেড়েছে। ফলে শেয়ারহোল্ডাররাও মুনাফা পাবেন। বৈশ্বিক অর্থনীতির এমন নাজুক অবস্থায়ও বিনিয়োগকারীরা যে মুনাফা পাচ্ছেন এটাই বড় কথা। এতে ব্যাংক খাতের প্রতি আস্থা বাড়বে সাধারণের। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, “ব্যাংকগুলো যে খুব ভালো করেছে তা বলা যাবে না। গত বছর যে মুনাফা হয়েছে তার বেশির ভাগ এসেছে ‘অফ ব্যালেন্সশিট’ আইটেম (এলসি খোলা, গ্যারান্টি দেওয়া) থেকে। এমনও হতে পারে যে ওয়ার্ক অর্ডার পেল, এখন গ্যারান্টি দেবে ব্যাংক। এলসি খুলে সেখান থেকে চার্জ নেবে। এগুলো থেকে ব্যবসা (নন-ফান্ডেড) ভালো হয়েছে। সার্বিকভাবে বলা যাবে না যে ব্যাংকগুলো ভালো করছে। আবার এও বলা যাবে না যে অনেক খারাপ করছে।” অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর তারল্য গত বছর ভালো ছিল। এ কারণে তাদের ল্যান্ডিং বেড়েছে। অপরদিকে, কস্ট অব ফান্ড কমেছে। তাই মুনাফা ভালো করেছে।’ ‘মুনাফা বাড়ার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, ব্যাংকগুলোর ফি অ্যান্ড কমিশন থেকে ভালো মুনাফা এসেছে। ডলার এক্সচেঞ্জ রেটের অস্থিরতা বা ওঠা-নামার কারণে ব্যাংকগুলোর ভালো প্রফিট হয়েছে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, পৃথিবীর সব দেশেরই যখন এক্সচেঞ্জ রেট ওঠা-নামা করে তখন ব্যাংকগুলো ভালো ব্যবসা করে। তৃতীয়ত হচ্ছে, মিতব্যয়ী হওয়া। অনেক ব্যাংক মিতব্যয়ী হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনা ছিল, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবে না। এছাড়া অফিস সময়ের পর লাইট, ফ্যান ও এসি বন্ধ রাখা; পাশাপাশি সভা-সেমিনারসহ অনেক কিছু বন্ধের মাধ্যমে ব্যয় কমেছে। এসবের কারণে মুনাফা বেড়েছে। যারা এগুলো করতে পারেনি তাদের মুনাফা কমেছে।’ ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘২০২১ সাল দেশের ব্যাংক খাতের জন্য খারাপ একটি বছর ছিল। ওই বছরের চেয়ে ২০২২ সালে এ খাতে মুনাফা বেড়েছে, এটা ইতিবাচক। ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। এ কারণে আমানত ও ঋণ বিতরণের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে এসব খাতে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বেড়েছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছর বেশির ভাগ ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে। মূল ব্যবসা খুব বেশি হয়নি। তবে, যেভাবেই হোক ২০২১ সালের চেয়ে অধিকাংশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। ফলে শেয়ারহোল্ডাররা লাভবান হবেন, এটা জেনে ভালো লাগছে। ২০২২ সালে মুনাফা বেড়েছে যে ২১ ব্যাংকের- ইসলামী ব্যাংক মুনাফার দিক থেকে সবার ওপরে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ২০২২ সালে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বা মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৮৩ পয়সা। মোট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৪ হাজার ২৫৮ টাকা। এ মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের এক টাকা করে মোট ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮ টাকা লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। ব্যাংক এশিয়া এর পরের অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক এশিয়া। ২০২২ সালে এ ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ৬১ পয়সা। যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল দুই টাকা ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ২৭ পয়সা করে মুনাফা বেড়েছে। ব্যাংকটির মোট মুনাফা হয়েছে ৪৫৮ কোটি ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৯ টাকা। ১৫ শতাংশ নগদ অর্থাৎ দেড় টাকা করে ১৭৪ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ টাকা দেবে শেয়ারহোল্ডারদের। ব্র্যাক ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে চার টাকা দুই পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল তিন টাকা ৬৫ পয়সা। টাকার অঙ্কে বিদায়ী বছরে কোম্পানির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬০১ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার ১৮ টাকা। সেখান থেকে ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। এতে শেয়ারহোল্ডাররা ১১২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৬ টাকা লভ্যাংশ পাবেন। ডাচ-বাংলা ব্যাংক ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৫৬৬ কোটি ৩৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। শেয়ারহোল্ডারদের দেবে ১২১ কোটি ৭৫ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বাবদ বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি। ২০২১ সালে ব্যাংকের ইপিএস ছিল সাত টাকা ৯৯ পয়সা। ২০২২ সালে ইপিএস ছিল আট টাকা ১৪ পয়সা। ইস্টার্ন ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৫১১ কোটি ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার ১৯৪ টাকা। সেখান থেকে ১৩৪ কোটি ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯০৬ টাকা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে। পাশাপাশি সাড়ে ১২ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ারও দেবে। ২০২২ সমাপ্ত বছরে ইপিএস দাঁড়িয়েছে চার টাকা ৭৭ পয়সা। যা ২০২১ সালে ছিল চার টাকা ৪৭ পয়সা। এক্সিম ব্যাংক এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের ইপিএস দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ৫৭ পয়সা। যা আগের বছর ছিল এক টাকা ৪৯ পয়সা। এতে মোট মুনাফা হয়েছে ৩৭২ কোটি ২ লাখ ২২ হাজার ৩৭৪ টাকা। এর মধ্যে এক টাকা নগদ লভ্যাংশ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের দেবে ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪ টাকা। আইএফআইসি ব্যাংক বিদায়ী বছরে আইএফআইসি ব্যাংকের ইপিএস ছিল এক টাকা ৯৩ পয়সা, যা আগের বছর এক টাকা ৪২ পয়সা ছিল। ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৬৮ লাখ ৮ হাজার ১১২ টাকা। সেখান থেকে ২৫ পয়সা করে শেয়ারহোল্ডারদের ১৭২ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৫৬ টাকা মুনাফা দেবে ব্যাংকটি। এছাড়া ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে বোনাস লভ্যাংশও দেবে তারা। মিডল্যান্ড ব্যাংক নতুন প্রজন্মের ব্যাংক মিডল্যান্ড। ২০২২ সালে এ ব্যাংকের ইপিএস ছিল ৯৯ পয়সা। গত বছর ছিল ৯০ পয়সা। এতে টাকার অঙ্কে মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৩২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫ টাকা। সেখান থেকে ৫০ পয়সা করে শেয়ারহোল্ডারদের ৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৬ টাকা লভ্যাংশ দেবে মিডল্যান্ড। ওয়ান ব্যাংক ২০২২ সালে ওয়ান ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ১৫৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৪১ টাকা। শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। প্রিমিয়ার ব্যাংক ২০২২ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৩৯২ কোটি ৪০ লাখ ৩২ হাজার ৭৬ টাকা। এর মধ্যে এক টাকা ২৫ পয়সা করে ১৪৩ কোটি ৪২ লাখ ২২ হাজার ২৫০ টাকা লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। এছাড়া সাড়ে ৭ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার দেবে প্রিমিয়ার ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংক প্রাইম ব্যাংকের মোট আয় হয়েছে ৩৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৮ টাকা। সেখান থেকে এক টাকা ৭৫ পয়সা করে মোট ১৯৮ কোটি ১৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। পূবালী ব্যাংক মুনাফা বাড়ার তালিকায় রয়েছে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডও। বিদায়ী বছরে ব্যাংকটির মোট মুনাফা হয়েছে ৫৬৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৫৬ টাকা। এক টাকা ২৫ পয়সা করে মোট ১২৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে পূবালী ব্যাংক। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ২০২২ সালে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের নিট আয় হয়েছে ৫৯ কোটি ৩৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা। সেখানে থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ পয়সা করে মোট ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৭ টাকা মুনাফা দেবে ব্যাংকটি। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ২০২১ সালের চেয়ে শেয়ারপ্রতি ৯১ পয়সা মুনাফা বেড়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের। এতে ২০২২ সালে ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ৩৫৭ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৫৫ টাকা। সেখান থেকে এক টাকা ২০ পয়সা করে মোট ১২৯ কোটি ৬৬ লাখ ৬২ হাজার ১৫৮ টাকা লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। এছাড়া ৩ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ারও লভ্যাংশ দেবে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৩১ পয়সা করে মুনাফা বেড়ে ২০২২ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মোট মুনাফা হয়েছে ২০৬ কোটি ৮৩ লাখ ৮ হাজার ৫৭২ টাকা। এর মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ পয়সা করে মোট ৫১ কোটি ৭০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা দেবে ব্যাংকটি। এছাড়া ৫ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ারও দেবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড মুনাফা বাড়ার তালিকায় রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডও। বিদায়ী বছরে ব্যাংকটির মোট মুনাফা হয়েছে ১১২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৫৯ টাকা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৩ টাকা দেবে। পাশাপাশি ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড। ট্রাস্ট ব্যাংক ২০২২ সালে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের মুনাফা হয়েছে ২৯১ কোটি ৮৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৯৫ টাকা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের এক টাকা করে মোট ৭৭ কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২ টাকা লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের মুনাফা হয়েছে ৩৩০ কোটি ৪৬ লাখ ৫৬ হাজার ১১১ টাকা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ পয়সা করে ১৬৫ কোটি ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৫৫ টাকা লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। ইউনিয়ন ব্যাংক ২০২২ সালে ইউনিয়ন ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ১৬২ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ৩০৩ টাকা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ পয়সা করে মোট ৫১ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ২২৪ টাকা লভ্যাংশ দেবে তারা। উত্তরা ব্যাংক ২০২২ সালে প্রায় ৪৮ কোটি টাকার মুনাফা বেড়েছে উত্তরা ব্যাংকের। এতে কোম্পানির মোট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২৭০ কোটি ৩৭ লাখ ৪ লাখ ৬৫ টাকা। যা আগের বছর ছিল ২২২ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৭ টাকা। শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এক টাকা ৪০ পয়সা করে মোট ৯০ কোটি ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৮ টাকা লভ্যাংশ এবং ১৪ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। এবি ব্যাংক এবি ব্যাংকের কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বিদায়ী বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। >>> মুনাফা কমেছে যেসব ব্যাংকের- আল অরাফা ইসলামী ব্যাংক আল অরাফা ইসলামী ব্যাংকের ইপিএস এক টাকা ৯৫ পয়সা। ২০২১ সালে ইপিএস ছিল এক টাকা ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি এক পয়সা করে মুনাফা করেছে ব্যাংকটি। তাতে ২০২২ সালে মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২০৭ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ২৬০ টাকা। এর মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বাবদ ১২৭ কোটি ৭৮ লাখ ৮২ হাজার ৬২২ টাকা দেবে ব্যাংকটি। দ্য সিটি ব্যাংক দ্য সিটি ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে শেয়ারপ্রতি তিন টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগের বছর ছিল চার টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৬০ পয়সা কম মুনাফা হয়েছে। মোট মুনাফা করেছে ৪৭৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৩৭ টাকা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের এক টাকা করে ১২০ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪৩ টাকা লভ্যাংশ এবং ২ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার দেবে ব্যাংকটি। ব্যাংকগুলোর তারল্য গত বছর ভালো ছিল। এ কারণে তাদের ল্যান্ডিং বেড়েছে। অপরদিকে, কস্ট অব ফান্ড কমেছে। তাই মুনাফা ভালো করেছে।অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আনিসঢাকা ব্যাংক ২০২১ সালের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৪৯ পয়সা কমে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬৭ টাকা। ৬০ পয়সা করে শেয়ারহোল্ডারদের ৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫২ টাকা লভ্যাংশ এবং ৬ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ৮১ পয়সা। যা ২০২১ সালে ছিল তিন টাকা ২০ পয়সা। এতে কোম্পানির মোট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৩ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার ৮২০ টাকা। ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। এর আগের বছর ৩৩৪ কোটি ৭২ লাখ ২৫ হাজার টাকা মুনাফা হয়েছিল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক মুনাফা কমেছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের। ২০২২ সালে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে এক টাকা ০২ পয়সা। যা আগের বছর ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ৯৫ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ১২৫ টাকা। এর মধ্য থেকে ৫০ পয়সা করে মোট ৪৭ কোটি ৯৬ লাখ ১৩ হাজার ৫৬২ টাকা নগদ এবং ৫ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। যমুনা ব্যাংক যমুনা ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ১২ পয়সায়। যা ২০২১ সালে ছিল তিন টাকা ৩৫ পয়সা। সেই হিসাবে মুনাফা কমে হয়েছে ১৫৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৭৮ টাকা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের এক টাকা ৭৫ পয়সা করে মোট ১৩১ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮৭ টাকা মুনাফা দেবে ব্যাংকটি। এছাড়া ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে বোনাস লভ্যাংশ দেবে যমুনা ব্যাংক। মার্কেন্টাইল ব্যাংক আগের বছরের চেয়ে ইপিএস এক টাকা ১২ পয়সা করে কমে ২০২২ সালে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৫ টাকা। এর মধ্যে ১০৮ কোটি ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৮ টাকা মুনাফা দেবে শেয়ারহোল্ডারদের। এছাড়া ২ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২০২২ সালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ২৩৬ কোটি ৮৪ লাখ ২৪ হাজার ৮৪৩ টাকা। মুনাফার টাকায় মূলধন শক্তিশালী করবে ব্যাংকটি। একই সঙ্গে বোনাস শেয়ার দেবে শেয়ারহোল্ডারদের। ২০২১ সালে ২৯৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের। এনসিসি ব্যাংক ৪২ পয়সা করে কমে ২০২২ সালে এনসিসি ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ২৬৪ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ৫১২ টাকা। ৫০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ বাবদ শেয়ারহোল্ডারদের দেবে ৫২ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৯০২ টাকা। এছাড়া ৫ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার দেবে ব্যাংকটি। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ৪১ পয়সা কমে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ১৯৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৬ টাকা। সেখান থেকে ৭৫ পয়সা করে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৫ টাকা লভ্যাংশ এবং সাড়ে ৪ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। রূপালী ব্যাংক ২০২২ সালে শেয়ারপ্রতি ১০৭ পয়সা করে কমে রূপালী ব্যাংকের মোট মুনাফা হয়েছে ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৯৫ টাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক শেয়ারপ্রতি আয় দুই পয়সা করে কমেছে সাউথইস্ট ব্যাংকের। ২০২২ সালে কোম্পানির মোট মুনাফা হয়েছে ১৭৫ কোটি ৫৮ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০ টাকা। সেখান থেকে লভ্যাংশ বাবদ শেয়ারহোল্ডারদের ৬০ পয়সা করে মোট ৭৪ কোটি ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং ৪ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ২০২২ সালে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৮ পয়সা। এর আগের বছর লোকসান ছিল দশমিক শূন্য ছয় পয়সা। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডও গত বছরের চেয়ে আরও বেশি লোকসানের মুখে পড়েছে। Source: dhakapost
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
December 2024
Categories |