midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
নামমাত্র শেয়ার ধারণ করে পর্ষদসহ কোম্পানির সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার সুযোগ শেষ হতে যাচ্ছে। আগামীতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের থেকে অন্তত একজনকে পরিচালক রাখতে হবে। শেয়ার ধারণের আনুপাতিক হারে পরিচালক মনোনীত করার সুযোগও তৈরি হবে। আর অন্তত ৫ শতাংশ শেয়ার ধারণকারী কোনো প্রতিষ্ঠানও পরিচালক পদে কাউকে মনোনীত করতে পারবে। আত্মীয় বা স্বার্থ-সংশ্নিষ্টদের নামকাওয়াস্তে স্বতন্ত্র পরিচালক করা যাবে না। প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নীতিমালার সংশোধন করে এমন নিয়ম চালুর প্রস্তাব করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর উদ্দেশ্য স্বচ্ছতা ও প্রতিনিধিত্বশীল পর্ষদ গঠন ও কোম্পানিতে সুশাসন নিশ্চিতে পর্ষদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা। কমিশনের এ-সংক্রান্ত সংশোধন প্রস্তাব এরই মধ্যে জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে, যা সংস্থার ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাচ্ছে। কমিশন কর্মকর্তারা জানান, সংশ্নিষ্ট স্টেকহোল্ডারসহ জনগণের কাছ থেকে সংশোধনের বিষয়ে আরও প্রস্তাব বা পরামর্শ পাওয়া গেলে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে কমিশন। এরপর চূড়ান্ত করে গেজেট করা হবে। গেজেটের পর নতুন নীতিমালা অনুসরণ করা তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির জন্য বাধ্যতামূলক হবে। তবে এসব সংশোধনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন বিএপিএলসির সভাপতি আজম জে চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রস্তাব পুরোপুরি বাস্তবসম্মত নয় এবং এখনই বাস্তবায়ন করতে গেলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বিএমবিএর নবনির্বাচিত সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে সুশাসন নিশ্চিত করার স্বার্থেই কমিশনের প্রস্তাবগুলো ইতিবাচক।
বিএসইসির কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে বেশ কিছু কোম্পানির ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের মালিক সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হলেও ওইসব কোম্পানি পরিচালনায় তারা সুযোগ পান না। বিপরীতে ৫ থেকে ৭ শতাংশ শেয়ার নিয়েও কিছু উদ্যোক্তা-পরিচালক পর্ষদ নিয়ন্ত্রণে রাখছেন। নিজেদের ইচ্ছা মতো কোম্পানি চালাচ্ছেন। এগুলোর বেশিরভাগ আবার বছরের পর বছর লোকসান দিচ্ছে। স্বতন্ত্র পরিচালকও মনোনীত করছেন পছন্দের বা স্বার্থ-সংশ্নিষ্টদের। এতে কোম্পানি পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হচ্ছে না। এ অবস্থা উত্তরণের জন্যই পর্ষদের গঠন ও তাদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, এতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পর্ষদে কমপক্ষে একজন নারী পরিচালক রাখার এবং প্রতি ১০ জন পরিচালকের মধ্যে কমপক্ষে একজনের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের হওয়ারও শর্ত আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে একজন নারী পরিচালক রাখতে হবে। বর্তমান বাস্তবতায় কমিশনের এসব শর্ত সব কোম্পানির পক্ষে পরিপালন করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিএপিএলসির সভাপতি। তিনি সমকালকে বলেন, সুশাসন বাড়াতে কমিশনের প্রস্তাবগুলো ভালো। কিন্তু হঠাৎ করেই এর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বিশেষত স্বতন্ত্র পরিচালক পদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার মানদণ্ড ধরে খুঁজতে গেলে এ পদে লোকই পাওয়া যাবে না। তাছাড়া প্রস্তাবিত সুশাসন নীতিমালার আলোকে যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে, তা তৈরি করতেই কোম্পানিগুলোর অনেক সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আইন ও বিধি-বিধান বাস্তবতা বিবর্জিত হলে তা ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট করবে। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখে বিএপিএলসি থেকে সংশোধন প্রস্তাবের বিষয়ে মতামত পাঠানো হবে। কমিশন প্রস্তাবিত সংশোধন প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির পর্ষদের পরিচালক হবে অন্তত পাঁচজন থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন। তবে কোনো পর্ষদের সকল সদস্য বিদেশি হতে পারবেন না। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য পর্ষদে নতুন স্থান নিশ্চিত করা হলেও স্বতন্ত্র পরিচালক পদের সংখ্যা আগের মতোই নূ্যনতম এক-পঞ্চমাংশ এবং সর্বোচ্চ দুই-তৃতীয়াংশ রাখা হয়েছে, কমানো হয়নি। বর্তমানে উদ্যোক্তা-পরিচালকরা তাদের পছন্দমাফিক ব্যক্তিকে স্বতন্ত্র পরিচালক মনোনীত করছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থা বন্ধে স্বতন্ত্র পরিচালক পদের অযোগ্যতার মাপকাঠি দীর্ঘ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সংশোধন প্রস্তাবে কে স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন এবং কে পারবেন না, তার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির উদ্যোক্তা বা সাবেক পরিচালক বা শীর্ষ নির্বাহী বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সর্বশেষ দুই বছরের মধ্যে সেখানে চাকরিরত থাকলে তিনি তার স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন না। কোম্পানির সঙ্গে কোনোরূপ ব্যবসার সম্পর্ক আছে বা এমন কোনো স্বার্থসংশ্নিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্কিত বা সংশ্নিষ্ট কোম্পানির সহযোগী বা উদ্যোক্তাদের সংশ্নিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে সংশ্নিষ্ট হলেও তিনি অযোগ্য হবেন। ওই কোম্পানির পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা রাখে এমন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট হলেও তিনি স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন না। একই সঙ্গে এসব ব্যক্তির সঙ্গে পারিবারিক বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তিরাও স্বতন্ত্র পরিচালক পদে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। সূত্র-সমকাল
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |