midway securities ltd.
স্টক * বন্ড * ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট * আইপিও * বাজার গবেষণা * ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
দিনকে দিন বিনিয়োগকারীদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মার্জিন লোন। মন্দ শেয়ারবাজারে এই লোন নিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক সঠিক পন্থা অবলম্বন করছে না। প্রায় ২৫ বছর আগের পুরাতন পলিসি দিয়ে মার্জিন লোন দেওয়া ও নেওয়া হচ্ছে। সঠিকভাবে এর ব্যবহারও হচ্ছে না। সময় এসেছে এর সংস্কার করার। মার্জিন লোন দেওয়া ও নেওয়ার পলিসিগত পরিবর্তন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বিজনেস আই বাংলাদশেকে এসব তথ্য জানান। মিডওয়ে সি কিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশেকুর রহমান বলেন, মার্জিন লোন মূলত দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য না। এটি মূলত স্বল্প মেয়াদে বিনিয়োগের জন্য দেওয়া হয়। বর্তমানে মন্দাবাজারে ১৬ শতাংশ সুদে মার্জিন লোন নিয়ে মুনাফা করা বিনিয়োগকারীদের অনেক কঠিন। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী মার্জিন লোন নিয়ে মুনাফা করতে পারছে না। আর মার্জিন লোন যেভাবে দেওয়া হয় তা মার্কেট ফ্রেন্ডলি না। এর হিউজ সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার সম্পর্কে যেসব বিনিয়োগকারীর পর্যাপ্ত জ্ঞান রয়েছে কেবল তাদেরকেই মার্জিন লোন দেওয়া উচিত। মার্জিন লোনের ৬০ শতাংশ ফান্ডামেন্টাল কোম্পানিতে এবং বাকি ৪০ শতাংশ তুলনামূলক কম ফান্ডামেন্টাল কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিধান করা উচিত। এছাড়াও এই লোন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নতুন রুপে রুলস, অ্যামেন্ডমেন্ট তৈরি করতে হবে। যাতে করে মার্জিন লোন গ্রহণকারী ও প্রদানকারী উভয়ই উপকৃত হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই’র সাবেক সভাপতি ও রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী বলেন, মার্জিন লোন শেয়ারবাজারে ক্যান্সার রুপ ধারন করেছে। প্রায় ২৫ বছর আগের রুলস দিয়ে এটি পরিচালিত হচ্ছে, যা বর্তমান বাজারের জন্য মোটেই উপকার বয়ে আনছে না। চরমভাবে এর অপব্যবহার হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের তারল্য মাইনাস হলে ব্রোকারেজ হাউজের উচিত তাদেরকে নোটিস করা। কিন্তু তারা তা না করে তাদের শেয়ার কম দামে ফোর্স সেল করে মার্জিন লোন এডজাস্ট করে। যা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। মার্জিন লোনের পলিসিতে আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। যাকে তাকে মার্জিন লোন দেওয়া যাবে না। লোন কত পরিমাণ দেওয়া যাবে তা সুর্নিদিষ্টভাবে ঠিক করতে হবে। ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো অনেক প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোন দেয়। সেই প্রলোভনের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিএমবিএ’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ বলেন, মার্জিন লোন যেভাবে ব্যবহার করা উচিত, সেভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। মার্জিন লোন প্রদানকারীরা যেমন এর অপব্যবহার করছেন, ঠিক তেমনি যারা নিয়েছেন তারাতো অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী না, তারা লোন পেয়েছেন আর তা দিয়ে যেনতেন শেয়ার কিনেছেন। ফলে তারা লোকসান করেছেন। তাদের বেনিফিশিয়ার ওনার্স-বিও আইডিতে থাকা অর্থের পরিমাণ কমেছে। পরবর্তীতে এই লোনের বিপরীতে মার্জিন লোন বা ঋণের ইন্টারেস্ট বা সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। শেয়ারবাজার সম্পর্কে যাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে কেবল তাদেরকেই মার্জিন লোন দেওয়া উচিত। আইনটাকে সম্পূর্ণ নতুন রুপে সাজানো উচিত। এটা নিয়ে বিনিয়োগকারী ও টেকহোল্ডারদের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা করা উচিত। অনেক ব্রোরেজ হাউজ মার্জিন লোন এডজাস্ট করার জন্য বিনিয়োগকারীদের না জানিয়ে তাদের আইডি দিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করে থাকে। এতে করে এসমস্ত ব্রোরেজ হাউজও অল্প পরিমাণে কমিশন পায়। অর্থাৎ এই মার্জিন লোনের কারণে বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে উচ্চ সুদে মার্জিন লোন নিয়ে মুনাফা করা খুবই ডিফিকাল্ট। মার্জিন লোন দেওয়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রসঙ্গত, গ্রাহককে শেয়ার কিনতে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজ থেকে যে ঋণ দেওয়া হয়, একে মার্জিন ঋণ বলে। গ্রাহককে দেওয়া ঋণের অর্থও আবার সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ অন্য কোনো উৎস থেকে ঋণ হিসাবে নেয়। ফলে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ ফেরত না পেলেও তাদেরকে ওই ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ কারণে দাম কমে গেলে গ্রাহকের শেয়ার তারা ফোর্সড সেল (বাধ্যতামূলক বিক্রি) করে। Source: www.businesseyebd.com
0 Comments
Leave a Reply. |
Midway News TeamWe publish the latest stock market news to help you decide on your investment decisions. Archives
April 2025
Categories |