MIDWAY SECURITIES LTD.
DHAKA STOCK EXCHANGE LTD., TREC 142
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সম্পর্কে এখানে জানুন। আমাদের রচনাগুলি আপনাকে নিরাপদে বিনিয়োগ করতে সহায়তা করবে।
শেয়ার বাজারে সফল হতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম এবং সময় দিতে হবে। কারণ ডিএসই তে লিস্টেড প্রায় ৩৫০ টি কোম্পানি থেকে লাভজনক কোম্পানি বের করা নতুন এবং অভিজ্ঞদের জন্যও বেশ কঠিন। ফল খাবেন অথচ গাছে উঠবেন না এটাতো সম্ভব নয়। সাধারণত একজন ভালো এবং দক্ষ ইনভেস্টোর তিন(৩) ধরণের এনালাইসিস করে থাকে। ১. ফান্ডামেন্টাল ২. টেকনিকাল ৩. সাইকোলজিক্যাল আপনি যখন এই তিনটি এনালাইসিস কিছুটা হলেও জানবেন তখন আর আপনাকে বিভিন্ন মামা-চাচাদের পেছনে দৌড়াতে হবে না। আপনি নিজে নিজেই ইনভেস্টমেন্ট সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারবেন। আমাদের ব্লগে ধারাবাহিক ভাবে এই তিন ধরনের এনালাইসিস তুলে ধরা হবে। সাইকোলজিক্যাল আনালাইসিস সাইকোলজিক্যাল আনালাইসিস সবচেয়ে গুরুত্ব পুর্ন, বলা যায় সফল হওয়ার প্রথম শর্ত। সাইকোলজিক্যাল আনালাইসিস আপনার রিস্ক টলারেন্স/প্রফিট টেকিং, উপস্থিত বুদ্ধি, গোল সেট ইত্যাদিক বিষয়গুলোকে বুঝায়। যে কোন শেয়ারে ইনভেস্ট করার আগে আপনাকে অবশ্য একটি টার্গেট সেল প্রাইস ঠিক করে নিতে হবে। টার্গেট প্রাইসের আগে আপনি কোন ভাবেই শেয়ার হাত ছাড়া করবেন না এমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। পরবর্তী ধাপ হচ্ছে আপনি আপনার টার্গেট প্রাইস না পাওয়া পর্যন্ত কত সময় অপেক্ষা করতে পারবেন এবং কতটুকু লস সহ্য করতে পারবেন।সাইকোলজিক্যাল আনালাইসিস মুলত চারটি বিষয়ের উপর বেশি গুরুত দেয়, কারণ এই চারটি বিষয়ের উপরি ইনভেস্টোররা অনেক বেশি ভুল করে থাকে। সফল ইনভেস্টোর হতে চাইলে এই ভুলগুলো অবশ্যই যতটুকু সম্ভব নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
১)আবেগঃ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী সবাই আমরা অনেক বেশি আবেগ প্রবন। বিশেষ করে একটু পুরনো শেয়ার ব্যবসায়ীরা। আমরা যখন কোন শেয়ার থেকে একবার বা দুইবার লাভ করি আমরা সেই কোম্পানির শেয়ারের প্রতি অনেক বেশি আবেগ প্রবন হয়ে থাকি। সেই কোম্পানি যতই খারাপ করুন আমরা বাড়ে বাড়ে সেই শেয়ার কেনার জন্য উঠে পরে লাগি। যার কারণে আমরা যা লাভ করেছিলাম তার থেকে বেশি লস করে ফেলি। পরামর্শঃ যে কোম্পানি আপনাকে লাভ দিয়েছিল সেই কোম্পানি যে আবার লাভ দিবে এমন কোন গেরান্টি নেই। শেয়ার বাজারে লাভবান হতে হলে অবশ্যই আপনাকে কোম্পানির পারফর্মেন্সের উপর খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য আপনাকে রেগুলার আপনার টার্গেট কোম্পানিকে মনিটর করতে হবে।তাহলেই আপনি কখনোই লস করবেন না। ২)লোভঃ শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করা প্রায় সকল ইনভেস্টোরই রাতারাতি বড় লোক হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সমস্ত পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতে আসে এবং পুঁজি হারিয়ে বসে। আরেক শ্রেনীর মানুষ রয়েছে যারা অন্য ইনভেস্টোরকে অনুসরণ করেন বেশি লাভের আশায় আর একটি পর্যায়ে ব্যাপক লস করে বসেন। কিছু কিছু ইনভেস্টোর আছেন যারা লাভ পাওয়ার পরও আরো বেশি লাভ পাওয়ার আশায় শেয়ার ধরে রাখেন এবং লস করেন।
পরামর্শঃ শেয়ার ব্যবসায়ীকে অবশ্যই তার লোভকে নিয়ন্ত্রন করতে শেয়ার বাজারে যদি আপনি সম্পুর্ন সময় দিতে না পারেন তাহলে কোন ভাল পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে দিয়ে আপনার অতিরিক্ত আয়কে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করান কারণ পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গুলো শেয়ার বাজার সম্পর্কে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। আর তাতে আপনার লস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। আর যদি আপনি নিজে সময় দিয়ে শেয়ার ব্যবসা করেন আর যদি আপনার টার্গেট প্রাইস পেয়ে যান এবং খেয়াল করলেন দাম এখনো আপ-ট্রেন্ডে আছে, এই সময় আপনি আপনার হোল্ডিঙ্গে থাকা ৫০% শেয়ার বিক্রি করে লাভ তুলে নেন। বাকি ৫০% শেয়ার কে ৫ টি ভাগে ভাগ করুন এবং শেয়ারের দাম টার্গেট প্রাইস থেকে ৩% বেড়ে গেলে ১ ভাগ শেয়ার বিক্রি করুন। এভাবে বাকি ৫ ভাগ শেয়ার বিক্রি করে লাভ তুলে নিন। ৩)জেদঃ কিছু কিছু শেয়ার ব্যবসায়ী আছেন যারা লস হয়েছে এবং আরো বেশি লস হবে জেনেও সেই শেয়ার ধরে রাখেন। আবার শেয়ারের দাম কমতেছে দেখেও সেই শেয়ারে নতুন করে বিনিয়োগ শুরু করেন যার ফলে আপনি বড় অংকের লস করে বসে থাকেন দীর্ঘদিন আপনার আমানত ফেরত পাওয়ার আশায়। কিন্তু এক পর্যায়ে আপনি ধর্য হারিয়ে সেই শেয়ার বিক্রি করে দেন। পরামর্শঃ লস হওয়া শেয়ারে কখনোই নতুন করে বিনিয়োগ করবেন না। নতুন টাকা অন্য কোন ভাল শেয়ারে বিনিয়োগ করে লাভ নিতে থাকেন। এছাড়া আপনি যদি বুঝতে পারেন এই শেয়ারের দাম আরো কমবে তাহলে চেষ্টা করুন বিক্রি করে দিতে তাতে আপনার লসের লাভ হবে। ৪) ভয়ঃ আমাদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজার অনেক বেশি গুজব নির্ভর। যে কোন গুজবে আমরা অনেক বেশি রিয়্যাক্ট (উত্তেজিত বা ভয়) করে থাকি। কোন কোম্পানি সম্পর্কে খারাপ খবর শুনে থাকলেই আমরা সেই শেয়ার বিক্রি করার জন্য উঠে পরে লাগি। তথ্যের কোন রকম যাচাই বাছাই না করেই শেয়ার হাত ছাড়া করি যার ফলে শেয়ারের দাম সাধারণত যতটুকু কমার কথা তার থেকে বেশি কমে যায়। একারনে আমরা অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়ই। পরামর্শঃ যে কোন সংবাদ আসার সাথে সাথে তার সত্যতা যাচাই করুন। প্রাতিষ্ঠানিক কোন সোর্স থেকে খবর না পেলে সেই খবরে বিশ্বাস না করাই ভাল। মনে রাখবেন কিছু কিছু মানুষ থাকেই যারা আপনার শেয়ারকে কম দামে কিনে নেয়ার জন্য ভুল খবর বা প্যানিক সেল দেয় অথবা তাদের শেয়ার আপনার কাছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য বিভিন্নত গুজব ছড়ায়। সবসময় মনে রাখতে হবে যে ভালো ইনভেস্টোরদেরও ভুল হয়ে থাকে যেমন মার্কেট খারাপ অবস্থায় প্রায় সময় এনালাইসিস কাজ করে না। সর্ব প্রথম আমাদেরকে এই ভুল গুলো বের করে সেগুলো যতটুকু সম্ভব নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। আপনি যে কোম্পানিতে ইনভেস্ট করেছেন তা আপনি চিন্তা ভাবনা করেই কিনেছেন। আপনার টার্গেট প্রাইস ঠিক করুন এবং সাথে আপনি কত দিন এই শেয়ার ধরে রাখতে পারবেন সেটাও ঠিক করে রাখুন। আর যদি কোন কারণে আপনার শেয়ারের দাম কমে যায় তাহলে কারণ গুলো খুজে বের করুন, তথ্যের যাচাই বাছাই করুন। কারণ গুলো সঠিক হলে শেয়ার বিক্রি করে ফেলুন। মনে রাখবেন টাকা আপনার তাই মাথা খাটাতে হবে আপনাকেই।
6 Comments
DR. S. M. SHAHRIAR
30/1/2019 12:53:16 am
আমি নতুন ইনভেস্টর। আপনাদের মাধ্যমেই একাউন্ট খুলেছি। নিজে পড়ালেখা করছি শেয়ারবাজার সম্পর্কে। কিন্তু প্রফেশনাল ব্যস্ততায় কুলিয়ে উঠতে পারিনা সবসময়। এতদিন শুধু আইপিওতে এপ্লাই করেছি। এখন সেকন্ডারি শেয়ারও কেনাবেঁচা করতে চাই। এই লেখায় পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কথা লিখেছে। এরকম ভালো কোম্পানি কোনটি? আর আমি ফিজিক্যালি উপস্থিত না থেকে তাদের থেকে কিভাবে লাভবান হতে পারি?
Reply
Yaqub Ahmed
22/2/2020 01:47:27 pm
May be helpful for me
Reply
Dr. Md. Akbar Hossain
11/3/2020 07:00:28 pm
Good jobs.
Reply
Md. Abdul Alim
5/8/2020 01:58:35 pm
good
Reply
Leave a Reply. |
AuthorThe Midway Team Categories
All
Archives
November 2023
|