বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার একটি ব্রোকার হাউজে একটি BO (Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একটি বিও অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো, তবে এটি আপনি একটি ব্রোকার হাউজে (যেমন মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড) এ খুলবেন । আপনি আপনার BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।
সাধারনত দুই ধরনের বিও একাউন্ট রয়েছে: বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য বিও একাউন্ট খোলা হচ্ছে প্রথম ধাপ। বিও একাউন্ট খোলার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন। এই বিও ফর্ম পুরন করে সাবমিট করার পরবর্তী ২ কার্যদিবসের মধ্যে বিও একাউন্ট খুলে আপনাকে কনফার্মেশন ইমেল দেয়া হবে।
একটি একক/যৌথ বিও একাউন্ট খোলার জন্য কেবল প্রয়োজন:
প্রাইমারি শেয়ার (বা বন্ড) হচ্ছে সম্পুর্ন নতুন শেয়ার যা জন সাধারণের জন্য তৈরি এবং উপস্থাপন করা হয় ( উদাহরণ হিসেবেঃ প্রাথমিক গনপ্রস্তাব বা আইপিও এর মাধ্যমে যা লটারি আকারে ছাড়া হয়)
সেকেন্ডারি মার্কেট হচ্ছে আইপিও পরবর্তী মার্কেট, প্রস্তাবিত শেয়ার বা বন্ডের লেনদেন হয়, যেমন স্টক এক্সচেঞ্জ ( স্বাভাবিক ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে) আসলে আমাদের স্টক মার্কেটে এক ধরনেরই বিও একাউন্ট রয়েছে। আপনি যে কোন বিও একাউন্ট দিয়ে আইপিও (প্রাইমারি) এবং শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় (সেকেন্ডারি) এর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। সব বিও একাউন্টের কার্যকারিতা একই।
বিও একাউন্ট খোলার পর আপনি আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করবেন। আমাদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা জমা দিয়ে জমা স্লিপটির স্ক্যাক/ছবি অথবা বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমে জমা দিয়ে (১% চার্জ প্রযোজ্য) করে তার স্ক্রিন সট অথবা অনলাইনে আমাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে তার ছবি/স্ক্রিন সট নিয়ে আমাদের ওয়েব সাইটের ডিপোজিট বা জমা(Deposit Link) ফর্ম পুরন করে টাকা আপনার বিও একাউন্টে জমা করার জন্য আবেদন করতে হবে।
আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করা খুবই সহজ। বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংক একাউন্ট থেকে কোন রকম খরচ ছাড়াই টাকা জমা করতে পারবেন। আপনি অনলাইনে অথবা সরাসরি আমাদের যে কোন ব্রাঞ্চে এসেও টাকা জমা দিতে পারবেন অথবা আপনি চাইলে বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমেও টাকা জমা দিতে পারবেন ( সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য)
আপনি যেকোন পরিমাণ টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারেন তবে প্রাথমিক বাজার বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং অর্থাৎ আইপিও তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও হিসাবে ন্যূনতম ২০,০০০ টাকা সেকন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে এবং আইপিও আবেদনের জন্য ১০,০০০ টাকা বিও অ্যাকাউন্ট নাম্বারে থাকতে হবে। সুতরাং সর্বনিম্ন ৩০,০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা উত্তম।
সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যবসায় করতে পুঁজির পরিমান আসলে নির্ভর করে বিনিয়োগকারীর কাঙ্ক্ষীত লাভের হার বা ‘এক্সপেক্টেড রেট অফ রিটার্নের’ উপর। আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করার পর আপনি শেয়ার বেচা-কেনার জন্য তৈরি। আপনি বিভিন্ন ভাবে শেয়ার কেনা বেচা করতে পাড়বেন-
IPO বা আইপিও এর পূর্ণরুপ Initial Public Offering বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব। লিমিটেড কোম্পানি সমূহ মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রাইমারি মার্কেটে শেয়ার অফার করে, সর্বসাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ার ক্রয়ের জন্য আবেদন করেন, এই প্রক্রিয়াকে আইপিও বলে। আইপিওর নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারীকে সেকন্ডারি মার্কেটে সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ ও আইপিও করার জন্য ১০,০০০ টাকা থাকতে হবে এবং আইপিও লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে প্রত্যেক আবেদনকারীকে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। আবেদনকারী যত গুলি শেয়ার পাবে সেই পরিমাণ টাকা গ্রহন করে বাকি টাকা আবেদনকারীকে রিফান্ড করে দেয়া হবে। আইপিও আবেদনের জন্য সার্ভিস চার্জ মাত্র ১০ টাকা।
বিস্তারিত জানতে এই ব্লগটি পড়ুনঃ Click জি আমাদের আইপিও মেম্বারশিপ ক্লাব রয়েছে। আইপিও মিস যাতে না হয় এর জন্য আমাদের ক্লাইন্টদেরকে একটি ক্লাবে এড করি তাদের ইচ্ছা মতে। এই ক্লাবের সদস্যদের আইপিও আবেদন অটোম্যাটিক হয়ে যায়।
নতুন বাজারে আসা সকল আইপিওতে অনলাইনে বা ব্রাঞ্চে এসে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আমাদের ওয়েব সাইটে(IPO Apply link) গিয়ে আবেদন করতে হবে। এর আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনার বিও একাউন্ট পর্যাপ্ত পরিমান ব্যালেন্স রয়েছে কিনা। (মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ড ব্যতীত)
জি, আপনি ডিএসই এর মোবাইল এপ্স দিয়ে নিজে নিজে ট্রেড করতে পারবেন। নতুন ডিএসই এপ্সটি আপনি প্লে স্টোর থেকে ডাউন লোড করতে হবে। এপ্স দিয়ে আপনি নিজে নিজে শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারবেন, এছাড়াও আপনি নিজের পোর্টফলিও তৈরি এবং প্রাইস এলার্ট সেট করতে পারবেন। যেখানে আপনি শেয়ারের বর্তমান দাম এবং শেয়ার সম্পর্কে লেটেস্ট নিউজ পাবেন। ডিএসই এপ্সটি আপনি এন্ড্রয়েড, আই-ফোন এবং ডেস্কটপেও ব্যবহার করতে পারবেন। বিও একাউন্ট খোলার পর আপনি ডিএসই এর মোবাইল এপ্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন(I-Trade Link)। আবেদন করার পরবর্তী ২ কার্যদিবসের মধ্যে আপনাকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সহ ইমেল করা হবে।
জি, আমরা প্রতিদিন ৪ টার পর পোর্টফোলিও ইমেল করি। বিও একাউন্ট খোলার সময় আপনার ইমেল আইডি দিতে হবে।
আমাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে টাকা উত্তোলনের ফর্ম পুরন করে সাবমিট করলে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দেয়া হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতি মাসে শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে এই বিষয়গলোর উপর বিভিন্ন ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল এনালাইসিস প্রশিক্ষন আয়োজন করে থাকে। এই সব প্রশিক্ষন কখন হবে তা জানতে ডিএসই এর ওয়েব সাইট দেখুন। যে কোর্স আপনার ভালো লাগবে সেটায় জয়েন করার জন্য আবেদন করুন অনলাইনেই।
নতুন বিনিয়োগ কারীরা যাতে সহজে শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানতে এবং শিখতে পারে এর জন্য আমাদের একটি ব্লগ সাইট রয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজে শেয়ার বাজারের খুটি-নাটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আমাদের ডেডিকেটেড কাস্টমার অপারেটরের সাথে ফেস-বুক বা ফোনে কথা বলে পরামর্শ নিতে পারবেন।
|