midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবেলায় দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। সর্বশেষ দফায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এটি আরেকটু বেড়ে ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে বলে সবার ধারণা। আর এই ছুটিতে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, করোনার কারণে গত ২৭ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ওই ছুটির সাথে মিল রেখে ছুটিতে আছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ। আর এ কারণে সাধারণ ছুটির শুরু থেকেই বন্ধ আছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। বেশ কিছুদিন ধরেই লেনদেন বন্ধ থাকার বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ম্যানেজমেন্ট গত ৩ এপ্রিল লেনদেন শুরুর অনুমতি চেয়ে বিএসইসির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএসইসির অনুমতি সাপেক্ষে বাজারে লেনদেন শুরু করার জন্য প্রস্তুত তারা। চিঠিতে লেনদেন চালুর জন্য কয়েকটি বিষয়ে আইনের অব্যাহতিও চাওয়া হয়েছে। বিএসইসি ইতোমধ্যে ডিএসইর ওই চিঠি খতিয়ে দেখেছে। আর তার প্রেক্ষিতেই তারা মনে করছে সাধারণ ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাজারে লেনদেন শুরু করার সুযোগ নেই। সোমবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র অর্থসূচককে জানিয়েছিলেন, কমিশন ডিএসইর চিঠি পর্যালোচনা করে দেখছে। প্রয়োজন মনে করলে বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ডিএসইর চিঠিতে বলা হয়, তারা করোনার ঝুঁকি কমা্তে শারীরিক বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতির পরিবর্তে ডিএসই অ্যাপ, ফোন, এসএমএস, ইমেইল ইত্যাদির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে লেনদেন পরিচালনা করতে আগ্রহী। আর ব্যাংকিং সময়ের সঙ্গে মিল রেখে আপাতত ২ ঘণ্টা লেনদেনেও তাদের আপত্তি নেই। চিঠিতে করোনা পরিস্থিতিতে চলাচলের ঝুঁকি বিবেচনায় কিছু আইনী শর্ত শিথিল করার প্রস্তাব করা হয়, যেগুলোর মধ্যে আছে-বিএসইসির কাছে প্রতিদিনের লেনদেনের রিপোর্ট, বিদেশী বিনিয়োগ সংক্রান্ত সাপ্তাহিক রিপোর্ট এবং সাপ্তাহিক মনিটরিং রিপোর্ট আপাতত জমা না দেওয়া। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর সুযোগ খুবই কম। প্রথমতঃ সরকার সাধারণ ছুটির প্রজ্ঞাপনে যেসব খাতকে এর আওতার বাইরে রেখেছে সেখানে পুঁজিবাজারের উল্লেখ নেই। তাই ছুটির সাথে মিল রেখে বাজার বন্ধ রাখাই সঙ্গত। এর বাইরে গিয়ে লেনদেন শুরু করতে হলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অনুমোদন চাইতে হবে। দ্বিতীয়তঃ ডিএসই বিদ্যমান আইনের যেসব শর্তে ছাড় চেয়েছে, সেগুলোর জন্য কমিশন বৈঠকের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু সংস্থার দু’জন কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা এবং প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ৪ মে থেকে আর কমিশন বৈঠকের সুযোগ নেই। কারণ বর্তমানে চেয়ারম্যানের বাইরে মাত্র একজন কমিশনার আছেন। তৃতীয়তঃ দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এতদিন বাজার বন্ধ থাকার পর এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে অল্প দিনের জন্য লেনদেন শুরুর ব্যাপারে তাড়াহুড়া করার বিষয়টি মঙ্গলজনক না-ও হতে পারে। সব মিলিয়ে ঈদের পর অফিস-আদালত খোলার আগে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর সম্ভাবনা একেবারেই নেই বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে শুরু হয় সাধারণ ছুটি। পরে কয়েক দফায় যা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে, এই ছুটি চলবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত। সাধারণ ছুটিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, সিডিবিএল, স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ আছে। এ কারণে বন্ধ আছে বাজারের লেনদেনও। যদিও করোনার কারণে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য বাজারগুলোর কোনোটিই বন্ধ নেই। লেনদেন বন্ধ থাকার বিষয় নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যেই গত ৩০ এপ্রিল ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়, সাধারণ ছুটি বাড়ানো না হলে ৭ মে এবং বাড়ানো হলে ১০ মে তারা লেনদেন শুরু করতে আগ্রহী। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি সাপেক্ষেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তারই প্রেক্ষিতে রোববার (৩ মে) বিএসইসির কাছে লেনদেন শুরুর অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠায় ডিএসই। Source: ArthoSuchak
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
December 2024
Categories |