midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইর সার্বিক সূচক বেড়েছে দশমিক ৩ শতাংশ। তবে এর আগের কয়েক সপ্তাহ ধরে সূচক ছিল নিম্নমুখী। স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুসারে, গত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ, তৃতীয় সপ্তাহে কমেছে দশমিক ১ শতাংশ ও চতুর্থ সপ্তাহে কমেছে দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে ডিএসইএক্স কমেছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ, দ্বিতীয় সপ্তাহে কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ, তৃতীয় সপ্তাহে কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ ও বিদায়ী সপ্তাহে কমেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। সর্বশেষ চলতি মাসের শুরুর সপ্তাহে ডিএসইএক্স ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরে।
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়ে ৫ হাজার ৭৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ১১ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৮টির, কমেছে ১৬৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৯টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১৭টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বীকন ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন ও অলিম্পিকের শেয়ার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে ২ হাজার ১৭৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৪৩৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ৪৯৪ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ১০ শতাংশ। খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত। ১০ দশমিক ৩ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল খাদ্য খাত। আর সিরামিক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে খাতের ইতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল বস্ত্র, সিরামিক ও খাদ্য খাত। আর নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল জীবন বীমা, ভ্রমণ ও সিমেন্ট খাত। অন্যদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে ১৬ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৬ হাজার ৫৫৩ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৯৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ৯ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৭ কোটি টাকা। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৮টির, কমেছে ১৪৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির।
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |