midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
প্রযুক্তিপ্রেমী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অ্যাপভিত্তিক লেনদেনের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। সদ্যসমাপ্ত ২০১৭ সালে অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনকারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা তিন গুণ বাড়ার পাশাপাশি মোট লেনদেনে অ্যাপের ব্যবহার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে মোট লেনদেনের প্রায় ১১ শতাংশ হয়েছে ডিএসই মোবাইলের মাধ্যমে। তবে স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা ও ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় কাঙ্ক্ষিতহারে অ্যাপের ব্যবহার বাড়েনি। এজন্য যথাযথ প্রচার-প্রচারণার অভাবকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মোবাইলে লেনদেনের অ্যাপ ‘ডিএসই মোবাইল’-এর নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৯৮ জন। একই বছরের জুলাইয়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৯৯ জনে। আর সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ২৬ জন। এক্ষেত্রে এক বছরে নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ। এদিকে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মোট লেনদেনে অ্যাপের অবদানও বেড়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে যেখানে অ্যাপভিত্তিক লেনদেনের সংখ্যা ছিল ডিএসইর মোট হাওলার ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, সেখানে একই বছরের অক্টোবরে মোট লেনদেনে অ্যাপের অবদান বেড়ে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে ডিএসই মোবাইলের মাধ্যমে। ২০১৭ সালে ডিএসইতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৫টি ক্রয়-বিক্রয়াদেশ দেন বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৭টি আদেশই কার্যকর হয়।
জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, চালুর পর থেকেই ডিএসই মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ও বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় নিলে দেখা যাচ্ছে এটি প্রত্যাশিত হারে বাড়েনি। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডিএসই মোবাইল অ্যাপের ব্যবহারকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারণায় যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। ডিএসইর পক্ষে সরাসরি ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা সম্ভব না হওয়ায় এক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। অ্যাপভিত্তিক লেনদেনকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে ডিএসইর পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, প্রযুক্তিগত আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন সুবিধা চালু করে ডিএসই। এ অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে নিজের বিও হিসাবে সিকিউরিটিজ কেনাবেচার আদেশ দিতে পারছেন। অ্যাপটিতে পোর্টফোলিওর রিয়েল টাইম আপডেট থেকে শুরু করে বিও হিসাবের খুঁটিনাটি তথ্যের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণের জন্য গ্রাফ-চার্টসহ নানা সুবিধা রয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজ থেকে নিবন্ধন করে আইডি ও পাসওয়ার্ড নিয়ে এ অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে। যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড সেলফোনের পাশাপাশি আইফোনের মাধ্যমে এটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। ডিএসইর মোবাইল অ্যাপে মোট তিন ধরনের সংস্করণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্রোকার হাউজ এবং বাকি দুটি বিনিয়োগকারীদের জন্য। যেসব বিনিয়োগকারী এ অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেনের আদেশ দিতে চান, তাদের জন্য অর্ডার ভার্সন নামে একটি সংস্করণ রয়েছে। অন্যদিকে যারা দিনের লেনদেনের সবকিছু লাইভ দেখতে চান, কিন্তু সরাসরি আদেশ দিতে চান না, তাদের জন্য আরেক ধরনের সংস্করণ রয়েছে। আর ব্রোকারদের জন্য রাখা সংস্করণটির মাধ্যমে হাউজগুলো ডিলার হিসেবে থাকা শেয়ারের সর্বশেষ তথ্য দেখা ছাড়াও কেনাবেচার আদেশ দিতে পারবে। মোবাইলে লেনদেন ব্যবস্থা চালু ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তা জনপ্রিয় করার জন্য এর ব্যবহারের ওপর কোনো ফি বা চার্জ ধার্য করেনি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে অ্যাপটির বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে গত এক বছরে প্রায় দুই হাজার বিনিয়োগকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ডিএসই। মোবাইল ছাড়াও ডেস্কটপ ও ল্যাপটপের মাধ্যমে অ্যাপভিত্তিক লেনদেনের সুবিধা রয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপের মাধ্যমে লেনদেনের সুবিধাসংবলিত অত্যাধুনিক অ্যাপ ‘এম-ইনভেস্ট’ চালু করতে যাচ্ছে ডিএসই।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2024
Categories |