midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও কিছু ভবনধসের ঘটনায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছেন ভবন মালিকরা। এছাড়াও বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছেন। এমন অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি সব ভবন বাধ্যতামূলকভাবে বিমার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইডিআরএ ভবন নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়গুলোকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চিঠি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। সম্প্রতি ভবনের বিমা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে ক্রমান্বয়ে বহুতল ভবনের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে ভবনগুলোর ঝুঁকির আশঙ্কাও বেড়ে যায়। বেশকিছু ভবনে শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের কারণে সম্পদ ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ডে সম্পদ এবং প্রাণহানির আশঙ্কা সবসময়ই থাকে। ভূ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিশাল এলাকা ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এ ধরনের বিশাল ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকি মোকাবিলায় বিমা খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশে সংঘটিত অগ্নিকান্ড ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন ঝুঁকি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন বিমার আওতায় আনার পদক্ষেপ নিতে অর্থমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের সব ভবন/বহুতল ভবনের মালিকরা অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্পসহ বড় ধরনের দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমার আওতায় থাকার ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সরকারি-বেসরকারি ভবন বাধ্যতামূলকভাবে বিমার আওতায় আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওই চিঠিতে। জানা গেছে, দেশে মোট ১২টি সিটি কর্পোরেশন ও ৩২৯টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এছাড়াও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (খউক), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়। যেসব সিটি বা পৌরসভা এলাকায় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নেই, সেখানে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, যা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, সব ভবনের বাধ্যতামূলক বিমা নিয়ে এখনো কোনো অ্যানালাইসিসে (বিশ্লেষণ) আমরা যাইনি। এটা বড় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এত সংখ্যক ভবনের জন্য বাংলাদেশে পর্যাপ্ত বিমা পলিসি পাওয়া যাবে কি না। আমি যদি একটি পণ্য নিতে চাই, সেটি বাজারে সহজলভ্য কি না সেটা তো দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া সব ভবনের বিমা আমরা কীভাবে করব, সেটার রূপরেখা থাকতে হবে। বাজেট পাস হওয়ার পর আমরা এটি নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে চিন্তা-ভাবনা করব। এ বিষয়ে কী করা যায় সেজন্য এরই মধ্যে পৌরসভার মেয়র ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, দেখি তারা কী মতামত দেন। এরপর আমরা এটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটা বিশ্লেষণ করব। পরে আমাদের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হয়তো আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসব। এদিকে খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারি-বেসরকারি ভবনের বিমা বাধ্যতামূলক হলে বিমা কোম্পানি, সরকার ও ভবন মালিক- সবাই লাভবান হবেন। তারা বলছেন, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনের বিমা বাধ্যতামূলক করা হলে সাধারণ বিমা খাতের ব্যবসা ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে। এতে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বিমার অবদান বাড়বে। একইসঙ্গে বড় হবে বিমার বাজার। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং ভবনের ক্ষতি হলে মালিকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। তারা আরও বলছেন, দেশে যে বিমা কোম্পানিগুলো রয়েছে, সেই কোম্পানিগুলো সরকারি-বেসরকারি ভবনের বিমা নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলোর সক্ষমতার কোনো অভাব নেই। প্রয়োজন হলে দেশের বিমা কোম্পানিগুলো বিমা গ্রহণ করে সেই বিমা দেশের বাইরে পুনঃবিমা করতে পারবে। Source: orthosongbad
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |