midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্
পুঁজিবাজারের আলোচিত ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ওটিসিতে থাকা ৭০টি কোম্পানির মধ্যে উৎপাদন চালু আছে এমন সাতটিকে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে স্থানান্তর করা হবে। এর সঙ্গে উৎপাদন বন্ধ থাকা ১৬টি কোম্পানিও যোগ হবে। ১৮ কোম্পানিকে পাঠানো হবে অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি)। আর বাকি ২৯টি কোম্পানি বিএসইসি এক্সিট পরিকল্পনা অনুসারে বাজার থেকে বেরিয়ে যাবে। গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বিএসইসি। কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে, উৎপাদন চালু থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেগুলোকে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে পাঠানো হবে সেগুলো হচ্ছে এপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, বাংলাদেশ হোটেলস, বেঙ্গল বিস্কুটস, গচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস, হিমাদ্রি লিমিটেড, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়স ও ইউসুফ ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেড।
শর্তসাপেক্ষে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে পাঠানো উৎপাদন বন্ধ থাকা ১৬ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, আলফা টোব্যাকো ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, আমান সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, আশরাফ টেক্সটাইল মিলস, বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি মিটার কোম্পানি, বাংলাদেশ লিফ টোব্যাকো কোম্পানি, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস, বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্টস, ঢাকা ফিশারিজ, এক্সেলসিয়র সুজ, লেক্সকো, মেঘনা শ্রিম্প কালচার, রাসপিট ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেলিকম, রাঙ্গামাটি ফুড প্রডাক্টস, থেরাপিউটিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও জাগো করপোরেশন লিমিটেড। এ কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন চালু করা, শেয়ার ডিম্যাট করা ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করার মতো অনিষ্পন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার শর্ত দেয়া হয়েছে। অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) পাঠানো ১৮ কোম্পানি হচ্ছে বাংলা প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজ, ড্যান্ডি ডায়িং, ডায়নামিক টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, মেটালেক্স করপোরেশন, মিতা টেক্সটাইলস, মডার্ন সিমেন্ট, মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ, মোনা ফুড প্রডাক্টস, পারফিউম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, পেট্রো সিনথেটিক প্রডাক্টস, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল, কাশেম সিল্ক মিলস, কাশেম টেক্সটাইল মিলস, রাসপিট ইনকরপোরেশন বাংলাদেশ, রোজ হ্যাভেন বলপেন, সালেহ কার্পেট মিলস, শ্রীপুর টেক্সটাইল মিলস ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ লিমিটেড। আর বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তালিকায় থাকা ২৯টি কোম্পানি হচ্ছে আরাবি টেক্সটাইলস, আজাদি প্রিন্টার্স, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ লাগেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ, চিক টেক্স, ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলস, জার্মান বাংলা জেভি ফুড, গালফ ফুডস, হিল প্লান্টেশন, যশোর সিমেন্ট কোম্পানি, এম হোসাইন গার্মেন্টস ওয়াশিং অ্যান্ড ডায়িং, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ, ফিনিক্স লেদার কমপ্লেক্স, দি ইঞ্জিনিয়ার্স, টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালারস, বাংলাদেশ প্লান্টেশন, খাজা মোজাইক টাইলস অ্যান্ড স্টোনস ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল অক্সিজেন, প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ, জেম নিটওয়্যার ফ্যাব্রিকস, জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন, জেএইচ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও রূপন অয়েল অ্যান্ড ফিডস লিমিটেড। কমিশনের নির্দেশনায় স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম ও এটিবিতে পাঠানো কোম্পানিগুলোকে এক মাসের মধ্যে শেয়ার ডিম্যাট করতে বলা হয়েছে। শেয়ার ডিম্যাট শেষে সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্মে কোম্পানিগুলোর লেনদেন চালু করতে স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোকে দুই মাসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। এসক্রো হিসাব খোলা এর মধ্যে অন্যতম। এক্সিট পরিকল্পনা-সংক্রান্ত কমিশনের ২০২০ সালের ডিসেম্বরে জারি করা নির্দেশনা অনুসারে এক বছরের মধ্যে এ প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। কোম্পানিগুলোকে এ পরিকল্পনা অনুসরণ করেই বাজার থেকে বের হওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ওটিসিতে থাকা কোম্পানিগুলো যে উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল সেটি পূরণ করতে পারছে না। কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে আমরা কোম্পানিগুলোকে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম ও এটিবিতে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি বেশকিছু কোম্পানিকে বাজার থেকে বের করে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, স্টক এক্সচেঞ্জের মূল তালিকা থেকে ছিটকে পড়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে ওটিসি মার্কেট গঠন করা হলেও নানা কারণে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই নীতিগত সংস্কারের মাধ্যমে এ কোম্পানিগুলোকে সচল করার উদ্যোগ নেয় স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএসইসি। ওটিসির কোম্পানিগুলোর বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের পরিদর্শন প্রতিবেদনের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন নিরীক্ষকের মাধ্যমে পর্যালোচনাও করেছে কমিশন। সবকিছু যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন গতকাল কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন প্লাটফর্মে স্থানান্তর ও বাজার থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। Source: bonikbarta
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
September 2023
Categories |