midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির দাবিহীন অবণ্টিত মুনাফার ২১ হাজার কোটি টাকা অবশেষে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় রয়েছে । বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই তহবিল ব্যবহার করে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করার চেষ্টা করবে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় গঠন করা হয় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এবিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, চলতি সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। আমাদের দিক থেকে সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন যে কোন সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এই তহবিল বিনিয়োগের জন্য বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএল এর প্রতিনিধি নিয়ে একটা কমিটি গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা তারল্য সংকটের সুরাহা হবে। কোম্পানিগুলোর কাছে যে অবণ্টিত বোনাস ও নগদ লভ্যাংশ আছে, সেগুলো নিয়ম অনুযায়ী ’ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে’ চলে আসবে। তারপর যখন কেউ তার বোনাস লভ্যাংশ দাবি করবে, তখন সেই বিনিয়োগকারীর আলাদা বিও হিসাবের মাধ্যমে তা স্থানান্তর করা হবে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এই অর্থ বিনিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবে এ-সংক্রান্ত গঠিত বোর্ড। বোর্ডের প্রধান থাকবে একজন সিও। এছাড়া এই তহবিল পরিচালনা দায়িত্বে থাকবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
এর আগে গত বছরের শেষ দিক থেকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের হতাশা দূর হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে যখন আলোচনা, সে সময় অবণ্টিত লভ্যাংশের এই বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায় ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি পড়ে আছে দাবিহীন। এর খসড়া নীতিমালা উন্মুক্ত করে মতামত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিকে খসড়া নীতিমালার ওপর বিএসইসিতে লিখিত প্রস্তাব পাঠায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির সমিতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেট কোম্পানি-বিএপিএলসি। তাদের বেশ কিছু আপত্তি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো প্রতিবছর যে লভ্যাংশ ঘোষণা করে, তার একটি অংশ কখনও বিনিয়োগকারীদের কাছে যায় না। বহু বিনিয়োগকারী শেয়ার রেখে বিও হিসাব নবায়নে ফি দেন না। ফলে হিসাবগুলো স্থগিত হয়ে যায়। আবার অনেক সময় তারা ঠিকানা নবায়ন করেন না। ফলে যারা ডিভিডেন্ট ওয়ারেন্ট পাঠিয়ে লভ্যাংশ দেয়, সেগুলো ফেরত চলে আসে। বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে অনেক সময় তার মনোনীত উত্তরাধিকারী সেই টাকা আর দাবি করেন না তথ্য বা কাগজপত্রের অভাবে। বিএসইসি দেখেছে, টাকার অঙ্কে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৬৩৪ কোটি টাকা। সিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ ৮ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৩২১ কোটি টাকা। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৮০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার অদাবিকৃত লভ্যাংশ রয়েছে তামাক খাতের বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) লিমিটেডের । এর মধ্যে ৮ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বোনাস লভ্যাংশ এবং ৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ। SOURCE: orthosongbad
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
January 2025
Categories |