midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
পুঁজিবাজারের চলমান পতন প্রবণতা সাময়িক দাবি করে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, শিগগিরই বাজার স্থিতিশীল হবে। এ জন্য ৩ থেকে ৪ মাস ধৈর্য ধরতে হবে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষে বাজারের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাণিজ্য বার্তাকে তিনি এ কথা বলেন। পুঁজিবারের ধারাবাহিক দরপতন চলছে। শেষ ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৮ কার্যদিবসই পতন হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবারও প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৩০ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪১ পয়েন্ট। পুঁজিবাজারের এই পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছেন না অনেক বিনিয়োগকারী। তবে আবু আহমেদ বলছেন, এ অবস্থা বেশি দিন থাকবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ উন্নয়ন সহযোগীরা বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সরকারও সকল ঋণ পরিশোধ করার উদ্যোগ নিচ্ছে। এগুলো যথাযথ হলে বাজারে তারল্য বাড়বে। বাজারও ভালো হবে।’ গত কয়েকদিন পুঁজিবাজারে যে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা সাময়িক জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিদেশে সুদের হার কমানো শুরু হয়েছে, আমাদের দেশেও হয়তো সুদের হার বাড়বে না, কমবে। এতে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এর জন্য কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে।’ বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্য সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ডিএসইতে সব খাত মিলে এদিন ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। কমেছে ১৮২টির। আর ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪১ পয়েন্ট। লেনদেন অংশ নেওয়া ২২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১টির। কমেছে ১০৪টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারের এই পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের কাছে মন্দ বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খোদ বিনিয়োগকারীরাই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। আব্দুল হান্নান নামের এক বিনিয়োগকারী বাণিজ বার্তাকে বলেন, ‘পু্ঁজিবাজার কবে ইতিবাচক হবে সেই আশায় দিনের পর দিন কাটছে। কিন্তু বাজার ভালো হচ্ছে না। হাউজে এসে প্রতিদিনই উল্লম্ফনের আশা করি; কিন্তু দরপতন দেখে বাসায় ফিরতে হচ্ছে। প্রতিদিনই লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে।’ শাহাদাত হোসেন নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘গত ১০ বছরে অন্তত ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। লাভ তো দূরের কথা, প্রায় অর্ধেক পুঁজি হারিয়ে পথে বসে আছি।’ রাজিয়া সুলতানা নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘সরকার পতনের পর পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখে মনে হয়েছিলো বাজার স্থিতিশীল হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও প্রায় প্রতিদিনই লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সহজ হবে না।’ Source: Banijjo Barta
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
October 2024
Categories |